জাবিতে ছাত্রলীগের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া আহত ৮
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই হলের ছাত্রলীগ কর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
গতকাল
বেলা ২টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও আ ফ ম কামালউদ্দিন হলের
মধ্যে ৩০ মিনিট স্থায়ী ইটপাটকেল ছোড়াছুড়ির ঘটনায় আট শিক্ষার্থী আহত হন।
আহত তিনজনকে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিক্যাল সেন্টারে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। দুই
হলের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করায় বটতলা এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন
রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সুইমিংপুলে আ ফ ম কামালউদ্দিন হলের ছাত্রলীগ কর্মী মাসুদ পারভেজ (সরকার ও রাজনীতি, ৩৮তম ব্যাচ) মাছ ধরতে গেলে সেখানে ফার্মেসি বিভাগের ৩৬তম ব্যাচের কামরুল ইসলাম মণ্ডলের (রিয়াদ) সাথে তার কথা কাটাকাটি হয়। মঙ্গলবার রাত ১০টায় রিয়াদ বটতলায় খেতে গেলে পারভেজ ও শাওন (অর্থনীতি, ৪০তম ব্যাচ) তাকে দোকানের পাশে ডেকে নিয়ে চড়থাপ্পড় দেয়। এ সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ছাত্রলীগ কর্মী বুলবুল আহমেদ (বাংলা, ৩৭তম ব্যাচ) প্রতিবাদ করলে তাকেও ওই দু’জন মারধর করে।
এ ঘটনায় ওই রাতে দুই হলের ছাত্রলীগ কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ নেতাকর্মীরা দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতার চেষ্টা করেন। রাতে ঘটনার কোনো সমাধান না হওয়ায় দুই হলের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করে। দ্ইু হলের প্রবেশপথে ছাত্রলীগ কর্মীরা রড, চাপাতি, লোহার পাইপ, রামদা, হকিস্টিক ও বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে প্রস্তুত থাকতে দেখা যায়। অন্য দিকে সংঘর্ষের আশঙ্কায় উৎকণ্ঠিত দেখা যায় প্রথমবর্ষের ৪২তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের।
এ ঘটনায় গতকাল বেলা দেড়টায় ফের সমঝোতা বৈঠকে বুলবুলের কাছে পারভেজ ক্ষমা চান। মীমাংসার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগ সভাপতি মাহমুদুর রহমান জনি। এ ছাড়া পারভেজসহ ঘটনায় জড়িতদের ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হবে বলেও পূর্বাভাস দেন ছাত্রলীগ নেতারা।
কিন্তু এই সমঝোতা না মেনে বঙ্গবন্ধু হলের ছাত্রলীগ নেতা ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রিয়াজ (অর্থনীতি, ৩৬তম ব্যাচ) এবং জাবি শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তিলন এন্ড্রুজ (লোক প্রশাসন, ৩৭তম ব্যাচ) ওই হলের কর্মীদেরকে কামালউদ্দিন হলের শিক্ষার্থীদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে দেখা মাত্রই মার দেয়ার ঘোষণা দেন। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রিয়াজ, লিখন হত্যাপ্রচেষ্টা মামলার আসামি। এ ঘোষণায় বঙ্গবন্ধু হলের ছাত্রলীগ কর্মীরা রড, পাইপ, রামদা, চাপাতি, দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বটতলা হয়ে কামালউদ্দিন হলের দিকে আসতে থাকে। খবর পেয়ে কামালউদ্দিন হলের কর্মীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হলের সামনে অবস্থান নেয়। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে আধঘণ্টা ধরে ইটপাটকেল ছোড়াছুড়ির ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে বঙ্গবন্ধু হলের কর্মীরা কামালউদ্দিন হলের কর্মীদের ধাওয়া করলে তারা পিছু হটে। এ সময় মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত হন কামালউদ্দিন হলের আশরাফুর রহমান সোহাগ (আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, ৩৮তম ব্যাচ) ও বঙ্গবন্ধু হলের মনোয়ার হোসেন সেতু (উদ্ভিদ বিজ্ঞান, ৩৯তম ব্যাচ)। বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ঘটনাস্থলে গেলে তাকেও লাঞ্ছিত করা হয়। পরে কামালউদ্দিন হল প্রভোস্টসহ অন্যান্য শিক্ষক ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। দুই হলের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ঘটনায় উসকানিদাতাদের চিহ্নিত করে দ্রুত কঠোর শাস্তি দেয়া হবে বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. সোহেল আহমেদ।
সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সুইমিংপুলে আ ফ ম কামালউদ্দিন হলের ছাত্রলীগ কর্মী মাসুদ পারভেজ (সরকার ও রাজনীতি, ৩৮তম ব্যাচ) মাছ ধরতে গেলে সেখানে ফার্মেসি বিভাগের ৩৬তম ব্যাচের কামরুল ইসলাম মণ্ডলের (রিয়াদ) সাথে তার কথা কাটাকাটি হয়। মঙ্গলবার রাত ১০টায় রিয়াদ বটতলায় খেতে গেলে পারভেজ ও শাওন (অর্থনীতি, ৪০তম ব্যাচ) তাকে দোকানের পাশে ডেকে নিয়ে চড়থাপ্পড় দেয়। এ সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ছাত্রলীগ কর্মী বুলবুল আহমেদ (বাংলা, ৩৭তম ব্যাচ) প্রতিবাদ করলে তাকেও ওই দু’জন মারধর করে।
এ ঘটনায় ওই রাতে দুই হলের ছাত্রলীগ কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ নেতাকর্মীরা দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতার চেষ্টা করেন। রাতে ঘটনার কোনো সমাধান না হওয়ায় দুই হলের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করে। দ্ইু হলের প্রবেশপথে ছাত্রলীগ কর্মীরা রড, চাপাতি, লোহার পাইপ, রামদা, হকিস্টিক ও বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে প্রস্তুত থাকতে দেখা যায়। অন্য দিকে সংঘর্ষের আশঙ্কায় উৎকণ্ঠিত দেখা যায় প্রথমবর্ষের ৪২তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের।
এ ঘটনায় গতকাল বেলা দেড়টায় ফের সমঝোতা বৈঠকে বুলবুলের কাছে পারভেজ ক্ষমা চান। মীমাংসার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগ সভাপতি মাহমুদুর রহমান জনি। এ ছাড়া পারভেজসহ ঘটনায় জড়িতদের ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হবে বলেও পূর্বাভাস দেন ছাত্রলীগ নেতারা।
কিন্তু এই সমঝোতা না মেনে বঙ্গবন্ধু হলের ছাত্রলীগ নেতা ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রিয়াজ (অর্থনীতি, ৩৬তম ব্যাচ) এবং জাবি শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তিলন এন্ড্রুজ (লোক প্রশাসন, ৩৭তম ব্যাচ) ওই হলের কর্মীদেরকে কামালউদ্দিন হলের শিক্ষার্থীদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে দেখা মাত্রই মার দেয়ার ঘোষণা দেন। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রিয়াজ, লিখন হত্যাপ্রচেষ্টা মামলার আসামি। এ ঘোষণায় বঙ্গবন্ধু হলের ছাত্রলীগ কর্মীরা রড, পাইপ, রামদা, চাপাতি, দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বটতলা হয়ে কামালউদ্দিন হলের দিকে আসতে থাকে। খবর পেয়ে কামালউদ্দিন হলের কর্মীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হলের সামনে অবস্থান নেয়। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে আধঘণ্টা ধরে ইটপাটকেল ছোড়াছুড়ির ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে বঙ্গবন্ধু হলের কর্মীরা কামালউদ্দিন হলের কর্মীদের ধাওয়া করলে তারা পিছু হটে। এ সময় মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত হন কামালউদ্দিন হলের আশরাফুর রহমান সোহাগ (আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, ৩৮তম ব্যাচ) ও বঙ্গবন্ধু হলের মনোয়ার হোসেন সেতু (উদ্ভিদ বিজ্ঞান, ৩৯তম ব্যাচ)। বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ঘটনাস্থলে গেলে তাকেও লাঞ্ছিত করা হয়। পরে কামালউদ্দিন হল প্রভোস্টসহ অন্যান্য শিক্ষক ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। দুই হলের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ঘটনায় উসকানিদাতাদের চিহ্নিত করে দ্রুত কঠোর শাস্তি দেয়া হবে বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. সোহেল আহমেদ।
No comments