খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে বোমা_ জামায়াত বিএনপি নেতা জড়িত- জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে জয়নাল আবেদীন ফারুককে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার গুলশান
কার্যালয়ে বোমা হামলার সঙ্গে বিএনপি-জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতাদের একটি অংশ
জড়িত। এক সপ্তাহ আগে এই গ্রুপটির নির্দেশেই বোমা হামলার পরিকল্পনা করে
বিএনপি মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে আকতার হামিদ পবন।
বোমা হামলা
মামলার আসামি পলস্নবী থানা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ
হাসান রনি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর এমন
চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে। বোমা হামলায় নানাভাবেই জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয়
চীফ হুইপ জয়নাল আবেদীন ফারম্নকের নাম ওঠে এসেছে। পর্যায়ক্রমে জয়নাল আবেদীন
ফারম্নকসহ বিএনপি-জামায়াতের বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদের
প্রয়োজন হতে পারে।
শনিবার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি চৌকস দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে সৈয়দ হাসান রনিকে (২৫) গ্রেফতার করে। রনি ঢাকার পলস্নবীর থানা এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা। তার পিতার নাম সৈয়দ আকবর। সে বর্তমানে পলস্নবী থানা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক। আজ তাকে আদালতে সোর্পদ করে রিমান্ডের আবেদন জানানো হবে।
প্রসঙ্গত, বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে স্বল্প সময়ের ব্যবধানে ২ বার বোমা হামলা ঘটনার ঘটে। সর্বশেষ হামলার ঘটনা ঘটে গত ২৩ ফেব্রম্নয়ারি রাত সাড়ে ১০টার দিকে। ওই রাতেই ইউনাইটেড হাসপাতালের পশ্চিম পাশে চৌরাসত্মায় মোটরসাইকেল এক্সিডেন্ট করে পালানোর সময় জনতা এক যুবককে আটক করে। পরে জনতা আটককৃত যুবককে পুলিশে সোপর্দ করেন। যুবক পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে তার নাম প্রদীপ সাহা। সে নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ি থানা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক। এমনকি সে ওই সময় খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে বোমা হামলা করে পালানোর চেষ্টা করছিল। আর তাতেই প্রকাশ পেয়ে যায় খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে বোমা হামলা নাটকের নাট্যকারদের নাম। প্রদীপ সাহা জানান, বোমা হামলার সঙ্গে বিএনপি মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে আকতার হামিদ পবন ও পবনের বন্ধু শোভন জড়িত। পরে হামলায় ব্যবহৃত পবন ও শোভনের গাড়ি ২টি জব্দ করা হয়। পরবর্তীতে প্রদীপ সাহা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। জবানবন্দীতে পবনের নির্দেশেই বোমা হামলা চালানো হয়েছে বলে স্বীকার করে। এছাড়া হামলায় আকতার হামিদ পবন ছাড়াও রনি, শাহাদত ও জাহিদ জড়িত বলে জানায়। সে জবানবন্দীর মোতাবেক রনিকে গ্রেফতার করা হয়। গোয়েন্দা সূত্র জানায়, ২০০৭ সাল থেকে পবনের সঙ্গে রনির সুসমর্্পক। নানা সময় পবন রনিকে কাজে লাগায়। সেই সম্পকের্র সূত্র ধরেই পবন বোমা হামলার এক সপ্তাহ আগে রনিকে ডেকে পাঠায়। রনি যথাসময়ে পবনের সঙ্গে দেখা করে। এ সময় পবন খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে বোমা হামলার কথা জানায়। হামলার ছক অাঁকে পবন। আর ছক মোতাবেক হামলা বাসত্মবায়নের দায়িত্ব দেয়া হয় রনির ওপর। রনি বোমা হামলার কারণ জানতে চায় পবনের কাছে। বিএনপি-জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতাদের একটি গ্রম্নপের নির্দেশে বোমা হামলা চালানো হচ্ছে বলে জানায়। পাশাপাশি রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল হবে। হামলার কারণে বড় ধরনের কোন বিপদ হওয়ার সম্ভাবনাই নেই। পবনের এমন আশ্বাসে রনি বোমা হামলার জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকে। পুরনো ঢাকা থেকে দুই ভাড়াটিয়া বোমা হামলাকারীকে বোমা হামলার দায়িত্ব দেয় রনি। পরে পবনের উপস্থিতিতেই বোমা হামলা চালানো হয়। এদিকে ২৩ ফেব্রম্নয়ারি খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে বোমা হামলার পর এক্সিডেন্ট করে জনতার হাতে প্রদীপ আটক হয়। এর মাত্র কয়েক মিনিটের ব্যবধানে জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় চীফ হুইপ জয়নাল আবেদীন ফারম্নক গুলশান থানার ওসি কামাল উদ্দিনের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করেন। গুলশান থানার ওসি কামাল উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে বোমা হামলার পর সংসদ সদস্য জয়নাল আবেদীন ফারম্নক আমার মোবাইলে ফোন করেন। ফোনে সংসদ সদস্য জয়নাল আবেদীন ফারম্নক জনতার হাতে আটক হওয়া প্রদীপকে না ছেড়ে দিতে আমাকে নির্দেশ দেন। সংসদ সদস্য বলেন, প্রদীপ বোমা হামলার সঙ্গে জড়িত। তাকে গ্রেফতার করম্নন। জয়নাল আবেদীন ফারম্নকের কাছ থেকেই পুলিশ জানতে পারে আটককৃত যুবকের নাম প্রদীপ সাহা। সে নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ি থানা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক। পরে প্রদীপ জিজ্ঞাসাবাদের স্বীকার করে, বোমা হামলার পর দ্রম্নত পালাতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটে। এবং জনতার হাতে ধরা পড়ে। গুলশান থানার ওসিকে জয়নাল আবেদীন ফারম্নকের এ ধরনের নির্দেশ বেশ অর্থবহ বলে মনে করছে তদনত্মকারী সংস্থা। গোয়েন্দারা বলছে, জয়নাল আবেদীন ফারম্নক বোমা হামলার বিষয়টি আগ থেকেই জেনে থাকতে পারেন। তবে তদনত্মের স্বার্থে বোমা হামলায় জড়িত বিএনপি-জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতাদের নাম প্রকাশে অপারগতা প্রকাশ করেছে মামলার তদনত্মকারী সংস্থা। বোমা নাটকের আরও নেপথ্য কাহিনী জানতে জয়নাল আবেদীন ফারম্নকসহ বিএনপি-জামায়াতের কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন হতে পারে। বোমা নাটকের সঙ্গে বিএনপির ভিতরে লুকিয়ে থাকা দূষিত জামায়াত-শিবির জড়িত কি-না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
শনিবার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি চৌকস দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে সৈয়দ হাসান রনিকে (২৫) গ্রেফতার করে। রনি ঢাকার পলস্নবীর থানা এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা। তার পিতার নাম সৈয়দ আকবর। সে বর্তমানে পলস্নবী থানা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক। আজ তাকে আদালতে সোর্পদ করে রিমান্ডের আবেদন জানানো হবে।
প্রসঙ্গত, বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে স্বল্প সময়ের ব্যবধানে ২ বার বোমা হামলা ঘটনার ঘটে। সর্বশেষ হামলার ঘটনা ঘটে গত ২৩ ফেব্রম্নয়ারি রাত সাড়ে ১০টার দিকে। ওই রাতেই ইউনাইটেড হাসপাতালের পশ্চিম পাশে চৌরাসত্মায় মোটরসাইকেল এক্সিডেন্ট করে পালানোর সময় জনতা এক যুবককে আটক করে। পরে জনতা আটককৃত যুবককে পুলিশে সোপর্দ করেন। যুবক পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে তার নাম প্রদীপ সাহা। সে নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ি থানা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক। এমনকি সে ওই সময় খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে বোমা হামলা করে পালানোর চেষ্টা করছিল। আর তাতেই প্রকাশ পেয়ে যায় খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে বোমা হামলা নাটকের নাট্যকারদের নাম। প্রদীপ সাহা জানান, বোমা হামলার সঙ্গে বিএনপি মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে আকতার হামিদ পবন ও পবনের বন্ধু শোভন জড়িত। পরে হামলায় ব্যবহৃত পবন ও শোভনের গাড়ি ২টি জব্দ করা হয়। পরবর্তীতে প্রদীপ সাহা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। জবানবন্দীতে পবনের নির্দেশেই বোমা হামলা চালানো হয়েছে বলে স্বীকার করে। এছাড়া হামলায় আকতার হামিদ পবন ছাড়াও রনি, শাহাদত ও জাহিদ জড়িত বলে জানায়। সে জবানবন্দীর মোতাবেক রনিকে গ্রেফতার করা হয়। গোয়েন্দা সূত্র জানায়, ২০০৭ সাল থেকে পবনের সঙ্গে রনির সুসমর্্পক। নানা সময় পবন রনিকে কাজে লাগায়। সেই সম্পকের্র সূত্র ধরেই পবন বোমা হামলার এক সপ্তাহ আগে রনিকে ডেকে পাঠায়। রনি যথাসময়ে পবনের সঙ্গে দেখা করে। এ সময় পবন খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে বোমা হামলার কথা জানায়। হামলার ছক অাঁকে পবন। আর ছক মোতাবেক হামলা বাসত্মবায়নের দায়িত্ব দেয়া হয় রনির ওপর। রনি বোমা হামলার কারণ জানতে চায় পবনের কাছে। বিএনপি-জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতাদের একটি গ্রম্নপের নির্দেশে বোমা হামলা চালানো হচ্ছে বলে জানায়। পাশাপাশি রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল হবে। হামলার কারণে বড় ধরনের কোন বিপদ হওয়ার সম্ভাবনাই নেই। পবনের এমন আশ্বাসে রনি বোমা হামলার জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকে। পুরনো ঢাকা থেকে দুই ভাড়াটিয়া বোমা হামলাকারীকে বোমা হামলার দায়িত্ব দেয় রনি। পরে পবনের উপস্থিতিতেই বোমা হামলা চালানো হয়। এদিকে ২৩ ফেব্রম্নয়ারি খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে বোমা হামলার পর এক্সিডেন্ট করে জনতার হাতে প্রদীপ আটক হয়। এর মাত্র কয়েক মিনিটের ব্যবধানে জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় চীফ হুইপ জয়নাল আবেদীন ফারম্নক গুলশান থানার ওসি কামাল উদ্দিনের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করেন। গুলশান থানার ওসি কামাল উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে বোমা হামলার পর সংসদ সদস্য জয়নাল আবেদীন ফারম্নক আমার মোবাইলে ফোন করেন। ফোনে সংসদ সদস্য জয়নাল আবেদীন ফারম্নক জনতার হাতে আটক হওয়া প্রদীপকে না ছেড়ে দিতে আমাকে নির্দেশ দেন। সংসদ সদস্য বলেন, প্রদীপ বোমা হামলার সঙ্গে জড়িত। তাকে গ্রেফতার করম্নন। জয়নাল আবেদীন ফারম্নকের কাছ থেকেই পুলিশ জানতে পারে আটককৃত যুবকের নাম প্রদীপ সাহা। সে নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ি থানা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক। পরে প্রদীপ জিজ্ঞাসাবাদের স্বীকার করে, বোমা হামলার পর দ্রম্নত পালাতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটে। এবং জনতার হাতে ধরা পড়ে। গুলশান থানার ওসিকে জয়নাল আবেদীন ফারম্নকের এ ধরনের নির্দেশ বেশ অর্থবহ বলে মনে করছে তদনত্মকারী সংস্থা। গোয়েন্দারা বলছে, জয়নাল আবেদীন ফারম্নক বোমা হামলার বিষয়টি আগ থেকেই জেনে থাকতে পারেন। তবে তদনত্মের স্বার্থে বোমা হামলায় জড়িত বিএনপি-জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতাদের নাম প্রকাশে অপারগতা প্রকাশ করেছে মামলার তদনত্মকারী সংস্থা। বোমা নাটকের আরও নেপথ্য কাহিনী জানতে জয়নাল আবেদীন ফারম্নকসহ বিএনপি-জামায়াতের কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন হতে পারে। বোমা নাটকের সঙ্গে বিএনপির ভিতরে লুকিয়ে থাকা দূষিত জামায়াত-শিবির জড়িত কি-না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
No comments