সবাইকে নেশা খাইয়ে ১০ লাখ টাকার অলঙ্কার নিয়ে কাজের মেয়ে চম্পট
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় একটি
এ্যাপার্টমেন্টে শিল্পপতির স্ত্রী ও তাঁর দুই সনত্মানকে খাবারের সঙ্গে নেশা
জাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে অচেতন করে বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়েছে
ছদ্মবেশী এক প্রতারক কাজের মেয়ে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র
থেকে জানা গেছে, শাহবাগ থানাধীন সেগুনবাগিচা ৬/২ নম্বর এক্সজেন সিয়াল
টাওয়ারের ৫ম তলা কে-ফ্যাটের বাসিন্দা শিল্পপতি সৈয়দ জামাল প্রতিদিনের ন্যায়
শনিবার সকালে অফিসের উদ্দেশে বাসা থেকে বের হন। এ সময় কাজের মেয়ে নাজমা
(২২) সকালের নাসত্মা রম্নটি ও পরটা বানিয়ে বাড়ির তিন সদস্য শিল্পপতির
স্ত্রী লিপি বেগম (৪৫), মেয়ে নাবিলা (২২) ও ছেলে নিলয়কে (১৭) খাওয়ায়। খাবার
পর এক পর্যায়ে বাড়ির তিনজনই জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। এই সুযোগে কাজের মেয়ে
আলমারির তালা খুলে সিন্ধুক থেকে ৮/১০ লাখ টাকা মূল্যের স্বর্ণালঙ্কার লুট
করে পালিয়ে যায়। সকাল সাড়ে ১১টায় বড় মেয়ে নাবিলা কিছুটা চেতনা ফিরলে পিতা
সৈয়দ জামালকে মোবাইলে ঘটনাটি খুলে বলে। পরে শিল্পপতি সৈয়দ জামাল দ্রম্নত
বাসায় এসে তিনজনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের স্কয়ার হসপিটালে নিয়ে যান তিনি। এ ব্যাপারে
শিল্পপতি সৈয়দ জামাল জনকণ্ঠকে জানান, শুক্রবার কাজের মেয়ে নাজমাকে বাসায়
নিয়োগ দেয়া হয়। সে যে ছদ্মবেশী চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য তা জানা ছিল না।
এ ব্যাপারে রাত সোয়া ৮টায় শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ রেজাউল করিম জনকণ্ঠকে জানান, ঘটনায় কেউ মামলা করতে আসেনি। তবে বাড়ির তিন সদস্যের জ্ঞান ফিরে এলে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এজন্য কাজের মেয়ের ঠিকানাসহ আশপাশে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে।
এ ব্যাপারে রাত সোয়া ৮টায় শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ রেজাউল করিম জনকণ্ঠকে জানান, ঘটনায় কেউ মামলা করতে আসেনি। তবে বাড়ির তিন সদস্যের জ্ঞান ফিরে এলে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এজন্য কাজের মেয়ের ঠিকানাসহ আশপাশে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে।
No comments