‘বাজে মেয়েরা হয়তো নিজেরাই বিছানায় যেতে চায়’ -ইনোসেন্ট ভারিদ থেক্কেথালা
চলচ্চিত্র
জগতে ‘কাস্টিং কাউচ’ বা অভিনয়ের প্রস্তাবের বিনিময়ে যৌন শোষণ নতুন কিছু
নয়। বলিউডের বহু অভিনেতা-অভিনেত্রী এ বিষয়ে নিজেদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন
বিভিন্ন সময়। ভারতের মালায়ালাম চলচ্চিত্রশিল্পও এর বাইরে নয়। সম্প্রতি এ
বিষয়ে নিজেদের অপ্রীতিকর অভিজ্ঞতার কথা খোলাখুলি জানান জনপ্রিয় মালায়ালাম
অভিনেত্রী পার্বতী মেনন। অথচ মালায়ালাম চলচ্চিত্রে ‘কাস্টিং কাউচের’
অস্তিত্ব বেমালুম অস্বীকার করছেন কেরালার প্রবীণ অভিনেতা ও পার্লামেন্ট
সদস্য ইনোসেন্ট ভারিদ থেক্কেথালা।
‘কোনো নারী শিল্পীর যদি চরিত্র খারাপ থাকে, মিডিয়ায় তা খুব তাড়াতাড়ি ছড়িয়ে পড়ে। বাজে মেয়েরা হয়তো নিজেরাই বিছানায় যেতে চায়’—সম্প্রতি এমন মন্তব্য করে সমালোচনার জন্ম দিয়েছেন ইনোসেন্ট ভারিদ থেক্কেথালা। গতকাল বুধবার ‘কাস্টিং কাউচ’ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘মালায়ালাম চলচ্চিত্রশিল্প এখন পরিচ্ছন্ন। কোনো কাস্টিং কাউচ হয় না। অতীতেও ছিল না। চরিত্র পাওয়ার জন্য নারীদের যৌন শোষণের মুখোমুখি হতে হয় না। বর্তমান সময়টা এমন—কোনো নারীর চরিত্রে খারাপ কিছু থাকলে তা মিডিয়ার মানুষ এমনিতেই জেনে যায়।’
২০১৪ সালে পার্লামেন্টে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে যোগ দেন ইনোসেন্ট। অ্যাসোসিয়েশন অব মালায়ালাম মুভি আর্টিস্টসের (এমএমএ) সভাপতিও তিনি। তাঁর মুখে এমন বক্তব্যে বিক্ষোভে ফেটে পড়েছেন ওই রাজ্যের নারী অধিকারকর্মীরা।
গত মাসেই কেরালার অভিনেত্রী মঞ্জু ওয়ারিয়েরের নেতৃত্বে গঠন করা হয় ‘উইমেন ইন সিনেমা কালেক্টিভ’ সংগঠনটি। পার্লামেন্ট সদস্যের এমন বক্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ওই সংগঠন। এক ফেসবুক পোস্টে সংগঠনটি বলে, ‘নতুন মেয়েরা যখন চলচ্চিত্রশিল্পে প্রবেশ করে, তখন তাঁদের নানা রকম যৌন নিগ্রহের মুখোমুখি হতে হয়। এমনকি আমাদের সহকর্মী পার্বতী ও লক্ষ্মী রাই কাস্টিং কাউচ নিয়ে জনসমক্ষেই কথা বলেছেন। আমরা এমন বক্তব্য মেনে নিতে পারছি না, যেখানে বলা হচ্ছে, ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে এ ধরনের কিছু হয় না। মন্তব্য করার ব্যাপারে অনেক বেশি সতর্ক থাকা উচিত বলে মনে করি আমরা।’
এমন অবস্থায় বিপাকে পড়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করতে ফেসবুকে পাল্টা মন্তব্য করেন ইনোসেন্ট। তিনি বলেন, ‘আমার কিছু মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করে এমনভাবে প্রকাশিত হয়েছে, যা আমি বলতে চাইনি। আমি বলতে চেয়েছি, চলচ্চিত্রশিল্পে নারীদের কাজের পরিবেশ এখন আগের তুলনায় অনেক বন্ধুত্বপূর্ণ।’
‘কোনো নারী শিল্পীর যদি চরিত্র খারাপ থাকে, মিডিয়ায় তা খুব তাড়াতাড়ি ছড়িয়ে পড়ে। বাজে মেয়েরা হয়তো নিজেরাই বিছানায় যেতে চায়’—সম্প্রতি এমন মন্তব্য করে সমালোচনার জন্ম দিয়েছেন ইনোসেন্ট ভারিদ থেক্কেথালা। গতকাল বুধবার ‘কাস্টিং কাউচ’ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘মালায়ালাম চলচ্চিত্রশিল্প এখন পরিচ্ছন্ন। কোনো কাস্টিং কাউচ হয় না। অতীতেও ছিল না। চরিত্র পাওয়ার জন্য নারীদের যৌন শোষণের মুখোমুখি হতে হয় না। বর্তমান সময়টা এমন—কোনো নারীর চরিত্রে খারাপ কিছু থাকলে তা মিডিয়ার মানুষ এমনিতেই জেনে যায়।’
২০১৪ সালে পার্লামেন্টে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে যোগ দেন ইনোসেন্ট। অ্যাসোসিয়েশন অব মালায়ালাম মুভি আর্টিস্টসের (এমএমএ) সভাপতিও তিনি। তাঁর মুখে এমন বক্তব্যে বিক্ষোভে ফেটে পড়েছেন ওই রাজ্যের নারী অধিকারকর্মীরা।
গত মাসেই কেরালার অভিনেত্রী মঞ্জু ওয়ারিয়েরের নেতৃত্বে গঠন করা হয় ‘উইমেন ইন সিনেমা কালেক্টিভ’ সংগঠনটি। পার্লামেন্ট সদস্যের এমন বক্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ওই সংগঠন। এক ফেসবুক পোস্টে সংগঠনটি বলে, ‘নতুন মেয়েরা যখন চলচ্চিত্রশিল্পে প্রবেশ করে, তখন তাঁদের নানা রকম যৌন নিগ্রহের মুখোমুখি হতে হয়। এমনকি আমাদের সহকর্মী পার্বতী ও লক্ষ্মী রাই কাস্টিং কাউচ নিয়ে জনসমক্ষেই কথা বলেছেন। আমরা এমন বক্তব্য মেনে নিতে পারছি না, যেখানে বলা হচ্ছে, ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে এ ধরনের কিছু হয় না। মন্তব্য করার ব্যাপারে অনেক বেশি সতর্ক থাকা উচিত বলে মনে করি আমরা।’
এমন অবস্থায় বিপাকে পড়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করতে ফেসবুকে পাল্টা মন্তব্য করেন ইনোসেন্ট। তিনি বলেন, ‘আমার কিছু মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করে এমনভাবে প্রকাশিত হয়েছে, যা আমি বলতে চাইনি। আমি বলতে চেয়েছি, চলচ্চিত্রশিল্পে নারীদের কাজের পরিবেশ এখন আগের তুলনায় অনেক বন্ধুত্বপূর্ণ।’
No comments