সরকারের সঙ্গে ব্যবসা-সাংসদ এনামুলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দুদকের চিঠি by হারুন আল রশীদ
আইনবহির্ভূতভাবে সরকারের সঙ্গে ব্যবসায় সম্পৃক্ত থাকায় সরকারদলীয় সাংসদ এনামুল হকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ-সংক্রান্ত চিঠি গত সপ্তাহে জাতীয় সংসদ ও নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হয়েছে।
দুদকের চেয়ারম্যান গোলাম রহমান এ বিষয়ে প্রথম আলোকে বলেন, ‘সাংসদ এনামুল হকের ব্যবসা-সংক্রান্ত বিষয়ে প্রথম আলোয় একটি প্রতিবেদন ছাপা হওয়ার পর দুদক সেটা অনুসন্ধান করে। সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় এনামুল হকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা জাতীয় সংসদের স্পিকার ও নির্বাচন কমিশনে চিঠি পাঠিয়েছি।’
যোগাযোগ করা হলে নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ ধরনের কোনো চিঠি কমিশনে এসেছে বলে আমার জানা নেই। এসে থাকলেও সেটা কমিশনের বৈঠকে এখনো উপস্থাপন করা হয়নি। উপস্থাপন করা হলে কমিশন আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।’
দুদকের চিঠিতে বলা হয়েছে, ২০১১ সালের ১৩ আগস্ট ‘আইন ভেঙে সরকারের সঙ্গে বাণিজ্য’ শিরোনামে প্রথম আলোয় একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়। এ বিষয়ে দুদকের কর্মকর্তারা অনুসন্ধান করেন। তাতে জানা যায়, রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সাংসদ এনামুল হকের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান নর্দার্ন পাওয়ার সলিউশন লিমিটেড ও বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের মধ্যে রাজশাহীর কাটাখালীতে পাঁচ বছরের জন্য ৫০ মেগাওয়াট ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের চুক্তি হয়েছে। তাঁর অপর প্রতিষ্ঠান এনা প্রপার্টিজ লিমিটেড ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মধ্যে রাজশাহী সিটি করপোরেশনে বহুতল সিটি সেন্টার নির্মাণের চুক্তি হয়েছে। দুটি চুক্তির মধ্যে বিদ্যুৎ প্ল্যান্টে কোম্পানির মহাব্যবস্থাপক সুলতান আহমেদ এবং সিটি সেন্টার নির্মাণের চুক্তিতে সাংসদ নিজেই সই করেছেন। এ ধরনের ব্যবসা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের পরিপন্থী হওয়ায় সাংসদ এনামুল হকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করেছে দুদক।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ১২(১)(ট) ধারা অনুযায়ী, সরকারের সঙ্গে কোনো ব্যক্তির ব্যবসায়িক সম্পর্ক থাকলে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার এবং থাকার যোগ্য হবেন না।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে আওয়ামী লীগের সাংসদ এনামুল হক বলেন, ‘আমি ব্যবসায়ী। সে জন্য আমি যেকোনো ক্ষেত্রে ব্যবসা করতে পারি। তাতে আইনগত কোনো সমস্যা আছে বলে আমি মনে করি না। তা ছাড়া দুদকের তদন্ত সম্পর্কে আমি কিছু জানি না।’
এনামুল হক বর্তমানে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সদস্য। এর আগে তিনি গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। আবাসন ব্যবসায়ী হওয়ায় তাঁর এই সদস্যপদ নিয়ে আইনি প্রশ্ন দেখা দেয়। সংসদের কার্যপ্রণালি বিধির ১৮৮ ধারা মোতাবেক কমিটিতে সাংসদের আর্থিক, প্রত্যক্ষ ও ব্যক্তিগত স্বার্থ বিবেচিত হতে পারে, এমন বিষয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোনো সাংসদকে কমিটির সদস্য করা যায় না। এ নিয়ে পত্রপত্রিকায় লেখালেখিও হয়। এরপর সংসদের দ্বাদশ অধিবেশনে এনামুল হককে গৃহায়ণ মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত কমিটি থেকে সরিয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত কমিটির সদস্য করা হয়।
যোগাযোগ করা হলে নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ ধরনের কোনো চিঠি কমিশনে এসেছে বলে আমার জানা নেই। এসে থাকলেও সেটা কমিশনের বৈঠকে এখনো উপস্থাপন করা হয়নি। উপস্থাপন করা হলে কমিশন আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।’
দুদকের চিঠিতে বলা হয়েছে, ২০১১ সালের ১৩ আগস্ট ‘আইন ভেঙে সরকারের সঙ্গে বাণিজ্য’ শিরোনামে প্রথম আলোয় একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়। এ বিষয়ে দুদকের কর্মকর্তারা অনুসন্ধান করেন। তাতে জানা যায়, রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সাংসদ এনামুল হকের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান নর্দার্ন পাওয়ার সলিউশন লিমিটেড ও বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের মধ্যে রাজশাহীর কাটাখালীতে পাঁচ বছরের জন্য ৫০ মেগাওয়াট ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের চুক্তি হয়েছে। তাঁর অপর প্রতিষ্ঠান এনা প্রপার্টিজ লিমিটেড ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মধ্যে রাজশাহী সিটি করপোরেশনে বহুতল সিটি সেন্টার নির্মাণের চুক্তি হয়েছে। দুটি চুক্তির মধ্যে বিদ্যুৎ প্ল্যান্টে কোম্পানির মহাব্যবস্থাপক সুলতান আহমেদ এবং সিটি সেন্টার নির্মাণের চুক্তিতে সাংসদ নিজেই সই করেছেন। এ ধরনের ব্যবসা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের পরিপন্থী হওয়ায় সাংসদ এনামুল হকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করেছে দুদক।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ১২(১)(ট) ধারা অনুযায়ী, সরকারের সঙ্গে কোনো ব্যক্তির ব্যবসায়িক সম্পর্ক থাকলে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার এবং থাকার যোগ্য হবেন না।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে আওয়ামী লীগের সাংসদ এনামুল হক বলেন, ‘আমি ব্যবসায়ী। সে জন্য আমি যেকোনো ক্ষেত্রে ব্যবসা করতে পারি। তাতে আইনগত কোনো সমস্যা আছে বলে আমি মনে করি না। তা ছাড়া দুদকের তদন্ত সম্পর্কে আমি কিছু জানি না।’
এনামুল হক বর্তমানে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সদস্য। এর আগে তিনি গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। আবাসন ব্যবসায়ী হওয়ায় তাঁর এই সদস্যপদ নিয়ে আইনি প্রশ্ন দেখা দেয়। সংসদের কার্যপ্রণালি বিধির ১৮৮ ধারা মোতাবেক কমিটিতে সাংসদের আর্থিক, প্রত্যক্ষ ও ব্যক্তিগত স্বার্থ বিবেচিত হতে পারে, এমন বিষয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোনো সাংসদকে কমিটির সদস্য করা যায় না। এ নিয়ে পত্রপত্রিকায় লেখালেখিও হয়। এরপর সংসদের দ্বাদশ অধিবেশনে এনামুল হককে গৃহায়ণ মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত কমিটি থেকে সরিয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত কমিটির সদস্য করা হয়।
No comments