তবুও জয়ের আশা টাইগারদের! by মিথুন আশরাফ
তৃতীয় দিন শেষ হওয়ার আগে ইংল্যান্ড করল ৫
উইকেটে ১৩১ রান। জমে উঠল খেলা। চট্টগ্রাম টেস্টে ইংলিশরা এগিয়ে ৪৩৪ রানে।
তবে বাংলাদেশ স্পিনাররা দিনের শেষটা নিয়ন্ত্রণে নিলেন।
তাতেই ম্যাচ জয়ের স্বপ্নও জেগেছে টাইগারদের। সেই স্বপ্ন লালনের কথা দিনশেষে
তামিমই বলে দিলেন, 'ইংল্যান্ড হয়ত ৫০০ রানের টার্গেট দেবে। সেই লক্ষেই
তারা দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমেছে। সেই টার্গেট অতিক্রম করা সম্ভব।
যদি বড় কোন ইনিংস গড়া যায়। কারও ব্যাট থেকে ২০০ রানের একটি ইনিংস এসে পড়ে।'
তামিমের সর্বশেষ কথাটি হয়ত অবাস্তবই মনে হবে। কিন্তু দিনশেষে বাংলাদেশ দল যেই আত্মবিশ্বাস নিয়ে মাঠ ছেড়েছে তা বজায় থাকলে অসম্ভব বলে কিছুই থাকবে না। অঘটন বাংলাদেশ ঘটাতে পারে। তার প্রমাণ টেস্টে না থাকলেও ওয়ানডেতে ভূরি ভূরি আছে। টেস্টেও সেই একই কাজটি করার দৰতা দেখিয়ে দিলেই হলো। গতকাল রবিবার দিনের শেষে যে রকম নৈপুণ্য বাংলাদেশ স্পিনাররা উপহার দিয়েছেন, তাতে শক্তি অনেকগুণ বেড়ে গেছে। এখন সেই শক্তি ও মনোবল কাজে লাগিয়ে ব্যাটসম্যানরা কিছু করে দেখাতে পারলেই হলো।
সেই আশা সবার মনে। তবে প্রথম ইনিংসে সেই জ্বালানি পাওয়া যায়নি। দিনের শুরম্নতে তামিম ৮৬ রান করে আউট। আগের দিনের ১৫৪ রানের সঙ্গে খুব বেশি রান মজবুত না হতেই সাজঘরে ফেরেন তামিম। এর পর শাহাদাতও প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন। মুশফিকুর ও নাঈম অষ্টম উইকেটে দলের হাল ধরেন। মুশফিক অনেক দূর চলে গেলেও নাঈম পারেননি। শত চেষ্টার পরও ভুল হয়ে গেছে। ভুল বোঝাবুঝির রোষানলে পড়ে রানআউট হয়ে মাঠ ছাড়েন নাঈম। ৩৮ রান করে সাজঘরমুখী হওয়ার আগে অষ্টম উইকেটে বাংলাদেশের পৰে সর্বোচ্চ রানের সাৰী হন। এর পর মুশফিকও বেশিদূর এগিয়ে যেতে পারেননি। ৭৯ রানে তার আউটের পর রম্নবেলও স্পিনার সোয়ানের শিকার হন। ২৯৬ রানেই অলআউট হয় বাংলাদেশ। ফলোঅনে পড়ে। কিন্তু ইংলিশরা আবার ব্যাট করার সিদ্ধানত্ম নেন। ইনিংস ব্যবধান এড়ানোর সুযোগ ধরা দেয় বাংলাদেশের কাছে। প্রথম ইনিংসে ৫৯৯ রান গড়ায় ৩০৩ রানে এগিয়ে থেকে ইংলিশরা মাঠে নামেন।
এদিন আর কুক, কলিংউড, পিটারসেন কেউই বাজিমাত করতে পারেননি। দলীয় ৬৫ রানে উদ্বোধনী জুটি ভাঙ্গার পর জমে ওঠে খেলা। ইংলিশদের একের পর এক উইকেট হজম করতে থাকেন শাকিব, রাজ্জাক, রিয়াদ। প্রথম ইনিংসের দুই সেঞ্চুরিয়ান কুক ও কলিংউড ৩৯ ও ৩ রানে আউট হন। আর পিটারসেন আবারও স্পিনারদের ভেল্কিতেই ধরা খান। করেন ৩২ রান। বাংলাদেশ ইনিংসে ইংলিশ স্পিনার সোয়ান দাপট দেখান। ৫ উইকেট তুলে নেন। আর ইংলিশ ইনিংসের ৫ উইকেট বাংলাদেশ স্পিনাররা ভাগাভাগি করে নেন। শাকিব ও রাজ্জাক ২টি করে, রিয়াদ নেন ১টি উইকেট। দিনশেষে সোয়ান তার এ নৈপুণ্যে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। কিন্তু টার্ন করা উইকেটে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসে তিনিই যে মূল ভরসা সেটিও জানেন। এখন বাংলাদেশকে ঠেকাতে হলে তার স্পিনঅস্ত্রই সম্বল। আর বাংলাদেশের ঝুলিতে রয়েছে একাধিক ম্যাচউইনার ব্যাটসম্যান। তারাই এখন বাঁচাতে পারেন বাংলাদেশকে। সবাই তাকিয়ে তাদের দিকেই।
তামিমের সর্বশেষ কথাটি হয়ত অবাস্তবই মনে হবে। কিন্তু দিনশেষে বাংলাদেশ দল যেই আত্মবিশ্বাস নিয়ে মাঠ ছেড়েছে তা বজায় থাকলে অসম্ভব বলে কিছুই থাকবে না। অঘটন বাংলাদেশ ঘটাতে পারে। তার প্রমাণ টেস্টে না থাকলেও ওয়ানডেতে ভূরি ভূরি আছে। টেস্টেও সেই একই কাজটি করার দৰতা দেখিয়ে দিলেই হলো। গতকাল রবিবার দিনের শেষে যে রকম নৈপুণ্য বাংলাদেশ স্পিনাররা উপহার দিয়েছেন, তাতে শক্তি অনেকগুণ বেড়ে গেছে। এখন সেই শক্তি ও মনোবল কাজে লাগিয়ে ব্যাটসম্যানরা কিছু করে দেখাতে পারলেই হলো।
সেই আশা সবার মনে। তবে প্রথম ইনিংসে সেই জ্বালানি পাওয়া যায়নি। দিনের শুরম্নতে তামিম ৮৬ রান করে আউট। আগের দিনের ১৫৪ রানের সঙ্গে খুব বেশি রান মজবুত না হতেই সাজঘরে ফেরেন তামিম। এর পর শাহাদাতও প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন। মুশফিকুর ও নাঈম অষ্টম উইকেটে দলের হাল ধরেন। মুশফিক অনেক দূর চলে গেলেও নাঈম পারেননি। শত চেষ্টার পরও ভুল হয়ে গেছে। ভুল বোঝাবুঝির রোষানলে পড়ে রানআউট হয়ে মাঠ ছাড়েন নাঈম। ৩৮ রান করে সাজঘরমুখী হওয়ার আগে অষ্টম উইকেটে বাংলাদেশের পৰে সর্বোচ্চ রানের সাৰী হন। এর পর মুশফিকও বেশিদূর এগিয়ে যেতে পারেননি। ৭৯ রানে তার আউটের পর রম্নবেলও স্পিনার সোয়ানের শিকার হন। ২৯৬ রানেই অলআউট হয় বাংলাদেশ। ফলোঅনে পড়ে। কিন্তু ইংলিশরা আবার ব্যাট করার সিদ্ধানত্ম নেন। ইনিংস ব্যবধান এড়ানোর সুযোগ ধরা দেয় বাংলাদেশের কাছে। প্রথম ইনিংসে ৫৯৯ রান গড়ায় ৩০৩ রানে এগিয়ে থেকে ইংলিশরা মাঠে নামেন।
এদিন আর কুক, কলিংউড, পিটারসেন কেউই বাজিমাত করতে পারেননি। দলীয় ৬৫ রানে উদ্বোধনী জুটি ভাঙ্গার পর জমে ওঠে খেলা। ইংলিশদের একের পর এক উইকেট হজম করতে থাকেন শাকিব, রাজ্জাক, রিয়াদ। প্রথম ইনিংসের দুই সেঞ্চুরিয়ান কুক ও কলিংউড ৩৯ ও ৩ রানে আউট হন। আর পিটারসেন আবারও স্পিনারদের ভেল্কিতেই ধরা খান। করেন ৩২ রান। বাংলাদেশ ইনিংসে ইংলিশ স্পিনার সোয়ান দাপট দেখান। ৫ উইকেট তুলে নেন। আর ইংলিশ ইনিংসের ৫ উইকেট বাংলাদেশ স্পিনাররা ভাগাভাগি করে নেন। শাকিব ও রাজ্জাক ২টি করে, রিয়াদ নেন ১টি উইকেট। দিনশেষে সোয়ান তার এ নৈপুণ্যে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। কিন্তু টার্ন করা উইকেটে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসে তিনিই যে মূল ভরসা সেটিও জানেন। এখন বাংলাদেশকে ঠেকাতে হলে তার স্পিনঅস্ত্রই সম্বল। আর বাংলাদেশের ঝুলিতে রয়েছে একাধিক ম্যাচউইনার ব্যাটসম্যান। তারাই এখন বাঁচাতে পারেন বাংলাদেশকে। সবাই তাকিয়ে তাদের দিকেই।
No comments