বিরোধীদের সহায়তা পেলে আঞ্চলিক সহযোগিতার পথ উন্মুক্ত হবে- সেমিনারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন,
অন্ধভাবে ভারত বিরোধিতা করে নিজেদের বন্ধ ঘরে আটকে রাখার অধিকার কারও নেই।
নিজেদের স্বার্থেই আমাদের ভারতকে কাজে লাগাতে হবে।
তিনি বলেন, বিরোধী দলের সহযোগিতা পেলে শুধু দ্বিপাৰিক নয়, আঞ্চলিক সহযোগিতার সকল দ্বার উন্মুক্ত হবে।
শনিবার জাতীয় প্রেসকাবে সাংবাদিক বজলুর রহমান ফাউন্ডেশন আয়োজিত 'দৰিণ এশিয়ার আঞ্চলিক সহযোগিতা সমস্যা ও সম্ভবনা' শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান খন্দকার ইব্রাহিম খালেদের সভাপতিত্বে সেমিনারে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা সিএম শফি সামি, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু এমপি মোসত্মফা ফারম্নক মোহাম্মদ এমপি, সাবেক রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জমির, ইনাম আহমেদ চৌধুরী, সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. মোসত্মাফিজুর রহমান, নিউএজ সম্পাদক নুরম্নল কবির, নিউজ টুডে সম্পাদক রিয়াজউদ্দিন আহমেদ, বিকেএমইএ সভাপতি ফজলুল হক বক্তৃতা করেন। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাংবাদিক জগলুল আহমেদ চৌধুরী। ডা. দীপু মনি বলেন, "সার্ক কাঠামোর আওতায় সম্ভাবনার সবগুলো জানালাকে আমাদের কাজে লাগাতে হবে। মহাজোট সরকার শুধু ভারত নয়, পুরো দৰিণ এশিয়া অঞ্চলকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে চায়। ভারতের সঙ্গে ঐতিহাসিক সম্পর্ক বজায় রেখে দ্বিপাৰিক ও বহুপাৰিক ফোরামে আমাদের একযোগে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, রাষ্ট্রৰমতায় থাকলে ভারত তোষণ, আর বিরোধী দলে গেলে বিরোধিতার খাতিরে ভারত বিরোধিতা এটি মেনে নেয়া যায় না। প্রতিবেশী দেশ হিসেবে আমাদের ভারতের প্রয়োজন রয়েছে এবং নিজেদের স্বার্থেই আমাদের ভারতকে কাজে লাগাতে হবে।" তিনি বলেন, সার্ক অঞ্চলের সম্ভাবনার অনেক ৰেত্র রয়েছে। এই সম্ভবনাকে দ্রম্নত কাজে লাগাতে সহযোগিতার ৰেত্র সম্প্রসারণ ছাড়া আমাদের সামনে আর কোন পথ খোলা নেই। সার্ক কাঠামোর আওতায় আমরা অন্য কোন অঞ্চল বা ফোরামের সঙ্গে সহযোগিতা বাড়াতে পারি। তিনি বলেন, জাতির কোন বড় ইসু্যতে ৰুদ্র দলীয় চিনত্মা থেকে বেরিয়ে আমরা জনগণের কল্যাণে কাজ করতে চাই। সংসদে দাঁড়িয়ে কথার মাধ্যমে এক দল অন্য দলকে পরাজিত করে স্কোর বাড়ালে তা জনগণের কোন কাজে আসবে না। সকলের আগে আমরা যেন জনগণের স্বার্থকে মাথায় রেখে কাজ করতে পারি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোন সমস্যার সমাধান সরকারের পৰে একা করা সম্ভব হবে না। এ ৰেত্রে বিরোধী দলের সহযোগিতাও প্রয়োজন। তবে অন্ধভাবে ভারত বিরোধিতা করে নিজেদের বন্ধ ঘরে আটকে রাখার অধিকার কারও নেই। এটি নৈতিকভাবে ঠিক কিনা তা প্রশ্ন রাখতে হবে। তিনি বলেন, এক সময় নিরাপত্তার কাল্পনিক হুমকি তুলে আমরা ফাইবার অপটিক কেবলের সঙ্গে যুক্ত হইনি। এ কারণে আমরা প্রায় ৫০ বছর পিছিয়ে গেছি। এর দায়িত্ব কার। এখন আমরা তথ্যপ্রযুক্তির মহাসড়কে অন্যদের পেছনে পেছনে দৌড়াচ্ছি, কিনত্মু তাদের ছুঁতে পারছি না। সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হলে আমাদের এ সকল সঙ্কীর্ণ মানসিকতা পরিহার করতে হবে। তিনি বলেন, বিরোধী দলের সহযোগিতা পেলে শুধু দ্বিপাৰিক নয় আঞ্চলিক সহযোগিতার দ্বার উন্মোচিত হবে। তিনি বলেন, সার্ক ফোরামের আওতায় আশাতীত সাফল্য আসেনি এ কথা সত্য, তবে এখনও অনেক কিছু সম্ভব। সার্কের আওতায় আমরা দৰিণ এশীয় উন্নয়ন তহবিল এবং সার্ক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সক্রিয় উদ্যোগে সহযোগিতার যে পরিবেশ তৈরি হয়েছে তাতে আশাবাদী হওয়ার মতো অনেক কিছু আছে।
হাসানুল হক ইনু বলেন, সার্কের সদস্য রাষ্ট্রগুলো সহযোগিতা নয়, বরং সহঅবস্থানের মধ্যে আছে। তারা সতর্কতার সঙ্গে একটি যুদ্ধবিরতি টিকিয়ে রেখেছে। সার্কের সহযোগিতার সদর দরজা এখনও উন্মোচিত হয়নি। ছোট ছোট কিছু চুক্তির মাধ্যমে কিছু জানালা খুলেছি। তিনি বলেন, আমরা সাম্প্রদায়িকতা, দারিদ্র্য ও আণবিক বোমা_ এ তিন শত্রম্নর ওপর দাঁড়িয়ে আছি। সার্কের সদস্য রাষ্ট্রগুলো বন্ধুবেশে শত্রম্ন শত্রম্ন খেলা খেলছে। এর অবসান হওয়া উচিত। এ জন্য রাজনৈতিক সিদ্ধানত্ম প্রয়োজন। তিনি সার্কের আওতায় পানি ব্যবস্থাপনা, তিসত্মার পানি বণ্টন চুক্তি, টিপাইমুখ বাঁধ এবং যৌথ নিরাপত্তা কাঠামো গড়ে তোলার ওপর গুরম্নত্বারোপ করেন। শফি সামী বলেন, ৰুধা, দারিদ্য্র এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ দৰিণ এশিয়ার দেশগুলোর অভিন্ন শত্রম্ন। এই শত্রম্নকে মোকাবেলায় আমাদের আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়ানো প্রয়োজন। এজন্য আনত্মঃরাষ্ট্রীয় সহযোগিতা সংহত করা প্রয়োজন।
শনিবার জাতীয় প্রেসকাবে সাংবাদিক বজলুর রহমান ফাউন্ডেশন আয়োজিত 'দৰিণ এশিয়ার আঞ্চলিক সহযোগিতা সমস্যা ও সম্ভবনা' শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান খন্দকার ইব্রাহিম খালেদের সভাপতিত্বে সেমিনারে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা সিএম শফি সামি, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু এমপি মোসত্মফা ফারম্নক মোহাম্মদ এমপি, সাবেক রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জমির, ইনাম আহমেদ চৌধুরী, সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. মোসত্মাফিজুর রহমান, নিউএজ সম্পাদক নুরম্নল কবির, নিউজ টুডে সম্পাদক রিয়াজউদ্দিন আহমেদ, বিকেএমইএ সভাপতি ফজলুল হক বক্তৃতা করেন। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাংবাদিক জগলুল আহমেদ চৌধুরী। ডা. দীপু মনি বলেন, "সার্ক কাঠামোর আওতায় সম্ভাবনার সবগুলো জানালাকে আমাদের কাজে লাগাতে হবে। মহাজোট সরকার শুধু ভারত নয়, পুরো দৰিণ এশিয়া অঞ্চলকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে চায়। ভারতের সঙ্গে ঐতিহাসিক সম্পর্ক বজায় রেখে দ্বিপাৰিক ও বহুপাৰিক ফোরামে আমাদের একযোগে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, রাষ্ট্রৰমতায় থাকলে ভারত তোষণ, আর বিরোধী দলে গেলে বিরোধিতার খাতিরে ভারত বিরোধিতা এটি মেনে নেয়া যায় না। প্রতিবেশী দেশ হিসেবে আমাদের ভারতের প্রয়োজন রয়েছে এবং নিজেদের স্বার্থেই আমাদের ভারতকে কাজে লাগাতে হবে।" তিনি বলেন, সার্ক অঞ্চলের সম্ভাবনার অনেক ৰেত্র রয়েছে। এই সম্ভবনাকে দ্রম্নত কাজে লাগাতে সহযোগিতার ৰেত্র সম্প্রসারণ ছাড়া আমাদের সামনে আর কোন পথ খোলা নেই। সার্ক কাঠামোর আওতায় আমরা অন্য কোন অঞ্চল বা ফোরামের সঙ্গে সহযোগিতা বাড়াতে পারি। তিনি বলেন, জাতির কোন বড় ইসু্যতে ৰুদ্র দলীয় চিনত্মা থেকে বেরিয়ে আমরা জনগণের কল্যাণে কাজ করতে চাই। সংসদে দাঁড়িয়ে কথার মাধ্যমে এক দল অন্য দলকে পরাজিত করে স্কোর বাড়ালে তা জনগণের কোন কাজে আসবে না। সকলের আগে আমরা যেন জনগণের স্বার্থকে মাথায় রেখে কাজ করতে পারি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোন সমস্যার সমাধান সরকারের পৰে একা করা সম্ভব হবে না। এ ৰেত্রে বিরোধী দলের সহযোগিতাও প্রয়োজন। তবে অন্ধভাবে ভারত বিরোধিতা করে নিজেদের বন্ধ ঘরে আটকে রাখার অধিকার কারও নেই। এটি নৈতিকভাবে ঠিক কিনা তা প্রশ্ন রাখতে হবে। তিনি বলেন, এক সময় নিরাপত্তার কাল্পনিক হুমকি তুলে আমরা ফাইবার অপটিক কেবলের সঙ্গে যুক্ত হইনি। এ কারণে আমরা প্রায় ৫০ বছর পিছিয়ে গেছি। এর দায়িত্ব কার। এখন আমরা তথ্যপ্রযুক্তির মহাসড়কে অন্যদের পেছনে পেছনে দৌড়াচ্ছি, কিনত্মু তাদের ছুঁতে পারছি না। সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হলে আমাদের এ সকল সঙ্কীর্ণ মানসিকতা পরিহার করতে হবে। তিনি বলেন, বিরোধী দলের সহযোগিতা পেলে শুধু দ্বিপাৰিক নয় আঞ্চলিক সহযোগিতার দ্বার উন্মোচিত হবে। তিনি বলেন, সার্ক ফোরামের আওতায় আশাতীত সাফল্য আসেনি এ কথা সত্য, তবে এখনও অনেক কিছু সম্ভব। সার্কের আওতায় আমরা দৰিণ এশীয় উন্নয়ন তহবিল এবং সার্ক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সক্রিয় উদ্যোগে সহযোগিতার যে পরিবেশ তৈরি হয়েছে তাতে আশাবাদী হওয়ার মতো অনেক কিছু আছে।
হাসানুল হক ইনু বলেন, সার্কের সদস্য রাষ্ট্রগুলো সহযোগিতা নয়, বরং সহঅবস্থানের মধ্যে আছে। তারা সতর্কতার সঙ্গে একটি যুদ্ধবিরতি টিকিয়ে রেখেছে। সার্কের সহযোগিতার সদর দরজা এখনও উন্মোচিত হয়নি। ছোট ছোট কিছু চুক্তির মাধ্যমে কিছু জানালা খুলেছি। তিনি বলেন, আমরা সাম্প্রদায়িকতা, দারিদ্র্য ও আণবিক বোমা_ এ তিন শত্রম্নর ওপর দাঁড়িয়ে আছি। সার্কের সদস্য রাষ্ট্রগুলো বন্ধুবেশে শত্রম্ন শত্রম্ন খেলা খেলছে। এর অবসান হওয়া উচিত। এ জন্য রাজনৈতিক সিদ্ধানত্ম প্রয়োজন। তিনি সার্কের আওতায় পানি ব্যবস্থাপনা, তিসত্মার পানি বণ্টন চুক্তি, টিপাইমুখ বাঁধ এবং যৌথ নিরাপত্তা কাঠামো গড়ে তোলার ওপর গুরম্নত্বারোপ করেন। শফি সামী বলেন, ৰুধা, দারিদ্য্র এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ দৰিণ এশিয়ার দেশগুলোর অভিন্ন শত্রম্ন। এই শত্রম্নকে মোকাবেলায় আমাদের আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়ানো প্রয়োজন। এজন্য আনত্মঃরাষ্ট্রীয় সহযোগিতা সংহত করা প্রয়োজন।
No comments