রিয়েল এস্টেট

মানুষের মৌলিক চাহিদার মধ্যে আবাসন অন্যতম। বাণিজ্যিকভিত্তিতে আবাসন চাহিদা মেটানোর জন্য বাংলাদেশে রিয়েল এস্টেট ব্যবসার আবির্ভাব। প্রথমদিকে কিছু রিয়েল এস্টেট কোম্পানি এ ক্ষেত্রটি নিয়ন্ত্রণ করলেও বর্তমানে কোম্পানির সংখ্যা সহস্রাধিক। বর্তমানে এ খাতে কাজ করার জন্য রয়েছে দক্ষ জনবলের অভাব।


ইউরোপসহ এশিয়ার কয়েকটি দেশ দক্ষ জনশক্তির চাহিদা পূরণের জন্য রিয়েল এস্টেট বিষয়ের ওপর উচ্চশিক্ষা কার্যক্রম শুরু করেছে। সম্প্রতি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে চালু হয়েছে সম্ভাবনাময় এ বিষয়। ২০০৮ সাল থেকে চার বছর মেয়াদী শিক্ষাব্যবস্থার আওতায় ব্যাচেলর অব রিয়েল এস্টেট ডিগ্রী কার্যক্রম চালু হয়েছে। চাইলে আপনিও পড়তে পারেন এ বিষয়ে।
কেন পড়বেন : বিভিন্ন সময়ে একাধিক সুউচ্চ ভবন হেলে পড়া বা ভেঙ্গে পড়ার মতো বিপজ্জনক ঘটনার শিকার হতে হচ্ছে আমাদের। ভবনগুলোর নির্মাণ ত্রুটি, অব্যবস্থাপনা ও যথাযথ জ্ঞানের অভাব এজন্য দায়ী। রিয়েল এস্টেট খাতে বিষয়ভিত্তিক পড়াশোনা জানা লোকের প্রয়োজনীয়তা এখন সময়ের দাবি।
কি পড়ানো হয় : চার বছর মেয়াদী ও ১২৮ ক্রেডিটের ব্যাচেলর অব রিয়েল এস্টেট বিষয়ে রিয়েল এস্টেট ব্যবসার পরিচিতি, মূলনীতি, আধুনিক নগরায়ন, পরিবেশ বিজ্ঞান, রিয়েল এস্টেটের সঙ্গে পরিবেশের সম্পর্ক, রিয়েল এস্টেটে বিপণন ব্যবস্থাপনা, রিয়েল এস্টেটে পরিকল্পনায় সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ও আর্কিটেক্ট ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মৌলিক বিষয়সমূহ, রিয়েল এস্টেটে আইন, রিয়েল এস্টেটে জিআইএস, বাংলাদেশে রিয়েল এস্টেটের সমসাময়িক ইস্যু, রিয়েল এস্টেটে বিনিয়োগ ও মূল্যায়ন, রিয়েল এস্টেটে পরিসংখ্যানসহ সর্বমোট ৪২টি বিষয় পড়ানো হয়।
ভর্তির যোগ্যতা : এসএসসি ও এইচএসসিতে ভাল জিপিএ-ধারীসহ ভর্তি হওয়ার পর ডিপার্টমেন্টের প্রতি সেমিস্টারে ভাল রেজাল্ট করা মেধাবীদের বিভিন্ন পর্যায়ের বৃত্তি প্রদান করা হয়ে থাকে। এছাড়াও গরিব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রেও ডিআইইউ বিশেষ ছাড় দিয়ে থাকে।
ক্যারিয়ার সম্ভাবনা : প্রফেসর শাহজাহান মিনা বলেন, রিয়েল এস্টেট বিভাগ থেকে ডিগ্রী নিয়ে বের হয়ে শিক্ষার্থীদের ক্রমবর্ধমান এ খাতে ক্যারিয়ার গঠনের অপার সুযোগ ও সম্ভাবনা রয়েছে। বিষয়টি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে একেবারেই নতুন ও সমসাময়িক। তাই এ রিয়েল এস্টেট বিভাগ থেকে ডিগ্রী নিয়ে বেরোনো শিক্ষার্থীদের চাহিদা বেশি থাকবে এটাই স্বাভাবিক। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বিভাগীয় প্রধান সহকারী অধ্যাপক মাসুদ ইবনে রহমান বলেন, ডিআইইউয়ের চার বছর মেয়াদী ব্যাচেলর অব রিয়েল এস্টেট বিষয়ে একাডেমিক ডিগ্রী অর্জনের পথে একজন শিক্ষার্থী নিয়মিতভাবে ডিপার্টমেন্ট আয়োজিত আমন্ত্রিত বিশেষজ্ঞ পরিচালিত বিষয়ভিত্তিক বিভিন্ন সেমিনার. সিম্পোজিয়াম, ওয়ার্কশপ, ব্যবহারিক প্রোজেক্ট, বাণিজ্য উৎসব প্রভৃতিতে অংশ নিয়ে থাকে। মূল কোর্সের সঙ্গে সন্নিবেশিত এসব কার্যক্রম প্রতিটি শিক্ষার্থীকে পুরোপুরি দক্ষ ও বাস্তব জ্ঞানসম্পন্ন করে তোলে। সিনিয়র মেধাবী শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন রিয়েল এস্টেট কোম্পানিতে পার্টটাইম চাকরির জন্য পাঠানো হয়।
শিক্ষার্থীদের কথা : ডিআইইউ রিয়েল এস্টেট বিভাগের ৭ম সেমিস্টারের মেধাবী ছাত্রী মেহনাজ গুলশান আশা বলেন, এখান থেকে ভাল ফল করে সামাজিক দায়বদ্ধতা পূরণের পাশাপাশি ভাল কিছু করতে পারব বলে আশা করি।
বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ : ১০২ শুক্রাবাদ, ঢাকা। ফোন-৯১৩৮২৩৫, ৯১১৬৭৭৪।

ক্যাম্পাস প্রতিবেদন

No comments

Powered by Blogger.