হরিধানের জনক হরিপদ কাপালি আর নেই
বিশেষ জাতের উচ্চ ফলনশীল 'হরিধানে'র জনক হরিপদ কাপালি আর নেই। বুধবার দিনগত রাত ১টা ১০ মিনিটে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সাধুহাটি ইউনিয়নের আসাননগর গ্রামের নিজ বাড়িতে বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর। এই গুণী ব্যক্তি ১৯২২ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সাধুহাটি ইউনিয়নের আসাননগর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৯৬ সালে তিনি উচ্চ ফলনশীল ধান অবিষ্কার করেন। তার নামানুসারে ওই ধানের নাম রাখা হয় 'হরিধান'। কৃষিতে অনন্য অবদান রাখার জন্য বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে তাকে পুরস্কৃত করা হয়। এছাড়া সরকার তাকে একটি বাড়ি তৈরি করে দেয়। সেই বাড়িতেই স্ত্রী সুনিতা রানী (৭৫) ও পালিত পুত্র রুপকুমারকে নিয়ে থাকতেন তিনি। ১৯৯৬ সালের দিকে হরিপদর নাম দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিদেশে ছড়িয়ে পড়ে। তিনি ছিলেন অত্রাঞ্চলের গর্ব।
নিরক্ষর হরিপদ কাপালী ছিলেন নম্র-ভদ্র এবং বিনয়ী প্রকৃতির । দীর্ঘ কয়েক বছর তিনি বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন। ঝিনাইদহ সদর উপজেলা কৃষি অফিসার ড. খান মো. মনিরুজ্জামান হরিপদ কাপালীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, হরিপদ ছিলেন একজন আদর্শ মানুষ, আদর্শ কৃষক। তার মৃত্যুতে কৃষিবিভাগ তার পরিবারের একজন সদস্যকে হারাল। এদিকে জেলা কৃষি বিভাগের উপপরিচালক শাহ মুহামম্মদ আকরামুল হকসহ কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা আসাননগর গ্রামে শেষবারের মতো হরিপদর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। তারা তার পরিবারের প্রতি সমবেদনাও প্রকাশ করেন। এছাড়া সাধুহাটি ইউপি চেয়ারম্যান নাজির উদ্দিনসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ হরিপদর মরদেহে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।
ধান আবিষ্কারের গল্প :-
একদিন কাকডাকা ভোরের দিকে হরিপদ নিজ জমিতে লাগানো ধানক্ষেত পরিচর্যা করার জন্য মাঠে যান। তিনি দেখেন বিশাল জমিতে একগুচ্ছ ধান গাছ অন্যান্য ধানের গোছা থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। ধান পাকা পর্যন্ত অপেক্ষা করেন তিনি। সেসময় আসাননগর গ্রামের মাঠে ধানের ফলন ভালো ছিল না। হরিপদ ধান কাটার সময় ধান গুচ্ছ আলাদা করে বাড়িতে নিয়ে যান। এরপর সেই ধান একটি মাটির হাড়িতে করে রেখে দেন। পরের মৌসুমে পৃথকভাবে সেই ধানের বীজতলা তৈরি করেন এবং জমিতে রোপন করেন। ফলন ভালো হলো। এর পরের বার রোপন মৌসুমে অন্য জমিতে রোপন করেন সেই ধান। সাড়া পড়ে যায় গোটা এলাকায়। সেই ধান মাড়াই করে দেখা যায় এক বিঘা জমিতে ২০/২২ মণ ধান উৎপাদিত হয়েছে। খবর ছড়িয়ে পড়ে গণমাধ্যমে। সাড়া পড়ে যায় সারা দেশে। কৃষি বিভাগ ছুটে আসেন তার কাছে। হৈচৈ পড়ে যায় 'হরিধান' নিয়ে । দেশ বিদেশের ধান গবেষকরা জানার চেষ্টা করেন এ ধানের আসল রহস্য। মাঠের পর মাঠ হরিধানে ছেয়ে যায়। এখন সেই ধান নেই। সময়ের পরিক্রমায় হরিধানের উৎপাদন কমে গেছে। কৃষিবিদরা বলেছেন ৫ বছর পর পর জমির গুনাগুন পরিবর্তন হয়। এখন আরও উচ্চ ফলনশীল ধান চাষ করা হচ্ছে। সে কারণেই অত্রাঞ্চলে হরিধান আবাদ প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। তবে দেশের বিভিন্ন জেলায় হরিধানের আবাদ হচ্ছে বলে জানান স্থানীয় কৃষি বিভাগ। হরিধান কৃষিতে এক সময় বড় ধরনের অবস্থান করে নিয়েছে বলে মনে করেন কৃষি বিশেষজ্ঞরা।
ধান আবিষ্কারের গল্প :-
একদিন কাকডাকা ভোরের দিকে হরিপদ নিজ জমিতে লাগানো ধানক্ষেত পরিচর্যা করার জন্য মাঠে যান। তিনি দেখেন বিশাল জমিতে একগুচ্ছ ধান গাছ অন্যান্য ধানের গোছা থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। ধান পাকা পর্যন্ত অপেক্ষা করেন তিনি। সেসময় আসাননগর গ্রামের মাঠে ধানের ফলন ভালো ছিল না। হরিপদ ধান কাটার সময় ধান গুচ্ছ আলাদা করে বাড়িতে নিয়ে যান। এরপর সেই ধান একটি মাটির হাড়িতে করে রেখে দেন। পরের মৌসুমে পৃথকভাবে সেই ধানের বীজতলা তৈরি করেন এবং জমিতে রোপন করেন। ফলন ভালো হলো। এর পরের বার রোপন মৌসুমে অন্য জমিতে রোপন করেন সেই ধান। সাড়া পড়ে যায় গোটা এলাকায়। সেই ধান মাড়াই করে দেখা যায় এক বিঘা জমিতে ২০/২২ মণ ধান উৎপাদিত হয়েছে। খবর ছড়িয়ে পড়ে গণমাধ্যমে। সাড়া পড়ে যায় সারা দেশে। কৃষি বিভাগ ছুটে আসেন তার কাছে। হৈচৈ পড়ে যায় 'হরিধান' নিয়ে । দেশ বিদেশের ধান গবেষকরা জানার চেষ্টা করেন এ ধানের আসল রহস্য। মাঠের পর মাঠ হরিধানে ছেয়ে যায়। এখন সেই ধান নেই। সময়ের পরিক্রমায় হরিধানের উৎপাদন কমে গেছে। কৃষিবিদরা বলেছেন ৫ বছর পর পর জমির গুনাগুন পরিবর্তন হয়। এখন আরও উচ্চ ফলনশীল ধান চাষ করা হচ্ছে। সে কারণেই অত্রাঞ্চলে হরিধান আবাদ প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। তবে দেশের বিভিন্ন জেলায় হরিধানের আবাদ হচ্ছে বলে জানান স্থানীয় কৃষি বিভাগ। হরিধান কৃষিতে এক সময় বড় ধরনের অবস্থান করে নিয়েছে বলে মনে করেন কৃষি বিশেষজ্ঞরা।
No comments