সিরিয়া নিয়ে আলোচনায় ইস্তাম্বুলে হিলারি
সিরিয়া সংকট নিয়ে আলোচনা করতে গতকাল শনিবার তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুলে পেঁৗছেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন। তুর্কি নেতাদের পাশাপাশি সিরিয়ার বিরোধীদের সঙ্গেও আলোচনা করবেন তিনি। ধারণা করা হচ্ছে, আসাদ সরকারের পতনের পর ক্ষমতার পালাবদলের রূপরেখা আলোচনায় গুরুত্ব পাবে।
আফ্রিকার ৯টি দেশে ১১ দিনের সফরের শেষ দেশ বেনিন থেকে হিলারি ইস্তাম্বুলে যান। গতকালই তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আহমেত দাভুতোগলুর সঙ্গে তাঁর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে হাজির হওয়ার কথা ছিল।
প্রেসিডেন্ট আব্দুল্লাহ গুল এবং প্রধানমন্ত্রী রেসেপ তাইয়িপ এরদোগানের সঙ্গে বৈঠক করবেন হিলারি। তুরস্কে আশ্রয় নেওয়া সিরীয় শরণার্থীদের সঙ্গেও আলোচনার কথা রয়েছে হিলারির।
আগের দিন শুক্রবার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের সরকার এবং তাদের মিত্রদের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ওয়াশিংটন।
তুর্কি নেতাদের সঙ্গে হিলারির আলোচনার ব্যাপারে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, 'দীর্ঘ ও গভীর আলোচনায়' ত্রিমুখী কৌশল নিয়ে কথা বলবেন তাঁরা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা জানান, এর প্রথম দিকটি হলো, 'বিরোধীদের সমর্থন দেওয়ার প্রভাব কী হতে পারে, সেই বিষয়টি বিচার করে দেখা।' এর সঙ্গে সিরিয়া সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ এবং বিশ্ব থেকে তাদের বিচ্ছিন্ন করার বিষয়টি জড়িত। দ্বিতীয় ধাপে তুরস্কে আশ্রয় নেওয়া সিরীয় শরণার্থীদের দিকে সাহায্যের হাত আরো বাড়িয়ে দেওয়ার ব্যাপারে আলোচনা হবে। 'শেষে আসাদের পতন-পরবর্তী সময়ে ক্ষমতা হস্তান্তরের ব্যাপারে আলোচনা করবেন নেতারা।'
এদিকে, শুক্রবারও সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় শহর আলেপ্পোতে বিদ্রোহীদের সঙ্গে সরকারি বাহিনীর সংঘর্ষ হয়েছে। বিরোধীদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থাগুলো জানিয়েছে, শহরের পূর্বাঞ্চলীয় তারিক আল-বাব ডিস্ট্রিক্টে আসাদ বাহিনীর শেল নিক্ষেপে ১২ জন মারা গেছে। আহত হয়েছে কমপক্ষে ২০ জন।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, সংঘাতের কারণে সাধারণ সিরীয়দের দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার সংখ্যা বাড়ছে। আলেপ্পোর সহিংসতায় তা আরো বেড়েছে। এ অবস্থায় তুরস্কের মতো প্রতিবেশী দেশের শরণার্থী শিবিরগুলোতে মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে।
বর্তমানে তুরস্কে ৫০ হাজারেরও বেশি সিরীয় শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছে। ইস্তাম্বুল আশা করছে, মানবিক সাহায্যের জন্য অতিরিক্ত ৫৫ লাখ ডলারের বরাদ্দ ঘোষণা করবেন হিলারি। সূত্র : বিবিসি।
প্রেসিডেন্ট আব্দুল্লাহ গুল এবং প্রধানমন্ত্রী রেসেপ তাইয়িপ এরদোগানের সঙ্গে বৈঠক করবেন হিলারি। তুরস্কে আশ্রয় নেওয়া সিরীয় শরণার্থীদের সঙ্গেও আলোচনার কথা রয়েছে হিলারির।
আগের দিন শুক্রবার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের সরকার এবং তাদের মিত্রদের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ওয়াশিংটন।
তুর্কি নেতাদের সঙ্গে হিলারির আলোচনার ব্যাপারে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, 'দীর্ঘ ও গভীর আলোচনায়' ত্রিমুখী কৌশল নিয়ে কথা বলবেন তাঁরা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা জানান, এর প্রথম দিকটি হলো, 'বিরোধীদের সমর্থন দেওয়ার প্রভাব কী হতে পারে, সেই বিষয়টি বিচার করে দেখা।' এর সঙ্গে সিরিয়া সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ এবং বিশ্ব থেকে তাদের বিচ্ছিন্ন করার বিষয়টি জড়িত। দ্বিতীয় ধাপে তুরস্কে আশ্রয় নেওয়া সিরীয় শরণার্থীদের দিকে সাহায্যের হাত আরো বাড়িয়ে দেওয়ার ব্যাপারে আলোচনা হবে। 'শেষে আসাদের পতন-পরবর্তী সময়ে ক্ষমতা হস্তান্তরের ব্যাপারে আলোচনা করবেন নেতারা।'
এদিকে, শুক্রবারও সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় শহর আলেপ্পোতে বিদ্রোহীদের সঙ্গে সরকারি বাহিনীর সংঘর্ষ হয়েছে। বিরোধীদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থাগুলো জানিয়েছে, শহরের পূর্বাঞ্চলীয় তারিক আল-বাব ডিস্ট্রিক্টে আসাদ বাহিনীর শেল নিক্ষেপে ১২ জন মারা গেছে। আহত হয়েছে কমপক্ষে ২০ জন।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, সংঘাতের কারণে সাধারণ সিরীয়দের দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার সংখ্যা বাড়ছে। আলেপ্পোর সহিংসতায় তা আরো বেড়েছে। এ অবস্থায় তুরস্কের মতো প্রতিবেশী দেশের শরণার্থী শিবিরগুলোতে মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে।
বর্তমানে তুরস্কে ৫০ হাজারেরও বেশি সিরীয় শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছে। ইস্তাম্বুল আশা করছে, মানবিক সাহায্যের জন্য অতিরিক্ত ৫৫ লাখ ডলারের বরাদ্দ ঘোষণা করবেন হিলারি। সূত্র : বিবিসি।
No comments