শিশুকে চিনুন by রুবী জেসিকা নূর
এক হৃদিকার মন খারাপ, লেখাপড়ায় মন বসছে না। কাউকে কিছু বলতেও পারছে না
কি হয়েছে। কারণ তার অনেক লজ্জা লাগছে, অপমানিত বোধ করছে।
বন্ধু সুদীপ্তার
সামনে তাকে আম্মু খুব বকেছে। আম্মু হৃদিকাকে পাঠ্যবই থেকে একটা প্রশ্ন
করেছিলেন তার উত্তর সে দিতে পারেনি, কিন্তু সুদীপ্তা দিতে পেরেছে। দুই
বিনতি খুব চুপচাপ, ভীতু স্বভাবের মেয়ে। তারই চাচাত বোন সেজুতি তাদের বাসায়
আসে। বিনতির মা তার সাথে কথা বলে মজা পান। রাগের মাথায় বিনতির মা সেদিন
বিনতিকে বলে ফেললেন। তুমি এমন কেন? সব সময় চুপচাপ, কথা বল না, কাজ করতে
দিলে কাজ করতে পার না। দেখ তো সেজুতি কি সুন্দর করে কথা বলে, কি সুন্দর করে
কাজ করে, ওর মতো হতে পার না।
উপরের দুটি ঘটনা প্রায় অহরহই সব পরিবারে দেখা যায়। যার প্রভাবটা অনেক সময় ছেলেমেয়ের ওপর বিকট আকার ধারণ করে। তবে একটু সচেতন হলে এই সমস্যার সমাধান খুব সহজেই করা যায়। হয়ত অনেক মা-বাবার মাথায় কথাটা আসতে পারে যে, আমরা তো এমন ছিলাম না। এ পৃথিবীতে সবাই এক রকম হয় না। সৃষ্টিকর্তা সব মানুষকেই বুদ্ধি দিয়েছেন, তবে কাউকে বেশি কাউকে কম। সবার স্বভাব এক রকম হয় না। কেউবা সাহসী, কেউবা ভীতু। প্রথম ঘটনাটা পড়লে দেখা যায়, বাচ্চাটা হয়তবা পারত_ সে অন্যমনস্ক ছিল বা সে হয়ত ভুলে গেছে। সেটা আপনার নিজেকে বের করতে হবে। যদি দেখা যায় আপনার শিশুর মেধা বা বুদ্ধি কম তাতে চিনত্মার কিছু নেই। তাকে ভাল ভাল বই পড়তে উৎসাহী করম্নন। ছোট, ছোট অঙ্ক সমাধান করতে দিন। এই আধুনিক যুগে বিভিন্ন ধরনের গেমস বের হয়েছে_ যা আপনার বাচ্চার মেধা বিকাশে সহায়তা করতে পারে। বাচ্চাকে অনুশীলন করতে উৎসাহী করম্নন। দেখবেন ধীরে ধীরে আপনার ছেলেমেয়ের প্রতিভা বিকশিত হওয়া শুরম্ন করবে। তার মধ্যে আত্মবিশ্বাস বাড়বে। অন্যের সামনে এভাবে মারধর করে, অপমান করে কিছু হবে না, বরং হিতে বিপরীত হবে। হয়তবা লেখাপড়ার প্রতি তার আগ্রহই কমে যাবে। তাই নিজের ছেলেমেয়েকে বোঝার চেষ্টা করম্নন। বন্ধুসুলভ আচরণ করম্নন। তবে এই নয় যে, সে বাড়াবাড়ি করলে আপনি তাকে আহাদ করবেন। সময় মতো শাসনও আপনাকে করতে হবে। এবার আসা যাক দ্বিতীয় ঘটনায়। কখনও সবকিছুতে একজনের সঙ্গে অন্যজনের তুলনা করতে যাবেন না। আমরা একেকজন একেক পরিবার, পরিবেশে বড় হই। কারও পরিবারের সদস্য সংখ্যা বেশি, কারও কম। আর পরিবারের বড় সনত্মান হলে কম বয়সে পরিপক্ব হওয়াটা স্বাভাবিক। হয়তবা আপনার সনত্মান পরিবারের ছোট, সে সব সময় ছোটই থাকতে চায়। একটু বড় হলে হয়তবা নিজেই নিজের দায়িত্ব বুঝতে পারবে। একটু ধৈর্য ধরম্নন। এভাবে অন্যের সঙ্গে তুলনা করলে সে নিজের আত্মবিশ্বাস হারাতে পারে, হয়তবা তার মধ্যে নিজের প্রতি ঘৃণার সৃষ্টি হতে পারে। পরবর্তী জীবনে সে হয়ে উঠতে পারে হিংস্র। তখন হয়ত আপনার কথাও তাকে ভাল করতে পারবে না অনেক দেরি হয়ে যাবে। হয়ত সে বিপথগামী হবে। তখন আপনার নিজেকে দোষ দেয়া ছাড়া আর কিছুই করার থাকবে না। কারণ ছেলেমেয়ের লালন-পালনের, তাদের মনমানসিকতা গঠনের দায়িত্ব তো মা-বাবারই হয়।
উপরের দুটি ঘটনা প্রায় অহরহই সব পরিবারে দেখা যায়। যার প্রভাবটা অনেক সময় ছেলেমেয়ের ওপর বিকট আকার ধারণ করে। তবে একটু সচেতন হলে এই সমস্যার সমাধান খুব সহজেই করা যায়। হয়ত অনেক মা-বাবার মাথায় কথাটা আসতে পারে যে, আমরা তো এমন ছিলাম না। এ পৃথিবীতে সবাই এক রকম হয় না। সৃষ্টিকর্তা সব মানুষকেই বুদ্ধি দিয়েছেন, তবে কাউকে বেশি কাউকে কম। সবার স্বভাব এক রকম হয় না। কেউবা সাহসী, কেউবা ভীতু। প্রথম ঘটনাটা পড়লে দেখা যায়, বাচ্চাটা হয়তবা পারত_ সে অন্যমনস্ক ছিল বা সে হয়ত ভুলে গেছে। সেটা আপনার নিজেকে বের করতে হবে। যদি দেখা যায় আপনার শিশুর মেধা বা বুদ্ধি কম তাতে চিনত্মার কিছু নেই। তাকে ভাল ভাল বই পড়তে উৎসাহী করম্নন। ছোট, ছোট অঙ্ক সমাধান করতে দিন। এই আধুনিক যুগে বিভিন্ন ধরনের গেমস বের হয়েছে_ যা আপনার বাচ্চার মেধা বিকাশে সহায়তা করতে পারে। বাচ্চাকে অনুশীলন করতে উৎসাহী করম্নন। দেখবেন ধীরে ধীরে আপনার ছেলেমেয়ের প্রতিভা বিকশিত হওয়া শুরম্ন করবে। তার মধ্যে আত্মবিশ্বাস বাড়বে। অন্যের সামনে এভাবে মারধর করে, অপমান করে কিছু হবে না, বরং হিতে বিপরীত হবে। হয়তবা লেখাপড়ার প্রতি তার আগ্রহই কমে যাবে। তাই নিজের ছেলেমেয়েকে বোঝার চেষ্টা করম্নন। বন্ধুসুলভ আচরণ করম্নন। তবে এই নয় যে, সে বাড়াবাড়ি করলে আপনি তাকে আহাদ করবেন। সময় মতো শাসনও আপনাকে করতে হবে। এবার আসা যাক দ্বিতীয় ঘটনায়। কখনও সবকিছুতে একজনের সঙ্গে অন্যজনের তুলনা করতে যাবেন না। আমরা একেকজন একেক পরিবার, পরিবেশে বড় হই। কারও পরিবারের সদস্য সংখ্যা বেশি, কারও কম। আর পরিবারের বড় সনত্মান হলে কম বয়সে পরিপক্ব হওয়াটা স্বাভাবিক। হয়তবা আপনার সনত্মান পরিবারের ছোট, সে সব সময় ছোটই থাকতে চায়। একটু বড় হলে হয়তবা নিজেই নিজের দায়িত্ব বুঝতে পারবে। একটু ধৈর্য ধরম্নন। এভাবে অন্যের সঙ্গে তুলনা করলে সে নিজের আত্মবিশ্বাস হারাতে পারে, হয়তবা তার মধ্যে নিজের প্রতি ঘৃণার সৃষ্টি হতে পারে। পরবর্তী জীবনে সে হয়ে উঠতে পারে হিংস্র। তখন হয়ত আপনার কথাও তাকে ভাল করতে পারবে না অনেক দেরি হয়ে যাবে। হয়ত সে বিপথগামী হবে। তখন আপনার নিজেকে দোষ দেয়া ছাড়া আর কিছুই করার থাকবে না। কারণ ছেলেমেয়ের লালন-পালনের, তাদের মনমানসিকতা গঠনের দায়িত্ব তো মা-বাবারই হয়।
No comments