সংসদীয় আসন তছনছ

সংলাপে আওয়ামী লীগের প্রেসকিপশন, প্রভাবশালীদের তদবির এবং নির্বাচন কমিশনের কমিশনারদের মতের আলোকে জাতীয় সংসদের আসনসীমানা পুনর্বিন্যাস করা হলো।
সংলাপে অন্য সব পক্ষের দেয়া মতামত উপেক্ষা করে ৮৭টি সংসদীয় আসনে ব্যাপক বা আংশিক পরিবর্তন এনে সেসব আসনের সীমানা নির্ধারণের খসড়া প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ খসড়ায় জেলাওয়ারি আসন সংখ্যায় কোনো পরির্বতন না এলেও অভ্যন্তরীণ পরিবর্তন এসেছে ব্যাপক। কোনো আইনের তোয়াক্কা না করে, জনসংখ্যা বা ভোটার বৃদ্ধির বিষয়কে গুরুত্ব না দিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে অধিকাংশ আসনে পরিবর্তন আনা হয়েছে। সন্ধ্যা ৬টায় জানা যায়, ৩০০ সংসদীয় আসনের মধ্যে ৮৭টি আসনের সীমানার পরিবর্তন আনা হচ্ছে। খসড়া তালিকা গেজেট আকারে প্রকাশের জন্য ইতোমধ্যে বিজি প্রেসে পাঠানো হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ বলেছেন, ‘কিছু সংশোধনের কাজ চলছে। ২০০৮-এর ক’টি আসনে পরিবর্তন হয়েছে সংখ্যাটা এখন বলতে পারছি না। যোগ করে পরে তা জানানো হবে।’

শেরেবাংলা নগরস্থ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সম্মেলন কক্ষে পৌনে তিন ঘণ্টা বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই অপারগতার কথা জানান। গত এক বছরে দফায় দফায় মিটিং এবং গতকাল তিন ঘণ্টা কমিশন সভা করেও আনুষ্ঠানিক ব্রিফিংয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) পুনর্বিন্যাসিত আসনের সংখ্যার তথ্য জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তিনি জানান, ৩০০ সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণসংক্রান্ত খসড়া প্রকাশের পর ১০ মার্চের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে এ বিষয়ে দাবি বা আপত্তি তোলা যাবে। তিনি জানান, ঢাকাসহ কোনো জেলাপর্যায়ের আসন সংখ্যায় কোনো পরিবর্তন আসছে না। তিনি বলেন, আমরা ৩০০ আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ করেছি। এর প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ হয়েছে। প্রশাসনিক সুবিধা, আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও জনসংখ্যার বিভাজনকে প্রাধান্য দিয়ে তা করা হয়েছে। এগুলো একটু দেখে তা গেজেটে প্রকাশ করা হবে।

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, আসন পরিবর্তনে প্রভাবশালী মহলের তদবির এবং কমিশনের আঞ্চলিকতাকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। এতে সীমানা নির্ধারণ অধ্যাদেশ ১৯৭৬-এর বিধিবিধানের ব্যাপক লঙ্ঘন হয়েছে। বুধবার রাতে এই খসড়ার ১০ হাজার কপি গেজেট করার জন্য বিজি প্রেসে পাঠানো হয়েছে। যদিও প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ বেলা ২টার সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, যে কেউ এই খসড়া বিন্যাস নিয়ে ১০ মার্চের মধ্যে কমিশনে আপত্তি দাখিল করতে পারবেন। আপত্তির বিষয়ে শুনানির এ আসন বিন্যাস চূড়ান্ত করা হবে। সিইসি দাবি করেছেন, প্রশাসনিক সুবিধা, আঞ্চলিক অখণ্ডতা এবং জনসংখ্যা বিভাজনের পরিপ্রেক্ষিতে সীমানা নির্ধারণের খসড়া প্রকাশ করা হয়েছে। যদিও ওই সময় সিইসি কতটি আসনে বিন্যাস হয়েছে তার কোনো তথ্য দিতে পারেনি। নানা নাটকীয়তার পর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সীমানা বিন্যাসের খসড়া গণমাধ্যমকে দেয়া হয়। কোনো কারণ ছাড়া সাবেক সিইসি ড. এ টি এম শামসুল হুদার করা সীমানা পরিবর্তন করে পূর্বের সীমানায় ফিরে গেছে কমিশন।

জানা জানায়, ১৯৭৬ সালের সীমানা পুনর্নির্ধারণ অধ্যাদেশ অনুসারে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন জাতীয় সংসদের ৩০০টি নির্বাচনী এলাকার সীমানা পুনর্নির্ধারণ করে একটি চূড়ান্ত তালিকা গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়। ১৯৭৩ সালে বৃহত্তর ঢাকা জেলায় সংসদীয় আসন ছিল ৩০টি। ১৯৭৯ সালে শুধু ঢাকা জেলায় সংসদীয় আসন ছিল ১১টি। ১৯৮৬ সালে দু’টি আসন বৃদ্ধি করা হয়। ফলে ২০০১ সাল পর্যন্ত ঢাকা জেলার আসন ছিল ১৩টি। কিন্তু ২০০৮ সালে বিগত নির্বাচন কমিশন হঠাৎ করেই আইন উপো করে ঢাকা জেলায় ৭টি সংসদীয় আসন বৃদ্ধি করে। ফলে বর্তমানে ঢাকা জেলায় আসন সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০টিতে। ২০০১ সালে যেখানে ঢাকা মহানগরীতে সংসদীয় আসন ছিল ১০টি, ২০০৮ সালে তা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ১৫টিতে। ঢাকার মিরপুরের একটি আসনকে তখন ভেঙে তিনটি করা হয়। ঢাকার বিদ্যমান ১৫টি সংসদীয় আসন বহাল অথবা বাড়ানো হলে বড় ধরনের বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ অধ্যাদেশ ১৯৭৬ এর ৬ (২) এ বলা আছে, নির্বাচনী এলাকাগুলোর

সীমানা, প্রশাসনিক সুবিধার বিষয় বিবেচনাক্রমে, এমনভাবে চিহ্নিত করতে হবে, যাতে প্রতিটি নির্বাচনী এলাকাই একেকটি নিবিড় এলাকা হয়। এটা করার সময়ে সর্বশেষ আদমশুমারি রিপোর্ট প্রদত্ত জনসংখ্যা বণ্টনের বিষয় যত দূর সম্ভব যথাযথভাবে বিবেচনায় রাখতে হবে। এর পরও প্রশাসনিক সুযোগ-সুবিধা ও ভৌগোলিক অখণ্ডতা বিবেচনা না করে বিগত কমিশন একতরফাভাবে জনসংখ্যার ভিত্তিতে ঢাকার আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করেছিল।

অনুসন্ধানে জানা যায়, ক্ষমতাসীন মহাজোট সরকারের প্রধান দল আওয়ামী লীগসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল ২০০৮ সালের আসন সীমানাকে ঠিক রাখার জন্য প্রস্তাব দেয়। সংলাপে বিএনপি, জামায়াত জোটের কেউ অংশ না নিলেও অন্যান্য নিবন্ধিত দাবি ছিল ২০০১ সালের আসন বিন্যাসকে ভিত্তি কিন্তু সিইসি গতকাল সংবাদ সম্মেলনে ভুল তথ্য প্রদান করেন। তিনি জানান, বেশির ভাগ দল ও সুশীলসমাজ ২০০৮ সালের আসন সীমানাকে ঠিক রেখে পুনর্বিন্যাসের প্রস্তাব দিয়েছিল সেই প্রস্তাবনাকে ধরেই তারা এই বিন্যাস করেছেন।

ঢাকার নতুন আসন বিন্যাস : ঢাকা জেলার ২০টি আসনেও ব্যাপক পরিবর্তন এনেছে ইসি। অথচ রাজনৈতিক দলের সাথে সংলাপে সবার দাবি ছিল ঢাকার বিদ্যমান আসন বহাল রাখা। খসড়া প্রকাশে রাজনৈতিক দলের মতামতের তোয়াক্কাই করেনি ইসি। ইসির খসড়ায় নবাবগঞ্জ-দোহার উপজেলার পরিবর্তে শুধু দোহার উপজেলাকে নিয়ে ঢাকা-১ আসন করা হয়েছে। নবাবগঞ্জ উপজেলা নিয়ে ঢাকা-২ আসন করা হয়েছে। কেরানীগঞ্জ উপজেলা নিয়ে ঢাকা-৩ আসন করা হয়েছে। বিদ্যমান সীমানায় ঢাকা-২ এর কেরানীগঞ্জ উপজেলার ৫টি ইউনিয়নকে ঢাকা-৩ এ দেয়া আছে।

এ ছাড়া ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড ২৩, ২৫, ৫৫, ৫৬ এবং কামরাঙ্গীরচর ও হাজারীবাগ থানার সুলতানগঞ্জ ইউনিয়ন নিয়ে ঢাকা-৪ আসন করা হয়েছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২৪, ২৬, ২৭, ২৮, ২৯, ৩০, ৩১, ৩২, ৩৩, ৩৪, ৩৫, ৩৬ ও ৩৭ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে ঢাকা-৬ আসন করা হয়েছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৫১ থেকে ৫৪ নম্বর ওয়ার্ড এবং শ্যামপুর ও ধনিয়া ইউনিয়ন নিয়ে ঢাকা-৮ আসন করা হয়েছে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১৭, ১৮, ২১, ২২ ও ২৩ নম্বর ওয়ার্ড এবং বাড্ডা, বেরাঈদ, সাঁতারকূল ও ভাটারা ইউনিয়ন নিয়ে ঢাকা-১২ আসন করা হয়েছে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১৯, ২০, ২৪, ২৫, ২৬, ২৭, ৩৫ এবং ৩৬ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে ঢাকা-১৩ আসন গঠন করা হয়েছে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৯, ১০, ২৮, ২৯, ৩০, ৩১, ৩২, ৩৩ ও ৩৪ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে ঢাকা-১৪ আসন করা হয়েছে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৭, ৮, ১১, ১২, ১৩ এবং সাভার উপজেলার কাউন্দিয়া ইউনিয়ন নিয়ে ঢাকা-১৫ আসন করা হয়েছে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৪, ১৪, ১৫ ও ১৬ নম্বর ওয়ার্ড এবং ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড এলাকা নিয়ে ঢাকা-১৬ আসন করা হয়েছে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১ নম্বর ওয়ার্ড, উত্তরা, তুরাগ, বিমানবন্দর, উত্তরখান, দক্ষিণ খান, হরিরামপুর এবং ডুমনি ইউনিয়ন নিয়ে ঢাকা-১৮ আসন করা হয়েছে। কাউন্দিয়া ইউনিয়ন ছাড়া সাভার উপজেলা নিয়ে ঢাকা-১৯ আসন গঠন করা হয়েছে।

সারা দেশের আসন বিন্যাস : গঙ্গাচরা উপজেলা নিয়ে করা হয়েছে রংপুর-১ আসন। এ আসন থেকে রংপুর সদর উপজেলার তিনটি ইউনিয়ন বাদ দেয়া হয়েছে। রংপুর সদর উপজেলা নিয়ে করা হয়েছে রংপুর-৩ আসন। কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা, রাজারহাট উপজেলা এবং ফুলবাড়ী উপজেলা নিয়ে করা হয়েছে কুড়িগ্রাম-২ আসন। সাহেবের আলগা ইউনিয়ন ছাড়া উলিপুর উপজেলা, অষ্টমীরচর ও নয়ারহাট ইউপি ছাড়া চিলমারী উপজেলা নিয়ে করা হয়েছে কুড়িগ্রাম-৩ আসন। রৌমারী ও রাজীবপুর উপজেলা, চিলমারীর অষ্টমীরচর ও নয়ারহাট ইউপি এবং উলিপুর উপজেলার সাহেবের আলগা ইউনিয়ন নিয়ে করা হয়েছে কুড়িগ্রাম-৪ আসন। সারিয়াকান্দি এবং সোনাতলা উপজেলা নিয়ে বগুড়া-১ আসন। শেরপুর ও ধুনট উপজেলা নিয়ে করা হয়েছে বগুড়া-৫ আসন। সাঁথিয়া উপজেলা নিয়ে করা হয়েছে পাবনা-১ আসন। সুজানগর ও বেড়া উপজেলা নিয়ে করা হয়েছে পাবনা-২ আসন। আলমডাঙ্গা এবং চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নিয়ে করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গা-১ আসন। দামুরহুদা এবং জীবননগর উপজেলা নিয়ে করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গা-২ আসন। যশোর সদর উপজেলা নিয়ে করা হয়েছে যশোর-৩ আসন। বাগারপাড়া উপজেলা নিয়ে করা হয়েছে যশোর-৪ আসন। মনিরামপুর ও অভয়নগর উপজেলা নিয়ে করা হয়েছে যশোর-৫ আসন। কেশবপুর উপজেলা নিয়ে করা হয়েছে যশোর-৬ আসন। বটিয়াঘাটা ও দাকোপ উপজেলা নিয়ে করা হয়েছে খুলনা-১ আসন। দীঘলিয়া রূপসা ও তেরখাদা উপজেলা নিয়ে করা হয়েছে খুলনা-৪ আসন। ফুলতলা ও ডুমুরিয়া উপজেলা নিয়ে করা হয়েছে খুলনা-৫ আসন। কয়রা ও পাইকগাছা উপজেলা নিয়ে করা হয়েছে খুলনা-৬ আসন। আশাশুনি ও দেবহাটা উপজেলা নিয়ে করা হয়েছে সাতক্ষীরা-৩ আসন। শ্যামনগর ও কালীগঞ্জ উপজেলা নিয়ে করা হয়েছে সাতক্ষীরা-৪ আসন। পটুয়াখালী সদর, মির্জাগঞ্জ ও দুমকী উপজেলা নিয়ে করা হয়েছে পটুয়াখালী-১ আসন। বাউফল উপজেলা নিয়ে করা হয়েছে পটুয়াখালী-২ আসন। দশমিনা ও গলাচিপা উপজেলা নিয়ে করা হয়েছে পটুয়াখালী-৩ আসন। পিরোজপুর সদর, নাজিরপুর ও নেছারাবাদ উপজেলা নিয়ে করা হয়েছে পিরোজপুর-১ আসন। কাউখালী, ভাণ্ডারিয়া ও জিয়ানগর উপজেলা নিয়ে করা হয়েছে পিরোজপুর-২ আসন। মঠবাড়িয়া উপজেলা নিয়ে করা হয়েছে পিরোজপুর-৩ আসন। টাঙ্গাইল সদর ও দেলদুয়ার উপজেলা নিয়ে করা হয়েছে টাঙ্গাইল-৫ আসন। নাগরপুর উপজেলা নিয়ে করা হয়েছে টাঙ্গাইল-৬ আসন। ইসলামপুর উপজেলা নিয়ে করা হয়েছে জামালপুর-২ আসন। মাদারগঞ্জ ও মেলান্দহ উপজেলা নিয়ে করা হয়েছে জামালপুর-৩ আসন। সরিষাবাড়ী উপজেলা নিয়ে করা হয়েছে জামালপুর-৪ আসন। জামালপুর সদর উপজেলা নিয়ে করা হয়েছে জামালপুর-৫ আসন। ফুলপুর ও তারাকান্দা উপজেলা নিয়ে করা হয়েছে ময়মনসিংহ-২ আসন। গৌরীপুর উপজেলা নিয়ে করা হয়েছে ময়মনসিংহ-৩ আসন। ময়মনসিংহ সদর উপজেলা নিয়ে করা হয়েছে ময়মনসিংহ-৪ আসন। নেত্রকোনা সদর ও বারহাট্টা উপজেলা নিয়ে করা হয়েছে নেত্রকোনা-২ আসন। পূর্বধলা উপজেলা নিয়ে করা হয়েছে নেত্রকোনা-৫ আসন। সিঙ্গাইর ও হরিরামপুর উপজেলা নিয়ে করা হয়েছে মানিকগঞ্জ-২ আসন। মানিকগঞ্জ সদর ও সাটুরিয়া উপজেলা নিয়ে করা হয়েছে মানিকগঞ্জ-৩ আসন। আমদিয়া, পাঁচদোনা ও মেহেরপাড়া ইউপি বাদ দিয়ে নরসিংদী সদর উপজেলা নিয়ে করা হয়েছে নরসিংদী-১ আসন। আমদিয়া, পাঁচদোনা ও মেহেরপাড়া ইউপি ও পলাশ উপজেলা নিয়ে করা হয়েছে নরসিংদী-২ আসন। শিবপুর উপজেলা নিয়ে করা হয়েছে নরসিংদী-৩ আসন। রায়পুরা উপজেলা নিয়ে করা হয়েছে নরসিংদী-৫ আসন। বন্দর উপজেলার সিটি করপোরেশন অন্তভুক্ত ১৯ থেকে ২৭ ওয়ার্ড ও সোনারগাঁও উপজেলা নিয়ে করা হয়েছে নারায়ণগঞ্জ-৩ আসন। নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লা, কুতুবপুর, এনায়েতনগর, কাশিপুর, বক্তাবলী, আলীরটেক ও গোগনগর ইউপি নিয়ে করা হয়েছে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসন। নারায়ণগঞ্জ সিটির ১ থেকে ১৮ ওয়ার্ড নিয়ে করা হয়েছে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন। নগরকান্দা ও সালথা উপজেলা নিয়ে করা হয়েছে ফরিদপুর-২ আসন। ভাঙ্গা, চরভদ্রাসন ও সদরপুর উপজেলা নিয়ে করা হয়েছে ফরিদপুর-৪ আসন। নড়িয়া ও ভেদরগঞ্জ উপজেলা নিয়ে করা হয়েছে শরীয়তপুর-২ আসন। ডামুড্যা ও গোসাইরহাট উপজেলা নিয়ে করা হয়েছে শরীয়তপুর-৩ আসন। সুনামগঞ্জ সদর ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নিয়ে করা হয়েছে সুনামগঞ্জ-৪ আসন। ছাতক ও দোয়ারা বাজার উপজেলা নিয়ে করা হয়েছে সুনামগঞ্জ-৫ আসন। বিশ্বনাথ ও বালাগঞ্জ উপজেলা নিয়ে করা হয়েছে সিলেট-২ আসন। দক্ষিণ সুরমা ও ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা নিয়ে করা হয়েছে সিলেট-৩ আসন। কুলাউড়া উপজেলা নিয়ে করা হয়েছে মৌলভীবাজার-৩ আসন। শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ উপজেলা নিয়ে করা হয়েছে মৌলভীবাজার-৪ আসন। নাসিরনগর উপজেলা নিয়ে করা হয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসন। সরাইল ও আশুগঞ্জ উপজেলা নিয়ে করা হয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ও বিজয়নগর উপজেলা নিয়ে করা হয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসন। নবীনগর উপজেলা নিয়ে করা হয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসন। বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নিয়ে করা হয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসন। কুমিল্লা আদর্শ সদর (সিটি করপোরেশনের ১ থেকে ১৮ নম্বর ওয়ার্ড) নিয়ে কুমিল্লা-৬ আসন। চান্দিনা ও বরুড়া উপজেলার দক্ষিণ খোশবাস, উত্তর খোশবাস, চিতড্ডা ও আগানগর ইউনিয়ন নিয়ে করা হয়েছে কুমিল্লা-৭ আসন। দক্ষিণ খোশবাস, উত্তর খোশবাস, চিতড্ডা ও আগানগর ইউনিয়ন বাদ দিয়ে বরুডা উপজেলা ও কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা ( সিটি করপোরেশনের ১৯ থেকে ২৭ নম্বর ওযার্ড নিয়ে করা হয়েছে কুমিল্লা-৮ আসন। নাঙ্গলকোট উপজেলা নিয়ে করা হয়েছে কুমিল্লা-১০ আসন। কচুয়া উপজেলা নিয়ে করা হয়েছে চাঁদপুর-১ আসন। মতলব উত্তর ও দিক্ষণ উপজেলা নিয়ে করা হয়েছে চাঁদপুর-২ আসন। রায়পুর উপজেলা ও লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার উত্তর হামছাদী, দক্ষিণ হামছাদী, দালালবাজার, চররুহীতা, পার্বতীনগর, শাকচর, টুমচর, চর রমণীমহন ইউপি নিয়ে করা হয়েছে লক্ষ্মীপুর-২ আসন। উত্তর হামছাদী, দক্ষিণ হামছাদী, দালালবাজার, চররুহীতা, পার্বতীনগর, শাকচর, টুমচর, চর রমণীমহন ইউপি বাদে লক্ষ্মীপুর উপজেলা নিয়ে করা হয়েছে লক্ষ্মীপুর-৩ আসন। হাটহাজারী উপজেলা ও সিটি করপোরেশনের ১ ও ২ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে করা হয়েছে চট্টগ্রাম-৫ আসন। রাউজান উপজেলা নিয়ে করা হয়েছে চট্টগ্রাম-৬ আসন। চন্দনাইশ ও সাতকানিয়া উপজেলার কেওচিয়া, কালিয়াইশ, বাজালিয়া, ধর্মপুর ও পুরানগড় ইউপি নিয়ে করা হয়েছে চট্টগ্রাম-১৪ আসন। লোহাগাড়া উপজেলা ও সাতকানিয়ার কেওচিয়া, কালিয়াইশ, বাজালিয়া, ধর্মপুর ও পুরানগড় ইউপি বাদে করা হয়েছে চট্টগ্রাম-১৫ আসন।

রাজনৈতিক বিতর্কের মুখে এই কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবে কি না জানতে চাইলে সিইসি বলেন, আমি আশাবাদী মানুষ। ইনশাআল্লাহ, আমরা একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্রাচন করতে সক্ষম হবো। আমাদের এখানে অনেক প্রবীণ রাজনীতিবিদ রয়েছেন, তারা জনগণের নার্ভ বুঝেন। জনগণ শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চায়। সবার অংশগ্রহণে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারব আশা করি।

গতকাল বুধবার এই কমিশনের এক বছর পূর্ণ হচ্ছে। সীমানা পুনর্নির্ধারণ নিয়ে সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত কমিন সংলাপ করেছে রাজনৈতিক দল, সুশীলসমাজ, এনজিও এবং গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সাথে।
       

No comments

Powered by Blogger.