দেলোয়ারের দায়িত্ব পালন নিয়ে বিএনপি নেতারা কোন্দলে by রাসেল রানা
মহাসচিব হিসেবে খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের
দায়িত্ব পালন করাকে কেন্দ্র করে নজিরবিহীনভাবে দলের প্রভাবশালী নেতারা
কোন্দলে জড়িয়ে পড়েছে। নীতি নির্ধারণী ফোরামের সদস্যরা এ নিয়ে বিভক্ত হয়ে
পড়েছেন।
দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক দেলোয়ারের উপস্থিতিতে
অন্য কারও মহাসচিবের দায়িত্ব পালনের সুযোগ না থাকলেও দলের সিনিয়র যুগ্ম
মহাসচিব মির্জা ফখরম্নল ইসলামই অলিখিতভাবে মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করছেন।
এমতাবস্থায় অভিমান করে প্রায় দুই মাস দলীয় কার্যক্রম থেকে দূরে থাকা দলের
মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের পৰে শক্ত অবস্থান নিয়েছেন দলের স্থায়ী
কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী। শুধু তাই নয়, দেলোয়ারের
দায়িত্ব পালন নিয়ে দলের কোন কোন নেতার ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টার
বিষয়টিও ফাঁস করে দিয়েছেন তিনি।
দলীয় সূত্রমতে, দলে সংস্কারপন্থী ইসু্য তথা ঢাকা মহানগর বিএনপির অভ্যনত্মরীণ কোন্দলের জের ধরে দুই মাস যাবত দলীয় কার্যক্রম থেকে দূরে থাকছেন খোন্দকার দেলোয়ার। গত ২৭ জানুয়ারি রাজধানীর মুক্তাঙ্গনে মহানগর বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে মহানগর বিএনপির সাবেক দুই সভাপতি মির্জা আব্বাস ও সাদেক হোসেন খোকা গ্রম্নপের মধ্যে দ্বন্দ্ব প্রকাশ্য রূপ নেয়। এই দিনের সমাবেশে সংস্কারপন্থী হিসেবে পরিচিত খোকা গ্রম্নপ যোগ দিলেও আব্বাস অনুসারীরা যোগ দেননি। তারা পাল্টা মিছিল সমাবেশ করেছে থানায় থানায়। এ ঘটনায় দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ডেমরা এলাকার সাবেক এমপি আব্বাস অনুসারী সালাউদ্দিন আহমেদকে (দৌড় সালাউদ্দিন) বহিষ্কার করা হয়। এরপর থেকে এখন পর্যনত্ম আব্বাস সমর্থক দেলোয়ার দলীয় কার্যক্রমে অংশ নেননি। প্রায় দুই সপ্তাহ বারডেম হাসপাতালে ভর্তি থেকে গত ৭ ফেব্রম্নয়ারি তিনি সিঙ্গাপুর যান। বারডেমে ভর্তি থাকা অবস্থায় বিএনপি চেয়ারপার্সনসহ কোন নেতাই তাকে দেখতে যাননি। এ সময় থেকেই দলের কোন কোন প্রভাবশালী নেতা দেলোয়ারকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়ার পৰে অবস্থান নেন। পরে এর সঙ্গে যোগ হয় দেলোয়ারপুত্র পবন ইসু্য। গত ২৩ ফেব্রম্নয়ারি বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার শুলশান কার্যালয়ে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় পবনের সংশিস্নষ্টতা প্রকাশ হওয়ায় দেলোয়ারবিরোধীরা আরও সক্রিয় হয়ে ওঠেন। তবে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি না দিলেও খালেদা জিয়া অলিখিতভাবে মির্জা ফখরম্নলকে মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করার নির্দেশ দেন। মির্জা ফখরম্নলও যথারীতি মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। কিন্তু গত ৯ মার্চ রাতে খোন্দকার দেলোয়ার দেশে ফিরলে 'মহাসচিব' সমস্যা নতুন করে সামনে চলে আসে। বিমানবন্দরে যুবদল, তাঁতী দলের কয়েক নেতা তাঁকে স্বাগত জানান। বিএনপির কোন নেতা সেখানে উপস্থিত ছিলেন না।
সূত্র আরও জানায়, বিএনপির কয়েকজন প্রভাবশালী নেতা কোনভাবেই দেলোয়ারকে আর মহাসচিবের দায়িত্বে দেখতে চান না। দেলোয়ার সিঙ্গাপুর যাবার পর থেকেই তাঁরা মির্জা ফখরম্নলকে মহাসচিবের দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুত করতে থাকেন। তবে এত তাড়াতাড়ি দেলোয়ার দেশে ফিরে আসবেন সেটাও তাঁরা ভাবেননি। দেলোয়ার দেশে ফেরার পর তাঁরা অনেকটাই বেকায়দায় পড়ে যান। তবে দেলোয়ারকে সরে দেয়ার এটাই মোৰম সুযোগ বিবেচনা করে তাদের চেষ্টা অব্যাহত রাখেন। দেলোয়ার দলীয় কার্যক্রম পরিচালনায় শারীরিকভাবে সৰম নয় বলে তার প্রচার চালাতে থাকেন। কিন্তু দেশে ফিরে দেলোয়ার নিজেই সাংবাদিকদের বলেছেন তিনি সুস্থ। এ অবস্থায় স্বাভাবিকভাবে তাঁর মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করে যাওয়ার কথা। সূত্র জানায়, দেলোয়ার যাতে নিজ থেকেই দায়িত্ব ছেড়ে দেন, সেজন্য কয়েক নেতা তাঁকে মানসিক চাপে রেখেছেন। এৰেত্রে পুত্রের অপরাধে বহিষ্কৃত স্থায়ী কমিটির সদস্য তানভীর সিদ্দিকীর প্রসঙ্গ তাঁকে স্মরণ করে দেয়া হচ্ছে। এ প্রেৰিতে দেশে ফিরেও খোন্দকার দেলোয়ার দলীয় কোন কার্যক্রমে অংশ নেননি।
খোন্দকার দেলোয়ারকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিতে কয়েক নেতার তৎপরতা রবিবার ফাঁস করে দিয়েছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী। রবিবার ধানম-ির নিজ বাসভবনে তিনি সাংবাদিকদের জানান, দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া চেয়ারপার্সনের ৰমতাবলে খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনকে মহাসচিব নিযুক্ত করেছেন। তিনি যতৰণ পর্যনত্ম তাঁর এ সিদ্ধানত্ম পরিবর্তন না করবেন ততৰণ দেলোয়ারের পদত্যাগ চাওয়ার সাহস বিএনপিতে কারও নেই। তাছাড়া দেলোয়ারের মতো প্রাজ্ঞ একজন রাজনীতিবিদকে পরামর্শ দেয়ার ঔদ্ধৃতও তাঁর নেই বলে তিনি জানান।
দেলোয়ারের দায়িত্ব পালন নিয়ে দলের কেউ কেউ ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চাইছেন উলেস্নখ করে তিনি বলেন, বিশেষ এজেন্ডা বাসত্মবায়ন করতে তাঁর অসুস্থতার সুযোগ নিতে চেষ্টা করছেন। সাকা বলেন, দলের দুঃসময়ে খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন যে প্রজ্ঞা, মেধা, আনুগত্য দেখিয়েছেন তাতে ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি দেলোয়ারের আরও দশ বছর মহাসচিব থাকা উচিত। তবে শারীরিকভাবে তিনি কতটা গুরম্নদায়িত্ব পালন করতে পারবেন তা তাঁকেই বুঝতে হবে।
দেলোয়ারের পদত্যাগ নিয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত উলেস্নখ করে তিনি বলেন, রাজনীতিবিদদের রাজনীতি করতে দিন। দয়া করে আপনারা রাজনীতি করবেন না।
দলীয় সূত্রমতে, দলে সংস্কারপন্থী ইসু্য তথা ঢাকা মহানগর বিএনপির অভ্যনত্মরীণ কোন্দলের জের ধরে দুই মাস যাবত দলীয় কার্যক্রম থেকে দূরে থাকছেন খোন্দকার দেলোয়ার। গত ২৭ জানুয়ারি রাজধানীর মুক্তাঙ্গনে মহানগর বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে মহানগর বিএনপির সাবেক দুই সভাপতি মির্জা আব্বাস ও সাদেক হোসেন খোকা গ্রম্নপের মধ্যে দ্বন্দ্ব প্রকাশ্য রূপ নেয়। এই দিনের সমাবেশে সংস্কারপন্থী হিসেবে পরিচিত খোকা গ্রম্নপ যোগ দিলেও আব্বাস অনুসারীরা যোগ দেননি। তারা পাল্টা মিছিল সমাবেশ করেছে থানায় থানায়। এ ঘটনায় দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ডেমরা এলাকার সাবেক এমপি আব্বাস অনুসারী সালাউদ্দিন আহমেদকে (দৌড় সালাউদ্দিন) বহিষ্কার করা হয়। এরপর থেকে এখন পর্যনত্ম আব্বাস সমর্থক দেলোয়ার দলীয় কার্যক্রমে অংশ নেননি। প্রায় দুই সপ্তাহ বারডেম হাসপাতালে ভর্তি থেকে গত ৭ ফেব্রম্নয়ারি তিনি সিঙ্গাপুর যান। বারডেমে ভর্তি থাকা অবস্থায় বিএনপি চেয়ারপার্সনসহ কোন নেতাই তাকে দেখতে যাননি। এ সময় থেকেই দলের কোন কোন প্রভাবশালী নেতা দেলোয়ারকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়ার পৰে অবস্থান নেন। পরে এর সঙ্গে যোগ হয় দেলোয়ারপুত্র পবন ইসু্য। গত ২৩ ফেব্রম্নয়ারি বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার শুলশান কার্যালয়ে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় পবনের সংশিস্নষ্টতা প্রকাশ হওয়ায় দেলোয়ারবিরোধীরা আরও সক্রিয় হয়ে ওঠেন। তবে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি না দিলেও খালেদা জিয়া অলিখিতভাবে মির্জা ফখরম্নলকে মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করার নির্দেশ দেন। মির্জা ফখরম্নলও যথারীতি মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। কিন্তু গত ৯ মার্চ রাতে খোন্দকার দেলোয়ার দেশে ফিরলে 'মহাসচিব' সমস্যা নতুন করে সামনে চলে আসে। বিমানবন্দরে যুবদল, তাঁতী দলের কয়েক নেতা তাঁকে স্বাগত জানান। বিএনপির কোন নেতা সেখানে উপস্থিত ছিলেন না।
সূত্র আরও জানায়, বিএনপির কয়েকজন প্রভাবশালী নেতা কোনভাবেই দেলোয়ারকে আর মহাসচিবের দায়িত্বে দেখতে চান না। দেলোয়ার সিঙ্গাপুর যাবার পর থেকেই তাঁরা মির্জা ফখরম্নলকে মহাসচিবের দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুত করতে থাকেন। তবে এত তাড়াতাড়ি দেলোয়ার দেশে ফিরে আসবেন সেটাও তাঁরা ভাবেননি। দেলোয়ার দেশে ফেরার পর তাঁরা অনেকটাই বেকায়দায় পড়ে যান। তবে দেলোয়ারকে সরে দেয়ার এটাই মোৰম সুযোগ বিবেচনা করে তাদের চেষ্টা অব্যাহত রাখেন। দেলোয়ার দলীয় কার্যক্রম পরিচালনায় শারীরিকভাবে সৰম নয় বলে তার প্রচার চালাতে থাকেন। কিন্তু দেশে ফিরে দেলোয়ার নিজেই সাংবাদিকদের বলেছেন তিনি সুস্থ। এ অবস্থায় স্বাভাবিকভাবে তাঁর মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করে যাওয়ার কথা। সূত্র জানায়, দেলোয়ার যাতে নিজ থেকেই দায়িত্ব ছেড়ে দেন, সেজন্য কয়েক নেতা তাঁকে মানসিক চাপে রেখেছেন। এৰেত্রে পুত্রের অপরাধে বহিষ্কৃত স্থায়ী কমিটির সদস্য তানভীর সিদ্দিকীর প্রসঙ্গ তাঁকে স্মরণ করে দেয়া হচ্ছে। এ প্রেৰিতে দেশে ফিরেও খোন্দকার দেলোয়ার দলীয় কোন কার্যক্রমে অংশ নেননি।
খোন্দকার দেলোয়ারকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিতে কয়েক নেতার তৎপরতা রবিবার ফাঁস করে দিয়েছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী। রবিবার ধানম-ির নিজ বাসভবনে তিনি সাংবাদিকদের জানান, দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া চেয়ারপার্সনের ৰমতাবলে খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনকে মহাসচিব নিযুক্ত করেছেন। তিনি যতৰণ পর্যনত্ম তাঁর এ সিদ্ধানত্ম পরিবর্তন না করবেন ততৰণ দেলোয়ারের পদত্যাগ চাওয়ার সাহস বিএনপিতে কারও নেই। তাছাড়া দেলোয়ারের মতো প্রাজ্ঞ একজন রাজনীতিবিদকে পরামর্শ দেয়ার ঔদ্ধৃতও তাঁর নেই বলে তিনি জানান।
দেলোয়ারের দায়িত্ব পালন নিয়ে দলের কেউ কেউ ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চাইছেন উলেস্নখ করে তিনি বলেন, বিশেষ এজেন্ডা বাসত্মবায়ন করতে তাঁর অসুস্থতার সুযোগ নিতে চেষ্টা করছেন। সাকা বলেন, দলের দুঃসময়ে খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন যে প্রজ্ঞা, মেধা, আনুগত্য দেখিয়েছেন তাতে ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি দেলোয়ারের আরও দশ বছর মহাসচিব থাকা উচিত। তবে শারীরিকভাবে তিনি কতটা গুরম্নদায়িত্ব পালন করতে পারবেন তা তাঁকেই বুঝতে হবে।
দেলোয়ারের পদত্যাগ নিয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত উলেস্নখ করে তিনি বলেন, রাজনীতিবিদদের রাজনীতি করতে দিন। দয়া করে আপনারা রাজনীতি করবেন না।
No comments