এখন কদর সেমাইয়ের by মাসুদ মিলাদ
ঈদ আসছে। সেমাইয়ের চাহিদাও বাড়ছে। ছোলা, তেল ও ডালের পর এখন বাজারে সেমাই বেচাকেনার সময়। ঈদের দিন খাবার টেবিলে নতুন নতুন পদ যুক্ত হলেও সেমাই না হলে চলে না। সেমাইয়ের কদর সব সময়। ঈদের এই বাড়তি চাহিদায় প্রতিবছর সেমাইয়ের দাম বাড়ে। এবারও ব্যতিক্রম হয়নি।
অবশ্য এবার সরবরাহ বেশি থাকায় সেমাই ও মিষ্টিজাতীয় খাবার তৈরির উপকরণ—কিশমিশ ও বাদামের দাম কমেছে। চিনির দামও প্রায় স্থিতিশীল।
ব্যবসায়ীরা জানান, রোজার মাসে অন্তত আড়াই থেকে তিন হাজার টন সেমাই বিক্রি হয়। এই চাহিদার সিংহভাগ মেটানো হয় দেশীয় সেমাই দিয়ে। আবার সামান্য পরিমাণে বিদেশ থেকেও আমদানি হয়।
খুচরা ও পাইকারি বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, খোলা সেমাইয়ের চাহিদা বেশি গরিব ও নিম্নবিত্ত মানুষের মধ্যে। দাম কম থাকায় মূলত এই চাহিদা। বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের খোলা সেমাই পাওয়া যাচ্ছে। আম, ডায়মন্ড, ৪৭-ইত্যাদি ব্র্যান্ডের সেমাই পাইকারি বাজারে ৩৫ কেজির ঝুড়ি বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৩০০ টাকায়। অথচ রোজার আগে দাম ছিল এক হাজার ১০০ টাকা। অর্থাৎ, কেজিপ্রতি সাড়ে পাঁচ টাকা বেড়ে পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে প্রায় ৩৭ টাকা। খুচরায় এই সেমাই বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৪৪ থেকে ৪৫ টাকা। চাহিদা বাড়ার পাশাপাশি ময়দার দাম বেড়ে যাওয়ায় সেমাইয়ের দাম বেড়েছে বলে বিক্রেতারা জানান।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, নগরে বেশি চাহিদা প্যাকেটজাত সেমাইয়ের। দেশীয় বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ২০০ গ্রাম প্যাকেটের সেমাই বিক্রি হচ্ছে বেশি। বনফুল, ফু-ওয়াং, কুলসন ব্র্যান্ডের সেমাইও আছে। প্রতি ২০০ গ্রাম প্যাকেটজাত সেমাই বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩২ টাকা পর্যন্ত। সেই হিসাবে কেজিপ্রতি দাম পড়ছে ১৫০ টাকা।
এদিকে খোলা সেমাইয়ের বেশির ভাগ নিম্নমানের বলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের সাম্প্রতিক অভিযানে শনাক্ত হয়েছে। নিম্নমানের উপাদান দিয়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হয় বলে জরিমানার খবরও আসে পত্রিকায়। এ কারণে অনেকে খোলা সেমাই থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। ফলে প্যাকেটজাত সেমাইয়ের চাহিদা বাড়ছে বলে বিক্রেতারা জানান।
পাহাড়তলী বাজারের ব্যবসায়ী মোজাহের আলম প্রথম আলোকে বলেন, সেমাইয়ের দাম সামান্য বেড়েছে। তবে সরবরাহ ভালো থাকায় কিশমিশ ও বাদামের দাম কমেছে।
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, খোলা হোক আর প্যাকেটজাত হোক, সেমাইয়ের বড় বাজার শহরকেন্দ্রিক। গ্রামাঞ্চলে এখনো কলের সেমাইয়ের ঐতিহ্য ধরে রেখেছেন অনেকে। প্যাকেটজাত সেমাই এই স্থান কিছু দখল করে নিলেও কলের সেমাইয়ের চাহিদা কমেনি। চাল থেকে তৈরি এই সেমাই খুব সুস্বাদুও।
সেমাই তৈরির উপকরণ কিশমিশের চাহিদা এ সময় বেশি। তবে ভারত থেকে কিশমিশ আমদানি বেশি হওয়ায় দাম কমেছে। সাধারণ মানের কিশমিশ পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৩৪০ টাকা। খুচরায় দাম ৩৮০ টাকা। আবার ভালো মানের কিশমিশের কেজি পাইকারি বাজারে ৪১০ টাকা এবং খুচরায় ৪৫০ থেকে ৪৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে খোসা ছাড়ানো বাদামের দামও কমেছে। চিনি বিক্রি হচ্ছে ৫৩ থেকে ৫৪ টাকায়।
ব্যবসায়ীরা জানান, রোজার মাসে অন্তত আড়াই থেকে তিন হাজার টন সেমাই বিক্রি হয়। এই চাহিদার সিংহভাগ মেটানো হয় দেশীয় সেমাই দিয়ে। আবার সামান্য পরিমাণে বিদেশ থেকেও আমদানি হয়।
খুচরা ও পাইকারি বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, খোলা সেমাইয়ের চাহিদা বেশি গরিব ও নিম্নবিত্ত মানুষের মধ্যে। দাম কম থাকায় মূলত এই চাহিদা। বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের খোলা সেমাই পাওয়া যাচ্ছে। আম, ডায়মন্ড, ৪৭-ইত্যাদি ব্র্যান্ডের সেমাই পাইকারি বাজারে ৩৫ কেজির ঝুড়ি বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৩০০ টাকায়। অথচ রোজার আগে দাম ছিল এক হাজার ১০০ টাকা। অর্থাৎ, কেজিপ্রতি সাড়ে পাঁচ টাকা বেড়ে পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে প্রায় ৩৭ টাকা। খুচরায় এই সেমাই বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৪৪ থেকে ৪৫ টাকা। চাহিদা বাড়ার পাশাপাশি ময়দার দাম বেড়ে যাওয়ায় সেমাইয়ের দাম বেড়েছে বলে বিক্রেতারা জানান।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, নগরে বেশি চাহিদা প্যাকেটজাত সেমাইয়ের। দেশীয় বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ২০০ গ্রাম প্যাকেটের সেমাই বিক্রি হচ্ছে বেশি। বনফুল, ফু-ওয়াং, কুলসন ব্র্যান্ডের সেমাইও আছে। প্রতি ২০০ গ্রাম প্যাকেটজাত সেমাই বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩২ টাকা পর্যন্ত। সেই হিসাবে কেজিপ্রতি দাম পড়ছে ১৫০ টাকা।
এদিকে খোলা সেমাইয়ের বেশির ভাগ নিম্নমানের বলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের সাম্প্রতিক অভিযানে শনাক্ত হয়েছে। নিম্নমানের উপাদান দিয়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হয় বলে জরিমানার খবরও আসে পত্রিকায়। এ কারণে অনেকে খোলা সেমাই থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। ফলে প্যাকেটজাত সেমাইয়ের চাহিদা বাড়ছে বলে বিক্রেতারা জানান।
পাহাড়তলী বাজারের ব্যবসায়ী মোজাহের আলম প্রথম আলোকে বলেন, সেমাইয়ের দাম সামান্য বেড়েছে। তবে সরবরাহ ভালো থাকায় কিশমিশ ও বাদামের দাম কমেছে।
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, খোলা হোক আর প্যাকেটজাত হোক, সেমাইয়ের বড় বাজার শহরকেন্দ্রিক। গ্রামাঞ্চলে এখনো কলের সেমাইয়ের ঐতিহ্য ধরে রেখেছেন অনেকে। প্যাকেটজাত সেমাই এই স্থান কিছু দখল করে নিলেও কলের সেমাইয়ের চাহিদা কমেনি। চাল থেকে তৈরি এই সেমাই খুব সুস্বাদুও।
সেমাই তৈরির উপকরণ কিশমিশের চাহিদা এ সময় বেশি। তবে ভারত থেকে কিশমিশ আমদানি বেশি হওয়ায় দাম কমেছে। সাধারণ মানের কিশমিশ পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৩৪০ টাকা। খুচরায় দাম ৩৮০ টাকা। আবার ভালো মানের কিশমিশের কেজি পাইকারি বাজারে ৪১০ টাকা এবং খুচরায় ৪৫০ থেকে ৪৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে খোসা ছাড়ানো বাদামের দামও কমেছে। চিনি বিক্রি হচ্ছে ৫৩ থেকে ৫৪ টাকায়।
No comments