গুপ্তধনের সন্ধানে ব্রিটিশ অভিযাত্রীরা প্রশান্ত মহাসাগরে
গুপ্তধনের সন্ধানে দুঃসাহসী অভিযানের নানা কাহিনী ছড়িয়ে আছে নানা পৌরাণিক উপকথায়। অনেকেই বিশ্বাস করেন সেসব কাহিনী, আবার অনেকেই শ্রেফ কল্পগল্প বলে উড়িয়ে দেন। তেমনই ১৯ শতকের এক বহুল আলোচিত কাহিনী এবার হাতছানি দিয়েছে এক ব্রিটিশ অভিযাত্রী দলকে।
তাঁরা গুপ্তধনের সন্ধানে বেরিয়ে পড়েছেন প্রশান্ত মহাসাগরের এক নির্জন দ্বীপে। ধারণা করা হচ্ছে, কোকোস নামের ওই দ্বীপটিতে লুকিয়ে রয়েছে জলদস্যুদের হাতে লুণ্ঠিত বিশাল এক রত্নভাণ্ডার, যার মূল্য কয়েক লাখ ডলার।
ঐতিহাসিক তথ্যমতে, ব্রিটিশ ব্যবসায়ী ক্যাপ্টেন উইলিয়াম থম্পসন ১৮২০ সালে পেরু থেকে মেঙ্েিকার উদ্দেশে জাহাজ ছাড়েন। দস্যুরা স্পেন থেকে লুট করা বিশাল এক রত্নভাণ্ডার তাঁর হতে তুলে দেয় বিশেষ জায়গায় পেঁৗছে দেওয়ার জন্য। কিন্তু তিনি সেই সম্পদ আর ফেরত দেননি। ধারণা করা হচ্ছে, কোস্টারিকার ৩৫০ মাইল দূরের কোকোস দ্বীপে সেসব লুকিয়ে রাখা হয়েছে। তারপর আর ওই ধনরত্নের খবর পাওয়া যায়নি। ইতিহাসে ওই ঘটনা 'লিমা লুট' কাহিনী হিসেবে পরিচিত। ওই রত্নভাণ্ডারের সন্ধানেই ব্রিটিশ অভিযাত্রী দলটি অভিযান শুরু করেছে। অভিযাত্রী দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ব্রিটেনের মেলটন মোব্রে শহরের শন হোয়াইটহেড নামের এক প্রত্নতাত্তি্বক। অভিযাত্রীদের মতে, সেখানে লুকানো ধনরত্নের মূল্য ১৬০ মিলিয়ন পাউন্ড। তবে মূল নথি অনুযায়ী দেখা যায়, লুণ্ঠিত মালামালের মধ্যে ১১৩টি স্বর্ণমূর্তি, মেরি মাতার প্রমাণ সাইজের একটি স্বর্ণের মূর্তি, অলঙ্কার ভর্তি ২০০টি সিন্দুক, অলঙ্কারখচিত ২৭৩টি তরবারি, ১০০০ হীরা, খাঁটি স্বর্ণের মুকুট, ১৫০টি পানপাত্র ও কয়েক শ স্বর্ণ ও রৌপ্যের বার।
কোকোস দ্বীপটি এখনো নির্জন। জনমানুষের আবাস গড়ে ওঠেনি সেখানে। নিষ্কলঙ্ক অপরূপ প্রাকৃতিক পরিবেশ ও নানা বিচিত্র সব বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য হওয়ায় দ্বীপটি জাতিসংঘের ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত। 'লিমা লুট' কাহিনীতে আকৃষ্ট হয়ে বিগত দিনে দ্বীপটিতে পা পড়েছে নামিদামি লোকদেরও। এঁদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্ট, ব্রিটিশ মোটরসাইকেল রেসার স্যার ম্যালকম ক্যাম্পবেল ও অভিনেতা এরল ফ্লিনের নাম উল্লেখযোগ্য। রুজভেল্ট ১৯১০ সালে বন্ধুবান্ধব নিয়ে দ্বীপটিতে ঘুরতে যান, ক্যাম্পবেল যান ১৯২০-এর দশকে আর ফ্লিন যান ১৯৪০ এর দশকে।
গত সিকি শতাব্দীরও বেশি সময়ের মধ্যে ওই দ্বীপে কোনো অনুসন্ধান চালানো হয়নি। হোয়াইটহেডের ১৮ মাস লেগেছে কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে দ্বীপটিতে অনুসন্ধান চালানোর অনুমতি জোগাড় করতে। হোয়াইটহেড এর আগে মিসরের গিজা পিরামিডে অনাবিষ্কৃত গুপ্তধনের সন্ধানে অভিযান পরিচালনা করেন। ১৫ সদস্যের দলটির ১০ দিনের এই অভিযানে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। বিশেষ ক্যামেরা সংযোজিত একটি ছোট্ট চালকবিহীন হেলিকপ্টার প্রথমে ৯ বর্গমাইল আয়তনের দ্বীপটির ওপর চক্কর দিয়ে এর একটি কম্পিউটার জেনারেটেড ত্রিমাত্রিক মানচিত্র তৈরি করবে। তারপর সাপের মতো একটি রোবট ছেড়ে দেওয়া হবে যেটি পুরো দ্বীপ চষে বেড়াবে এবং মাটির ৬০ ফুট গভীর পর্যন্ত এর ভেতরের একটি মানচিত্র তৈরি করবে। দ্বীপের গভীরে কোনো শূন্যস্থান থাকলে এর যন্ত্রে ধরা পড়বে। তেমন সম্ভাব্য ক্ষেত্রে এরপর একটি ১০০ ফুট গভীর গর্ত খোঁড়া হবে। এর পরে ওই গর্ত দিয়ে আরেকটি ক্যামেরা পাঠানো হবে মাটির গভীরে।
হোয়াইটহেড বলেন, 'এখানে (দ্বীপটিতে) যে পরিমাণ গুপ্তধন রয়েছে, তাতে মনে হচ্ছে, এত বিপুল ধনরত্ন আসলে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে খুব বেশি দূরে বহন করা সম্ভব হয়নি। তাই কাছাকাছি কোনো গুহায় এগুলো সংরক্ষণ করা হতে পারে। তবে আমরা সব ধরনের সম্ভাবনাই পরখ করে দেখব। যদি ধনরত্নগুলো সেখানে থাকে তবে প্রাকৃতিক কোনো গুহায় লুকিয়ে থাকতে পারে। বিগত সময়ের মধ্যে বহু ভূমিধস হয়েছে এবং গুহাটি তাতে চাপাও পড়েছে।'
১০ দিনের এই অভিযানকে শুধু গুপ্তধন অনুসন্ধানের অভিযান বলতে নারাজ হোয়াইটহেড। তিনি জানান, এখানে প্রত্নতাত্তি্বক, ভূতাত্তি্বক ও পরিবেশগত গবেষণাও তাঁদের লক্ষ্য। সূত্র : টেলিগ্রাফ।
ঐতিহাসিক তথ্যমতে, ব্রিটিশ ব্যবসায়ী ক্যাপ্টেন উইলিয়াম থম্পসন ১৮২০ সালে পেরু থেকে মেঙ্েিকার উদ্দেশে জাহাজ ছাড়েন। দস্যুরা স্পেন থেকে লুট করা বিশাল এক রত্নভাণ্ডার তাঁর হতে তুলে দেয় বিশেষ জায়গায় পেঁৗছে দেওয়ার জন্য। কিন্তু তিনি সেই সম্পদ আর ফেরত দেননি। ধারণা করা হচ্ছে, কোস্টারিকার ৩৫০ মাইল দূরের কোকোস দ্বীপে সেসব লুকিয়ে রাখা হয়েছে। তারপর আর ওই ধনরত্নের খবর পাওয়া যায়নি। ইতিহাসে ওই ঘটনা 'লিমা লুট' কাহিনী হিসেবে পরিচিত। ওই রত্নভাণ্ডারের সন্ধানেই ব্রিটিশ অভিযাত্রী দলটি অভিযান শুরু করেছে। অভিযাত্রী দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ব্রিটেনের মেলটন মোব্রে শহরের শন হোয়াইটহেড নামের এক প্রত্নতাত্তি্বক। অভিযাত্রীদের মতে, সেখানে লুকানো ধনরত্নের মূল্য ১৬০ মিলিয়ন পাউন্ড। তবে মূল নথি অনুযায়ী দেখা যায়, লুণ্ঠিত মালামালের মধ্যে ১১৩টি স্বর্ণমূর্তি, মেরি মাতার প্রমাণ সাইজের একটি স্বর্ণের মূর্তি, অলঙ্কার ভর্তি ২০০টি সিন্দুক, অলঙ্কারখচিত ২৭৩টি তরবারি, ১০০০ হীরা, খাঁটি স্বর্ণের মুকুট, ১৫০টি পানপাত্র ও কয়েক শ স্বর্ণ ও রৌপ্যের বার।
কোকোস দ্বীপটি এখনো নির্জন। জনমানুষের আবাস গড়ে ওঠেনি সেখানে। নিষ্কলঙ্ক অপরূপ প্রাকৃতিক পরিবেশ ও নানা বিচিত্র সব বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য হওয়ায় দ্বীপটি জাতিসংঘের ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত। 'লিমা লুট' কাহিনীতে আকৃষ্ট হয়ে বিগত দিনে দ্বীপটিতে পা পড়েছে নামিদামি লোকদেরও। এঁদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্ট, ব্রিটিশ মোটরসাইকেল রেসার স্যার ম্যালকম ক্যাম্পবেল ও অভিনেতা এরল ফ্লিনের নাম উল্লেখযোগ্য। রুজভেল্ট ১৯১০ সালে বন্ধুবান্ধব নিয়ে দ্বীপটিতে ঘুরতে যান, ক্যাম্পবেল যান ১৯২০-এর দশকে আর ফ্লিন যান ১৯৪০ এর দশকে।
গত সিকি শতাব্দীরও বেশি সময়ের মধ্যে ওই দ্বীপে কোনো অনুসন্ধান চালানো হয়নি। হোয়াইটহেডের ১৮ মাস লেগেছে কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে দ্বীপটিতে অনুসন্ধান চালানোর অনুমতি জোগাড় করতে। হোয়াইটহেড এর আগে মিসরের গিজা পিরামিডে অনাবিষ্কৃত গুপ্তধনের সন্ধানে অভিযান পরিচালনা করেন। ১৫ সদস্যের দলটির ১০ দিনের এই অভিযানে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। বিশেষ ক্যামেরা সংযোজিত একটি ছোট্ট চালকবিহীন হেলিকপ্টার প্রথমে ৯ বর্গমাইল আয়তনের দ্বীপটির ওপর চক্কর দিয়ে এর একটি কম্পিউটার জেনারেটেড ত্রিমাত্রিক মানচিত্র তৈরি করবে। তারপর সাপের মতো একটি রোবট ছেড়ে দেওয়া হবে যেটি পুরো দ্বীপ চষে বেড়াবে এবং মাটির ৬০ ফুট গভীর পর্যন্ত এর ভেতরের একটি মানচিত্র তৈরি করবে। দ্বীপের গভীরে কোনো শূন্যস্থান থাকলে এর যন্ত্রে ধরা পড়বে। তেমন সম্ভাব্য ক্ষেত্রে এরপর একটি ১০০ ফুট গভীর গর্ত খোঁড়া হবে। এর পরে ওই গর্ত দিয়ে আরেকটি ক্যামেরা পাঠানো হবে মাটির গভীরে।
হোয়াইটহেড বলেন, 'এখানে (দ্বীপটিতে) যে পরিমাণ গুপ্তধন রয়েছে, তাতে মনে হচ্ছে, এত বিপুল ধনরত্ন আসলে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে খুব বেশি দূরে বহন করা সম্ভব হয়নি। তাই কাছাকাছি কোনো গুহায় এগুলো সংরক্ষণ করা হতে পারে। তবে আমরা সব ধরনের সম্ভাবনাই পরখ করে দেখব। যদি ধনরত্নগুলো সেখানে থাকে তবে প্রাকৃতিক কোনো গুহায় লুকিয়ে থাকতে পারে। বিগত সময়ের মধ্যে বহু ভূমিধস হয়েছে এবং গুহাটি তাতে চাপাও পড়েছে।'
১০ দিনের এই অভিযানকে শুধু গুপ্তধন অনুসন্ধানের অভিযান বলতে নারাজ হোয়াইটহেড। তিনি জানান, এখানে প্রত্নতাত্তি্বক, ভূতাত্তি্বক ও পরিবেশগত গবেষণাও তাঁদের লক্ষ্য। সূত্র : টেলিগ্রাফ।
No comments