মন্ত্রীর নির্দেশের পর যেনতেন সংস্কার
বরগুনায় সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের চারটি আঞ্চলিক মহাসড়কের আওতায় ১৮৯ কিলোমিটার রাস্তার ১২০ কিলোমিটারই দীর্ঘদিন ধরে বেহাল। যোগাযোগমন্ত্রীর নির্দেশে ৩২ কিলোমিটার রাস্তার খানাখন্দ ইট ও বালু দিয়ে ভরাট করার উদ্যোগ নিলেও কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে স্থানীয় লোকজন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বছরের পর বছর এসব সড়ক বেহাল থাকায় বরগুনার বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ আন্দোলন শুরু করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৬ জুলাই যোগাযোগ ও রেলমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বরগুনায় সরেজমিন সড়ক পরিদর্শন করে অসন্তোষ প্রকাশ ও সাত দিনের মধ্যে রাস্তাগুলো চলাচলের উপযোগী করার নির্দেশ দেন।
মন্ত্রীর নির্দেশের পর সওজ প্রায় এক কোটি টাকা ব্যয়ে বরগুনা-চান্দখালী-বাকেরগঞ্জ ও পাথরঘাটা-মঠবাড়িযা-চরখালী—এ দুটি সড়কের ৩২ কিলোমিটারের খানাখন্দ ইট ও বালু ফেলে মেরামত শুরু করে। তবে নিম্নমানের ইটের খোয়া ব্যবহার করে যেনতেনভাবে কাজ করায় ভোগান্তি নিরসন হবে না বলে মনে করছেন আন্দোলনকারীরা।
বরগুনা সড়ক উন্নয়ন ও বাস্তবায়ন কমিটি এবং জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আনিসুর রহমান বলেন, নিম্নমানের ইটের খোয়া ফেলে মাত্র ৩২ কিলোমিটার সড়ক যেনতেন সংস্কার করা হলেও, তা বৃষ্টি আর যান চলাচলের কারণে আগের অবস্থায় ফিরে যাবে। এসব সড়ক সরকারের উন্নয়ন খাতে স্থানান্তর করে সংস্কার করার দাবি জানান তিনি।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে চান্দখালী-বাকেরগঞ্জ সড়কের গলাচিপা, মির্জাগঞ্জের খলিসাখালী, ভাটামারা, গাবুয়া, কিসমতপুর এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, নিম্নমানের ইটের খোয়া ও বালু দিয়ে যেনতেনভাবে খানাখন্দগুলো মেরামত করা হচ্ছে। কিসমতপুর থেকে সিংহবাড়ী পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার, ভাটামারা থেকে গাবুয়া পর্যন্ত এক কিলোমিটার রাস্তায় পিচ, মেকাডম উঠে গিয়ে মাটি বের হয়ে গেছে। মহিষকাটা এলাকায় বিশাল খানাখন্দে ইটের খোয়া দেওয়া হলেও তা দেবে গেছে।
বাসচালক শংকর রায় বলেন, ইটের খোয়া দেওয়া হলেও এই রাস্তায় চলাচল খুব ঝুঁকিপূর্ণ। প্রায়ই তাঁদের গাড়ি কাদায় আটকা পড়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়। যে খোয়া দেওযা হচ্ছে, তা গাড়ির চাকায় পিষে গুঁড়া হয়ে কাদায় মিশে যাচ্ছে। এতে ভোগান্তি আরও বেড়েছে।
যোগাযোগ করা হলে সওজের বরগুনা কার্যালযের নির্বাহী প্রকৌশলী এ টি এম রফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, মন্ত্রীর নির্দেশে দুটি রাস্তায় সাময়িক মেরামত করা হচ্ছে। বর্ষা মৌসুম গেলে এর ওপরেই পিচ ঢালাই করা হবে। কাজের মানের বিষয়ে তিনি বলেন, বরগুনায় কোনো ইট পাওয়া যাচ্ছে না। দূর থেকে বেশি দামে ইট এনে কাজ করাতে হচ্ছে। তাই ইটের মান কিছুটা খারাপ হতে পারে। তার পরও খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি জানান, বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে না বলে রাস্তাগুলোর এই দশা। বেহাল রাস্তা পরিপূর্ণভাবে মেরামতে এখন ২৫ কোটি টাকা দরকার। প্রাক্কলন চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।
মন্ত্রীর নির্দেশের পর সওজ প্রায় এক কোটি টাকা ব্যয়ে বরগুনা-চান্দখালী-বাকেরগঞ্জ ও পাথরঘাটা-মঠবাড়িযা-চরখালী—এ দুটি সড়কের ৩২ কিলোমিটারের খানাখন্দ ইট ও বালু ফেলে মেরামত শুরু করে। তবে নিম্নমানের ইটের খোয়া ব্যবহার করে যেনতেনভাবে কাজ করায় ভোগান্তি নিরসন হবে না বলে মনে করছেন আন্দোলনকারীরা।
বরগুনা সড়ক উন্নয়ন ও বাস্তবায়ন কমিটি এবং জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আনিসুর রহমান বলেন, নিম্নমানের ইটের খোয়া ফেলে মাত্র ৩২ কিলোমিটার সড়ক যেনতেন সংস্কার করা হলেও, তা বৃষ্টি আর যান চলাচলের কারণে আগের অবস্থায় ফিরে যাবে। এসব সড়ক সরকারের উন্নয়ন খাতে স্থানান্তর করে সংস্কার করার দাবি জানান তিনি।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে চান্দখালী-বাকেরগঞ্জ সড়কের গলাচিপা, মির্জাগঞ্জের খলিসাখালী, ভাটামারা, গাবুয়া, কিসমতপুর এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, নিম্নমানের ইটের খোয়া ও বালু দিয়ে যেনতেনভাবে খানাখন্দগুলো মেরামত করা হচ্ছে। কিসমতপুর থেকে সিংহবাড়ী পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার, ভাটামারা থেকে গাবুয়া পর্যন্ত এক কিলোমিটার রাস্তায় পিচ, মেকাডম উঠে গিয়ে মাটি বের হয়ে গেছে। মহিষকাটা এলাকায় বিশাল খানাখন্দে ইটের খোয়া দেওয়া হলেও তা দেবে গেছে।
বাসচালক শংকর রায় বলেন, ইটের খোয়া দেওয়া হলেও এই রাস্তায় চলাচল খুব ঝুঁকিপূর্ণ। প্রায়ই তাঁদের গাড়ি কাদায় আটকা পড়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়। যে খোয়া দেওযা হচ্ছে, তা গাড়ির চাকায় পিষে গুঁড়া হয়ে কাদায় মিশে যাচ্ছে। এতে ভোগান্তি আরও বেড়েছে।
যোগাযোগ করা হলে সওজের বরগুনা কার্যালযের নির্বাহী প্রকৌশলী এ টি এম রফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, মন্ত্রীর নির্দেশে দুটি রাস্তায় সাময়িক মেরামত করা হচ্ছে। বর্ষা মৌসুম গেলে এর ওপরেই পিচ ঢালাই করা হবে। কাজের মানের বিষয়ে তিনি বলেন, বরগুনায় কোনো ইট পাওয়া যাচ্ছে না। দূর থেকে বেশি দামে ইট এনে কাজ করাতে হচ্ছে। তাই ইটের মান কিছুটা খারাপ হতে পারে। তার পরও খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি জানান, বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে না বলে রাস্তাগুলোর এই দশা। বেহাল রাস্তা পরিপূর্ণভাবে মেরামতে এখন ২৫ কোটি টাকা দরকার। প্রাক্কলন চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।
No comments