বর্তমান আওয়ামী লীগ আর বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ এক নয়- প্রাক্তন ছাত্রলীগ ফাউন্ডেশনের শোক দিবসের আলোচনা
আওয়ামী লীগে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের মূল্যায়ন হচ্ছে না অভিযোগ করে সাবেক ছাত্রলীগ নেতারা বলেছেন, এক এগারোর সময় কে কোথায় দাঁড়িয়ে ছবি তুলেছে তারই মূল্যায়ন করা হচ্ছে। আদর্শের নয়, আনুগত্যের পুরস্কার দেয়া হচ্ছে। বর্তমান আওয়ামী লীগ আর বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ এক নয় বলেও মন্তব্য করেন তাঁরা।
শনিবার বিকেলে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে প্রাক্তন ছাত্রলীগ আয়োজিত শোক দিবসের আলোচনাসভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। বক্তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমালোচনা করে বলেন, রক্তের উত্তরাধিকার আর আদর্শের উত্তরাধিকার এক নয়। সারাদেশে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের উত্তরাধীকারীদের নিয়ে আমরা পথ চলা শুরু করব।
প্রাক্তন ছাত্রলীগ ফাউন্ডেশনের সভাপতি নূরে-আলম সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনাসভায় বক্তব্য রাখেন সংবিধান প্রণেতা ও প্রবীণ আইনজ্ঞ ড. কামাল হোসেন, প্রবীণ সাংবাদিক এবিএম মূসা, আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ডাকসু ভিপি মাহমুদুর রহমান মান্না, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মোস্তফা মহসিন মন্টু, সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী, সাংবাদিক পীর হাবিবুর রহমান, মনিরুল হক মণি, নূরুল আলম, মফিদুল ইসলাম কামাল, এমএ রশিদ, মোশাররফ হোসেন ও শাহীন রেজা নূর।
অনুষ্ঠানের মূল আলোচক গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন একই ব্যক্তির বার বার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের সমালোচনা করে বলেন, বার বার প্রধানমন্ত্রী হওয়াটা ক্ষমতার লোভ, রাজনীতি নয়। রাজনীতি হলো বার বার প্রধানমন্ত্রী হওয়া নয়, বরং জনগণের অধিকারের পক্ষে কথা বলা। তিনি বলেন, ‘আমাদের সমালোচনা করা হয় এই বলে যে, এত গুণী ব্যক্তি কিন্তু নির্বাচনে তো জিততে পারেন না। আমরা কোটি টাকার নির্বাচন চাই না।’
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা আসল নির্বাচন দেখেছি। বঙ্গবন্ধু একজন দীনহীন মানুষকেও ভোটে নমিনেশন দিতেন। বঙ্গবন্ধু আমলে রাজনীতির পরীক্ষা হতো কে কত বছর জেল খেটেছে। আর এখন প্রতিযোগিতা হয় কে কত টাকা দিতে পারবেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা থাকলে টাকাকে লাথি মারতে হবে। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ ৫ কোটি টাকার এই নির্বাচন দিয়ে পূরণ হবে না। এই আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ নয়।
প্রবীণ সাংবাদিক এ বিএম মূসা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমালোচনা করে বলেন, ৬ দফার সময় নানাভাবে বঙ্গবন্ধুকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হয়েছে। উনি সরাসরি বলেছেন, আমি প্রধানমন্ত্রীত্ব চাই না। কিন্তু আজ তাঁর কন্যা প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন এবং প্রধানমন্ত্রী থাকতে চাচ্ছেনÑএজন্যই আজ রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বহাল রাখা
হয়েছে। আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুর আদর্শহীন হয়ে পড়েছে এমন অভিযোগ করে আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগের নেতারা বিলাসীবৈভবে ভাসছেন। তাদের বিলাসী জীবন এখন দেশ থেকে বিদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। লন্ডন-আমেরিকায় বাড়ি কিনছেন। দেশের অর্থ বিদেশে পাচার করছেন যা বঙ্গবন্ধুর সময় চিন্তাও করা যেত না। আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন দেয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে টাকা নয়, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রতি শ্রদ্ধাকে গুরুত্ব দেয়ার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, আবার তো নির্বাচন হবে। নমিনেশন দেয়ার সময় কার কত টাকা আছে না দেখে এটা দেখেন তাঁরা বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী পড়েছে কিনা?
আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতাকর্মীর বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী পড়া উচিত উল্লেখ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত পরিশ্রম করে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী প্রকাশ করেছেন। কিন্তু খুবই দুর্ভাগ্যের বিষয়, তাঁর সেই পরিশ্রমের ৯০ ভাগ ব্যর্থ হয়ে গেছে। কারণ এই বই কেউ কিনছে না।
সাংবাদিক পীর হাবিবুর রহমান বলেন, আওয়ামী লীগ মূল্যবোধ হারিয়ে এমন স্থানে গেছে যে আজকাল আওয়ামী লীগে বই পড়ার লোক নেই।
সভাপতির বক্তব্যে ফাউন্ডেশনের সভাপতি নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, ১/১১ এর পর কে কাঁটাতারের বেড়া ডিঙ্গিয়ে শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করে এসেছে, আজকের রাজনীতিতে সেটাই এখন সবচেয়ে বড় আনুগত্য। তিনি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, অনেক হয়েছে; অনেক পেয়েছেন। এবার আসুন দেশের কথা ভাবুন।
প্রাক্তন ছাত্রলীগ ফাউন্ডেশনের সভাপতি নূরে-আলম সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনাসভায় বক্তব্য রাখেন সংবিধান প্রণেতা ও প্রবীণ আইনজ্ঞ ড. কামাল হোসেন, প্রবীণ সাংবাদিক এবিএম মূসা, আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ডাকসু ভিপি মাহমুদুর রহমান মান্না, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মোস্তফা মহসিন মন্টু, সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী, সাংবাদিক পীর হাবিবুর রহমান, মনিরুল হক মণি, নূরুল আলম, মফিদুল ইসলাম কামাল, এমএ রশিদ, মোশাররফ হোসেন ও শাহীন রেজা নূর।
অনুষ্ঠানের মূল আলোচক গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন একই ব্যক্তির বার বার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের সমালোচনা করে বলেন, বার বার প্রধানমন্ত্রী হওয়াটা ক্ষমতার লোভ, রাজনীতি নয়। রাজনীতি হলো বার বার প্রধানমন্ত্রী হওয়া নয়, বরং জনগণের অধিকারের পক্ষে কথা বলা। তিনি বলেন, ‘আমাদের সমালোচনা করা হয় এই বলে যে, এত গুণী ব্যক্তি কিন্তু নির্বাচনে তো জিততে পারেন না। আমরা কোটি টাকার নির্বাচন চাই না।’
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা আসল নির্বাচন দেখেছি। বঙ্গবন্ধু একজন দীনহীন মানুষকেও ভোটে নমিনেশন দিতেন। বঙ্গবন্ধু আমলে রাজনীতির পরীক্ষা হতো কে কত বছর জেল খেটেছে। আর এখন প্রতিযোগিতা হয় কে কত টাকা দিতে পারবেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা থাকলে টাকাকে লাথি মারতে হবে। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ ৫ কোটি টাকার এই নির্বাচন দিয়ে পূরণ হবে না। এই আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ নয়।
প্রবীণ সাংবাদিক এ বিএম মূসা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমালোচনা করে বলেন, ৬ দফার সময় নানাভাবে বঙ্গবন্ধুকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হয়েছে। উনি সরাসরি বলেছেন, আমি প্রধানমন্ত্রীত্ব চাই না। কিন্তু আজ তাঁর কন্যা প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন এবং প্রধানমন্ত্রী থাকতে চাচ্ছেনÑএজন্যই আজ রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বহাল রাখা
হয়েছে। আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুর আদর্শহীন হয়ে পড়েছে এমন অভিযোগ করে আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগের নেতারা বিলাসীবৈভবে ভাসছেন। তাদের বিলাসী জীবন এখন দেশ থেকে বিদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। লন্ডন-আমেরিকায় বাড়ি কিনছেন। দেশের অর্থ বিদেশে পাচার করছেন যা বঙ্গবন্ধুর সময় চিন্তাও করা যেত না। আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন দেয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে টাকা নয়, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রতি শ্রদ্ধাকে গুরুত্ব দেয়ার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, আবার তো নির্বাচন হবে। নমিনেশন দেয়ার সময় কার কত টাকা আছে না দেখে এটা দেখেন তাঁরা বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী পড়েছে কিনা?
আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতাকর্মীর বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী পড়া উচিত উল্লেখ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত পরিশ্রম করে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী প্রকাশ করেছেন। কিন্তু খুবই দুর্ভাগ্যের বিষয়, তাঁর সেই পরিশ্রমের ৯০ ভাগ ব্যর্থ হয়ে গেছে। কারণ এই বই কেউ কিনছে না।
সাংবাদিক পীর হাবিবুর রহমান বলেন, আওয়ামী লীগ মূল্যবোধ হারিয়ে এমন স্থানে গেছে যে আজকাল আওয়ামী লীগে বই পড়ার লোক নেই।
সভাপতির বক্তব্যে ফাউন্ডেশনের সভাপতি নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, ১/১১ এর পর কে কাঁটাতারের বেড়া ডিঙ্গিয়ে শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করে এসেছে, আজকের রাজনীতিতে সেটাই এখন সবচেয়ে বড় আনুগত্য। তিনি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, অনেক হয়েছে; অনেক পেয়েছেন। এবার আসুন দেশের কথা ভাবুন।
No comments