শেয়ারবাজার থেকে ২২০ কোটি টাকা লুটের আয়োজন করেছে অ্যাপোলো ইস্পাত by সৈয়দ সামসুজ্জামান নীপু
অ্যাপোলো ইস্পাত কমপ্লেক্স লিমিটেড। আগামী মার্চ মাসের ৩ তারিখে
কোম্পানিটির শেয়ারবাজারে আসার জন্য প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিও ইস্যুর
কথা রয়েছে। মাত্র ১০ কোটি শেয়ার ছেড়ে ২২০ কোটি টাকা বাজার থেকে তুলে
নেয়ার মতলবে রয়েছে কোম্পানিটি।
কিন্তু এই কোম্পানির
বিরুদ্ধেই এবার গুরুতর অভিযোগ এনেছেন স্বয়ং অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল
মুহিত। তিনি অ্যাপোলো ইস্পাতের বিরুদ্ধে ‘সম্পদ লুট’ ‘চুরিচামারি’ ও
‘করখেলাপির’ অভিযোগ এনেছেন। তিনি বলেছেন, এটি একটি ‘অচল’ কোম্পানি। এ
পরিস্থিতিতে অ্যাপোলোর আইপিও ইস্যু স্থগিত করার জন্য সিকিউরিটিজ অ্যান্ড
এক্সচেঞ্জ কমিশনকে (এসইসি) পরামর্শ দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। আইপিও স্থগিত
রাখার জন্য একটি চিঠিও অর্থমন্ত্রী গতকাল বুধবার এসইসির চেয়ারম্যানের কাছে
পাঠিয়েছেন। এসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
অভিযোগ রয়েছে, নানা অনিয়মের কারণে এর আগে একবার অ্যাপোলোর আইপিও ছাড়ার প্রস্তাব বাতিল করে দেয় এসইসি। কিন্তু পরে মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে এসইসি কোম্পানিটিকে আইপিও ছাড়ার অনুমতি দেয়। আর এই কোম্পানির ইস্যু ম্যানেজার হয়েছে সরকারি আরেক প্রতিষ্ঠান আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট। কিভাবে আইসিবির মতো একটি প্রতিষ্ঠান অ্যাপোলোর ইস্যু ম্যানেজার হলো তা নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপিত হয়েছে। এখানে মোটা অঙ্কের অর্থের লেনদেন হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ব্যাপারে অর্থমন্ত্রীও ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন বলে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, এসইসি চেয়ারম্যানের কাছে পাঠানো এক পত্রে অর্থমন্ত্রী উল্লেখ করেছেন, ‘অ্যাপোলো ইস্পাত কমপ্লেক্স লিমিটেডের আইপিতে যাওয়ার বিষয়ে আমার কাছে নালিশ এসেছে। নালিশের মোদ্দা কথা হলো এই কোম্পানি বেশ কিছু দিন ধরে অচল এবং আইপিওর মাধ্যমে কিছু সম্পদ লুটের আয়োজন করেছে। আমি শুনেছি যে তারা তাদের প্রতিষ্ঠানের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির দাবিদাওয়া মেটাতে পারে না। বিশেষ করে কোম্পানির সাবেক পরিচালক মোহাম্মদ সিরাজুল হক এ ব্যাপারে আদালতের আশ্রয় নিয়েছেন। তারা রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে করখেলাপি হিসেবেও চিহ্নিত। এ ব্যাপারে সম্ভবত মামলা-মোকদ্দমা চলছে। ’
চিঠিতে অর্থমন্ত্রী আরো উল্লেখ করেছেন, ‘‘এ বিষয়টি বিশেষভাবে আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে, কারণ আমিও এ ধরনের জালিয়াতির শিকার হয়েছি। আপনাদের হয়তো খেয়াল আছে যে, নব্বইয়ের দশকের মধ্যভাগে ‘এমএকিউ’ নামক একটি বদমায়েশ প্রতিষ্ঠান অনেক প্রিমিয়ামসহ আইপিওতে যায়। আমার দুর্ভাগ্য যে, আমি লটারিতে তাদের কিছু শেয়ার পেয়েছিলাম এবং খরিদও করেছিলাম। আমার মনে হচ্ছে যে এই অ্যাপোলো ইস্পাত কমপ্লেক্সটিও একই ধরনের একটি প্রতিষ্ঠান। তাই আমার পরামর্শ হবে যে এই আইপিও ইস্যু আপাত স্থগিত রেখে এ বিষয়ে আপনারা তদন্ত করুন।’’
অ্যাপোলো কোম্পানির ব্যাপারে চার ধরনের তদন্ত করার জন্যও পরামর্শ দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। এগুলো হলো-১. তাদের (অ্যাপোলো) বিতাড়িত পরিচালক বা শেয়ার হোল্ডারদের স্বার্থ। ২. রাজস্ব বোর্ডের কাছে তাদের দেনা। ৩. লোকাল এলসির মাধ্যমে তারা কি রকম চুরিচামারি করেছে সে ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে কিছু তথ্য সংগ্রহ করা এবং ৪. প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান ব্যবসায়ের হিসাবনিকাশ করা।
অর্থমন্ত্রীর এই চিঠির অনুলিপি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, এনবিআর চেয়ারম্যান, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব এবং আইসিবির এমডির কাছেও পাঠনো হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট এক সূত্র জানিয়েছে।
এ দিকে আইপিও প্রস্তাবে দেখা যায়, অ্যাপোলো ইস্পাত সিআর কয়েল তৈরি করে। কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন দেখানো হয়েছে ৫০০ কোটি টাকা। প্রাক-আইপিও পরিশোধিত মূলধন ১৫০ কোটি টাকা। ১০ কোটি শেয়ার ছাড়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। শেয়ারের ফেস ভ্যালুতে আইপিও সাইজ ১০০ কোটি টাকা। এর সাথে ১২ টাকা প্রিমিয়ামযুক্ত করে অফার প্রাইস নির্ধারণ করা হয়েছে ২২০ কোটি টাকা। ১০ টাকার ফেস ভ্যালু শেয়ারের সাথে ১২ টাকা অতিরিক্ত প্রিমিয়াম যুক্ত করা হয়েছে। ফলে প্রতি শেয়ারের দাম হবে ২২ টাকা। মার্কেট লট ২০০টি এবং এক লটের মূল্য চার হাজার ৪০০ টাকা। এখানে ১০ কোটি শেয়ার ছেড়ে বাজার থেকে তুলে নেয়া হবে ২২০ কোটি টাকা। গত বছরের ৩০ জুনে কোম্পানির শেয়ারপিছু আয় দেখানো হয়েছে দুই টাকা ৩৬ পয়সা। তেজগাঁও শিল্প এলাকায় এদের অফিস রয়েছে এবং কোম্পানির শিল্পকারখানা চট্টগ্রামে রয়েছে বলে জানা গেছে।
অভিযোগ রয়েছে, নানা অনিয়মের কারণে এর আগে একবার অ্যাপোলোর আইপিও ছাড়ার প্রস্তাব বাতিল করে দেয় এসইসি। কিন্তু পরে মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে এসইসি কোম্পানিটিকে আইপিও ছাড়ার অনুমতি দেয়। আর এই কোম্পানির ইস্যু ম্যানেজার হয়েছে সরকারি আরেক প্রতিষ্ঠান আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট। কিভাবে আইসিবির মতো একটি প্রতিষ্ঠান অ্যাপোলোর ইস্যু ম্যানেজার হলো তা নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপিত হয়েছে। এখানে মোটা অঙ্কের অর্থের লেনদেন হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ব্যাপারে অর্থমন্ত্রীও ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন বলে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, এসইসি চেয়ারম্যানের কাছে পাঠানো এক পত্রে অর্থমন্ত্রী উল্লেখ করেছেন, ‘অ্যাপোলো ইস্পাত কমপ্লেক্স লিমিটেডের আইপিতে যাওয়ার বিষয়ে আমার কাছে নালিশ এসেছে। নালিশের মোদ্দা কথা হলো এই কোম্পানি বেশ কিছু দিন ধরে অচল এবং আইপিওর মাধ্যমে কিছু সম্পদ লুটের আয়োজন করেছে। আমি শুনেছি যে তারা তাদের প্রতিষ্ঠানের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির দাবিদাওয়া মেটাতে পারে না। বিশেষ করে কোম্পানির সাবেক পরিচালক মোহাম্মদ সিরাজুল হক এ ব্যাপারে আদালতের আশ্রয় নিয়েছেন। তারা রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে করখেলাপি হিসেবেও চিহ্নিত। এ ব্যাপারে সম্ভবত মামলা-মোকদ্দমা চলছে। ’
চিঠিতে অর্থমন্ত্রী আরো উল্লেখ করেছেন, ‘‘এ বিষয়টি বিশেষভাবে আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে, কারণ আমিও এ ধরনের জালিয়াতির শিকার হয়েছি। আপনাদের হয়তো খেয়াল আছে যে, নব্বইয়ের দশকের মধ্যভাগে ‘এমএকিউ’ নামক একটি বদমায়েশ প্রতিষ্ঠান অনেক প্রিমিয়ামসহ আইপিওতে যায়। আমার দুর্ভাগ্য যে, আমি লটারিতে তাদের কিছু শেয়ার পেয়েছিলাম এবং খরিদও করেছিলাম। আমার মনে হচ্ছে যে এই অ্যাপোলো ইস্পাত কমপ্লেক্সটিও একই ধরনের একটি প্রতিষ্ঠান। তাই আমার পরামর্শ হবে যে এই আইপিও ইস্যু আপাত স্থগিত রেখে এ বিষয়ে আপনারা তদন্ত করুন।’’
অ্যাপোলো কোম্পানির ব্যাপারে চার ধরনের তদন্ত করার জন্যও পরামর্শ দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। এগুলো হলো-১. তাদের (অ্যাপোলো) বিতাড়িত পরিচালক বা শেয়ার হোল্ডারদের স্বার্থ। ২. রাজস্ব বোর্ডের কাছে তাদের দেনা। ৩. লোকাল এলসির মাধ্যমে তারা কি রকম চুরিচামারি করেছে সে ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে কিছু তথ্য সংগ্রহ করা এবং ৪. প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান ব্যবসায়ের হিসাবনিকাশ করা।
অর্থমন্ত্রীর এই চিঠির অনুলিপি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, এনবিআর চেয়ারম্যান, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব এবং আইসিবির এমডির কাছেও পাঠনো হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট এক সূত্র জানিয়েছে।
এ দিকে আইপিও প্রস্তাবে দেখা যায়, অ্যাপোলো ইস্পাত সিআর কয়েল তৈরি করে। কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন দেখানো হয়েছে ৫০০ কোটি টাকা। প্রাক-আইপিও পরিশোধিত মূলধন ১৫০ কোটি টাকা। ১০ কোটি শেয়ার ছাড়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। শেয়ারের ফেস ভ্যালুতে আইপিও সাইজ ১০০ কোটি টাকা। এর সাথে ১২ টাকা প্রিমিয়ামযুক্ত করে অফার প্রাইস নির্ধারণ করা হয়েছে ২২০ কোটি টাকা। ১০ টাকার ফেস ভ্যালু শেয়ারের সাথে ১২ টাকা অতিরিক্ত প্রিমিয়াম যুক্ত করা হয়েছে। ফলে প্রতি শেয়ারের দাম হবে ২২ টাকা। মার্কেট লট ২০০টি এবং এক লটের মূল্য চার হাজার ৪০০ টাকা। এখানে ১০ কোটি শেয়ার ছেড়ে বাজার থেকে তুলে নেয়া হবে ২২০ কোটি টাকা। গত বছরের ৩০ জুনে কোম্পানির শেয়ারপিছু আয় দেখানো হয়েছে দুই টাকা ৩৬ পয়সা। তেজগাঁও শিল্প এলাকায় এদের অফিস রয়েছে এবং কোম্পানির শিল্পকারখানা চট্টগ্রামে রয়েছে বলে জানা গেছে।
No comments