সাম্প্রদায়িক শক্তি উৎখাত না হওয়া পর্যন্ত শান্তি আসবে না- মুক্তাঙ্গনে সমাবেশ
জঙ্গীবাদ এবং সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী এক
সমাবেশ থেকে বলা হয়েছে, যতদিন প্রশাসনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে অনুপ্রবেশকারী
সাম্প্রদায়িক শক্তিকে চিহ্নিত করে তাদের উৎখাত করা না যাবে, ততদিন এদেশে
শান্তি আসবে না।
প্রগতিশীল প্রায় সকল রাজনৈতিক দল এবং বেশ
কয়েকটি পেশাজীবী সংগঠনের উদ্যোগে গঠিত সাম্প্রদায়িকতা এবং জঙ্গীবাদবিরোধী
মঞ্চের পৰ থেকে রাজধানীর মুক্তাঙ্গনে অনুষ্ঠিত সমাবেশ থেকে অবিলম্বে দেশকে
পূর্নাঙ্গভাবে '৭২-এর সংবিধানে ফিরিয়ে আনাসহ অভিযুক্ত সকল যুদ্ধপরাধীদের
বিচারের সম্মুখীন করার জন্যও সরকারের প্রতি দাবি জানানো হয়। জনগণ যেমন ৫ম
এবং ৮ম সংশোধনী বহাল রেখে '৭২-এর সংবিধানে ফিরতে চায় না, তেমনি কয়েকজন
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের নামে 'টোকেন' বিচারও জনগণের প্রত্যাশা নয়।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রক্রিয়া শুরম্নর সম্ভাবনা তৈরি হওয়ায়
সাম্প্রদায়িক কুচক্রী মহল ষড়যন্ত্র করেই দেশের পার্বত্য এলাকার শানত্মি
বিনষ্ট করছে বলেও অভিযোগ তোলা হয়।
সমাবেশে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুবুল হক হানিফ বলেন, জাতির জনকের হত্যাকা-ের বিচার এবং শাসত্মির রায় কার্যকর করার নির্বাচনী ওয়াদা পূরণ করতে পেরে সরকারের এখন আরেকটি ওয়াদা পূরণের পালা। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন করা, যা এই সরকার করে যেতে বদ্ধপরিকর। এ জন্য তিনি সকল প্রগতিশীল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকারও আহ্বান জানান।
শনিবার বিকেলে রাজধানীর মুক্তাঙ্গনে সমাবেশ শেষে যুদ্ধপরাধীদের বিচার এবং অবিলম্বে '৭২-এর পূর্ণাঙ্গ সংবিধানে ফেরার দাবি নিয়ে একটি মিছিলও বের হয়।
অধ্যাপক অজয় রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তারা বলেন, ধর্মের দোহাই দিয়ে দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে পাকিসত্মান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাও ছিল সাম্প্রদায়িক রাজনীতির একটি চিত্র। '৬৪ সালে ঢাকা শহরে বিহারী এবং জামায়াত মিলে সাম্প্রদায়িকতাকে উস্কে দিয়ে ৩/৪ দিনের ব্যবধানে ১০ হাজার হিন্দুকে হত্যা করেছিল। সেখানে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার চেতনা থেকেই বাংলার ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে সকল নাগরিক '৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ তথা পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ জনযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীন বাংলাদেশের অভু্যদয়ের মধ্য দিয়ে যে সাম্প্রদায়িকতার কবর রচনা হয়। সেই পরাজিত শক্তিই গোপনে গভীর ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে '৭৫-এর ১৫ আগস্ট বিয়োগানত্মক উপাখ্যানের মধ্য দিয়ে দেশে আবার সাম্প্রদায়িক শক্তির উত্থান ঘটায়। পরবতর্ীকালের সেনাশাসক জিয়াউর রহমান চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের জেল থেকে ছেড়ে দিয়েই গোলাম আযমকে নাগরিকত্ব প্রদান করেন, নিজামীদের রাজনীতি করার অনুমোদন দেন। গণফোরাম নেতা বষর্ীয়ান রাজনীতিক পঙ্কজ ভট্টাচার্য্য বলেন, '৭৫-এর ১৫ অগাস্ট ট্র্যাজেডির মধ্য দিয়ে দেশে সাম্প্রদায়িকতার যে বীজ বপন শুরম্ন হয়, তার অংশ হিসেবে প্রশাসনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ছড়িয়ে পড়েছে সাম্প্রদায়িক শক্তি। প্রশাসনের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা এসব সাম্প্রদায়িক চেতনার ধারক ও বাহকদের চিহ্নিত করে বের করা না গেলে দেশের বিরম্নদ্ধে চক্রানত্ম চলতেই থাকবে। সর্বশেষ, পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ীদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেয়ার নেপথ্যেও সেই সাম্প্রদায়িক শক্তিটিই ক্রীয়াশীল বলে তিনি মনত্মব্য করেন।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন ন্যাপ প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং মহিলা সংসদ সদস্য বেগম আমিনা আহমেদ, জাসদ নেতা হাবিবুর রহমান, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় শিৰক সমিতির নেতা ড. নুর মোহাম্মদ তালুকদার, শিৰক সমিতি নেতা আতিউর রহমান, ড. লেনিন চৌধুরী, মুকুল চৌধুরী, সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজ ভা-ারী, নারী নেত্রী মাহমুদা ইমাম, পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ নেতা স্বরজ্যোতি চাকমা প্রমুখ।
সমাবেশে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুবুল হক হানিফ বলেন, জাতির জনকের হত্যাকা-ের বিচার এবং শাসত্মির রায় কার্যকর করার নির্বাচনী ওয়াদা পূরণ করতে পেরে সরকারের এখন আরেকটি ওয়াদা পূরণের পালা। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন করা, যা এই সরকার করে যেতে বদ্ধপরিকর। এ জন্য তিনি সকল প্রগতিশীল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকারও আহ্বান জানান।
শনিবার বিকেলে রাজধানীর মুক্তাঙ্গনে সমাবেশ শেষে যুদ্ধপরাধীদের বিচার এবং অবিলম্বে '৭২-এর পূর্ণাঙ্গ সংবিধানে ফেরার দাবি নিয়ে একটি মিছিলও বের হয়।
অধ্যাপক অজয় রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তারা বলেন, ধর্মের দোহাই দিয়ে দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে পাকিসত্মান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাও ছিল সাম্প্রদায়িক রাজনীতির একটি চিত্র। '৬৪ সালে ঢাকা শহরে বিহারী এবং জামায়াত মিলে সাম্প্রদায়িকতাকে উস্কে দিয়ে ৩/৪ দিনের ব্যবধানে ১০ হাজার হিন্দুকে হত্যা করেছিল। সেখানে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার চেতনা থেকেই বাংলার ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে সকল নাগরিক '৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ তথা পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ জনযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীন বাংলাদেশের অভু্যদয়ের মধ্য দিয়ে যে সাম্প্রদায়িকতার কবর রচনা হয়। সেই পরাজিত শক্তিই গোপনে গভীর ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে '৭৫-এর ১৫ আগস্ট বিয়োগানত্মক উপাখ্যানের মধ্য দিয়ে দেশে আবার সাম্প্রদায়িক শক্তির উত্থান ঘটায়। পরবতর্ীকালের সেনাশাসক জিয়াউর রহমান চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের জেল থেকে ছেড়ে দিয়েই গোলাম আযমকে নাগরিকত্ব প্রদান করেন, নিজামীদের রাজনীতি করার অনুমোদন দেন। গণফোরাম নেতা বষর্ীয়ান রাজনীতিক পঙ্কজ ভট্টাচার্য্য বলেন, '৭৫-এর ১৫ অগাস্ট ট্র্যাজেডির মধ্য দিয়ে দেশে সাম্প্রদায়িকতার যে বীজ বপন শুরম্ন হয়, তার অংশ হিসেবে প্রশাসনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ছড়িয়ে পড়েছে সাম্প্রদায়িক শক্তি। প্রশাসনের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা এসব সাম্প্রদায়িক চেতনার ধারক ও বাহকদের চিহ্নিত করে বের করা না গেলে দেশের বিরম্নদ্ধে চক্রানত্ম চলতেই থাকবে। সর্বশেষ, পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ীদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেয়ার নেপথ্যেও সেই সাম্প্রদায়িক শক্তিটিই ক্রীয়াশীল বলে তিনি মনত্মব্য করেন।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন ন্যাপ প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং মহিলা সংসদ সদস্য বেগম আমিনা আহমেদ, জাসদ নেতা হাবিবুর রহমান, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় শিৰক সমিতির নেতা ড. নুর মোহাম্মদ তালুকদার, শিৰক সমিতি নেতা আতিউর রহমান, ড. লেনিন চৌধুরী, মুকুল চৌধুরী, সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজ ভা-ারী, নারী নেত্রী মাহমুদা ইমাম, পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ নেতা স্বরজ্যোতি চাকমা প্রমুখ।
No comments