চট্টগ্রামে রাজনৈতিক কর্মী হত্যা- পুলিশের কলঙ্ক হিসেবে গণ্য হবে
পুলিশকে নতুন করে একটি বেআইনি কর্মকাণ্ডে দেখা যাচ্ছে। গুলি করে রাজনৈতিক
নেতাকর্মীদের হত্যা করছে তারা। এমনকি তারা এ কাজে সরাসরি সহযোগিতা করছে
ক্ষমতাসীন দলের সশস্ত্র সদস্যদের।
এবার বগুড়ায় হরতাল
চলার সময় প্রতিপক্ষের নেতাদের হত্যায় প্রথমে ছাত্রলীগকে সহযোগিতা করেছে
পুলিশ। হত্যার পর বিুব্ধ নেতাকর্মীরা রাস্তায় নেমে এলে পুলিশ সরাসরি গুলি
করে আরো কয়েকজনকে হত্যা করে। একই অবস্থা দেখা গেল ৫ ফেব্রুয়ারি
চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ সতর্কভাবে
শক্তি প্রয়োগ করতে পারে। কিন্তু টার্গেট করে কাউকে হতাহত করতে পারে কি?
চট্টগ্রামে মসজিদে গিয়ে মুসল্লিদের ওপর আক্রমণ করার মতো অবিশ্বাস্য ঘটনাও
এবার দেখা গেল।
চট্টগ্রামে হরতাল সমর্থকদের দু’টি মিছিলে নির্বিচারে গুলি চালালে ইসলামী ছাত্রশিবির নেতা ইমরান খান নিহত হন। মিছিলের আরো অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হন এ সময়। গুলি ছোড়ার সময় পুলিশ এতটা বেপরোয়া ছিল যে, পথচারী ও দোকানিসহ আরো দেড় শ’ মানুষ গুলিবিদ্ধ হন। বন্দরনগরীর কয়েকটি স্পটে পুলিশের এ ধরনের আগ্রাসী গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। বেপরোয়া গুলিবর্ষণে নিহত হয়েছেন আরো এক হরতালসমর্থক। অন্য একজন রাজনৈতিক কর্র্মীকে হত্যার ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সরাসরি সহযোগিতা করেছে ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডারদের। পুলিশের গুলিতে নেতাকর্মীদের হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল বের হলে প্রথমে অতর্কিত গুলি করে সে মিছিল ছত্রভঙ্গ করে দেয়া হয়। সেখান থেকে একজনকে আটক করে পুলিশ। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য তাকে বেদম মারধর করে তুলে দেয়া হয়েছে ক্ষমতাসীনদলীয় সশস্ত্র ক্যাডারদের হাতে। দুর্বৃত্তরা ওই রাজনৈতিক কর্মীকে উপর্যুপরি কুপিয়ে ও মাথায় গুলি করে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করেছে। মানুষ হত্যা করা বা হত্যায় সহযোগিতা করা পুলিশের কাজ হতে পারে না। বরং আইনরক্ষকদের জন্য এটা মারাত্মক অপরাধ।
পুলিশ একই দিন চট্টগ্রামে আরো নৃশংসতার পরিচয় দিয়েছে। হরতাল সমর্থক নেতাকর্মীদের ধরে শরীরে অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করেছে। পাঁচলাইশ থানার অফিসার ইনচার্জ প্রদীপকুমার দাশ নেতাকর্মীদের ধরে নিয়ে তাদের পা ও হাতে গুলি করে পরিকল্পিতভাবে পঙ্গু করে দিয়েছেন অনেককে। টার্গেট করে রাজনৈতিক কর্মীদের পঙ্গু করে দেয়ার আরো অনেক অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। এ ধরনের নৃশংস কর্মকাণ্ড নিয়ে নানা সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। চট্টগ্রামে প্রদীপ শরীরে অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করছেনÑ এ ছবিও পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। একই অফিসারের নেতৃত্বে কাতালগঞ্জ মসজিদে নামাজ আদায়রত মুসল্লিদের ওপর গুলি করা হয়। যেকোনো ধর্মীয় স্থাপনা নিরাপদ জায়গা। সেখানে আক্রমণ চালানো অকল্পনীয়। এই পুলিশ অফিসার দায়িত্ব পালনের নামে ন্যূনতম নৈতিক নিয়মও মানেননি। এ সময় ৭০ বছরের এক নামাজি গুলিবিদ্ধ হন।
প্রজাতন্ত্রের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করাই পুলিশের দায়িত্ব। এ জন্য তাদের রয়েছে আইনকানুন ও আচরণবিধি। কিন্তু আমরা দেখছি, পুলিশ যেন সব আইনকানুনের ঊর্ধ্বে। অনেক সময় তারা ক্ষমতাসীনদের অন্যায় ও গোষ্ঠীগত স্বার্থসিদ্ধির হাতিয়ার হিসেবে অপব্যবহৃত হচ্ছে। তারা জড়িয়ে পড়ছে বিশেষ করে সরকারবিরোধীদের নির্বিচারে হত্যা ও নির্যাতনের সাথে। এ অবস্থা অব্যাহত চলতে থাকলে দেশে ভয়াবহ নৈরাজ্য সৃষ্টি হওয়াই স্বাভাবিক। আমরা মনে করি, বিষয়টি সরকার ও পুলিশের নেতৃত্ব এ মুহূর্তেই উপলব্ধি করে যথাবিহিত পদক্ষেপ নেবে।
চট্টগ্রামে হরতাল সমর্থকদের দু’টি মিছিলে নির্বিচারে গুলি চালালে ইসলামী ছাত্রশিবির নেতা ইমরান খান নিহত হন। মিছিলের আরো অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হন এ সময়। গুলি ছোড়ার সময় পুলিশ এতটা বেপরোয়া ছিল যে, পথচারী ও দোকানিসহ আরো দেড় শ’ মানুষ গুলিবিদ্ধ হন। বন্দরনগরীর কয়েকটি স্পটে পুলিশের এ ধরনের আগ্রাসী গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। বেপরোয়া গুলিবর্ষণে নিহত হয়েছেন আরো এক হরতালসমর্থক। অন্য একজন রাজনৈতিক কর্র্মীকে হত্যার ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সরাসরি সহযোগিতা করেছে ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডারদের। পুলিশের গুলিতে নেতাকর্মীদের হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল বের হলে প্রথমে অতর্কিত গুলি করে সে মিছিল ছত্রভঙ্গ করে দেয়া হয়। সেখান থেকে একজনকে আটক করে পুলিশ। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য তাকে বেদম মারধর করে তুলে দেয়া হয়েছে ক্ষমতাসীনদলীয় সশস্ত্র ক্যাডারদের হাতে। দুর্বৃত্তরা ওই রাজনৈতিক কর্মীকে উপর্যুপরি কুপিয়ে ও মাথায় গুলি করে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করেছে। মানুষ হত্যা করা বা হত্যায় সহযোগিতা করা পুলিশের কাজ হতে পারে না। বরং আইনরক্ষকদের জন্য এটা মারাত্মক অপরাধ।
পুলিশ একই দিন চট্টগ্রামে আরো নৃশংসতার পরিচয় দিয়েছে। হরতাল সমর্থক নেতাকর্মীদের ধরে শরীরে অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করেছে। পাঁচলাইশ থানার অফিসার ইনচার্জ প্রদীপকুমার দাশ নেতাকর্মীদের ধরে নিয়ে তাদের পা ও হাতে গুলি করে পরিকল্পিতভাবে পঙ্গু করে দিয়েছেন অনেককে। টার্গেট করে রাজনৈতিক কর্মীদের পঙ্গু করে দেয়ার আরো অনেক অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। এ ধরনের নৃশংস কর্মকাণ্ড নিয়ে নানা সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। চট্টগ্রামে প্রদীপ শরীরে অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করছেনÑ এ ছবিও পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। একই অফিসারের নেতৃত্বে কাতালগঞ্জ মসজিদে নামাজ আদায়রত মুসল্লিদের ওপর গুলি করা হয়। যেকোনো ধর্মীয় স্থাপনা নিরাপদ জায়গা। সেখানে আক্রমণ চালানো অকল্পনীয়। এই পুলিশ অফিসার দায়িত্ব পালনের নামে ন্যূনতম নৈতিক নিয়মও মানেননি। এ সময় ৭০ বছরের এক নামাজি গুলিবিদ্ধ হন।
প্রজাতন্ত্রের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করাই পুলিশের দায়িত্ব। এ জন্য তাদের রয়েছে আইনকানুন ও আচরণবিধি। কিন্তু আমরা দেখছি, পুলিশ যেন সব আইনকানুনের ঊর্ধ্বে। অনেক সময় তারা ক্ষমতাসীনদের অন্যায় ও গোষ্ঠীগত স্বার্থসিদ্ধির হাতিয়ার হিসেবে অপব্যবহৃত হচ্ছে। তারা জড়িয়ে পড়ছে বিশেষ করে সরকারবিরোধীদের নির্বিচারে হত্যা ও নির্যাতনের সাথে। এ অবস্থা অব্যাহত চলতে থাকলে দেশে ভয়াবহ নৈরাজ্য সৃষ্টি হওয়াই স্বাভাবিক। আমরা মনে করি, বিষয়টি সরকার ও পুলিশের নেতৃত্ব এ মুহূর্তেই উপলব্ধি করে যথাবিহিত পদক্ষেপ নেবে।
No comments