পরীক্ষার ছয় মাসেও ফল প্রকাশ হচ্ছে না- বাউবির এসএসসি প্রোগ্রামের ২ লাখ শিার্থীর জীবনে অনিশ্চয়তা
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) এসএসসি প্রোগ্রামের প্রায় দুই লাখ শিার্থীর শিাজীবন নিয়ে চরম অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
পরীক্ষা
শেষ হওয়ার ছয় মাস পার হলেও এখনো ফল প্রকাশ করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয়
কর্তৃপ। কবে ফল প্রকাশিত হবে তা-ও কেউ সঠিক করে বলতে পারছেন না। সময়মতো ফল
প্রকাশিত না হওয়ায় এসব শিার্থী একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হতে পারবেন না। এতে
তাদের শিাজীবন থেকে ঝরে যাবে আরো একটি বছর।
ভিসিবিহীন উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় স্থবির হয়ে পড়েছে। এর আগে শিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রায় এক মাসের ধর্মঘটে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে।
জানা গেছে, দূরশিণের মাধ্যমে শিা দেয়ার দেশের একমাত্র সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) এসএসসি প্রোগ্রামের আওতায় এবার প্রায় দুই লাখ শিার্থী পরীায় অংশ নেয়। ২০১০ সালে এসএসসি প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়া এসব শিার্থী এখনো পাস করে বের হতে পারেনি। ২০১১ সালের এ পরীা শুরু হয় ২০১২ সালের ২৯ জুন এবং শেষ হয় ৪ আগস্ট। কিন্তু এখনো ফল প্রকাশ হচ্ছে না। শিা বোর্ডগুলোর পরীার ফলাফল মাত্র ৬০ দিনে প্রকাশ করলেও বাউবি তা ছয় মাসেও করতে পারছে না। বইসহ শিা উপকরণ সরবরাহ করছে না সময়মতো।
ফল প্রকাশিত না হলেও গত বছরের জুন একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির সময়সীমা শেষ হয়ে গেছে। অথচ সেই সময় তারা সবে পরীা দিচ্ছেন। এসএসসি প্রোগ্রামের এসব শিার্থীকে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হওয়ার জন্য চলতি বছরের জুন পর্যন্ত অপো করতে হবে। এতে তাদের শিাজীবন থেকে ঝরে যাবে আরো একটি বছর।
সূত্র জানায়, ভিসিবিহীন উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় স্থবির হয়ে পড়েছে। এর আগে শিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রায় এক মাসের ধর্মঘটে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক, অর্থনৈতিক ও প্রশাসনিক শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেশির ভাগের বিরুদ্ধে ঠিকমতো কাজ না করার অভিযোগ রয়েছে। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থের চেয়ে নিজেদের স্বার্থ ও সুযোগ-সুবিধা নিয়ে বেশি ব্যস্ত থাকছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
গত ২৪ জানুয়ারি ভিসি আর আই এম আমিনুর রশীদের মেয়াদ শেষ হয়েছে। নতুন ভিসি নিয়োগ না দেয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএসসিসহ বিভিন্ন পরীার ফল প্রকাশ ও সামগ্রিক কার্যক্রমে স্থবিরতা নেমে এসেছে। প্রয়োজনীয় নির্দেশনা না থাকায় নীতিনির্ধারণী বিষয়ে কেউ সিদ্ধান্ত দিতে পারছেন না। এ ছাড়া গত চার বছরে অনাবশ্যকভাবে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বদলি, নিয়োগ, বিদায়ী উপাচার্যের জন্য গাড়ি ব্যবহার, অপ্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণসহ বিভিন্ন বিষয়ে অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কোর্সে শিার্থী ভর্তিকার্যক্রম বন্ধ করে রাখার ঘটনাও ঘটে। বর্তমানেও বিএসসি ইন নার্সিং কোর্স বন্ধ আছে।
মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার আর এস কে এইচ ইনস্টিটিউশন কেন্দ্র থেকে এসএসসি পরীা দিয়েছেন জাহানুর মিয়া ও নাসরিন বেগম। তারা ােভের সাথে বললেন, ভর্তির ৯ মাস পর বই পেয়েছি। ২০১০ সাল ভর্তি হয়ে পরীা দিয়ে ২০১২ সাল শেষ হয়ে গেল তবুও ফল পেলাম না। বাউবির উপজেলার আর এস কে এইচ ইনস্টিটিউশন কেন্দ্র সমন্বয়ক এ কে এম নাসিরুল ইসলাম বলেন, পরীা গ্রহণ ও ফল প্রদানে বিলম্ব হওয়ায় দিন দিন শিার্থী মারাত্মক কমে যাচ্ছে। এতে কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। বাউবির পরীা নিয়ন্ত্রক আসাদুজ্জামান টেলিফোনে বলেন, এসএসসিসহ বেশ কিছু কোর্সের ফল ঝুলে আছে। নতুন ভিসি নিয়োগ হওয়ার আগে এগুলো দেয়া সম্ভব নয়। অনিয়মের বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করবেন না বলে জানান। উল্লেখ্য, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন সারা দেশে চার লাধিক শিার্থী পড়াশোনা করছেন। ছয়টি অনুষদের অধীন ১২টি আঞ্চলিক কেন্দ্র, ৮০টি কো-অর্ডিনেটিং অফিস এবং এক হাজার ২৯৬টি স্টাডি সেন্টারের মাধ্যমে শিাকার্যক্রম পরিচালিত হয়। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক, কর্মকর্তা-কর্মচারী আছেন এক হাজার
ভিসিবিহীন উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় স্থবির হয়ে পড়েছে। এর আগে শিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রায় এক মাসের ধর্মঘটে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে।
জানা গেছে, দূরশিণের মাধ্যমে শিা দেয়ার দেশের একমাত্র সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) এসএসসি প্রোগ্রামের আওতায় এবার প্রায় দুই লাখ শিার্থী পরীায় অংশ নেয়। ২০১০ সালে এসএসসি প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়া এসব শিার্থী এখনো পাস করে বের হতে পারেনি। ২০১১ সালের এ পরীা শুরু হয় ২০১২ সালের ২৯ জুন এবং শেষ হয় ৪ আগস্ট। কিন্তু এখনো ফল প্রকাশ হচ্ছে না। শিা বোর্ডগুলোর পরীার ফলাফল মাত্র ৬০ দিনে প্রকাশ করলেও বাউবি তা ছয় মাসেও করতে পারছে না। বইসহ শিা উপকরণ সরবরাহ করছে না সময়মতো।
ফল প্রকাশিত না হলেও গত বছরের জুন একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির সময়সীমা শেষ হয়ে গেছে। অথচ সেই সময় তারা সবে পরীা দিচ্ছেন। এসএসসি প্রোগ্রামের এসব শিার্থীকে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হওয়ার জন্য চলতি বছরের জুন পর্যন্ত অপো করতে হবে। এতে তাদের শিাজীবন থেকে ঝরে যাবে আরো একটি বছর।
সূত্র জানায়, ভিসিবিহীন উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় স্থবির হয়ে পড়েছে। এর আগে শিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রায় এক মাসের ধর্মঘটে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক, অর্থনৈতিক ও প্রশাসনিক শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেশির ভাগের বিরুদ্ধে ঠিকমতো কাজ না করার অভিযোগ রয়েছে। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থের চেয়ে নিজেদের স্বার্থ ও সুযোগ-সুবিধা নিয়ে বেশি ব্যস্ত থাকছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
গত ২৪ জানুয়ারি ভিসি আর আই এম আমিনুর রশীদের মেয়াদ শেষ হয়েছে। নতুন ভিসি নিয়োগ না দেয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএসসিসহ বিভিন্ন পরীার ফল প্রকাশ ও সামগ্রিক কার্যক্রমে স্থবিরতা নেমে এসেছে। প্রয়োজনীয় নির্দেশনা না থাকায় নীতিনির্ধারণী বিষয়ে কেউ সিদ্ধান্ত দিতে পারছেন না। এ ছাড়া গত চার বছরে অনাবশ্যকভাবে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বদলি, নিয়োগ, বিদায়ী উপাচার্যের জন্য গাড়ি ব্যবহার, অপ্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণসহ বিভিন্ন বিষয়ে অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কোর্সে শিার্থী ভর্তিকার্যক্রম বন্ধ করে রাখার ঘটনাও ঘটে। বর্তমানেও বিএসসি ইন নার্সিং কোর্স বন্ধ আছে।
মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার আর এস কে এইচ ইনস্টিটিউশন কেন্দ্র থেকে এসএসসি পরীা দিয়েছেন জাহানুর মিয়া ও নাসরিন বেগম। তারা ােভের সাথে বললেন, ভর্তির ৯ মাস পর বই পেয়েছি। ২০১০ সাল ভর্তি হয়ে পরীা দিয়ে ২০১২ সাল শেষ হয়ে গেল তবুও ফল পেলাম না। বাউবির উপজেলার আর এস কে এইচ ইনস্টিটিউশন কেন্দ্র সমন্বয়ক এ কে এম নাসিরুল ইসলাম বলেন, পরীা গ্রহণ ও ফল প্রদানে বিলম্ব হওয়ায় দিন দিন শিার্থী মারাত্মক কমে যাচ্ছে। এতে কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। বাউবির পরীা নিয়ন্ত্রক আসাদুজ্জামান টেলিফোনে বলেন, এসএসসিসহ বেশ কিছু কোর্সের ফল ঝুলে আছে। নতুন ভিসি নিয়োগ হওয়ার আগে এগুলো দেয়া সম্ভব নয়। অনিয়মের বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করবেন না বলে জানান। উল্লেখ্য, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন সারা দেশে চার লাধিক শিার্থী পড়াশোনা করছেন। ছয়টি অনুষদের অধীন ১২টি আঞ্চলিক কেন্দ্র, ৮০টি কো-অর্ডিনেটিং অফিস এবং এক হাজার ২৯৬টি স্টাডি সেন্টারের মাধ্যমে শিাকার্যক্রম পরিচালিত হয়। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক, কর্মকর্তা-কর্মচারী আছেন এক হাজার
No comments