কলাবাগানে গাড়ি ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যা
রাজধানীর কলাবাগানে এক গাড়ি ব্যবসায়ীকে
গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, পূর্ব শত্রম্নতা, চাঁদাবাজি ও গাড়ি
চোরের সদস্যরা এ খুনের ঘটনা ঘটাতে পারে।
জানা গেছে,
নিহতের নাম জসিমউদ্দিন সাগর (৩৬)। তার গ্রীনরোডের শমরিতা হাসপাতালের পেছনে
বাপ্পী উড্স রেন্ট-এ কার-এর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এখানে তাঁর ৯টি দামি
গাড়ি ও এ্যাম্বুলেন্স রাজধানীসহ দেশের বিভিন্নস্থানে ভাড়ায় চলে। পুলিশ ও
প্রত্যৰদশর্ীরা জানায়, শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টায় ব্যবসায়ী জসিমউদ্দিন ও তাঁর
বন্ধু মিজানকে সঙ্গে নিয়ে শমরিতা হাসপাতালের পেছনে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে
বের হলো। ব্যবসায়ী সাগর কয়েক কদম হাঁটার পর পেছন থেকে হোন্ডাযোগে তিন
সন্ত্রাসীরা নেমে তাঁকে গতিরোধ করে। এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা তাঁর মাথার
পেছনে অস্ত্র ঠেকিয়ে ৬/৭ রাউন্ড গুলি চালায়। এটি দেখে তাঁর বন্ধু মিজান
দৌড়ে পাশের একটি গলিতে লুকিয়ে থাকেন। গুলির বিকট আওয়াজে আশপাশে দোকানপাট
বন্ধ হয়ে যায়। আতঙ্কে পথচারীদের দিগ্বিদিক ছুটোছুটি লেগে যায়। গুলিবিদ্ধ
রক্তাক্ত আহত অবস্থায় ব্যবসায়ী জসিমউদ্দিন সাগর রাসত্মায় লুটিয়ে পড়েন। পরে
রাত ১২টায় গুরম্নত্বর আহত অবস্থায় ব্যবসায়ী জসিমউদ্দিনকে ঢাকা মেডিক্যাল
কলেজ হাসপাতালে আনলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের ছোট
ভাই মাসুদ কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, বড়ভাই জসিমউদ্দিনের ব্যবসার টাকা দিয়ে
পরিবারের ২৫/৩০ সদস্যের সংসার চলে। আমার ভাই জসিমউদ্দিনকে পরিকল্পিতভাবে
হত্যা করা হয়েছে। নিহতের পরিবার অভিযোগ করেন, কয়েক মাস আগে জসিমউদ্দিনের এক
গাড়ি চুরি হয়ে যায়। দীর্ঘদিন ধরে মীমাংসার মাধ্যমে মোটা অঙ্কের টাকার
বিনিময়ে চোরাই গাড়িটি ফিরিয়ে আনা হয়। এ ঘটনায় ওই গাড়ির চালক মালেককে পুলিশ
গ্রেফতার করে। এরপর তাঁকে গাড়িচালক মালেক ও তার লোকজন মোবাইলে ব্যবসায়ী
জসিমউদ্দিনকে হত্যার হুমকি দিত। এ ছাড়া কয়েকদফা তাঁর কাছে চাঁদা দাবি করে
আসছিল স্থানীয় সন্ত্রাসী গ্রম্নপ। নিহতের পিতার নাম আব্দুল মান্নান। তাঁর
গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর জেলার কচুয়া থানার ইসলামপুর গ্রামে। তিনি স্ত্রী
রেশমা ও তাঁর দুই সনত্মান বাপ্পী (৭) ও রাবি্ব (৪) নিয়ে গ্রীনরোডের আল আমিন
সড়কের ৪৬ নম্বর এ্যাপার্টমেন্টের দ্বিতীয় তলায় থাকতেন। ৫ ভাই ৪ বোনের
মধ্যে তৃতীয় ছিলেন তিনি।
No comments