হালিমার অপেক্ষা আর কেচি ফাইলের কাহিনী by আব্দুল আলীম
রোববার
খুব ভোরে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে এসে হাজির হন বৃদ্ধ হালিমা বেগম। পুত্র
জাহিদকে দেখতে তার এখানে আসা। ৫ টাকা দিয়ে টিকিট কেটে লাইনে দাঁড়ান।
নির্ধারিত সময়ে ভেতরে ঢুকেন। এবার বৃদ্ধ হালিমার অপেক্ষার পালা- কখন পুত্র
জাহিদ আসবে। প্রাণ ভরে তাকে দেখবেন। অপেক্ষার ঘণ্টা দেড়েক পর হালিমা নড়েচড়ে
বসেন। তার সঙ্গে যারা এখানে এসেছেন প্রত্যেকেই কারাগারে থাকা স্বজনদের
সঙ্গে দেখা করে ফিরে যাচ্ছেন। কিন্তু তার পুত্র জাহিদতো আর আসছে না।
প্রতিবার স্বজনরা আসে ২০ মিনিট তাদের সঙ্গে কথা বলেন। তারপর ঘণ্টা বাজে
বিদায়ের। সবাই চলেও যান। আবার নতুন স্বজনরা আসেন। দেখা করে ফিরে যান।
কিন্তু হালিমার ছেলে আসে না। নতুন আসামিরা সাক্ষাৎ রুমে ঢুকলেই এ মাথা থেকে ও মাথা ঘুরে খুঁজেন ছেলেকে। একবার উপর তলা। আবার নিচ তলায় কাচের ঘরে ঘুরে ঘুরে খোঁজ করেন ছেলের। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অপেক্ষা করেও দেখা মেলেনি ছেলের সঙ্গে। দুপুরের খাবারের আগে কারারক্ষীরা সবাইকে বের করে দেয় সাক্ষাৎ রুম থেকে। যারা তাদের নিজ নিজ স্বজনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে তাদের একজনের কাছে জানতে পারে ভেতরে ২০০ টাকা দিলে দেখা করা যায়। সাক্ষাৎ রুমে যে কারারক্ষী আছে, তার কাছে টাকা দিলে ব্যবস্থা করে দেয়। দুপুরে খাবারের বিরতির পর আবার ঢুকে সাক্ষাৎ রুমে। কারারক্ষীর সঙ্গে কথা বলে ২০০ টাকা দিলে ভেতরের ম্যাটদের কাছে বৃদ্ধার ছেলের নাম ঠিকানা দেয়। কিছুক্ষণ পর ছেলে আসে। মায়ের সঙ্গে দেখাও করে। খোঁজ নেয় কেমন আছে। মামলার বিষয়েও কথা বলে। ২০ মিনিটের মধ্যে ওই ব্যাচে আসা সব আসামি বের করে দেয়া হয়। তবে জানায় পরের শিফটেও কথা বলা যাবে। এক্ষেত্রে আবার ২০০ টাকা দিতে হবে।
পরদিন সোমবারের ঘটনা- মাগুরার আবদুল কাদের পলাশ দেখা করতে এসেছেন খালাতো ভাইয়ের সঙ্গে। খালাতো ভাই গলাকাটা ভিসায় বিদেশ গিয়েছিলেন। সেখানে বয়স কম মনে হওয়ায় বিমানবন্দর থেকে নিরাপত্তাকর্মীদের সন্দেহ হয়। ইমিগ্রেশনে আটকে সব কিছু মিলিয়ে দেখে। পরে জানতে পারে গলাকাটা ভিসায় মালয়েশিয়ায় এসেছে। নিরাপত্তা কর্মীরা তখন গ্রেপ্তার করে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয় তাকে। খালাতো ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে প্রথমে ৫ টাকা দিয়ে টিকিট কাটতে যায় পলাশ। দায়িত্বরত কারারক্ষীরা বলে এই টিকিটে আসামি আসতেও পারে না-ও আসতে পারে। ২০০ টাকা দিয়ে টিকিট কাটলে ভেতর থেকে দ্রুত ডেকে দেবে। ভেতর থেকে কে ডেকে দেবে জানতে চাইলে বলে আমাদের লোক আছে। তারা ডেকে দেবে। সাক্ষাৎ না হলে টাকা ফেরত। তখন ২০০ টাকা দিয়ে টিকিট নিয়ে ভেতরে গিয়ে দুপুর পর্যন্ত অপেক্ষা করেছে। তার পরও ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করতে পারেনি। দুপুরের বিরতির পর আবার সাক্ষাতে গিয়েছে। তখন ভেতরের ম্যাটদের সঙ্গে ২০০ টাকার চুক্তিবদ্ধ হয়। যে ওয়ার্ডে আছে তার ঠিকানা দিলে কিছুক্ষণের মধ্যে ডেকে আনে তার খালাতো ভাইকে। সাক্ষাৎ করে এসে আগে যে দুই শত টাকা দিয়ে টিকিট কেটেছিল সে টাকা ফেরত চাইলে বিভিন্ন কথা বলে। একপর্যায়ে টাকা ফেরত না দিয়ে পাঠিয়ে দেয় পলাশকে।
পলাশের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তার খালাতো ভাই যখন সাক্ষাতের জন্য এসেছে তখন তার সঙ্গে এসেছে আরও দুইজন। ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলার আগেই পলাশের সঙ্গে কথা বলে ওই দুইজন। দাবি করে ৬ প্যাকেট সিগারেট দিতে হবে। ও আমাদের কাছে ভাল আছে। কোন সমস্যা নাই। তবে সিগারেট না দিলে ভাল থাকবে না। শুধু তাই নয়, খালাতো ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলতেও দেয়া হয়নি তাদের। পরে তাদের সিগারেট দেয়ার শর্তে রাজি হলে খালাতো ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলতে দেয়া হয় পলাশকে। একপর্যায় জানতে পারে কারাগারে ঢোকার প্রথম দিন আমদানি নামক ওয়ার্ডে ছিল তার ভাই। কারাগারে গেলে সবাইকে প্রথম দিন এই ওয়ার্ডে থাকতে হয়। পরের দিন এখান থেকে সবাইকে অন্য ওয়ার্ডে পাঠিয়ে দেয়া হয়। আমদানিতে টাকা দিতে না পারায় কেচি ফাইলে ঘুমাতে দেয়া হয়। ঘুমানোর সময় একজনের পা আরেকজনের বুকের উপর থাকে। খুবই কষ্ট করে থাকতে হয় আমদানিতে। চাপাচাপি করে শুয়ানোর পরও যারা বাকি থাকে তাদেরও ওই সারিতেই ঢোকানো হয়। এক্ষেত্রে সারিতে ঘুমানো দুইজনকে টেনে ধরে একটু জায়গা করে পা দিয়ে পাড়িয়ে পাড়িয়ে ঢুকানো হয়। সারা রাত কোন দিকে নড়াচড়া করা সম্ভব হয় না। মনে হয় এখনই জীবন বের হয়ে যাবে। শরীর অবস হয়ে গেলও করার কিছু থাকে না। আমদানিতে যেখানে শুয়ানো হয় পাশেই বাথরুম। পায়খানা ও প্রসাব এখানেই সবাই করে। পর্যাপ্ত পরিমাণ পানিও থাকে না। বাথরুমের পাশে একটি হাউজে পানি থাকে। এই পানিই খেতে হয় সবাইকে। এ ছাড়া রাতে প্রস্রাব ও পায়খানার গন্ধে ঘুমানো যায় না। পাশে জায়গা থাকলেও সেখানে ঘুমোতে দেয়া হয় না। জোর করে ওই কেচি ফাইলে ঘুমোতে বাধ্য করা হয়। যারা টাকা দিয়ে আমদানির লোকজনের সঙ্গে চুক্তি করে তাদের ভালভাবে রাখা হয়।
পরের দিন সবাইকে অন্যান্য ওয়ার্ডে পাঠিয়ে দেয়া হয়। সেখানেও ভাল থাকার জন্য যারা নাম লেখায় তাদের এক শ্রেণীর লোক কিনে নিয়ে যায়। যারা টাকা দিতে পারবে না, তাদেরও অন্যান্য ওয়ার্ডে পাঠানো হয়। তবে সেখানে গিয়েও কেচি ফাইলে ঘুমোতে হয়। যারা ভাল থাকার চুক্তিতে যায় তাদের রাখা হয় ইলিশ ফাইলে। ইলিশ ফাইলে থাকলে একমুখী হয়ে ঘুমানো যায়। তবে যার সিটে ঘুমানো হয় তাকে প্রাতিদিন ৪ থেকে ৬ প্যাকেট গোল্ডলিফ সিগারেট দিতে হয়। আবার বিভিন্ন সময় সাক্ষাতে এলে সাবান, স্নো, তেল এগুলো কিনে দিতে হয়। সাক্ষাতে এলে যে খাবার দেয় সেগুলো ওদের কাছেই রাখতে হয়। বিভিন্ন সময় খাবার বের করে যার খাবার তাকে ডাকে খেতে। নিজের খাবার নিজে কখনও খেতে পারে না। কিছু বললে ইলিশ ফাইল থেকে বের করে কেচি ফাইলে পাঠিয়ে দেয়া হয়। আমদানি থেকে যারা কিনে নিয়ে যায় তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা লাগে। এখানে কারও সঙ্গে মারামারি করলে কারারক্ষীরা ধরে কোন অজুহাত ছাড়াই পিটায়। পরে পায়ে বেড়ি লাগিয়ে দেয়। আবার কারারক্ষীকে সিগারেট দিলে নিজের পক্ষে বিচারের ফলাফল নেয়া যায়।
কিন্তু হালিমার ছেলে আসে না। নতুন আসামিরা সাক্ষাৎ রুমে ঢুকলেই এ মাথা থেকে ও মাথা ঘুরে খুঁজেন ছেলেকে। একবার উপর তলা। আবার নিচ তলায় কাচের ঘরে ঘুরে ঘুরে খোঁজ করেন ছেলের। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অপেক্ষা করেও দেখা মেলেনি ছেলের সঙ্গে। দুপুরের খাবারের আগে কারারক্ষীরা সবাইকে বের করে দেয় সাক্ষাৎ রুম থেকে। যারা তাদের নিজ নিজ স্বজনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে তাদের একজনের কাছে জানতে পারে ভেতরে ২০০ টাকা দিলে দেখা করা যায়। সাক্ষাৎ রুমে যে কারারক্ষী আছে, তার কাছে টাকা দিলে ব্যবস্থা করে দেয়। দুপুরে খাবারের বিরতির পর আবার ঢুকে সাক্ষাৎ রুমে। কারারক্ষীর সঙ্গে কথা বলে ২০০ টাকা দিলে ভেতরের ম্যাটদের কাছে বৃদ্ধার ছেলের নাম ঠিকানা দেয়। কিছুক্ষণ পর ছেলে আসে। মায়ের সঙ্গে দেখাও করে। খোঁজ নেয় কেমন আছে। মামলার বিষয়েও কথা বলে। ২০ মিনিটের মধ্যে ওই ব্যাচে আসা সব আসামি বের করে দেয়া হয়। তবে জানায় পরের শিফটেও কথা বলা যাবে। এক্ষেত্রে আবার ২০০ টাকা দিতে হবে।
পরদিন সোমবারের ঘটনা- মাগুরার আবদুল কাদের পলাশ দেখা করতে এসেছেন খালাতো ভাইয়ের সঙ্গে। খালাতো ভাই গলাকাটা ভিসায় বিদেশ গিয়েছিলেন। সেখানে বয়স কম মনে হওয়ায় বিমানবন্দর থেকে নিরাপত্তাকর্মীদের সন্দেহ হয়। ইমিগ্রেশনে আটকে সব কিছু মিলিয়ে দেখে। পরে জানতে পারে গলাকাটা ভিসায় মালয়েশিয়ায় এসেছে। নিরাপত্তা কর্মীরা তখন গ্রেপ্তার করে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয় তাকে। খালাতো ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে প্রথমে ৫ টাকা দিয়ে টিকিট কাটতে যায় পলাশ। দায়িত্বরত কারারক্ষীরা বলে এই টিকিটে আসামি আসতেও পারে না-ও আসতে পারে। ২০০ টাকা দিয়ে টিকিট কাটলে ভেতর থেকে দ্রুত ডেকে দেবে। ভেতর থেকে কে ডেকে দেবে জানতে চাইলে বলে আমাদের লোক আছে। তারা ডেকে দেবে। সাক্ষাৎ না হলে টাকা ফেরত। তখন ২০০ টাকা দিয়ে টিকিট নিয়ে ভেতরে গিয়ে দুপুর পর্যন্ত অপেক্ষা করেছে। তার পরও ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করতে পারেনি। দুপুরের বিরতির পর আবার সাক্ষাতে গিয়েছে। তখন ভেতরের ম্যাটদের সঙ্গে ২০০ টাকার চুক্তিবদ্ধ হয়। যে ওয়ার্ডে আছে তার ঠিকানা দিলে কিছুক্ষণের মধ্যে ডেকে আনে তার খালাতো ভাইকে। সাক্ষাৎ করে এসে আগে যে দুই শত টাকা দিয়ে টিকিট কেটেছিল সে টাকা ফেরত চাইলে বিভিন্ন কথা বলে। একপর্যায়ে টাকা ফেরত না দিয়ে পাঠিয়ে দেয় পলাশকে।
পলাশের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তার খালাতো ভাই যখন সাক্ষাতের জন্য এসেছে তখন তার সঙ্গে এসেছে আরও দুইজন। ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলার আগেই পলাশের সঙ্গে কথা বলে ওই দুইজন। দাবি করে ৬ প্যাকেট সিগারেট দিতে হবে। ও আমাদের কাছে ভাল আছে। কোন সমস্যা নাই। তবে সিগারেট না দিলে ভাল থাকবে না। শুধু তাই নয়, খালাতো ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলতেও দেয়া হয়নি তাদের। পরে তাদের সিগারেট দেয়ার শর্তে রাজি হলে খালাতো ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলতে দেয়া হয় পলাশকে। একপর্যায় জানতে পারে কারাগারে ঢোকার প্রথম দিন আমদানি নামক ওয়ার্ডে ছিল তার ভাই। কারাগারে গেলে সবাইকে প্রথম দিন এই ওয়ার্ডে থাকতে হয়। পরের দিন এখান থেকে সবাইকে অন্য ওয়ার্ডে পাঠিয়ে দেয়া হয়। আমদানিতে টাকা দিতে না পারায় কেচি ফাইলে ঘুমাতে দেয়া হয়। ঘুমানোর সময় একজনের পা আরেকজনের বুকের উপর থাকে। খুবই কষ্ট করে থাকতে হয় আমদানিতে। চাপাচাপি করে শুয়ানোর পরও যারা বাকি থাকে তাদেরও ওই সারিতেই ঢোকানো হয়। এক্ষেত্রে সারিতে ঘুমানো দুইজনকে টেনে ধরে একটু জায়গা করে পা দিয়ে পাড়িয়ে পাড়িয়ে ঢুকানো হয়। সারা রাত কোন দিকে নড়াচড়া করা সম্ভব হয় না। মনে হয় এখনই জীবন বের হয়ে যাবে। শরীর অবস হয়ে গেলও করার কিছু থাকে না। আমদানিতে যেখানে শুয়ানো হয় পাশেই বাথরুম। পায়খানা ও প্রসাব এখানেই সবাই করে। পর্যাপ্ত পরিমাণ পানিও থাকে না। বাথরুমের পাশে একটি হাউজে পানি থাকে। এই পানিই খেতে হয় সবাইকে। এ ছাড়া রাতে প্রস্রাব ও পায়খানার গন্ধে ঘুমানো যায় না। পাশে জায়গা থাকলেও সেখানে ঘুমোতে দেয়া হয় না। জোর করে ওই কেচি ফাইলে ঘুমোতে বাধ্য করা হয়। যারা টাকা দিয়ে আমদানির লোকজনের সঙ্গে চুক্তি করে তাদের ভালভাবে রাখা হয়।
পরের দিন সবাইকে অন্যান্য ওয়ার্ডে পাঠিয়ে দেয়া হয়। সেখানেও ভাল থাকার জন্য যারা নাম লেখায় তাদের এক শ্রেণীর লোক কিনে নিয়ে যায়। যারা টাকা দিতে পারবে না, তাদেরও অন্যান্য ওয়ার্ডে পাঠানো হয়। তবে সেখানে গিয়েও কেচি ফাইলে ঘুমোতে হয়। যারা ভাল থাকার চুক্তিতে যায় তাদের রাখা হয় ইলিশ ফাইলে। ইলিশ ফাইলে থাকলে একমুখী হয়ে ঘুমানো যায়। তবে যার সিটে ঘুমানো হয় তাকে প্রাতিদিন ৪ থেকে ৬ প্যাকেট গোল্ডলিফ সিগারেট দিতে হয়। আবার বিভিন্ন সময় সাক্ষাতে এলে সাবান, স্নো, তেল এগুলো কিনে দিতে হয়। সাক্ষাতে এলে যে খাবার দেয় সেগুলো ওদের কাছেই রাখতে হয়। বিভিন্ন সময় খাবার বের করে যার খাবার তাকে ডাকে খেতে। নিজের খাবার নিজে কখনও খেতে পারে না। কিছু বললে ইলিশ ফাইল থেকে বের করে কেচি ফাইলে পাঠিয়ে দেয়া হয়। আমদানি থেকে যারা কিনে নিয়ে যায় তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা লাগে। এখানে কারও সঙ্গে মারামারি করলে কারারক্ষীরা ধরে কোন অজুহাত ছাড়াই পিটায়। পরে পায়ে বেড়ি লাগিয়ে দেয়। আবার কারারক্ষীকে সিগারেট দিলে নিজের পক্ষে বিচারের ফলাফল নেয়া যায়।
No comments