আলটিমেটাম বেসরকারী শিক্ষকদের

এমপিওভুক্তির দাবি বাস্তবায়নের জন্য সরকারকে আগামী ১৬ আগস্ট পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছে আন্দোলনরত বাংলাদেশ বেসরকারী শিক্ষক কর্মচারী পরিষদ। রাজধানীর তোপখানা রোডে নিজস্ব কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে পরিষদের নেতৃবৃন্দ সরকারকে আল্টিমেটাম দিয়ে বলেছেন, এই সময়ের মধ্যে দাবি পূরণ করা না হলে


আগামী ২ সেপ্টেম্বর থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে লাগাতার অবস্থান ধর্মঘট পালন করবেন শিক্ষকরা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সভাপতি মোঃ হানিফ উল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক একেএম জহিরুল হক, এসএম শাজাহান, ওয়ারেসুল ইসলাম সিদ্দিকী এবং নন-এমপিও শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের সভাপতি আলমগীর কবীর ও সাধারণ সম্পাদক এম সুশান্ত প্রমুখ। এক প্রশ্নের জবাবে তাঁরা বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দাবি না মানলে সরকারকে নিন্দা ও ধিক্কার জানাতে ঈদের দিনও কর্মসূচী পালন করা হতে পারে। এদিকে যতদ্রুত সম্ভব এমপিও প্রদানের দাবি জানিয়েছেন এ বিষয়ে আন্দোলনরত সবচেয়ে বড় সংগঠন এমপিওবঞ্চিত শিক্ষক ফোরামের আহ্বায়ক মঞ্জিলে মিল্লাত। এর আগে গত কয়েক মাস ধরেই এমপিওর দাবিতে শিক্ষকরা অনশন, বিক্ষোভসহ বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করে যাচ্ছেন। আন্দোলনকারী শিক্ষকরা বলেছেন, দীর্ঘদিন ধরে চাকরি করছি। অন্তত মানবিক দৃষ্টিতে হলেও শিক্ষকদের আবেদন গ্রহণ করুন। আর যদি নিয়োগের সময় যোগ্যতা না থাকে তবে অনিয়মের দায়ে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিও বাতিল করতে হবে। তবে নিজেদের বঞ্চিত দাবি করলেও জানা গেছে, নিয়োগের সময় প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকায় নীতিমালা অনুযায়ী তাদের এমপিওভুক্ত করা অনেকটাই অসম্ভব হয়ে পড়েছে। নিজেদের বঞ্চিত দাবি করলেও জানা গেছে, নিয়োগের সময় প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকায় নীতিমালা অনুযায়ী তাদের এমপিওভুক্ত করা যাচ্ছে না। স্ব স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের সময় নতুন এমপিও পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর এক হাজার ৪৪১ জন শিক্ষকের যথাযথ প্রশিক্ষণ ও শিক্ষাগত যোগ্যতা ছিল না। যেমন এমপিওভুক্ত হতে হলে শিক্ষকের স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অবশ্যই থাকতে হবে এমন বিধান থাকলেও অনেকেরই নিয়োগের সময় তা ছিল না। কম্পিউটার বিষয়ের শিক্ষকের ছিল না কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, শরীর চর্চার শিক্ষকের ছিল না বিপিএড ইত্যাদি। নিয়োগের পরে এসব যোগ্যতা পূরণ করলেও বিধান অনুয়ায়ী তার কোন মূল্য নেই। ঠিক এমন এক অবস্থায় হতাশ হয়ে পড়েছেন দীর্ঘদিন ধরে চাকরি করার এই শিক্ষকরা। বিষয়টিকে অন্তত মানবিক দৃষ্টিতে হলেও বিশেষভাবে বিবেচনা করার জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন তাঁরা। সংশ্লিষ্ট সকলেই বলছেন, আইন অনুসারে এই শিক্ষকদের এমপিও দেয়ার সুযোগ নেই। সরকার যদি মানবিক দিক বিবেচনা করে অযোগ্যতার বিষয়টি মাপ করে দিয়ে কাজ করে তবে সেটাই এমপিও দেয়ার একমাত্র পথ।

No comments

Powered by Blogger.