মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের কাছে ৪ রানের নাটকীয় হার রাজস্থানের
ইউসুফ পাঠান নিজেকে খানিক দুর্ভাগা ভাবতেই
পারেন। প্রথমত, এটা একদিনের স্বীকৃত ওভারের ম্যাচ নয়, ২০ ওভারের। তাও আবার
বিশ্বকাপের আসর নয়।
না হয় গতকাল শনিবার মুম্বাইয়ের
ব্রাবোর্ন স্টেডিয়ামে এবারের আইপিএল-এর দ্বিতীয় দিন বরোদার এ অলরাউন্ডার যে
ব্যাটিং তাণ্ডব উপহার দিয়েছেন, তাতে ক্রিকেটবিশ্বে হৈ চৈ পড়ে যেত। রীতিমতো
রেকর্ডস্রষ্টা হয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠতেন। কিন্তু তার কিছুই হলো
না। ম্যাচ সেরার পুরস্কারই শুধু জুটল। এখানেই শেষ নয়, আরও বড় একটা অতৃপ্তি
কুরে খেল ইউসুফ পাঠানকে। উত্তাল উইলোবাজিতে মাঠ মাতিয়েছেন। দর্শকরা অবাক
বিস্ময়ে তাঁর উইলোর জাদু প্রত্যৰ করেছেন। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স বোলিং
দুমড়েমুচড়ে শহীদ আফ্রিদীর সমান ৩৭ বলে সেঞ্চুরিও হয়েছে। কিন্তু তারপরও
প্রাণখুলে হাসতে পারলেন না ইউসুফ পাঠান। কি করে হাসবেন ? অমন দুর্দানত্ম
উইলোবাজি শেষ পর্যনত্ম বিফলে গেছে। দল রাজস্থান রয়েলস জেতেনি। শেষ হাসি
হেসেছে গ্র্যান্ডমাস্টার শচীন তেন্ডুলকরের মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। ৪ রানের অতি
নাটকীয় জয়ে মাঠ ছেড়েছে মুম্বাই। ক্রিকেটের বিস্ময় মানব শচীন ( ১৭)আর সীমিত
ওভারের খেলার অনেক সাফল্যের রূপকার সনথ জয়সুরিয়া (২৩) কোনই কার্যকর ভূমিকা
নিতে পারেননি। দু'জনার কারো ব্যাট কথা বলেনি। জয়সুরিয়া ও লিটল মাস্টার
কিছুই করতে পারেননি। ওদের ছাপিয়ে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের জয়ের নায়ক আসলে
লাসিথ মালিঙ্গা। এই লঙ্কান ফাস্ট বোলারের মাপা বোলিংই আসলে মুম্বাই
ইন্ডিয়ান্স নাটকীয় জয়ের স্বাদ পেয়েছে।
টার্গেট ছিল বেশ বড়, ২১৩। ইউসুফ পাঠানের ৩৭ বলে ১০১ রানের অবিস্মরণীয় ইনিংসের ওপর ভর করে জয়ের কাছাকাছিই পেঁৗছে গিয়েছিল রাজস্থান রয়েলস। শেষ ওভারে জয়ের জন্য দরকার ছিল ১২ রান। হাতে ছিল পাঁচ-পাঁচটি উইকেট। কিন্তু ক্রিজে থাকা দুগরা আর শেন ওয়ার্নরা ঐ ওভার থেকে আট রানের বেশি তুলতে পারেননি। ঐ ওভারে একটি ওয়াইড বল হবার পরও রাজস্থান রয়েলস ব্যাটসম্যানরা তিন বাউন্ডারি দূরে থাক, একবারের জন্য বল সীমানার ওপারে পাঠাতে পারেননি। ইউসুফ পাঠানের দুর্দানত্ম উইলোবাজি ১৮ নম্বর ওভারের প্রথম বলে শেষ হলেও রাজস্থানের সম্ভাবনার প্রদীপ জ্বেলে রাখেন দুগরা। কিন্তু মালিঙ্গার শেষ ওভারে প্রথম বলে ঐ মারকুটে মিডল অর্ডার রান আউট হয়ে গেলেই সে সম্ভাবনার প্রদীপ নিভে যায়। ২৯ বলে ৪১ রানের ইনিংসটি বোলার মালিঙ্গার থ্রোতেই শেষ হয়।
এর আগে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স প্রথম ব্যাট করে দুই তরম্নণের অসামান্য দৃঢ়তায় ২১২ রানের বড়সড় স্কোর গড়ে বসে। এসএস তিওয়ারি ( ৩৩ বলে ৫৩) আর এটি রায়ডু ( ৩৩ বলে ৫৫) মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে টেনে নিয়ে যান দু'শ'র ওপর।
টার্গেট ছিল বেশ বড়, ২১৩। ইউসুফ পাঠানের ৩৭ বলে ১০১ রানের অবিস্মরণীয় ইনিংসের ওপর ভর করে জয়ের কাছাকাছিই পেঁৗছে গিয়েছিল রাজস্থান রয়েলস। শেষ ওভারে জয়ের জন্য দরকার ছিল ১২ রান। হাতে ছিল পাঁচ-পাঁচটি উইকেট। কিন্তু ক্রিজে থাকা দুগরা আর শেন ওয়ার্নরা ঐ ওভার থেকে আট রানের বেশি তুলতে পারেননি। ঐ ওভারে একটি ওয়াইড বল হবার পরও রাজস্থান রয়েলস ব্যাটসম্যানরা তিন বাউন্ডারি দূরে থাক, একবারের জন্য বল সীমানার ওপারে পাঠাতে পারেননি। ইউসুফ পাঠানের দুর্দানত্ম উইলোবাজি ১৮ নম্বর ওভারের প্রথম বলে শেষ হলেও রাজস্থানের সম্ভাবনার প্রদীপ জ্বেলে রাখেন দুগরা। কিন্তু মালিঙ্গার শেষ ওভারে প্রথম বলে ঐ মারকুটে মিডল অর্ডার রান আউট হয়ে গেলেই সে সম্ভাবনার প্রদীপ নিভে যায়। ২৯ বলে ৪১ রানের ইনিংসটি বোলার মালিঙ্গার থ্রোতেই শেষ হয়।
এর আগে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স প্রথম ব্যাট করে দুই তরম্নণের অসামান্য দৃঢ়তায় ২১২ রানের বড়সড় স্কোর গড়ে বসে। এসএস তিওয়ারি ( ৩৩ বলে ৫৩) আর এটি রায়ডু ( ৩৩ বলে ৫৫) মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে টেনে নিয়ে যান দু'শ'র ওপর।
No comments