শিার্থীদের স্মারকলিপি বরিশাল বিএম কলেজে অচলাবস্থা by আযাদ আলাউদ্দীন
অধ্য প্রফেসর ড. ননী গোপাল দাসের বদলি ঠেকাতে আন্দোলনে নামা বরিশাল বিএম
কলেজের অস্থায়ী কর্মপরিষদের নেতাকর্মীদের অযৌক্তিক আন্দোলনে ক্যাম্পাসে
অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে।
বিষয়টির প্রতিবাদে বরিশাল জেলা
প্রশাসক ও মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে কলেজের
সাধারণ শিার্থীরা। আন্দোলনের নামে অরাজকতা বন্ধ এবং কলেজের কাস ও পরীা
চালুর দাবিতে দুই শতাধিক শিার্থী এ স্মারকলিপি পেশ করেন। অপর দিকে
ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে ছাত্রসংসদের বিকল্প হিসেবে ‘অবৈধ পন্থায়’
গঠন করা ছাত্রকর্মপরিষদের নেতাকর্মীরা গতকালও নতুন অধ্যরে যোগদান ঠেকাতে
কলেজের সব গেট ও ভবন তালাবদ্ধ করে রাখেন।
অযৌক্তিক এ আন্দোলনের ফলে নতুন নিয়োগ পাওয়া অধ্য প্রফেসর ড. শংকর চন্দ্র দত্ত সশরীরে কর্মস্থলে যোগদান করতে পারেননি বলে জানিয়েছেন বিএম কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল প্রফেসর মো: নজরুল ইসলাম। তবে নতুন অধ্য ফ্যাক্স বার্তা প্রেরণের মাধ্যমে যোগদান করেছেন বলে স্বীকার করেন তিনি।
শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপিতে বলা হয়, বিএম কলেজের একশ্রেণীর ছাত্রের অরাজকতার কারণে কলেজের শিার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে, সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা কাস করা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। কলেজের অচলাবস্থা নিরসনে প্রধানমন্ত্রী ও শিামন্ত্রীর হস্তপে কামনা করেন শিার্থীরা। স্মারকলিপি প্রদানে উপস্থিত শিার্থীরা জানান, কর্মপরিষদের কারণে কলেজে অচলাবস্থা চলতে থাকলে তারাও আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবেন।
এ দিকে বিএম কলেজ ক্যাম্পাসে গতকালও কর্মপরিষদের ২০-২৫ জন নেতাকর্মী কলেজের বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নেয়। তারা নতুন অধ্যরে যোগদান ঠেকাতে কলেজের মসজিদ গেট, শহিদ মিনার গেট ও ফাস্ট গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন। কলেজ গেটে তালা লাগানো থাকায় হলে থাকা শিার্থী ও কলেজের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দেয়াল টপকে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে দেখা গেছে। এ ছাড়া প্রতিটি একাডেমিক এবং প্রশাসনিক ভবনেও তালা দিয়ে রাখা হয়। কর্মপরিষদের নেতাকর্মীরা হলে হলে গিয়ে শিার্থীদের আন্দোলনে অংশ দিতে নির্দেশ দেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ক্যাম্পাসে সাধারণ শিার্থীদের প্রবেশেও বাধা দেয়া হয়। কলেজ ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন থাকলেও তারা আন্দোলনকারীদের কোনো বাধা দেয়নি। বিএম কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাকসুদ আলম মাসুদ জানান, বিদায়ী অধ্যরে আর্থিক দুর্নীতিতে অবৈধ কর্মপরিষদও জড়িত ছিল। নিজেদের অপকর্ম প্রকাশ হওয়ার ভয়েই তারা অধ্যরে বদলি ঠেকানোর নামে ক্যাম্পাস অস্থিতিশীল করে তুলছেন। তিনি শিার্থীদের পেশ করা স্মারকলিপির সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে এ অযৌক্তিক আন্দোলনের সমাপ্তি দাবি করেন।
তবে মেয়াদোত্তীর্ণ অস্থায়ী কর্মপরিষদের সহসভাপতি ও শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মঈন তুষার সাংবাদিকদের বলেন, কর্মপরিষদের নয়, অধ্যরে বদলি প্রত্যাহার সাধারণ শিার্থীদের দাবি। অধ্যকে পুনর্বহালে প্রয়োজনে কলেজ অচল করে দেয়া হবে।
সদ্যবিদায়ী অধ্য প্রফেসর ননী গোপাল দাস বলেন, কলেজের প্রসাশনিক ভবনে প্রবেশ করতে না পারায় তিনি ফ্যাক্স করে উপাধ্য প্রফেসর নজরুল ইসলামের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করেছেন। তিনি খুলনা বিএল কলেজে যোগদান না করে চিকিৎসাজনিত ছুটি নিতে পারেন বলেও ইঙ্গিত দেন। অপর দিকে ক্যাম্পাসে কর্মপরিষদের অরাজকতা চলতে থাকায় নবনিযুক্ত অধ্য প্রফেসর শংকর চন্দ্র দত্ত এখন পর্যন্ত কলেজে যোগদান করেননি।
এ ব্যাপারে কলেজের উপাধ্য প্রফেসর নজরুল ইসলাম জানান, ‘আমি ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব বুঝে পেয়েছি। কলেজের বর্তমান পরিস্থিতি শিা মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের ওপরই এখন সবকিছু নির্ভর করছে। অন্য দিকে অধ্য প্রফেসর ড. ননী গোপাল দাসের বদলির আদেশ বাতিল করতে অনুরোধ জানিয়ে বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র শওকত হোসেন হিরন শিা মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, আর্থিক অনিয়ম ও অডিট আপত্তিসহ বিভিন্ন কারণে গত ৩০ জানুয়ারি শিা মন্ত্রণালয় বরিশাল বিএম কলেজের অধ্য প্রফেসর ড. ননী গোপাল দাসকে খুলনার বিএল কলেজের অর্থনীতি বিভাগে শাস্তিমূলক বদলি করে। অধ্য ননী গোপাল দাস তার মেয়াদকালে বিএম কলেজের ছাত্র সংসদের (বাকসু) সংবিধান সংশোধন করে বরিশাল সিটি মেয়র শওকত হোসেন হিরনের অনুগত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের নিয়ে বিকল্প ছাত্র কর্ম পরিষদ গঠন করে বিতকির্ত হয়ে পড়েন। বিতর্কিত এ কর্মপরিষদের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও অধ্য কৌশলে ওই কমিটি বাতিল করেননি, আবার মেয়াদও বৃদ্ধি করেননি। আর এ সুযোগে কর্মপরিষদের নেতারা বিএম কলেজ ছাত্র সংসদের কয়েক কোটি টাকা বিভিন্ন খাতে খরচ দেখিয়ে তুলে নিয়েছেন।
অযৌক্তিক এ আন্দোলনের ফলে নতুন নিয়োগ পাওয়া অধ্য প্রফেসর ড. শংকর চন্দ্র দত্ত সশরীরে কর্মস্থলে যোগদান করতে পারেননি বলে জানিয়েছেন বিএম কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল প্রফেসর মো: নজরুল ইসলাম। তবে নতুন অধ্য ফ্যাক্স বার্তা প্রেরণের মাধ্যমে যোগদান করেছেন বলে স্বীকার করেন তিনি।
শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপিতে বলা হয়, বিএম কলেজের একশ্রেণীর ছাত্রের অরাজকতার কারণে কলেজের শিার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে, সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা কাস করা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। কলেজের অচলাবস্থা নিরসনে প্রধানমন্ত্রী ও শিামন্ত্রীর হস্তপে কামনা করেন শিার্থীরা। স্মারকলিপি প্রদানে উপস্থিত শিার্থীরা জানান, কর্মপরিষদের কারণে কলেজে অচলাবস্থা চলতে থাকলে তারাও আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবেন।
এ দিকে বিএম কলেজ ক্যাম্পাসে গতকালও কর্মপরিষদের ২০-২৫ জন নেতাকর্মী কলেজের বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নেয়। তারা নতুন অধ্যরে যোগদান ঠেকাতে কলেজের মসজিদ গেট, শহিদ মিনার গেট ও ফাস্ট গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন। কলেজ গেটে তালা লাগানো থাকায় হলে থাকা শিার্থী ও কলেজের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দেয়াল টপকে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে দেখা গেছে। এ ছাড়া প্রতিটি একাডেমিক এবং প্রশাসনিক ভবনেও তালা দিয়ে রাখা হয়। কর্মপরিষদের নেতাকর্মীরা হলে হলে গিয়ে শিার্থীদের আন্দোলনে অংশ দিতে নির্দেশ দেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ক্যাম্পাসে সাধারণ শিার্থীদের প্রবেশেও বাধা দেয়া হয়। কলেজ ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন থাকলেও তারা আন্দোলনকারীদের কোনো বাধা দেয়নি। বিএম কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাকসুদ আলম মাসুদ জানান, বিদায়ী অধ্যরে আর্থিক দুর্নীতিতে অবৈধ কর্মপরিষদও জড়িত ছিল। নিজেদের অপকর্ম প্রকাশ হওয়ার ভয়েই তারা অধ্যরে বদলি ঠেকানোর নামে ক্যাম্পাস অস্থিতিশীল করে তুলছেন। তিনি শিার্থীদের পেশ করা স্মারকলিপির সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে এ অযৌক্তিক আন্দোলনের সমাপ্তি দাবি করেন।
তবে মেয়াদোত্তীর্ণ অস্থায়ী কর্মপরিষদের সহসভাপতি ও শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মঈন তুষার সাংবাদিকদের বলেন, কর্মপরিষদের নয়, অধ্যরে বদলি প্রত্যাহার সাধারণ শিার্থীদের দাবি। অধ্যকে পুনর্বহালে প্রয়োজনে কলেজ অচল করে দেয়া হবে।
সদ্যবিদায়ী অধ্য প্রফেসর ননী গোপাল দাস বলেন, কলেজের প্রসাশনিক ভবনে প্রবেশ করতে না পারায় তিনি ফ্যাক্স করে উপাধ্য প্রফেসর নজরুল ইসলামের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করেছেন। তিনি খুলনা বিএল কলেজে যোগদান না করে চিকিৎসাজনিত ছুটি নিতে পারেন বলেও ইঙ্গিত দেন। অপর দিকে ক্যাম্পাসে কর্মপরিষদের অরাজকতা চলতে থাকায় নবনিযুক্ত অধ্য প্রফেসর শংকর চন্দ্র দত্ত এখন পর্যন্ত কলেজে যোগদান করেননি।
এ ব্যাপারে কলেজের উপাধ্য প্রফেসর নজরুল ইসলাম জানান, ‘আমি ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব বুঝে পেয়েছি। কলেজের বর্তমান পরিস্থিতি শিা মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের ওপরই এখন সবকিছু নির্ভর করছে। অন্য দিকে অধ্য প্রফেসর ড. ননী গোপাল দাসের বদলির আদেশ বাতিল করতে অনুরোধ জানিয়ে বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র শওকত হোসেন হিরন শিা মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, আর্থিক অনিয়ম ও অডিট আপত্তিসহ বিভিন্ন কারণে গত ৩০ জানুয়ারি শিা মন্ত্রণালয় বরিশাল বিএম কলেজের অধ্য প্রফেসর ড. ননী গোপাল দাসকে খুলনার বিএল কলেজের অর্থনীতি বিভাগে শাস্তিমূলক বদলি করে। অধ্য ননী গোপাল দাস তার মেয়াদকালে বিএম কলেজের ছাত্র সংসদের (বাকসু) সংবিধান সংশোধন করে বরিশাল সিটি মেয়র শওকত হোসেন হিরনের অনুগত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের নিয়ে বিকল্প ছাত্র কর্ম পরিষদ গঠন করে বিতকির্ত হয়ে পড়েন। বিতর্কিত এ কর্মপরিষদের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও অধ্য কৌশলে ওই কমিটি বাতিল করেননি, আবার মেয়াদও বৃদ্ধি করেননি। আর এ সুযোগে কর্মপরিষদের নেতারা বিএম কলেজ ছাত্র সংসদের কয়েক কোটি টাকা বিভিন্ন খাতে খরচ দেখিয়ে তুলে নিয়েছেন।
No comments