ভেবেচিন্তে কথা বলুন by মোহাম্মদ ইকবাল
গত ১২ ডিসেম্বর বাটেক্সপোর তিন দিনব্যাপী প্রদর্শনীর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, স্থানীয় সরকার, সমবায় ও পল্লী
উন্নয়নমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বাংলাদেশের তৈরী পোশাক কারখানাগুলোতে
ট্রেড ইউনিয়ন করার অনুমতি দেয়ার বিরোধিতা করেছেন।
এ জন্য
প্রস্তাব দেয়ায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান মজিনাকে করেছেন কঠোর সমালোচনা।
সৈয়দ আশরাফ বলেন, একটি শক্তিশালী দেশের (আমেরিকা) রাষ্ট্রদূত পোশাক
কারখানাগুলোতে ট্রেড ইউনিয়ন চালু করার জন্য প্রায়ই লম্ফঝম্ফ করে থাকেন।
বাংলাদেশের বিষয়ে পরামর্শ দেয়ার আগে তার নিজের দেশে পূর্ণাঙ্গভাবে ট্রেড
ইউনিয়ন চালু করা উচিত। তিনি বলেন, আমেরিকার ৫২টি অঙ্গরাজ্যের মধ্যে ২৬টি
অঙ্গরাজ্যেই ট্রেড ইউনিয়নের অনুমতি নেই। আমেরিকার অন্যতম শিল্পরাজ্য বলে
পরিচিত মিশিগানে পর্যন্ত ট্রেড ইউনিয়নের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হচ্ছে।’
এখানে উল্লেখ্য, ড্যান মজিনা বিভিন্ন সময়ে বলেছেন, বাংলাদেশের পোশাক
কারখানাগুলোতে ট্রেড ইউনিয়নের অনুমতি না দেয়ার কারণে এ দেশের পোশাক খাত
সম্পর্কে আমেরিকার আমদানিকারকদের মধ্যে নেতিবাচক ধারণার সৃষ্টি হবে। বলাই
বাহুল্য, পোশাক আমদানিকারকদের নেতিবাচক ধারণার সৃষ্টি হলে বিশেষত আমাদের
পোশাক শিল্পই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই ড্যান মজিনার ‘লম্ফঝম্ফ’ যে,
প্রভূতপক্ষে বাংলাদেশের স্বার্থের পরিপন্থী নয়, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
আমেরিকার সব নাগরিকের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। সব শর্ত পূরণ এবং শ্রমিকদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পরই সেখানে কারখানা প্রতিষ্ঠার অনুমতি দেয়া হয়। তাই সে দেশে আমাদের দেশের মতো শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের জন্য আন্দোলন করার তেমন প্রয়োজন পড়ে না। ‘আমেরিকার শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়নের অধিকার নেই’ বলে সৈয়দ আশরাফ যে মন্তব্য করেছেন তা সঠিক নয় বলে ঢাকার মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে। সরকারের ঊর্ধ্বতন দায়িত্বশীল পদে থেকে ভিন্ন দেশ এবং বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের মতো সুপরিচিত কোনো দেশ সম্পর্কে অসতর্ক মন্তব্য করা উচিত নয়। এতে সরকারের ভাবমূর্তি ুণœ হয়। এর আগে আশরাফ নোবেল প্রাইজ সম্পর্কে অত্যন্ত উদ্ভট ও হাস্যকর মন্তব্য করে নিজেকেই হাস্যস্পদ করে তুলেছিলেন।
যা হোক, সরকার যদি শ্রমিকদের যাবতীয় অধিকার ও ন্যায্য মজুরি নিশ্চিত করে, তবে বাংলাদেশেও ট্রেড ইউনিয়নের প্রয়োজন হবে না। আশরাফ সাহেবরা বিরোধী দলে থাকলে কৃষক-শ্রমিকের অধিকার নিয়ে আন্দোলন করেন আর ক্ষমতায় থাকলে নানা ছুতায় তাদের অধিকার হরণে হন তৎপর। পোশাক কারখানাগুলোতে ট্রেড ইউনিয়নের অনুমতি দেয়ার অনুরোধ এমন কী অন্যায় যে, ক্ষমতাসীন দলের দ্বিতীয় প্রধান নেতা এত ক্ষিপ্ত হয়েছেন? উপরি উক্ত অনুষ্ঠানেই সৈয়দ আশরাফ বলেছেন, বাংলাদেশের সংবিধানে শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়নের অধিকার দেয়া হয়েছে। সংবিধানে যে অধিকার আছে, তা বাস্তবায়নের জন্য দেশ বা বিদেশের কোনো ব্যক্তির অনুরোধে ুব্ধ হওয়ার কারণ থাকতে পারে না। জনগণের ধারণা হচ্ছে, শ্রমিকদের অধিকারের বিষয়ে সরকার সংবিধানের বিধানও মানতে অনিচ্ছুক। অথচ এই সরকারই এখন সংবিধানে নেইÑ এ অজুহাতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তনের অযৌক্তিক ও স্বার্থদুষ্ট বিরোধিতা করছেন। এ ধরনের দ্বৈতনীতি সুবিধাবাদের নামান্তর। বিরোধী দলে থাকলে হরতাল ও সংসদ বর্জন গণতান্ত্রিক অধিকার মনে করা হয়, আর সরকারে থাকলে এর চেয়ে ‘রাষ্ট্রবিরোধী’ কাজ আর কিছু আছে বলে মনে করা হয় না। বিরোধী দলে থাকাকালে দাবি আদায়ে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও আন্তর্জাতিক সংস্থার কাছে ধর্ণা, বিভিন্ন দূতাবাসে পত্র লিখে সরকারের বিরুদ্ধে নালিশ, বৈদেশিক সাহায্য বন্ধ করার অনুরোধ। তখন রাষ্ট্রদূতদের আমন্ত্রণ পেলেই ছুটে যেতেন, এখন রাষ্ট্রদূতদের সাক্ষাৎ পর্যন্ত দেন না। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা যেমনÑ জাতিসঙ্ঘ, বিশ্বব্যাংক, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল, ইউরোপীয় ইউনিয়নÑ এসব প্রতিষ্ঠান নাকি সরকারের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত! রাষ্ট্রদূতেরা দিনের পর দিন অপেক্ষা করেও প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ পান না। পত্রিকার খবর থেকে জানা গেছে, বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী দেশ আমেরিকার রাষ্ট্রদূত ড্যান মজিনা চার মাস অপেক্ষা করেও প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাতের সুযোগ পাননি। আমেরিকার এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীও সম্প্রতি বাংলাদেশে সফরে এসে তার ব্যস্ততার কারণে সাক্ষাতের শিডিউল পাননি। অথচ এ দেশে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী পর্যন্ত ক্রিকেট খেলা দেখায় ব্যস্ত! গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় কাজ ফেলে ক্রিকেট ম্যাচ দেখা কিংবা কনসার্টে গান শোনার সময় পেতে অসুবিধা হয় না। শুধু তা-ই নয়, এসব অনুষ্ঠানে তাদের কেউ কেউ যে বালখিল্য আচরণ করেছেন, তা যে পদের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়, এটা বোঝার বোধশক্তিও আছে বলে মনে হয় না।
মাত্র কয়েক দিন আগে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে রাজধানীর উপকণ্ঠ আশুলিয়ার একটি গার্মেন্ট কারখানায় ১২৬ শ্রমিক অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। একই সময়ে চট্টগ্রামে নির্মাণাধীন ফাইওভার ধসে ১৩-১৪ জন নিহত হন। এ দু’টি ঘটনায় দেশের মানুষ যখন শোকে মুহ্যমান, তখন সরকারপ্রধান বিশ্বকাপ বা এশিয়াকাপ নয়, অন্য এক ক্রিকেট খেলায় বিজয়ের জন্য জনগণের প্রতি আনন্দমিছিল বের করার আহ্বান জানিয়েছেন! বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষ যখন অগ্নিকাণ্ডে অঙ্গার ও ফাইওভার ধসে পিষ্ট নিহতদের শোকে মুহ্যমান, তখন সরকারের শীর্ষস্থানীয় কেউ কেউ স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে বসে আনন্দ-উচ্ছ্বাসে মেতে উঠেছিলেন। অথচ বিশেষ দিনে কেউ ঘরে বসে নিজের জন্মদিন পালন করলেও আওয়ামী লীগ নেতারা ভীষণ কষ্ট পান।
১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় থাকাকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, আমার বেগুন আমি যত খুশি লবণ দিয়ে রাঁধব তাতে কার কী? ‘বেগুন যত খুশি লবণ দিয়ে রাঁধুন’ তাতে আপত্তি থাকার কথা নয়, কিন্তু বাংলাদেশটা তো রাষ্ট্র, এটা বেগুন নয়। দেশের ভবিষ্যৎ ও জনগণের ভাগ্য নিয়ে কোনো দল, সরকার, নেতানেত্রী যা খুশি তা করতে পারেন না। মন্ত্রীরা দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করার শপথ নিয়েছেন। দেশের ক্ষতি করার অধিকার কারোই নেই। ১৬ কোটি মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলার কোনো অধিকার কোনো দল বা গোষ্ঠীর নেই। পাকিস্তানের কথা দিয়েও ডি-৮ সম্মেলনে না গিয়ে মুসলিম বিশ্বের কাছে দেশের ভাবমর্যাদা ুণœ করা হলো। বিশ্বব্যাংক, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল ইত্যাদি আন্তর্জাতিক সংস্থা সম্পর্কে অনভিপ্রেত মন্তব্য করা হলো দুর্নীতিবাজদের রক্ষা করতে সরকার থেকে। পদ্মা সেতুর নির্মাণব্যয় দ্বিগুণ করে দেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য জাতির কাছে কি একদিন জবাবদিহি করতে হবে না?
আমেরিকার সব নাগরিকের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। সব শর্ত পূরণ এবং শ্রমিকদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পরই সেখানে কারখানা প্রতিষ্ঠার অনুমতি দেয়া হয়। তাই সে দেশে আমাদের দেশের মতো শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের জন্য আন্দোলন করার তেমন প্রয়োজন পড়ে না। ‘আমেরিকার শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়নের অধিকার নেই’ বলে সৈয়দ আশরাফ যে মন্তব্য করেছেন তা সঠিক নয় বলে ঢাকার মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে। সরকারের ঊর্ধ্বতন দায়িত্বশীল পদে থেকে ভিন্ন দেশ এবং বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের মতো সুপরিচিত কোনো দেশ সম্পর্কে অসতর্ক মন্তব্য করা উচিত নয়। এতে সরকারের ভাবমূর্তি ুণœ হয়। এর আগে আশরাফ নোবেল প্রাইজ সম্পর্কে অত্যন্ত উদ্ভট ও হাস্যকর মন্তব্য করে নিজেকেই হাস্যস্পদ করে তুলেছিলেন।
যা হোক, সরকার যদি শ্রমিকদের যাবতীয় অধিকার ও ন্যায্য মজুরি নিশ্চিত করে, তবে বাংলাদেশেও ট্রেড ইউনিয়নের প্রয়োজন হবে না। আশরাফ সাহেবরা বিরোধী দলে থাকলে কৃষক-শ্রমিকের অধিকার নিয়ে আন্দোলন করেন আর ক্ষমতায় থাকলে নানা ছুতায় তাদের অধিকার হরণে হন তৎপর। পোশাক কারখানাগুলোতে ট্রেড ইউনিয়নের অনুমতি দেয়ার অনুরোধ এমন কী অন্যায় যে, ক্ষমতাসীন দলের দ্বিতীয় প্রধান নেতা এত ক্ষিপ্ত হয়েছেন? উপরি উক্ত অনুষ্ঠানেই সৈয়দ আশরাফ বলেছেন, বাংলাদেশের সংবিধানে শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়নের অধিকার দেয়া হয়েছে। সংবিধানে যে অধিকার আছে, তা বাস্তবায়নের জন্য দেশ বা বিদেশের কোনো ব্যক্তির অনুরোধে ুব্ধ হওয়ার কারণ থাকতে পারে না। জনগণের ধারণা হচ্ছে, শ্রমিকদের অধিকারের বিষয়ে সরকার সংবিধানের বিধানও মানতে অনিচ্ছুক। অথচ এই সরকারই এখন সংবিধানে নেইÑ এ অজুহাতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তনের অযৌক্তিক ও স্বার্থদুষ্ট বিরোধিতা করছেন। এ ধরনের দ্বৈতনীতি সুবিধাবাদের নামান্তর। বিরোধী দলে থাকলে হরতাল ও সংসদ বর্জন গণতান্ত্রিক অধিকার মনে করা হয়, আর সরকারে থাকলে এর চেয়ে ‘রাষ্ট্রবিরোধী’ কাজ আর কিছু আছে বলে মনে করা হয় না। বিরোধী দলে থাকাকালে দাবি আদায়ে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও আন্তর্জাতিক সংস্থার কাছে ধর্ণা, বিভিন্ন দূতাবাসে পত্র লিখে সরকারের বিরুদ্ধে নালিশ, বৈদেশিক সাহায্য বন্ধ করার অনুরোধ। তখন রাষ্ট্রদূতদের আমন্ত্রণ পেলেই ছুটে যেতেন, এখন রাষ্ট্রদূতদের সাক্ষাৎ পর্যন্ত দেন না। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা যেমনÑ জাতিসঙ্ঘ, বিশ্বব্যাংক, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল, ইউরোপীয় ইউনিয়নÑ এসব প্রতিষ্ঠান নাকি সরকারের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত! রাষ্ট্রদূতেরা দিনের পর দিন অপেক্ষা করেও প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ পান না। পত্রিকার খবর থেকে জানা গেছে, বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী দেশ আমেরিকার রাষ্ট্রদূত ড্যান মজিনা চার মাস অপেক্ষা করেও প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাতের সুযোগ পাননি। আমেরিকার এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীও সম্প্রতি বাংলাদেশে সফরে এসে তার ব্যস্ততার কারণে সাক্ষাতের শিডিউল পাননি। অথচ এ দেশে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী পর্যন্ত ক্রিকেট খেলা দেখায় ব্যস্ত! গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় কাজ ফেলে ক্রিকেট ম্যাচ দেখা কিংবা কনসার্টে গান শোনার সময় পেতে অসুবিধা হয় না। শুধু তা-ই নয়, এসব অনুষ্ঠানে তাদের কেউ কেউ যে বালখিল্য আচরণ করেছেন, তা যে পদের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়, এটা বোঝার বোধশক্তিও আছে বলে মনে হয় না।
মাত্র কয়েক দিন আগে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে রাজধানীর উপকণ্ঠ আশুলিয়ার একটি গার্মেন্ট কারখানায় ১২৬ শ্রমিক অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। একই সময়ে চট্টগ্রামে নির্মাণাধীন ফাইওভার ধসে ১৩-১৪ জন নিহত হন। এ দু’টি ঘটনায় দেশের মানুষ যখন শোকে মুহ্যমান, তখন সরকারপ্রধান বিশ্বকাপ বা এশিয়াকাপ নয়, অন্য এক ক্রিকেট খেলায় বিজয়ের জন্য জনগণের প্রতি আনন্দমিছিল বের করার আহ্বান জানিয়েছেন! বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষ যখন অগ্নিকাণ্ডে অঙ্গার ও ফাইওভার ধসে পিষ্ট নিহতদের শোকে মুহ্যমান, তখন সরকারের শীর্ষস্থানীয় কেউ কেউ স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে বসে আনন্দ-উচ্ছ্বাসে মেতে উঠেছিলেন। অথচ বিশেষ দিনে কেউ ঘরে বসে নিজের জন্মদিন পালন করলেও আওয়ামী লীগ নেতারা ভীষণ কষ্ট পান।
১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় থাকাকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, আমার বেগুন আমি যত খুশি লবণ দিয়ে রাঁধব তাতে কার কী? ‘বেগুন যত খুশি লবণ দিয়ে রাঁধুন’ তাতে আপত্তি থাকার কথা নয়, কিন্তু বাংলাদেশটা তো রাষ্ট্র, এটা বেগুন নয়। দেশের ভবিষ্যৎ ও জনগণের ভাগ্য নিয়ে কোনো দল, সরকার, নেতানেত্রী যা খুশি তা করতে পারেন না। মন্ত্রীরা দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করার শপথ নিয়েছেন। দেশের ক্ষতি করার অধিকার কারোই নেই। ১৬ কোটি মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলার কোনো অধিকার কোনো দল বা গোষ্ঠীর নেই। পাকিস্তানের কথা দিয়েও ডি-৮ সম্মেলনে না গিয়ে মুসলিম বিশ্বের কাছে দেশের ভাবমর্যাদা ুণœ করা হলো। বিশ্বব্যাংক, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল ইত্যাদি আন্তর্জাতিক সংস্থা সম্পর্কে অনভিপ্রেত মন্তব্য করা হলো দুর্নীতিবাজদের রক্ষা করতে সরকার থেকে। পদ্মা সেতুর নির্মাণব্যয় দ্বিগুণ করে দেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য জাতির কাছে কি একদিন জবাবদিহি করতে হবে না?
No comments