মুক্তিযোদ্ধার খামার লুট- ঘটনা বগুড়ার, সহায়তায় আওয়ামী লীগ নেতা
বগুড়ায় ভূমিদসু্যরা এখন মুক্তিযোদ্ধার
সম্পত্তিও গ্রাস করছে। মতাসীন দলের এক শ্রেণীর নেতাকর্মীর সহায়তায় বগুড়া
সদরের বারোপুরে মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্বাস আলী আকন্দের পোলট্রি ও গরুর খামার
লুট করে কর্মচারীদের তাড়িয়ে দিয়ে পুরো সম্পত্তি দখল করেছে।
মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন পোলট্রি এ্যান্ড হ্যাচারি সাইনবোর্ড উপড়ে ফেলে
দখলকারীরা 'এগ্রো লিংক' নামে সাইনবোর্ড ঝুলিয়েছে। দেয়াল দিয়ে ঘেরা দুই
বিঘারও বেশি জায়গায় ঢুকে একটি বিল্ডিং ভেঙ্গে ইট রড সিমেন্ট বিক্রি করে এখন
মেঝের ইট বিক্রি করে দিচ্ছে ভূমিদসু্যর লালিত সন্ত্রাসীরা। মুক্তিযোদ্ধা
আব্বাস আলী থানা পুলিশের কাছ থেকে ভূমি উদ্ধারে সহযোগিতা পাচ্ছেন না। তিনি
অভিযোগ করেছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে, পুলিশের আইজির (ইন্সপেক্টর জেনারেল)
কাছে। ভূমি গ্রাসীচক্র এখন মুক্তিযোদ্ধার পরিবারকে হুমকি দিচ্ছে।
মুক্তিযুদ্ধের সময় মোঃ আব্বাস আলী আকন্দ ৭ নম্বর সেক্টরে যুদ্ধ করেন। '৭৭ সালে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়নে মাস্টার্স করেন। তাঁর বাড়ি বগুড়ার উপশহরে। ১৯৮৬ সাল থেকে ২ হাজার ৪ সাল পর্যনত্ম তিনি ভিয়েতনাম কম্বোডিয়া মালয়েশিয়া ফিলিপিন্সে মৃত্তিকার মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টের ওপর কাজ করে দেশে ফেরেন। ২ হাজার ৮ সালে বগুড়া শহরের বারোপুরে (এসওএস পলস্নীর পেছনে) ৭৫ শতাংশ জমি কিনে সাড়ে ৬৯ শতাংশ খারিজ করে সরকারকে নিয়মিত ভূমি খাজনা ও অন্যান্য খাজনা পরিশোধ করছেন। একই বছরের শেষে তিনি ও তাঁর ছেলে শাহনূর আলম মিলে ওই জমির মধ্যে ৬৪ শতাংশ জায়গা বাউন্ডারি দিয়ে ঘিরে গোডাউন মুরগির শেড, ৩ তলার কলাম দিয়ে পোলট্রি হ্যাচারি ও গরম্নর খামার নির্মাণের কাজ শুরম্ন করেন। ২ হাজার ৯ সালের শুরম্নতে প্রতিষ্ঠানের নাম দেন আল মামুন পোলট্রি এ্যান্ড হ্যাচারি। কিছুদিন পর সন্ত্রাসীরা গিয়ে মোঃ আব্বাস আলীর ম্যানেজার শাজাহান আলীর কাছে চাঁদা দাবি করে। শাজাহান আলী বিষয়টি আব্বাস আলীকে জানান। আব্বাস আলী চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ায় সন্ত্রাসীরা হুমকি ধমকি দিতে থাকে এবং এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দেয়ায় সন্ত্রাসীরা প্তি হয়ে এ বছর (২০১০) জানুয়ারি মাসের ৫ তারিখ বিকালে ১০/১২ জন সন্ত্রাসী মারাত্মক অস্ত্র মোটর সাইকেল ও মিনি ট্রাক নিয়ে জোর করে পোলট্রি ফার্মে ঢুকে তা-ব শুরম্ন করে। তারা ম্যানেজারকে মারধর করে অফিসে বেঁধে রেখে লুট করতে থাকে জিনিসপত্র। মুরগি ফোটানোর মেশিন, ২টি পানির পাম্প, ২টি গরম্ন, রড, ঢেউটিনসহ অন্যান্য জিনিস প্রকাশ্যে লুট করে নিয়ে যায়। কর্মচারীদের তাড়িয়ে দিয়ে গেট বন্ধ করে দেয়। বিষয়টি থানায় জানিয়েও কোন ফল পাননি আব্বাস আলী। এমনকি ওই দিন সন্ধ্যায় থানায় মামলা করতে গিয়েও বাধা পান তাঁরা। ঘটনার দুইদিন পর ৭ জানুয়ারি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) কাছে বিষয়টি জানালে তিনি এফআইআর (ফার্স্ট ইনফরমেশন রিপোর্ট) হিসাবে ঘটনাটি নথিভুক্ত করেন। পরদিনই ৮ জানুয়ারি মতাসীন দলের কয়েক নেতা ও কমর্ীর সহায়তায় সন্ত্রাসীরা মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্বাস আলী আকন্দের পোলট্রি ফার্মের পুরো জমি দখল করে নিয়ে সেখানে অবস্থান করে। আল মামুন সাইনবোর্ড ভেঙ্গে উপড়ে ফেলে নিজেদের মনগড়া সাইনবোর্ড লাগায়। পুলিশ কোন ভূমিকা পালন না করায় দখলকারীরা বেপরোয়া হয়ে ওঠে দিনে দিনে ১২শ' বর্গফুটের একটি ঘর পুরোটাই ভেঙ্গে ইট বিক্রি করেছে। ছাদের কাম্ব খুলে নিয়েছে। ৬ হাজার বর্গফুটের গোডাউনে থাকা মালামাল (আড়াই টন রড, ১৫ বসত্মা সিমেন্ট) বিক্রি করেছে। দু'টি হ্যাচারি মেশিন খুলে নিয়ে গেছে। ৩০ কেভিএ মতার পানি তোলার পাম্প নিয়েছে। গোডাউনের মেঝের ইট খুলে বিক্রি শুরম্ন করেছে এখন।
মুক্তিযোদ্ধা আব্বাস আলী জানান, সন্ত্রাসীদের ও ভূমিদসু্যদের নাম ধরে এফআইআর করার পরও অপরাধীদের গ্রেফতার করা হয়নি। এই মামলার তদনত্মকারী কমকর্তা এক সাব ইন্সপেক্টরের কাছে ধর্ণা দিয়েও কোন লাভ হয়নি। তিনি বলেন মতাসীন দলের নেতার ক'জন ওই এসআইকে ফোন করেন। এই ভূমিদসু্যতার বিষয়ে বগুড়া এ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার গেল ৩ মার্চ মোঃ আব্বাস আলী আকন্দ ও ছেলে শাহনূরকে ডেকে পাঠিয়ে বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হয়ে ব্যবস্থা নিতে বলেন তদনত্মকারী কর্মকর্তাকে। তারপরও ভূমিদসু্যদের দখলমুক্ত হয়নি মক্তিযোদ্ধা আব্বাস আলীর ভূমি। ওই ফার্মের (আল মামুন) ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহনূর এ আলম জানান, ভূমিদসু্যদের সহায়তা দিচ্ছে চিহ্নিত একটি শ্রেণী। যাদের নামেও থানায় এফআইআর করা আছে। এরা একটি জাল আমমোক্তারনামা নিয়ে ভূমি দখলের অভিযানে নেমেছে। শাহনূর জানান তাঁদের কাছে জমি কেনার পাকা দলিল আছে। যাদের কাছ থেকে জমি কেনা হয়েছে তাদের দলিলও পাকা। তারাও জমি খারিজ করে। বিক্রির পর মোঃ আব্বাস আলীর নামেও জমি খারিজ করা আছে।
এই বিষয়ে পুলিশের এক সূত্র জানায়, এফআইআরের সূত্র ধরে তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘটনার সত্যতা পেয়েছে। সহকারী পুলিশ সুপার এ সার্কেল এই মামলার যাতে দ্রম্নত চার্জশীট হয় সেই নির্দেশ দিয়েছেন। তারপরও কেন অপরাধীরা ধরা পড়ছে না এই বিষয়ে ওই সূত্রের কোন মনত্মব্য নেই। মুক্তিযোদ্ধা আব্বাস আলী আকন্দ ও তাঁর ছেলে শাহনূর আলম জানান, অপরাধীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাঁদের সম্পত্তি দখল করে আছে সন্ত্রাসীরা। সেখানে তাঁরা যেতেও পারছেন না। হুমকি ধমকি দিচ্ছে সন্ত্রাসীরা। ওই এলাকার (বারোপুর) এক ব্যক্তি ভূমিদসু্য চক্রের সোর্স। তার দেয়া তথ্যেই মতাসীন চক্রের সহায়তায় ভূমিদসু্যরা অন্যের জমি দখল করে নিচ্ছে।
মুক্তিযুদ্ধের সময় মোঃ আব্বাস আলী আকন্দ ৭ নম্বর সেক্টরে যুদ্ধ করেন। '৭৭ সালে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়নে মাস্টার্স করেন। তাঁর বাড়ি বগুড়ার উপশহরে। ১৯৮৬ সাল থেকে ২ হাজার ৪ সাল পর্যনত্ম তিনি ভিয়েতনাম কম্বোডিয়া মালয়েশিয়া ফিলিপিন্সে মৃত্তিকার মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টের ওপর কাজ করে দেশে ফেরেন। ২ হাজার ৮ সালে বগুড়া শহরের বারোপুরে (এসওএস পলস্নীর পেছনে) ৭৫ শতাংশ জমি কিনে সাড়ে ৬৯ শতাংশ খারিজ করে সরকারকে নিয়মিত ভূমি খাজনা ও অন্যান্য খাজনা পরিশোধ করছেন। একই বছরের শেষে তিনি ও তাঁর ছেলে শাহনূর আলম মিলে ওই জমির মধ্যে ৬৪ শতাংশ জায়গা বাউন্ডারি দিয়ে ঘিরে গোডাউন মুরগির শেড, ৩ তলার কলাম দিয়ে পোলট্রি হ্যাচারি ও গরম্নর খামার নির্মাণের কাজ শুরম্ন করেন। ২ হাজার ৯ সালের শুরম্নতে প্রতিষ্ঠানের নাম দেন আল মামুন পোলট্রি এ্যান্ড হ্যাচারি। কিছুদিন পর সন্ত্রাসীরা গিয়ে মোঃ আব্বাস আলীর ম্যানেজার শাজাহান আলীর কাছে চাঁদা দাবি করে। শাজাহান আলী বিষয়টি আব্বাস আলীকে জানান। আব্বাস আলী চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ায় সন্ত্রাসীরা হুমকি ধমকি দিতে থাকে এবং এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দেয়ায় সন্ত্রাসীরা প্তি হয়ে এ বছর (২০১০) জানুয়ারি মাসের ৫ তারিখ বিকালে ১০/১২ জন সন্ত্রাসী মারাত্মক অস্ত্র মোটর সাইকেল ও মিনি ট্রাক নিয়ে জোর করে পোলট্রি ফার্মে ঢুকে তা-ব শুরম্ন করে। তারা ম্যানেজারকে মারধর করে অফিসে বেঁধে রেখে লুট করতে থাকে জিনিসপত্র। মুরগি ফোটানোর মেশিন, ২টি পানির পাম্প, ২টি গরম্ন, রড, ঢেউটিনসহ অন্যান্য জিনিস প্রকাশ্যে লুট করে নিয়ে যায়। কর্মচারীদের তাড়িয়ে দিয়ে গেট বন্ধ করে দেয়। বিষয়টি থানায় জানিয়েও কোন ফল পাননি আব্বাস আলী। এমনকি ওই দিন সন্ধ্যায় থানায় মামলা করতে গিয়েও বাধা পান তাঁরা। ঘটনার দুইদিন পর ৭ জানুয়ারি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) কাছে বিষয়টি জানালে তিনি এফআইআর (ফার্স্ট ইনফরমেশন রিপোর্ট) হিসাবে ঘটনাটি নথিভুক্ত করেন। পরদিনই ৮ জানুয়ারি মতাসীন দলের কয়েক নেতা ও কমর্ীর সহায়তায় সন্ত্রাসীরা মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্বাস আলী আকন্দের পোলট্রি ফার্মের পুরো জমি দখল করে নিয়ে সেখানে অবস্থান করে। আল মামুন সাইনবোর্ড ভেঙ্গে উপড়ে ফেলে নিজেদের মনগড়া সাইনবোর্ড লাগায়। পুলিশ কোন ভূমিকা পালন না করায় দখলকারীরা বেপরোয়া হয়ে ওঠে দিনে দিনে ১২শ' বর্গফুটের একটি ঘর পুরোটাই ভেঙ্গে ইট বিক্রি করেছে। ছাদের কাম্ব খুলে নিয়েছে। ৬ হাজার বর্গফুটের গোডাউনে থাকা মালামাল (আড়াই টন রড, ১৫ বসত্মা সিমেন্ট) বিক্রি করেছে। দু'টি হ্যাচারি মেশিন খুলে নিয়ে গেছে। ৩০ কেভিএ মতার পানি তোলার পাম্প নিয়েছে। গোডাউনের মেঝের ইট খুলে বিক্রি শুরম্ন করেছে এখন।
মুক্তিযোদ্ধা আব্বাস আলী জানান, সন্ত্রাসীদের ও ভূমিদসু্যদের নাম ধরে এফআইআর করার পরও অপরাধীদের গ্রেফতার করা হয়নি। এই মামলার তদনত্মকারী কমকর্তা এক সাব ইন্সপেক্টরের কাছে ধর্ণা দিয়েও কোন লাভ হয়নি। তিনি বলেন মতাসীন দলের নেতার ক'জন ওই এসআইকে ফোন করেন। এই ভূমিদসু্যতার বিষয়ে বগুড়া এ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার গেল ৩ মার্চ মোঃ আব্বাস আলী আকন্দ ও ছেলে শাহনূরকে ডেকে পাঠিয়ে বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হয়ে ব্যবস্থা নিতে বলেন তদনত্মকারী কর্মকর্তাকে। তারপরও ভূমিদসু্যদের দখলমুক্ত হয়নি মক্তিযোদ্ধা আব্বাস আলীর ভূমি। ওই ফার্মের (আল মামুন) ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহনূর এ আলম জানান, ভূমিদসু্যদের সহায়তা দিচ্ছে চিহ্নিত একটি শ্রেণী। যাদের নামেও থানায় এফআইআর করা আছে। এরা একটি জাল আমমোক্তারনামা নিয়ে ভূমি দখলের অভিযানে নেমেছে। শাহনূর জানান তাঁদের কাছে জমি কেনার পাকা দলিল আছে। যাদের কাছ থেকে জমি কেনা হয়েছে তাদের দলিলও পাকা। তারাও জমি খারিজ করে। বিক্রির পর মোঃ আব্বাস আলীর নামেও জমি খারিজ করা আছে।
এই বিষয়ে পুলিশের এক সূত্র জানায়, এফআইআরের সূত্র ধরে তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘটনার সত্যতা পেয়েছে। সহকারী পুলিশ সুপার এ সার্কেল এই মামলার যাতে দ্রম্নত চার্জশীট হয় সেই নির্দেশ দিয়েছেন। তারপরও কেন অপরাধীরা ধরা পড়ছে না এই বিষয়ে ওই সূত্রের কোন মনত্মব্য নেই। মুক্তিযোদ্ধা আব্বাস আলী আকন্দ ও তাঁর ছেলে শাহনূর আলম জানান, অপরাধীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাঁদের সম্পত্তি দখল করে আছে সন্ত্রাসীরা। সেখানে তাঁরা যেতেও পারছেন না। হুমকি ধমকি দিচ্ছে সন্ত্রাসীরা। ওই এলাকার (বারোপুর) এক ব্যক্তি ভূমিদসু্য চক্রের সোর্স। তার দেয়া তথ্যেই মতাসীন চক্রের সহায়তায় ভূমিদসু্যরা অন্যের জমি দখল করে নিচ্ছে।
No comments