র্যাব-বনদস্যু বন্দুকযুদ্ধ বাহিনীপ্রধান শহিদসহ নিহত দুই- সুন্দরবনে ঘণ্টাব্যাপী গুলিবিনিময়, বিপুল অস্ত্র গুলি উদ্ধার
পূর্ব সুন্দরবনের শেওলারচরে বুধবার র্যাব
ও বনদস্যুদের মধ্যে ঘণ্টাব্যাপী বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে। এতে শহিদুল
বাহিনীর প্রধান নটো শহিদুল (৩৫) ও বাকি বিল্লাহ বাহিনীর সেকেন্ড ইনকমান্ড
মুজিবর (৩৩) নিহত হয়েছে।
এ সময় ১৪টি আগ্নেয়াস্ত্র ও বিপুল গোলাবারুদ উদ্ধার এবং দস্যুদের একটি আস্তানা র্যাব ধ্বংস করেছে।
র্যাব-৮-এর সিও লে. কর্নেল ফরিদ উল আলম জানান, কিছুদিন ধরে বঙ্গোপসাগর
সংলগ্ন সুন্দরবনের বরকতের শেওলার চর এলাকায় ৩০/৩৫ জন বনদস্যু নিয়ে গঠিত
দুটি গ্রুপ শহিদুল বাহিনী ও বাকি বিল্লাহ বাহিনী জেলেদের কাছ থেকে নিয়মিত
চাঁদা আদায় করে আসছিল। জেলেদের কাছ থেকে মাছ-জাল লুটসহ হামলা ও জিম্মি করে
মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনায় অসহায় হয়ে পড়েছিল ম্যানগ্রোভ বনের মৎস্যজীবীরা।
র্যাব-৮-এর একটি দল বুধবার সকালে ওই এলাকায় অভিযানে গেলে প্রথমে গা-ঢাকা দেয় দস্যুরা। এর কিছুক্ষণ পর দস্যুরা র্যাব সদস্যদের ওপর অতর্কিত গুলি চালাতে শুরু করে। র্যাবও এ সময় পাল্টাগুলি চালায়। এক ঘণ্টা গুলিবিনিময়ের এক পর্যায়ে দস্যুরা পিছু হটে যায়। ঘটনাস্থল থেকে দুই দস্যুর মৃতদেহসহ ৬টি একনলা বন্দুক, ৫টি ওয়ান স্যুটার, একটি পিস্তল, দুটি এয়ারগান, ৩৪ রাউন্ড গুলি ও অন্য মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় নিহতদের মধ্যে শহিদুল ইসলাম নিজেই শহিদ বাহিনীর প্রধান। সে বাগেরহাট জেলার রামপাল উপজেলার শ্রীফলতলা গ্রামের মৃত দলিল উদ্দিন শেখের ছেলে এবং মুজিবুর রহমান বনদস্যু বাকি বিল্লাহ বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড বলে সূত্র জানায়।
র্যাব জানায়, সুন্দরবন দস্যুমুক্ত করতে প্রায় ১৫ দিন আগে থেকে র্যাবের অভিযান শুরু হয়। র্যাব সদরদফতর এবং বরিশাল-৮-এর একাধিক কর্মকর্তাসহ ৪০ জন সদস্য বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে সুন্দরবনে চিরুনি অভিযান চালাচ্ছে।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আবুল কালাম আজাদ পিপিএম জানান, দস্যুদের লাশ, অস্ত্রশস্ত্র ও মালামাল থানায় হস্তান্তর ও মামলা দায়ের করা হয়েছে।
র্যাব-৮-এর মিডিয়া বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এদিন সকাল সোয়া ৯টার দিকে র্যাব সদর দফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল মজিবর রহমান এবং বরিশাল-৮-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফরিদুল আলমের নেতৃত্বে র্যাবের ৪০ সদস্যের একটি দল শ্যালার চর এলাকায় অভিযান শুরু করেন। র্যাব সদস্যরা দস্যুদের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে কালামিয়ার ভারানীর এলাকায় পৌঁছলে বনের ভেতর থেকে র্যাবকে লক্ষ্য করে দস্যুরা এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকে। এ সময় র্যাবও পাল্টাগুলি চালায়।
র্যাব-৮-এর একটি দল বুধবার সকালে ওই এলাকায় অভিযানে গেলে প্রথমে গা-ঢাকা দেয় দস্যুরা। এর কিছুক্ষণ পর দস্যুরা র্যাব সদস্যদের ওপর অতর্কিত গুলি চালাতে শুরু করে। র্যাবও এ সময় পাল্টাগুলি চালায়। এক ঘণ্টা গুলিবিনিময়ের এক পর্যায়ে দস্যুরা পিছু হটে যায়। ঘটনাস্থল থেকে দুই দস্যুর মৃতদেহসহ ৬টি একনলা বন্দুক, ৫টি ওয়ান স্যুটার, একটি পিস্তল, দুটি এয়ারগান, ৩৪ রাউন্ড গুলি ও অন্য মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় নিহতদের মধ্যে শহিদুল ইসলাম নিজেই শহিদ বাহিনীর প্রধান। সে বাগেরহাট জেলার রামপাল উপজেলার শ্রীফলতলা গ্রামের মৃত দলিল উদ্দিন শেখের ছেলে এবং মুজিবুর রহমান বনদস্যু বাকি বিল্লাহ বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড বলে সূত্র জানায়।
র্যাব জানায়, সুন্দরবন দস্যুমুক্ত করতে প্রায় ১৫ দিন আগে থেকে র্যাবের অভিযান শুরু হয়। র্যাব সদরদফতর এবং বরিশাল-৮-এর একাধিক কর্মকর্তাসহ ৪০ জন সদস্য বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে সুন্দরবনে চিরুনি অভিযান চালাচ্ছে।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আবুল কালাম আজাদ পিপিএম জানান, দস্যুদের লাশ, অস্ত্রশস্ত্র ও মালামাল থানায় হস্তান্তর ও মামলা দায়ের করা হয়েছে।
র্যাব-৮-এর মিডিয়া বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এদিন সকাল সোয়া ৯টার দিকে র্যাব সদর দফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল মজিবর রহমান এবং বরিশাল-৮-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফরিদুল আলমের নেতৃত্বে র্যাবের ৪০ সদস্যের একটি দল শ্যালার চর এলাকায় অভিযান শুরু করেন। র্যাব সদস্যরা দস্যুদের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে কালামিয়ার ভারানীর এলাকায় পৌঁছলে বনের ভেতর থেকে র্যাবকে লক্ষ্য করে দস্যুরা এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকে। এ সময় র্যাবও পাল্টাগুলি চালায়।
No comments