জার্মানিতে তিন বছর কোন রাষ্ট্রদূত নেই, অথচ বাড়ি ভাড়া দিচ্ছে ঠিকই!
কাকে বলে কূটনীতি, কিভাবে করতে হয়
কূটনীতি, জানি। অজানা কেবল বাংলাদেশ কুবেরের ধনভা-ার কি-না। বোধ হয়। এ
বিষয়ে সঠিক বলতে পারবে বিদেশ মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য
মন্ত্রণালয়, পর্যটন মন্ত্রণালয়।
কুবেরের ধনভা-ারই যদি না
হবে, কি করে প্রতি মাসে ১২ হাজার ইউরো দিচ্ছে বাড়ির মালিককে? যে বাড়িতে
ভাড়াটেই নেই প্রায় তিন বছর, খাঁ খাঁ করছে বাড়ি, ভাড়া গুনছে বাংলাদেশ সরকার।
গত তিন বছরে কত? ভাবুন একবার। চার লাখ ৩২ হাজার ইউরো। এক ইউরোয় যদি এক শ'
টাকা হয়, চার লাখ ৩২ হাজার ইউরোয় কত? এই টাকা কার? কে দিচ্ছে? কোন
ঋণখেলাপী? অসৎ ব্যবসায়ী? পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিজের অাঁচলের গিঁট খুলে?
ভাবা যায় কী, জার্মানির মতো দেশে প্রায় তিন বছর বাংলাদেশের কোন রাষ্ট্রদূত
নেই? জার্মানিই পৃথিবীর দ্বিতীয় দেশ আর্থিক সাহায্যদাতা, বাংলাদেশকে।
রাষ্ট্রদূত নেই কিন্তু রাষ্ট্রদূত যে বাড়ি ভাড়া নিয়েছিলেন বছর কয়েক আগে,
প্রতি মাসে বারো হাজার ইউরো চুক্তি করে, ভাড়াটে থাকুক না থাকুক, ভাড়া দিতেই
হবে। দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। এই নিয়ে সংসদে বিরোধী দল তুলকালাম করতেই
পারে। অধিকার আছে। বিশ্বের বৃহত্তম পর্যটন মেলা বার্লিনে। গত চার বছর
অনুপস্থিত। কেন? গত বছর আমি সরকারের পর্যটন ব্যবসা নিয়ে কড়া করে লিখেছিলাম।
হুঁশ হয়নি। পর্যটনের সঙ্গে অর্থ, বাণিজ্য, পর্যটন মন্ত্রণালয় যুক্ত।
পর্যটন মন্ত্রণালয় থেকে আমাকে জানানো হয়, "আর্থিক অনটনে যোগ দেয়া সম্ভব
হয়নি।" পর্যটন মেলায় একটি স্টল ভাড়া কি বারো হাজার ইউরোর বেশি? ভাড়াটে নেই,
অথচ বারো হাজার ইউরো দিচ্ছে কি করে? কি কূটনীতি, ব্যবসা বাণিজ্য করছে
বাংলাদেশ? পর্যটন মেলায় পৃথিবীর ২৫৬ দেশ অংশ নিয়েছে। দেশের পতাকা উড়ছে।
পর্যটনে ব্যবসা করছে। ভুটানের মতো দেশও গত বছর বৈশ্বিক আর্থিক মন্দা
সত্ত্বেও ছয় মিলিয়ন বৈদেশিক মুদ্রা আয় করেছে। আর বাংলাদেশ? মেলা প্রাঙ্গণে
২৫৬ দেশের পতাকা। একটি পতাকার খোঁজে, প্রতিরোধের মার্চ মাসে, বাংলাদেশের
পতাকার খোঁজে দিশেহারা। কোথাও নেই। কেন? কোন অছিলায়? কোন ফালতু যুক্তিতে?
_ব্যাখ্যা চাই।
No comments