মিনায় পদদলিত হয়ে ৭১৭ হাজির মৃত্যু
সৌদি আরবের মিনায় পদদলিত হতাহত হাজিদের উদ্ধারে কাজ করে যাচ্ছেন সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা। ছবি: ফেরদৌস ফয়সাল, মিনা থেকে |
সৌদি আরবের মিনায় পদদলিত হতাহত হাজিদের উদ্ধারে কাজ করে যাচ্ছেন সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা। ছবি: ফেরদৌস ফয়সাল, মিনা থেকে |
সৌদি
আরবের মিনায় পবিত্র হজ পালনকালে আজ বৃহস্পতিবার পদদলিত হয়ে কমপক্ষে ৭১৭
জন হাজির মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন অনেকে। সৌদি আরবের সিভিল ডিফেন্সের
পরিচালকের দপ্তর এ তথ্য জানিয়ে বলেছে, মৃতের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। খবর
এএফপি, রয়টার্স ও আল জাজিরা
সৌদির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন নায়েফ ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
পরিচালকের দপ্তর জানিয়েছে, হজের শেষ পর্যায়ের আনুষ্ঠানিকতা মিনার বড় জামারাকে (বড় শয়তান) লক্ষ্য করে কঙ্কর মারতে যাওয়ার পথে এই দুর্ঘটনা ঘটে। পদদলিত হয়ে ৭১৯ জন হাজি আহত হয়েছেন।
সিভিল ডিফেন্সের একজন মুখপাত্র বলেছেন, আহতদের উদ্ধার করে মিনা অঞ্চলের চারটি হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এখনো উদ্ধার কাজ চলছে। উদ্ধারকাজে চার হাজারের মতো কর্মী অংশ নিচ্ছেন। ঘটনাস্থলে ২২০টি অ্যাম্বুলেন্স পাঠানো হয়েছে।
আল জাজিরার প্রতিবেদক মিনা থেকে জানিয়েছেন, শয়তানকে পাথর মারতে যাওয়ার পথে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
মিনা থেকে আমাদের প্রতিবেদক ফেরদৌস ফয়সাল জানিয়েছেন, স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মিনার ২০৪ নম্বর সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তীব্র গরম ও হাজিদের তাড়াহুড়োর কারণে এমনটি ঘটেছে। ঘটনাস্থল দেখে তাঁর মনে হয়েছে, বয়স্ক ও নারী হাজিরা দুর্ঘটনায় বেশি হতাহত হয়েছেন। এই সড়কটি মূলত আরব ও আফ্রিকান হাজিরা ব্যবহার করে থাকেন। বাংলাদেশিরা সাধারণত এই সড়কে চলাচল করেন না।
কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী বাংলাদেশি হাজির সঙ্গে এই প্রতিবেদকের কথা হয়। এঁদের মধ্যে একজন ভিড়ের মধ্যে পড়ে সামান্য আহত হয়েছেন বলে জানান। তবে পরিবার দুশ্চিন্তা করবে বিবেচনায় তিনি তাঁর নাম প্রকাশ করতে চাননি। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, প্রায় পাঁচ-ছয় কিলোমিটার ধরে তাঁরা হাঁটছিলেন। তীব্র গরমে বয়স্ক ও নারীদের হাঁটার গতি কমে আসছিল। কিন্তু পেছনের অনেকেই স্বাভাবিক গতিতেই সামনে এগোচ্ছিলেন। এ সময় হুড়োহুড়িতে ওই সড়কের ৮/২০৪ থেকে ১২/২০৪ নম্বর তাঁবুর স্থানে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
আল-আরাবিয়া নিউজ চ্যানেলের প্রতিনিধি আবদুল রহমান আল-ওসামি মিনা থেকে জানিয়েছেন, ২০৪ নম্বর সড়কের কাছে জামারাত সেতুর প্রবেশমুখ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। শয়তানকে লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপের স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটেনি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করা ভিডিওতে দেখা গেছে, সে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্য। সড়কে হতাহত হাজিরা পড়ে আছেন।
কেন্দ্রীয় হজ কমিটির প্রধান প্রিন্স খালেদ আল-ফয়সাল এ দুর্ঘটনার জন্য ‘কিছু আফ্রিকান জাতীয়তার’ হাজিদের দায়ী করেছেন বলে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন আল-আরবিয়া টিভি চ্যানেলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
এবার ২০ লাখের মতো মুসলমান হজ পালন করছেন। এর আগেও হজ পালন করতে গিয়ে নানা সময়ে পদদলিত হয়ে হাজিরা মৃত্যুবরণ করেন। ১৯৯০ সালে মক্কায় পদদলিত হয়ে ১ হাজার ৪২৬ জন হাজির মৃত্যু হয়েছিল। ১৯৯৮ সালে মিনায় (বড় শয়তান) লক্ষ্য করে কঙ্কর ছুড়ে মারার সময় পদদলিত হয়ে ১৮০ জন হাজির মৃত্যু হয়। ২০০১ সালে মিনায় পদদলিত হয়ে মারা যান ৩৫ জন। ২০০৬ সালে মিনায় পাথর নিক্ষেপের সময় দুর্ঘটনায় ৩৬০ জনের বেশি হাজির মৃত্যু হয়।
এ বছরের ১১ সেপ্টেম্বর হজ চলাকালে মক্কায় মসজিদুল হারামে নির্মাণকাজে ব্যবহৃত ক্রেন ভেঙে পড়ে ১১১ জন নিহত হন। এ ঘটনায় আহত হন আরও ৪০০ জন।
সৌদির সিভিল ডিফেন্সের টুইটারে প্রথম এই দুর্ঘটনার খবর জানায়।
সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন নায়েফ ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
আল-আরাবিয়া নিউজ চ্যানেলের প্রতিনিধি আবদুল রহমান আল-ওসামি মিনা থেকে জানিয়েছেন, ২০৪ নম্বর সড়কের কাছে জামারাত সেতুর প্রবেশমুখ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। শয়তানকে লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপের স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটেনি।
সৌদির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন নায়েফ ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
পরিচালকের দপ্তর জানিয়েছে, হজের শেষ পর্যায়ের আনুষ্ঠানিকতা মিনার বড় জামারাকে (বড় শয়তান) লক্ষ্য করে কঙ্কর মারতে যাওয়ার পথে এই দুর্ঘটনা ঘটে। পদদলিত হয়ে ৭১৯ জন হাজি আহত হয়েছেন।
সিভিল ডিফেন্সের একজন মুখপাত্র বলেছেন, আহতদের উদ্ধার করে মিনা অঞ্চলের চারটি হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এখনো উদ্ধার কাজ চলছে। উদ্ধারকাজে চার হাজারের মতো কর্মী অংশ নিচ্ছেন। ঘটনাস্থলে ২২০টি অ্যাম্বুলেন্স পাঠানো হয়েছে।
আল জাজিরার প্রতিবেদক মিনা থেকে জানিয়েছেন, শয়তানকে পাথর মারতে যাওয়ার পথে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
মিনা থেকে আমাদের প্রতিবেদক ফেরদৌস ফয়সাল জানিয়েছেন, স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মিনার ২০৪ নম্বর সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তীব্র গরম ও হাজিদের তাড়াহুড়োর কারণে এমনটি ঘটেছে। ঘটনাস্থল দেখে তাঁর মনে হয়েছে, বয়স্ক ও নারী হাজিরা দুর্ঘটনায় বেশি হতাহত হয়েছেন। এই সড়কটি মূলত আরব ও আফ্রিকান হাজিরা ব্যবহার করে থাকেন। বাংলাদেশিরা সাধারণত এই সড়কে চলাচল করেন না।
কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী বাংলাদেশি হাজির সঙ্গে এই প্রতিবেদকের কথা হয়। এঁদের মধ্যে একজন ভিড়ের মধ্যে পড়ে সামান্য আহত হয়েছেন বলে জানান। তবে পরিবার দুশ্চিন্তা করবে বিবেচনায় তিনি তাঁর নাম প্রকাশ করতে চাননি। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, প্রায় পাঁচ-ছয় কিলোমিটার ধরে তাঁরা হাঁটছিলেন। তীব্র গরমে বয়স্ক ও নারীদের হাঁটার গতি কমে আসছিল। কিন্তু পেছনের অনেকেই স্বাভাবিক গতিতেই সামনে এগোচ্ছিলেন। এ সময় হুড়োহুড়িতে ওই সড়কের ৮/২০৪ থেকে ১২/২০৪ নম্বর তাঁবুর স্থানে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
আল-আরাবিয়া নিউজ চ্যানেলের প্রতিনিধি আবদুল রহমান আল-ওসামি মিনা থেকে জানিয়েছেন, ২০৪ নম্বর সড়কের কাছে জামারাত সেতুর প্রবেশমুখ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। শয়তানকে লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপের স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটেনি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করা ভিডিওতে দেখা গেছে, সে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্য। সড়কে হতাহত হাজিরা পড়ে আছেন।
কেন্দ্রীয় হজ কমিটির প্রধান প্রিন্স খালেদ আল-ফয়সাল এ দুর্ঘটনার জন্য ‘কিছু আফ্রিকান জাতীয়তার’ হাজিদের দায়ী করেছেন বলে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন আল-আরবিয়া টিভি চ্যানেলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
এবার ২০ লাখের মতো মুসলমান হজ পালন করছেন। এর আগেও হজ পালন করতে গিয়ে নানা সময়ে পদদলিত হয়ে হাজিরা মৃত্যুবরণ করেন। ১৯৯০ সালে মক্কায় পদদলিত হয়ে ১ হাজার ৪২৬ জন হাজির মৃত্যু হয়েছিল। ১৯৯৮ সালে মিনায় (বড় শয়তান) লক্ষ্য করে কঙ্কর ছুড়ে মারার সময় পদদলিত হয়ে ১৮০ জন হাজির মৃত্যু হয়। ২০০১ সালে মিনায় পদদলিত হয়ে মারা যান ৩৫ জন। ২০০৬ সালে মিনায় পাথর নিক্ষেপের সময় দুর্ঘটনায় ৩৬০ জনের বেশি হাজির মৃত্যু হয়।
এ বছরের ১১ সেপ্টেম্বর হজ চলাকালে মক্কায় মসজিদুল হারামে নির্মাণকাজে ব্যবহৃত ক্রেন ভেঙে পড়ে ১১১ জন নিহত হন। এ ঘটনায় আহত হন আরও ৪০০ জন।
সৌদির সিভিল ডিফেন্সের টুইটারে প্রথম এই দুর্ঘটনার খবর জানায়।
সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন নায়েফ ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
আল-আরাবিয়া নিউজ চ্যানেলের প্রতিনিধি আবদুল রহমান আল-ওসামি মিনা থেকে জানিয়েছেন, ২০৪ নম্বর সড়কের কাছে জামারাত সেতুর প্রবেশমুখ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। শয়তানকে লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপের স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটেনি।
No comments