সোহেল তাজের পদত্যাগপত্র-এখনই গ্রহণ করা হচ্ছে না: স্পিকার

সরকার দলীয় সাংসদ তানজিম আহমদ সোহেল তাজের পদত্যাগ-পত্র এখনই গ্রহণ করা হচ্ছে না। কারণ তাঁর পদত্যাগপত্র যথাযথভাবে জমা দেওয়া হয়েছে কি না, তা পরীক্ষা করে দেখতে হবে। গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় সংসদের স্পিকার আবদুল হামিদ এই অভিমত দিয়েছেন।


কয়েক দিন ঢাকার বাইরে অবস্থানের পর গতকাল বিকেলে স্পিকার আবদুল হামিদ তাঁর দপ্তরে আসেন। তিনি এ সময় সাংবাদিকদের বলেন, ‘রেওয়াজ অনুযায়ী পদত্যাগপত্র সশরীরে এসে জমা দিতে হবে। কিন্তু সোহেল তাজ বর্তমানে আমেরিকায় আছেন। বাহক এসে আমার ব্যক্তিগত সহকারীর কাছে পদত্যাগপত্র দিয়ে গেছেন। তখন আমি দপ্তরে ছিলাম না। সেই বাহকের পরিচয় কী, তা আমি জানি না। তাই এই পদত্যাগপত্র আদৌ সোহেল তাজের কি না, তা সংসদ কীভাবে নিশ্চিত হবে? বাহক আমার উপস্থিতিতে পদত্যাগপত্র জমা দিলে স্বচ্ছতা সম্পর্কে কিছুটা ধারণা পাওয়া যেত।’ আবদুল হামিদ বলেন, ‘কেউ আমেরিকা থেকে পদত্যাগপত্র পাঠালে তা আমেরিকায় বাংলাদেশের দূতাবাস কর্তৃক সত্যায়িত হওয়া বাঞ্ছনীয় বলে আমি মনে করি। সোহেল তাজ সে রকম কিছু করেননি।’
এ বিষয়ে স্পিকার ১৯৯৪ সালে ১৪৫ জন সাংসদের পদত্যাগপত্রের দৃষ্টান্ত তুলে ধরেন। তিনি বলেন, তখন সবার পদত্যাগপত্র বাহক মারফত স্পিকার শেখ রাজ্জাক আলী সাহেবের দপ্তরে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু স্বচ্ছতার প্রশ্ন তুলে তিনি সেই সব পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেননি। স্পিকার বলেন, বিষয়গুলো ভালোভাবে বিশ্লেষণ করার পর সোহেল তাজের পদত্যাগপত্র গ্রহণ বা বর্জনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, পদত্যাগপত্র কম্পিউটারে কম্পোজ করায় যে আইনি প্রশ্ন উঠেছে, তা-ও স্পিকার আমলে নিয়েছেন। সংবিধানের বাংলা পাঠে বলা আছে, স্বহস্তে স্বাক্ষর করে পদত্যাগপত্র জমা দিতে হবে। অন্যদিকে সংবিধানের ইংরেজি পাঠ ও সংসদের কার্যপ্রণালি বিধিতে বলা আছে, পদত্যাগপত্র স্বহস্তে লিখে জমা দিতে হবে।
গত সোমবার সাংসদ সোহেল তাজ ব্যক্তিগত সহকারী আবু কাওসারের মাধ্যমে স্পিকারের দপ্তরে তাঁর পদত্যাগপত্র জমা দেন।

No comments

Powered by Blogger.