আওয়ামী লীগের এক লাখ কর্মীর প্রাণ নেয়ার হুমকি শিবিরের
নিষিদ্ধ করা হলে আওয়ামী লীগের এক লাখ কর্মীর প্রাণ নেয়ার হুমকি দিয়েছেন ছাত্রশিবির সভাপতি মুহাম্মদ রেজাউল করিম। রাজধানীতে আয়োজিত এক আলোচনাসভায় রবিবার প্রকাশ্যেই এই হুমকি দিয়েছেন শিবির সভাপতি।
তবে তার হুমকির পর সভায় শিবিরকে মাথা ঠা-া রেখে ধৈর্য ধরার পরামর্শ দেন জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামী। নিজামী বলেন, আমাদের প্রতিশোধের ধরন ভিন্ন। আমাদের প্রতিশোধ হত্যার বদলে হত্যা বা খুনের বদলে খুন নয়। এদিকে রেজাউল করিমের হুমকিকে হঠকারী বক্তব্য হিসেবে অভিহিত করেছেন শিবিরের বিদ্রোহীরা। একই সঙ্গে তারা ঘোষণা দেন, জামায়াতের যুদ্ধাপরাধের দায় শিবির নেবে না।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নিহত সাবেক শিবির সেক্রেটারি শরিফুজ্জামান নোমানীর মৃতু্যবার্ষিকী উদ্যাপন উপলৰে রবিবার রাজধানীর মগবাজারের আল ফালাহ মিলনায়তনে এই আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়েছিল। শিবির সভাপতি রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা মহানগর জামায়াতের আমির রফিকুল ইসলাম খান। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শিবিরের সাবেক সভাপতি মুহম্মদ সেলিম উদ্দিন, বর্তমান কমিটির দফতর সম্পাদক নূর মোহাম্মদ মণ্ডল, প্রচার সম্পাদক আতাউর রহমান সরকার ও অর্থ সম্পাদক সোহেল খান। সভাপতির বক্তব্যে শিবির সভাপতি রেজাউল করিম সরকার আওয়ামী লীগকে রীতিমতো দেখে নেয়ার হুমকি দেন। জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের প্রসঙ্গ তুলে রেজাউল করিম বলেন, সরকারকে বলতে চাই ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ করতে হলে এক লাখ শিবিরকমর্ীর প্রাণের ওপর দিয়ে তা করতে হবে। শিবিরকে নিষিদ্ধ করার আগে আওয়ামী লীগকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়ে রেজাউল করিম বলেন, শিবিরকে নিষিদ্ধ করতে হলে আওয়ামী লীগকেও তাদের এক লাখ কমর্ীর প্রাণ দেয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। শিবিরের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন যত বাড়বে, রাজপথের আন্দোলন ততই কঠোর হবে। শিবিরকর্মীরা জীবন দিতে ভয় পায় না। রেজাউল করিমের হুমকির পর সভার প্রধান অতিথি জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামী শিবিরের নেতাকর্মীদের মাথা ঠা-া রাখার নির্দেশ দেন। নিজামী শিবির নেতাকর্মীদের উদ্দেশ করে বলেন, মাথা ঠা-া রাখো। সর্বোচ্চ ধৈর্যের পরিচয় দিতে হবে। সর্বোচ্চ ছাড় দিয়ে হলেও নিজ নিজ শিৰাঙ্গনকে শানত্ম রাখো। এর পরও যদি কোন অনাকাঙ্ৰিত ঘটনা ঘটে, তবে সবুর (অপেৰা) করতে হবে। সীমা লঙ্ঘনকারীদের অনুসরণ করা যাবে না। নিজামী আরও বলেন, আমাদের প্রতিশোধের ধরন ভিন্ন। আমাদের প্রতিশোধ হত্যার বদলে হত্যা বা খুনের বদলে খুন নয়। তিনি বলেন, যে আদর্শের জন্য আমাদের ঐ ভাই বা সনত্মান জীবন দিল, সে আদর্শকে এই জমিনে প্রতিষ্ঠা করেই আমরা আমাদের প্রতিশোধ নেব।
শিবিরের অবৈধ সভাপতির বক্তব্য হঠকারীমূলক_ বিদ্রোহীরা
সকালে সভায় শিবির সভাপতি রেজাউল করিমের বক্তব্যের পর পরই বিভিন্ন সাংবাদিকের মেইল নম্বরে মেইল পাঠিয়ে এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন সেভ শিবিরের ব্যানারে আন্দোলনরত শিবিরের বিদ্রোহীরা। তারা বলেন, রেজাউল করিম শিবিরের অবৈধ সভাপতি, তার বক্তব্য হঠকারীমূলক। আমরা এই বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানাই। জামায়াতে ও শিবিরকে নিষিদ্ধ করা এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রসঙ্গে বিদ্রোহীরা প্রতিবাদলিপিতে বলেন, হতে পারে জামায়াতের সঙ্গে শিবিরের আদর্শিক মিল, কিন্তু জামায়াতের কোন দায়দায়িত্ব কখনও নেবে না, নিতেও পারে না।
তবে তার হুমকির পর সভায় শিবিরকে মাথা ঠা-া রেখে ধৈর্য ধরার পরামর্শ দেন জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামী। নিজামী বলেন, আমাদের প্রতিশোধের ধরন ভিন্ন। আমাদের প্রতিশোধ হত্যার বদলে হত্যা বা খুনের বদলে খুন নয়। এদিকে রেজাউল করিমের হুমকিকে হঠকারী বক্তব্য হিসেবে অভিহিত করেছেন শিবিরের বিদ্রোহীরা। একই সঙ্গে তারা ঘোষণা দেন, জামায়াতের যুদ্ধাপরাধের দায় শিবির নেবে না।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নিহত সাবেক শিবির সেক্রেটারি শরিফুজ্জামান নোমানীর মৃতু্যবার্ষিকী উদ্যাপন উপলৰে রবিবার রাজধানীর মগবাজারের আল ফালাহ মিলনায়তনে এই আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়েছিল। শিবির সভাপতি রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা মহানগর জামায়াতের আমির রফিকুল ইসলাম খান। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শিবিরের সাবেক সভাপতি মুহম্মদ সেলিম উদ্দিন, বর্তমান কমিটির দফতর সম্পাদক নূর মোহাম্মদ মণ্ডল, প্রচার সম্পাদক আতাউর রহমান সরকার ও অর্থ সম্পাদক সোহেল খান। সভাপতির বক্তব্যে শিবির সভাপতি রেজাউল করিম সরকার আওয়ামী লীগকে রীতিমতো দেখে নেয়ার হুমকি দেন। জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের প্রসঙ্গ তুলে রেজাউল করিম বলেন, সরকারকে বলতে চাই ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ করতে হলে এক লাখ শিবিরকমর্ীর প্রাণের ওপর দিয়ে তা করতে হবে। শিবিরকে নিষিদ্ধ করার আগে আওয়ামী লীগকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়ে রেজাউল করিম বলেন, শিবিরকে নিষিদ্ধ করতে হলে আওয়ামী লীগকেও তাদের এক লাখ কমর্ীর প্রাণ দেয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। শিবিরের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন যত বাড়বে, রাজপথের আন্দোলন ততই কঠোর হবে। শিবিরকর্মীরা জীবন দিতে ভয় পায় না। রেজাউল করিমের হুমকির পর সভার প্রধান অতিথি জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামী শিবিরের নেতাকর্মীদের মাথা ঠা-া রাখার নির্দেশ দেন। নিজামী শিবির নেতাকর্মীদের উদ্দেশ করে বলেন, মাথা ঠা-া রাখো। সর্বোচ্চ ধৈর্যের পরিচয় দিতে হবে। সর্বোচ্চ ছাড় দিয়ে হলেও নিজ নিজ শিৰাঙ্গনকে শানত্ম রাখো। এর পরও যদি কোন অনাকাঙ্ৰিত ঘটনা ঘটে, তবে সবুর (অপেৰা) করতে হবে। সীমা লঙ্ঘনকারীদের অনুসরণ করা যাবে না। নিজামী আরও বলেন, আমাদের প্রতিশোধের ধরন ভিন্ন। আমাদের প্রতিশোধ হত্যার বদলে হত্যা বা খুনের বদলে খুন নয়। তিনি বলেন, যে আদর্শের জন্য আমাদের ঐ ভাই বা সনত্মান জীবন দিল, সে আদর্শকে এই জমিনে প্রতিষ্ঠা করেই আমরা আমাদের প্রতিশোধ নেব।
শিবিরের অবৈধ সভাপতির বক্তব্য হঠকারীমূলক_ বিদ্রোহীরা
সকালে সভায় শিবির সভাপতি রেজাউল করিমের বক্তব্যের পর পরই বিভিন্ন সাংবাদিকের মেইল নম্বরে মেইল পাঠিয়ে এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন সেভ শিবিরের ব্যানারে আন্দোলনরত শিবিরের বিদ্রোহীরা। তারা বলেন, রেজাউল করিম শিবিরের অবৈধ সভাপতি, তার বক্তব্য হঠকারীমূলক। আমরা এই বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানাই। জামায়াতে ও শিবিরকে নিষিদ্ধ করা এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রসঙ্গে বিদ্রোহীরা প্রতিবাদলিপিতে বলেন, হতে পারে জামায়াতের সঙ্গে শিবিরের আদর্শিক মিল, কিন্তু জামায়াতের কোন দায়দায়িত্ব কখনও নেবে না, নিতেও পারে না।
No comments