বেতন না দেয়া এবং ঝুট রাজনীতি- গার্মেন্টসে অসন্তোষের নেপথ্যে by ফিরোজ মান্না
বার বার গার্মেন্টসে শ্রমিক অসন্তোষের
পেছনে মালিকদের সময়মতো বেতন না দেয়াই একমাত্র কারণ নয়। শ্রমিক অসন্তোষের
পেছনে ঝুট ব্যবসায়ীদের হাত কাজ করছে।
শ্রমিকদের বেতনকে
পুঁজি করে ঝুট ব্যবসায়ীদের গ্রুপগুলো নানা রাজনীতির মাধ্যমে ব্যবসা বাগিয়ে
নেয়াই উদ্দেশ্য। মালিক-শ্রমিক উভয় পক্ষই এই রাজনীতির শিকার হচ্ছে। আশুলিয়ার
কাঠগড়া এলাকায় 'টেক্স টাউন' গার্মেন্টসে ভাংচুরের ঘটনাটি ঝুট ব্যবসায়ী
দু'টি গ্রুপের ষড়যন্ত্রে ঘটেছে বলে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানানো হয়েছে। কোন
ঘটনা ঘটলে মালিক পক্ষ গার্মেন্টস শিল্পকে ধ্বংস করার জন্য বিদেশী চক্রান্ত
চলছে বলে জানান। কিন্তু তারা যে শ্রমিকদের বেতন ভাতা ও ওভারটাইমের টাকা সময়
মতো পরিশোধ না করার কারণে শ্রমিক অসন্তোষ সৃষ্টি হয়_ এটা কখনও বলেন না বলে
শ্রমিক নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেছেন।
ঝুট ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ, আধিপত্য বিসত্মার ও শ্রমিকদের দাবি আদায়কে কেন্দ্র করে সাভারের আশুলিয়া শিল্পাঞ্চল বেশ কিছুদিন ধরেই অশানত্ম পরিস্থিতি বিরাজ করছে। গার্মেন্টসে ভাংচুর, লুটপাটসহ নানা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে চলেছে। এই এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হলেও কিছুতেই কিছু হচ্ছে না। টেক্স টাউন নামের একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির শ্রমিকরা ব্যাপক ভাংচুরের পর ফ্যাক্টরিতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল। মালিক পৰ বলেছে, বেতন দেয়া দেরি হওয়ার কারণে শ্রমিকরা এই তা-ব চালায়।
পুলিশ বলেছে, বৃহস্পতিবার শ্রমিকদের বেতন পরিশোধের কথা ছিল। সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ হলেও ঢাকার প্রধান কার্যালয় থেকে টাকা পাঠাতে বিলম্ব হয়। এ অজুহাতে রাত আটটার দিকে ফ্যাক্টরির পাঁচ তলার শ্রমিকরা কাজ বন্ধ করে নিচে নেমে আসে। এরপর কিছু শ্রমিক সাততলা ফ্যাক্টরির কয়েকটি তলায় ভাংচুর চালিয়েছে। এ সময় বহিরাগত সন্ত্রাসীরা শ্রমিকদের সঙ্গে যোগ দিয়ে ফ্যাক্টরিতে ঢুকে মালামাল লুট করে নিয়েছে। পরের দিন শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যনত্ম ফ্যাক্টরিতে শ্রমিকবাহী যানবাহন ভাংচুর চালায়।
সাভার থেকে আমাদের নিজস্ব সংবাদদাতা সৌমিত্র মানব জানান, আশুলিয়া থানার গোরাট এলাকার 'জেনারেশন নেকস্ট কম্পোজিট নিটওয়্যার' নামের একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির শ্রমিক অসনত্মোষের ঘটনা ঘটেছিল ১ মার্চ। বেতন ও ভাতাসহ হাজিরা এবং ছুটির দিনের পারিশ্রমিক বাড়ানোর দাবিতে ওই ফ্যাক্টরির শ্রমিকরা কাজ বন্ধ করে বিৰোভ প্রদর্শন করে। দীর্ঘদিন ধরেই ফ্যাক্টরির প্রায় আড়াই হাজার শ্রমিক বিভিন্ন দাবি-দাওয়া আদায়ের জন্য কতর্ৃপৰের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে আসছিল। ফ্যাক্টরি কর্তৃপৰ শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করেনি। পরে পুলিশের মধ্যস্থতায় আলোচনার এক পর্যায়ে কতর্ৃপৰ শ্রমিকদের যৌক্তিক দাবিগুলো মেনে নেয়ার আশ্বাস দিয়েছে। কিন্তু এখনও শ্রমিকদের দাবি বাসত্মবায়ন করা হয়নি। ২ মার্চ বিকেলে বেতন-ভাতা বৃদ্ধিসহ নানা দাবিতে ডিইপিজেড'র নতুন জোনে অবস্থিত 'সেফার্ড টেকা্রটাইল (বিডি) লিমিটেড'-এর শ্রমিকরা কর্মবিরতি পালন ও বিােভ করে। পরে বিৰুব্ধ শ্রমিকরা ফ্যাক্টরির প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয়। এদিন বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে ফ্যাক্টরির দু' শতাধিক শ্রমিক বেতন ভাতা বৃদ্ধি, ওভারটাইম, যাতায়াত ও দুপুরের খাবার ভাতা প্রদানের জন্য কারখানা কর্তৃপরে নিকট দাবি জানায়। কর্তৃপ শ্রমিকদের দাবিকে অযৌত্তিক বলে জানালে শ্রমিকরা এতে প্তি হয়ে কাজ বন্ধ ও প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয়। শ্রমিক বিােভের খবর শুনে বেপজা কতর্ৃপৰ ওই ফ্যাক্টরিতে ছুটে আসে। তারা প্রথমে শ্রমিকদের বাধার মুখে পড়লেও পরে শ্রমিকদের দাবি নিয়ে ফ্যাক্টরি কতর্ৃপ ও শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসে। দীর্ঘ তিন ঘণ্টা আলোচনায় শ্রমিকদের প্রতিদিন যাতায়াত বাবদ ২০ টাকা, দুপুরের খাবারের বাবদ ২০ টাকা ও ৪ ঘণ্টা ওভারটাইম দেয়ার প্রাথমিক সিদ্ধানত্ম হলে শ্রমিকরা বিােভ বন্ধ করে সন্ধ্যা সাতটার দিকে শ্রমিকরা বাড়ি ফিরে যায়।
৮মার্চ সকালে বিভিন্ন দাবিতে আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় 'সাফা সোয়েটার' ফ্যাক্টরির প্রায় দেড় হাজার শ্রমিক কর্মবিরতি পালন ও বিােভ করে। ফ্যাক্টরির শ্রমিকদের গত মাসের বেতন রবিবার পরিশোধ করা হয়। বেতনের সঙ্গে মজুরির বিবরণী শ্রমিকরা না পেয়ে কতর্ৃপরে কাছে সকাল আটটার দিকে বিবরণী দেখতে চায়। কর্তৃপ শ্রমিকদের বেতন বিবরণী দেখাতে অস্বীকৃতি জানালে শ্রমিকরা প্তি হয়ে ওঠে। পরে ওই ফ্যাক্টরির জিএম আব্দুর রাজ্জাক ও পিএম তোফাজ্জল হোসেনের বিরম্নদ্ধে শ্রমিক নির্যাতনের অভিযোগ এনে তাদের অপসারণের দাবি করে। কর্তৃপৰ এ দাবিও মেনে নেয়নি।
৯ মার্চ সকালে জিরাব ঘোষবাগ এলাকায় 'ম্যাগপাই' সোয়েটার ফ্যাক্টরির শ্রমিকরা বিভিন্ন দাবিতে ফ্যাক্টরির ভেতরে বিােভ করতে থাকে। কতর্ৃপ ইতোপূর্বে শ্রমিকদের দাবিসমূহ পূরণের আশ্বাস দিলেও তা বাসত্মবায়ন না হওয়ায় শ্রমিকরা সকাল আটটার দিকে ফ্যাক্টরির ভেতরে অবস্থান নিয়ে কর্মবিরতি পালন শুরম্ন করে। শ্রম মন্ত্রণালয়, বিজিএমইএ, শ্রমিক সংগঠনের নেতা-কর্মী ও ফ্যাক্টরির উর্ধতন কর্মকর্তারা আলোচনায় বসে। আলোচনায় সিদ্ধানত্ম হয় কথায় কথায় শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধ, শ্রমিক নির্যাতন করা যাবে না, ১২ শ্রমিকের বিরম্নদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার, কোন কাজ করানোর অনত্মত সাতদিন আগে মূল্য জানানো, দৈনিক হাজিরা ৪৫ টাকার পরিবর্তে ৭৫ টাকা, মাসিক হাজিরা বোনাস ২শ' টাকা থেকে ৩শ' টাকা করাসহ ১৭টি দাবি তুলে ধরে। আলোচনায় দাবিগুলোর মধ্যে বেশ কয়েকটি দাবি পূরণের একটি সমঝোতা চুক্তি করা হয়।
২০ ফেব্রম্নয়ারি সকালে বিভিন্ন দাবি-দাওয়াকে কেন্দ্র করে ইয়ারপুর ইউনিয়নের ধনাই এলাকার 'জেনারেশন নেকস্ট ইন্ডাস্ট্রিজ'-এ শ্রমিক অসনত্মোষ হয়। পরে সেখানে মালিক শ্রমিক মিলে আলোচনা করে সমস্যা সমাধান করা হয়েছে। ১৫ ফেব্রম্নয়ারি সকালে জামগড়া এলাকার 'ম্যাগপাই নিটওয়্যার লিমিটেড' নামের গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির প্রায় ১৫শ' শ্রমিক মালিকপরে নিকট বেতন-ভাতার বৃদ্ধির দাবি জানায়। মালিক পৰ দাবি মেনে না নেয়ায় শ্রমিকরা বিৰোভ করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে শ্রমিকদের বিৰোভ থেকে বিরত করে। গত তিন মাসে ২০টির বেশি কারখানায় শ্রমিক অসনত্মোষের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।
আশুলিয়া ও সাভার এলাকার বিভিন্ন গার্মেন্টস কারখানায় শ্রমিক অসনত্মোষের পেছনে বেশির ভাগ ৰেত্রে মালিকরা দায়ী। মালিকরা সময়মতো বেতন ভাতা, ওভারটাইমের টাকা না দেয়া, কথায় কথায় শ্রমিক ছাঁটাই এ সব কারণে শ্রমিকরা সব সময় আতঙ্ক নিয়ে চাকরি করে। শ্রমিকরা নানা বঞ্চনা নিয়ে চাকরি করতে গিয়ে তাদের অধিকারের কথা যারা শোনায় তাদের সঙ্গে সহজেই মিলে যায়। এই সুযোগ কাজে লাগায় স্থানীয় ঝুট ব্যবসায়ীরা। বিএনপি-জামায়াত জোট যখন ৰমতায় ছিল ঝুট ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করত জোটের লোকজন। মহাজোট ৰমতায় আসার পর এই ব্যবসার বড় একটি অংশ তাদের হাতে চলে যায়। আবার বিএনপি-জামায়াত জোটের কিছু লোক ভোল পাল্টিয়ে মহাজোটের লোক হিসেবে ঝুট ব্যবসায় ঢুকে পড়ে। এই ঝুট ব্যবসায়ীরা ব্যবসা বাগিয়ে নেয়ার জন্য শ্রমিকদের 'সেন্টিমেন্ট' কাজে লাগায়।
ঝুট ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ, আধিপত্য বিসত্মার ও শ্রমিকদের দাবি আদায়কে কেন্দ্র করে সাভারের আশুলিয়া শিল্পাঞ্চল বেশ কিছুদিন ধরেই অশানত্ম পরিস্থিতি বিরাজ করছে। গার্মেন্টসে ভাংচুর, লুটপাটসহ নানা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে চলেছে। এই এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হলেও কিছুতেই কিছু হচ্ছে না। টেক্স টাউন নামের একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির শ্রমিকরা ব্যাপক ভাংচুরের পর ফ্যাক্টরিতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল। মালিক পৰ বলেছে, বেতন দেয়া দেরি হওয়ার কারণে শ্রমিকরা এই তা-ব চালায়।
পুলিশ বলেছে, বৃহস্পতিবার শ্রমিকদের বেতন পরিশোধের কথা ছিল। সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ হলেও ঢাকার প্রধান কার্যালয় থেকে টাকা পাঠাতে বিলম্ব হয়। এ অজুহাতে রাত আটটার দিকে ফ্যাক্টরির পাঁচ তলার শ্রমিকরা কাজ বন্ধ করে নিচে নেমে আসে। এরপর কিছু শ্রমিক সাততলা ফ্যাক্টরির কয়েকটি তলায় ভাংচুর চালিয়েছে। এ সময় বহিরাগত সন্ত্রাসীরা শ্রমিকদের সঙ্গে যোগ দিয়ে ফ্যাক্টরিতে ঢুকে মালামাল লুট করে নিয়েছে। পরের দিন শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যনত্ম ফ্যাক্টরিতে শ্রমিকবাহী যানবাহন ভাংচুর চালায়।
সাভার থেকে আমাদের নিজস্ব সংবাদদাতা সৌমিত্র মানব জানান, আশুলিয়া থানার গোরাট এলাকার 'জেনারেশন নেকস্ট কম্পোজিট নিটওয়্যার' নামের একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির শ্রমিক অসনত্মোষের ঘটনা ঘটেছিল ১ মার্চ। বেতন ও ভাতাসহ হাজিরা এবং ছুটির দিনের পারিশ্রমিক বাড়ানোর দাবিতে ওই ফ্যাক্টরির শ্রমিকরা কাজ বন্ধ করে বিৰোভ প্রদর্শন করে। দীর্ঘদিন ধরেই ফ্যাক্টরির প্রায় আড়াই হাজার শ্রমিক বিভিন্ন দাবি-দাওয়া আদায়ের জন্য কতর্ৃপৰের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে আসছিল। ফ্যাক্টরি কর্তৃপৰ শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করেনি। পরে পুলিশের মধ্যস্থতায় আলোচনার এক পর্যায়ে কতর্ৃপৰ শ্রমিকদের যৌক্তিক দাবিগুলো মেনে নেয়ার আশ্বাস দিয়েছে। কিন্তু এখনও শ্রমিকদের দাবি বাসত্মবায়ন করা হয়নি। ২ মার্চ বিকেলে বেতন-ভাতা বৃদ্ধিসহ নানা দাবিতে ডিইপিজেড'র নতুন জোনে অবস্থিত 'সেফার্ড টেকা্রটাইল (বিডি) লিমিটেড'-এর শ্রমিকরা কর্মবিরতি পালন ও বিােভ করে। পরে বিৰুব্ধ শ্রমিকরা ফ্যাক্টরির প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয়। এদিন বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে ফ্যাক্টরির দু' শতাধিক শ্রমিক বেতন ভাতা বৃদ্ধি, ওভারটাইম, যাতায়াত ও দুপুরের খাবার ভাতা প্রদানের জন্য কারখানা কর্তৃপরে নিকট দাবি জানায়। কর্তৃপ শ্রমিকদের দাবিকে অযৌত্তিক বলে জানালে শ্রমিকরা এতে প্তি হয়ে কাজ বন্ধ ও প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয়। শ্রমিক বিােভের খবর শুনে বেপজা কতর্ৃপৰ ওই ফ্যাক্টরিতে ছুটে আসে। তারা প্রথমে শ্রমিকদের বাধার মুখে পড়লেও পরে শ্রমিকদের দাবি নিয়ে ফ্যাক্টরি কতর্ৃপ ও শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসে। দীর্ঘ তিন ঘণ্টা আলোচনায় শ্রমিকদের প্রতিদিন যাতায়াত বাবদ ২০ টাকা, দুপুরের খাবারের বাবদ ২০ টাকা ও ৪ ঘণ্টা ওভারটাইম দেয়ার প্রাথমিক সিদ্ধানত্ম হলে শ্রমিকরা বিােভ বন্ধ করে সন্ধ্যা সাতটার দিকে শ্রমিকরা বাড়ি ফিরে যায়।
৮মার্চ সকালে বিভিন্ন দাবিতে আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় 'সাফা সোয়েটার' ফ্যাক্টরির প্রায় দেড় হাজার শ্রমিক কর্মবিরতি পালন ও বিােভ করে। ফ্যাক্টরির শ্রমিকদের গত মাসের বেতন রবিবার পরিশোধ করা হয়। বেতনের সঙ্গে মজুরির বিবরণী শ্রমিকরা না পেয়ে কতর্ৃপরে কাছে সকাল আটটার দিকে বিবরণী দেখতে চায়। কর্তৃপ শ্রমিকদের বেতন বিবরণী দেখাতে অস্বীকৃতি জানালে শ্রমিকরা প্তি হয়ে ওঠে। পরে ওই ফ্যাক্টরির জিএম আব্দুর রাজ্জাক ও পিএম তোফাজ্জল হোসেনের বিরম্নদ্ধে শ্রমিক নির্যাতনের অভিযোগ এনে তাদের অপসারণের দাবি করে। কর্তৃপৰ এ দাবিও মেনে নেয়নি।
৯ মার্চ সকালে জিরাব ঘোষবাগ এলাকায় 'ম্যাগপাই' সোয়েটার ফ্যাক্টরির শ্রমিকরা বিভিন্ন দাবিতে ফ্যাক্টরির ভেতরে বিােভ করতে থাকে। কতর্ৃপ ইতোপূর্বে শ্রমিকদের দাবিসমূহ পূরণের আশ্বাস দিলেও তা বাসত্মবায়ন না হওয়ায় শ্রমিকরা সকাল আটটার দিকে ফ্যাক্টরির ভেতরে অবস্থান নিয়ে কর্মবিরতি পালন শুরম্ন করে। শ্রম মন্ত্রণালয়, বিজিএমইএ, শ্রমিক সংগঠনের নেতা-কর্মী ও ফ্যাক্টরির উর্ধতন কর্মকর্তারা আলোচনায় বসে। আলোচনায় সিদ্ধানত্ম হয় কথায় কথায় শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধ, শ্রমিক নির্যাতন করা যাবে না, ১২ শ্রমিকের বিরম্নদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার, কোন কাজ করানোর অনত্মত সাতদিন আগে মূল্য জানানো, দৈনিক হাজিরা ৪৫ টাকার পরিবর্তে ৭৫ টাকা, মাসিক হাজিরা বোনাস ২শ' টাকা থেকে ৩শ' টাকা করাসহ ১৭টি দাবি তুলে ধরে। আলোচনায় দাবিগুলোর মধ্যে বেশ কয়েকটি দাবি পূরণের একটি সমঝোতা চুক্তি করা হয়।
২০ ফেব্রম্নয়ারি সকালে বিভিন্ন দাবি-দাওয়াকে কেন্দ্র করে ইয়ারপুর ইউনিয়নের ধনাই এলাকার 'জেনারেশন নেকস্ট ইন্ডাস্ট্রিজ'-এ শ্রমিক অসনত্মোষ হয়। পরে সেখানে মালিক শ্রমিক মিলে আলোচনা করে সমস্যা সমাধান করা হয়েছে। ১৫ ফেব্রম্নয়ারি সকালে জামগড়া এলাকার 'ম্যাগপাই নিটওয়্যার লিমিটেড' নামের গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির প্রায় ১৫শ' শ্রমিক মালিকপরে নিকট বেতন-ভাতার বৃদ্ধির দাবি জানায়। মালিক পৰ দাবি মেনে না নেয়ায় শ্রমিকরা বিৰোভ করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে শ্রমিকদের বিৰোভ থেকে বিরত করে। গত তিন মাসে ২০টির বেশি কারখানায় শ্রমিক অসনত্মোষের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।
আশুলিয়া ও সাভার এলাকার বিভিন্ন গার্মেন্টস কারখানায় শ্রমিক অসনত্মোষের পেছনে বেশির ভাগ ৰেত্রে মালিকরা দায়ী। মালিকরা সময়মতো বেতন ভাতা, ওভারটাইমের টাকা না দেয়া, কথায় কথায় শ্রমিক ছাঁটাই এ সব কারণে শ্রমিকরা সব সময় আতঙ্ক নিয়ে চাকরি করে। শ্রমিকরা নানা বঞ্চনা নিয়ে চাকরি করতে গিয়ে তাদের অধিকারের কথা যারা শোনায় তাদের সঙ্গে সহজেই মিলে যায়। এই সুযোগ কাজে লাগায় স্থানীয় ঝুট ব্যবসায়ীরা। বিএনপি-জামায়াত জোট যখন ৰমতায় ছিল ঝুট ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করত জোটের লোকজন। মহাজোট ৰমতায় আসার পর এই ব্যবসার বড় একটি অংশ তাদের হাতে চলে যায়। আবার বিএনপি-জামায়াত জোটের কিছু লোক ভোল পাল্টিয়ে মহাজোটের লোক হিসেবে ঝুট ব্যবসায় ঢুকে পড়ে। এই ঝুট ব্যবসায়ীরা ব্যবসা বাগিয়ে নেয়ার জন্য শ্রমিকদের 'সেন্টিমেন্ট' কাজে লাগায়।
No comments