দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচী সুফল বয়ে এনেছে, কমেছে ভিক্ষাবৃত্তি- সরকার গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপে গ্রামগঞ্জে ইতিবাচক প্রভাব by কামরুজ্জামান বাচ্চু
বাউফলে বর্তমান সরকার গৃহীত বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তা ও দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচী প্রায় অর্ধ লাখ মানুষের জীবনে সুফল বয়ে এনেছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে বয়স্ক ভাতা, বিধবা বা স্বামী পরিত্যক্ত দুস্থ মহিলা ভাতা, অসচ্ছল মুক্তেিযাদ্ধা ও পোষ্যদের আত্মকর্মসংস্থান, এসিড ˜গ্ধ ও শারীরিক প্রতিবন্ধীদের বিশেষ ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচী, ভিজিডি, ভিজিএফ কর্মসূচী ইত্যাদি ।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ৬ হাজার ৮শ’ ৬৩ বৃদ্ধÑবৃদ্ধাকে (যাদের বয়স ষাটের উর্ধে) মাথাপিছু ৩শ’ টাকা করে বয়স্ক ভাতা, ৩ হাজার ৪শ’৩৪ বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তা দুস্থ মহিলাকে মাথাপিছু মাসিক ৩শ’ টাকা করে দুস্থ ভাতা, ৩শ’ ৩৬ মুক্তিযোদ্ধাকে মাসিক ২ হাজার টাকা করে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, ৭শ’ ৪১ অসচ্ছল প্রতিবন্ধীকে মাসিক ৩শ’ টাকা করে প্রতিবন্ধী ভাতা, ৪৯ প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের মাসিক ৩শ’, ৪শ’ ৫০ ও ৬শ’ টাকা করে উপবৃত্তি ভাতা প্রদান করা হচ্ছে। সরকারের দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচীর আওতায় এ্যাসিডদগ্ধ ও শারীরিক প্রতিবন্ধীদের পুনর্বাসনের জন্য ১শ’ ৮৫ জনকে ১৪ লাখ ৬২ হাজার ৩৭ টাকা সুদমুক্ত ঋণ দেয়া হয়েছে । দর্জি ও হাঁস মুরগি লালনÑপালনে ৩ হাজার ৪শ’ দুস্থ মহিলাকে প্রশিক্ষণ দিয়ে আত্মকর্মসংস্থানের জন্য ৩৭ লাখ ৯৩ হাজার ১৭ টাকা ঋণ দেয়া হয়েছে। সরকারের ভিজিডির আওতায় উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে ১ হাজার ৫শ’ ৪০ দুস্থ মহিলার প্রত্যেককে ৩০ কেজি করে চাল ও ৮শ’ ৬৮ দুস্থ নারী গর্ভকালীন সময় মাতৃত্ব ভাতা প্রদান করা হচ্ছে। মহিলা অধিদফতরের ঘূর্ণায়মান তহবিল থেকে ১শ’ ৫১ দরিদ্র মহিলাকে বিভিন্ন ট্রেডের ওপর প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের আত্মকর্মসংস্থানের জন্য প্রত্যেককে সর্বনি¤œ ৫ হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ ১৫ হাজার টাকা করে ১৫ লাখ ৪৪ হাজার টাকা বিনা সুদে ঋণ দেয়া হয়েছে। অবৈতনিক প্রাথমিক শিক্ষায় উপবৃত্তি চালু করায় বাউফল উপজেলায় ২০ হাজার দুঃস্থ ছাত্র এই সুবিধা ভোগ করছে।
এছাড়াও বাউফল উপজেলা পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের (বিআরডিবি) উদ্যোগে একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের মাধ্যমে ২ হাজার ১শ’ ৬০ জনকে ১০ হাজার টাকা করে মোট ২ কোটি ১৬ লাখ টাকা সহজ শর্তে ঋণ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১ হাজার ৪শ’ ৭০ জন হচ্ছেন নারী। একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প থেকে ঋণ নিয়েছেন, বাউফলের আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের সাবপুরা গ্রামের কাসেম হাওলাদারের স্ত্রী মরিয়ম বেগম (৫৫), আলতাফ মৃধার স্ত্রী দিলারা বেগম (৪০) ও জয়নাল সিকদারের স্ত্রী আলোমতি বেগম (৪২) । তাঁরা ঋণের টাকার সঙ্গে আরও কিছু টাকা মিলিয়ে হাঁস-মুরগির খামার করেছেন। তাঁরা সেই খামার থেকে প্রতিদিন ডিম বিক্রি করে যে টাকা আয় করেন, তা থেকে ঋণের কিস্তি পরিশোধ করেন। বাকি যে টাকা থাকে তা সংসারের কাজে ব্যয় করেন।
মাঠপর্যায় খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে, এ সব কর্মসূচী এলাকার দারিদ্র্য বিমোচনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। বেকার পরিবারের লোকজন ঋণ নিয়ে আত্মকর্মসংস্থান গড়ে তুলে স্বাবলম্বী হচ্ছে। কর্মসংস্থানের সুযোগ হওয়ায় তরুণ ও যুবক শ্রেণীর লোকজন অনৈতিক কর্মকা- ছেড়ে কর্মমুখী হচ্ছে। গ্রামে ভিক্ষাবৃত্তি কমে আসছে।
সরকারের এসব কর্মসূচী সম্পর্কে বাউফল পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর জলিলুর রহমান বলেন, দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচীর বিভিন্ন কার্যক্রম বাউফলের মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নে সুফল বয়ে এনেছে। এসব কর্মসূচী চলমান থাকলে দরিদ্র শ্রেণীর মানুষ বেশি উপকৃত হবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, সরকারের এসব কর্মসূচী চলমান থাকলে সাধারন শ্রেণীর মানুষের উপকার হবে ঠিকই । কিন্তু পরনির্ভরতা বাড়বে। তাই সরকারের উচিৎ পরনির্ভরশীলতা কমাতে সুদমুক্ত ঋণ ব্যবস্থা চালু করা। তাহলেই কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে এবং অভাব-অনটন অনেকাংশে কমে যাবে।
এছাড়াও বাউফল উপজেলা পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের (বিআরডিবি) উদ্যোগে একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের মাধ্যমে ২ হাজার ১শ’ ৬০ জনকে ১০ হাজার টাকা করে মোট ২ কোটি ১৬ লাখ টাকা সহজ শর্তে ঋণ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১ হাজার ৪শ’ ৭০ জন হচ্ছেন নারী। একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প থেকে ঋণ নিয়েছেন, বাউফলের আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের সাবপুরা গ্রামের কাসেম হাওলাদারের স্ত্রী মরিয়ম বেগম (৫৫), আলতাফ মৃধার স্ত্রী দিলারা বেগম (৪০) ও জয়নাল সিকদারের স্ত্রী আলোমতি বেগম (৪২) । তাঁরা ঋণের টাকার সঙ্গে আরও কিছু টাকা মিলিয়ে হাঁস-মুরগির খামার করেছেন। তাঁরা সেই খামার থেকে প্রতিদিন ডিম বিক্রি করে যে টাকা আয় করেন, তা থেকে ঋণের কিস্তি পরিশোধ করেন। বাকি যে টাকা থাকে তা সংসারের কাজে ব্যয় করেন।
মাঠপর্যায় খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে, এ সব কর্মসূচী এলাকার দারিদ্র্য বিমোচনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। বেকার পরিবারের লোকজন ঋণ নিয়ে আত্মকর্মসংস্থান গড়ে তুলে স্বাবলম্বী হচ্ছে। কর্মসংস্থানের সুযোগ হওয়ায় তরুণ ও যুবক শ্রেণীর লোকজন অনৈতিক কর্মকা- ছেড়ে কর্মমুখী হচ্ছে। গ্রামে ভিক্ষাবৃত্তি কমে আসছে।
সরকারের এসব কর্মসূচী সম্পর্কে বাউফল পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর জলিলুর রহমান বলেন, দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচীর বিভিন্ন কার্যক্রম বাউফলের মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নে সুফল বয়ে এনেছে। এসব কর্মসূচী চলমান থাকলে দরিদ্র শ্রেণীর মানুষ বেশি উপকৃত হবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, সরকারের এসব কর্মসূচী চলমান থাকলে সাধারন শ্রেণীর মানুষের উপকার হবে ঠিকই । কিন্তু পরনির্ভরতা বাড়বে। তাই সরকারের উচিৎ পরনির্ভরশীলতা কমাতে সুদমুক্ত ঋণ ব্যবস্থা চালু করা। তাহলেই কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে এবং অভাব-অনটন অনেকাংশে কমে যাবে।
No comments