বহে কাল নিরবধি-ক্ষমতার পড়ন্ত বেলায় ক্ষমতাসীনদের মনোবৈকল্য by এম আবদুল হাফিজ
এ দেশে ক্ষমতাসীনরা ক্ষমতার মেয়াদ যখন শেষ হয়ে আসতে থাকে তখন তাঁরা এক করুণ মনোবৈকল্যের শিকার হন। তাঁদের আচরণ, উচ্চারণ এবং আরো নানা উপসর্গের মধ্য দিয়ে তা প্রকাশ পেতে থাকে। অহেতুক অস্থিরতায় ভুগতে থাকেন বাঘা বাঘা মন্ত্রীরা।
এমনকি একজন দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রীও সময়ে বেসামাল উক্তি করে বসেন, যা তাঁর জন্য শোভনীয় নয়। এরকমই একটা সময় এখন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের জন্য। তাই মন্ত্রিত্বের একটি মর্যাদাশীল আবরণকে হয়তো নিজের অজান্তেই ছিন্ন করে মন্ত্রীরা হরহামেশাই ব্যঙ্গ বা বক্রোক্তি করে যাচ্ছেন, যাতে প্রচ্ছন্নভাবে হলেও দাম্ভিকতাই লুকিয়ে থাকে।
এ অবস্থাই ছিল একযুগ আগে বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোটের। তাদের মাত্রাতিরিক্ত বাড়াবাড়িই দায়ী ছিল একটি 'এক-এগারোর' প্রাদুর্ভাবের। মইনুদ্দিন-ফখরুদ্দীনের একটি প্রলম্বিত অসাংবিধানিক সরকারের তথাকথিত রাজনৈতিক সংস্কার ও দুর্নীতিবিরোধী মহড়া তার লক্ষ্যার্জনে ব্যর্থ হলে পরেই মহাজোট বাজিমাতে সমর্থ হয়। কিন্তু বরাবরের মতো দেশ শাসনে ব্যুৎপত্তি যে দলটিতে সীমাবদ্ধ, ঠিক আগের জোট সরকারের মতো কথা কবুল করতে আওয়ামী লীগের প্রচণ্ড অনীহা। দলটির অধিক স্বাচ্ছন্দ্য সঙ্গত কারণেই মুক্তিযুদ্ধের সগর্ব স্মৃতিচারণায়। শুধু তা দিয়েই দলটি সংবৎসরের কার্যক্রম বহাল রাখতে পারে।
কিন্তু আওয়ামী লীগের জন্য সমস্যা যে শুধু স্মৃতিচারণা দিয়ে যে দেশ শাসন হয় না। আরো অনেক উপাদানের সংযোজনেই সরকারের সাফল্য-ব্যর্থতার পরিমাপ হয়। দেশটিতে যে নৈতিকভাবে অনেক আগেই পচন ধরেছে, সংবাদপত্রের পাতা উল্টালেই তার হদিস মেলে। ব্যর্থতার এত বেশি ডাইমেনশন যে একটি মাত্র নিবন্ধে তার গ্রন্থনা সম্ভব নয়। ইতিমধ্যে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা ছিল না, এখন দেখা যাচ্ছে যে কূটনীতিকদেরও তা নেই। সন্ত্রাসীর গায়ে পুলিশের উর্দির কথা শুনেছেন? শুনেছেন যে উচ্চপদস্থ পুলিশ অফিসারের গাড়ি ছিনতাই হয়, গাড়িতে আসীন মহিলাদের স্বর্ণালংকার ছিনতাই হয়। কোথায় আছি আমরা? কিন্তু প্রধানমন্ত্রী বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের তোড়ে সেসব অভিযোগ মুহূর্তেই খণ্ডন হয়ে যায়।
দেশে অর্থনৈতিক সমস্যা ও দুর্নীতি নিয়ে 'হোমারের ইলিয়াড' রচিত হতে পারে। কিন্তু সেগুলোর ঋজু স্পষ্ট স্বীকৃতি নেই। দুর্নীতি নিয়ে কোনো বিচার বা দুর্নীতিকারীর চাঞ্চল্যকর শাস্তির কথা এখনো শুনিনি। এরই মধ্যে বিরোধী দলের সঙ্গে সংঘর্ষের দুন্দুভি বাজছে। ভুললে চলবে না যে যতই দম্ভ করি এবং কারো তা ভালো লাগুক বা না লাগুক দেশের অন্তত ৫০ ভাগ মানুষের সমর্থন রয়েছে বিরোধী দলের আন্দোলন কর্মসূচি বা দাবি-দাওয়ার প্রতি। হুমকি-ধমকি দিয়েই কি তা প্রতিহত করা যাবে?
ক্ষমতা অত্যন্ত মোহময়। মেয়াদ যে এত দ্রুত পার হয়ে যাবে, ক্ষমতাসীনরা বোঝার আগেই তা বিগত। মাত্র দেড় বছর পরই আবার ক্ষমতার অগি্নপরীক্ষা। এত দিন ক্ষমতাসীনরা জনগণের মেজাজ তির্যক দৃষ্টিতে নিরীক্ষা করেছেন। এখন জনগণ তা করবে- ওই জনগণ যারা জঠরের জ্বালা নিবৃত্ত করতে সব অপরাধে লিপ্ত হয়েও তা করতে পারেনি। যাদের কোনো আবাসন, কর্মসংস্থান নেই; অনেক প্রতিজ্ঞার ফুলঝুরির মধ্যেও যারা প্রতারিত হয়েছে, তাদের এখন পক্ষে টানবেন কী দিয়ে? তবু তা করার জন্য ফন্দি-ফিকিরের অন্ত নেই।
চারদলীয় জোটও তা করেছিল আরো নিখুঁতভাবে। থরে থরে সাজিয়েছিল অনুগত লোকদের দিয়ে নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার ভেতর দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান বাছাই করা হয়েছিল এবং বঙ্গভবনে বসানো হয়েছিল একজন ইয়েসম্যান। সেনাপ্রধানও ছিলেন বিএনপি প্রধানের নিয়োগপ্রাপ্ত। এমন নিশ্ছিদ্র ব্যবস্থার ভেতর দিয়েও বেহুলার ঘরে নাগিনীর প্রবেশ ঘটেছিল। কারণ একটিই- আওয়ামী লীগ জনগণকে সঙ্গে পেয়েছিল, যারা আসলেই সব শক্তির উৎস।
আওয়ামী লীগের মহাজোটও কি প্রকারান্তরে তাই করছে না? ক্ষমতার উচ্চাসনে বসে নিরাপত্তা প্রহরী বেষ্টিত হয়ে জনগণের সামনে সত্য-মিথ্যা সব কথারই নিজস্ব ব্যাখ্যা দেওয়া যায়, হুমকি-ধমকি দেওয়া যায়, যেমনভাবে ইচ্ছে অনুগত শ্রোতাদের বোঝানো যায় ও সরকারি কর্মচারীদের আওয়ামী শক্তির মহড়ায় যোগ দেওয়ানো যায়। কিন্তু পঞ্চদশ সংশোধনীর মধ্য দিয়ে সরকার যে বিধি-ব্যবস্থা প্রণয়ন করছে তার পরিণতি গিয়ে কোথায় ঠেকবে। জনগণ কিন্তু ঠিকই বোঝে ক্ষমতাসীনদের ক্ষমতার এসব খেলা।
জানি না, বিএনপি আওয়ামীদের মতো উত্তাল দুর্বার জনসমর্থন পাবে কি না। এখানেই আওয়ামীদের বেশ কিছু প্লাস পয়েন্ট আছে। নিজ চোখে কখনো টিভির পর্দায় বা কখনো রাস্তাঘাটে আটকে গিয়ে আওয়ামীদের পরিচালিত ২০০৬-০৭ সালের মারমুখো স্ট্রিট পাওয়ার দেখেছি। স্বীকার না করে উপায় নেই যে এখানে আওয়ামীদের ব্যুৎপত্তি অসাধারণ। তারা যথার্থ বলে যে ফখরুদ্দীন সরকার ছিল তাদের 'আন্দোলনের ফসল'। বিশেষ করে মহিলা লীগ এবং দলের মহিলা কর্মীরা সে সময়ে অসীম সাহসিকতার সঙ্গে ইট-কাঠ-পাথর যা-ই পেয়েছে তা দিয়েই একইরকম মারমুখো পুলিশের সঙ্গে খণ্ড যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে। মারণাস্ত্র না হলেও আওয়ামী লীগ সে সময় লগি-বৈঠা সজ্জিত কর্মী বাহিনী দিয়ে ঢাকা সয়লাব করেছিল। আমরা অবশ্যই সেসবের পুনরাবৃত্তি কোনো দলের পক্ষ থেকেই দেখতে চাই না।
আমরা শুধু আমাদের আঙুল আড়াআড়ি রেখে কায়মনোবাক্যে আশা ও প্রার্থনা করতে থাকব যে সহিংসতা আদৌ প্রয়োজন হবে না। তার আগেই ১৬ কোটি মানুষের সম্মিলিত প্রজ্ঞার যাঁরা প্রতিনিধিত্ব করেন তাঁরা এর একটা শান্তিপূর্ণ সমাধান বের করবেনই। ক্ষমতাসীনদের সহাস্যে বুঝতে হবে, রাজনীতি স্পোর্টসের বেশি কিছু নয়। অহমিকা, মোহাচ্ছন্নতা এবং একগুঁয়েমির ধারকরাই এখানে মার খায়। মনে রাখতে হবে, আসন্ন নির্বাচনী খেলায় সব দলের জন্য Level Playing Ground অত্যাবশ্যক।
লেখক : সাবেক মহাপরিচালক, বিআইআইএসএস ও কলামিস্ট
এ অবস্থাই ছিল একযুগ আগে বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোটের। তাদের মাত্রাতিরিক্ত বাড়াবাড়িই দায়ী ছিল একটি 'এক-এগারোর' প্রাদুর্ভাবের। মইনুদ্দিন-ফখরুদ্দীনের একটি প্রলম্বিত অসাংবিধানিক সরকারের তথাকথিত রাজনৈতিক সংস্কার ও দুর্নীতিবিরোধী মহড়া তার লক্ষ্যার্জনে ব্যর্থ হলে পরেই মহাজোট বাজিমাতে সমর্থ হয়। কিন্তু বরাবরের মতো দেশ শাসনে ব্যুৎপত্তি যে দলটিতে সীমাবদ্ধ, ঠিক আগের জোট সরকারের মতো কথা কবুল করতে আওয়ামী লীগের প্রচণ্ড অনীহা। দলটির অধিক স্বাচ্ছন্দ্য সঙ্গত কারণেই মুক্তিযুদ্ধের সগর্ব স্মৃতিচারণায়। শুধু তা দিয়েই দলটি সংবৎসরের কার্যক্রম বহাল রাখতে পারে।
কিন্তু আওয়ামী লীগের জন্য সমস্যা যে শুধু স্মৃতিচারণা দিয়ে যে দেশ শাসন হয় না। আরো অনেক উপাদানের সংযোজনেই সরকারের সাফল্য-ব্যর্থতার পরিমাপ হয়। দেশটিতে যে নৈতিকভাবে অনেক আগেই পচন ধরেছে, সংবাদপত্রের পাতা উল্টালেই তার হদিস মেলে। ব্যর্থতার এত বেশি ডাইমেনশন যে একটি মাত্র নিবন্ধে তার গ্রন্থনা সম্ভব নয়। ইতিমধ্যে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা ছিল না, এখন দেখা যাচ্ছে যে কূটনীতিকদেরও তা নেই। সন্ত্রাসীর গায়ে পুলিশের উর্দির কথা শুনেছেন? শুনেছেন যে উচ্চপদস্থ পুলিশ অফিসারের গাড়ি ছিনতাই হয়, গাড়িতে আসীন মহিলাদের স্বর্ণালংকার ছিনতাই হয়। কোথায় আছি আমরা? কিন্তু প্রধানমন্ত্রী বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের তোড়ে সেসব অভিযোগ মুহূর্তেই খণ্ডন হয়ে যায়।
দেশে অর্থনৈতিক সমস্যা ও দুর্নীতি নিয়ে 'হোমারের ইলিয়াড' রচিত হতে পারে। কিন্তু সেগুলোর ঋজু স্পষ্ট স্বীকৃতি নেই। দুর্নীতি নিয়ে কোনো বিচার বা দুর্নীতিকারীর চাঞ্চল্যকর শাস্তির কথা এখনো শুনিনি। এরই মধ্যে বিরোধী দলের সঙ্গে সংঘর্ষের দুন্দুভি বাজছে। ভুললে চলবে না যে যতই দম্ভ করি এবং কারো তা ভালো লাগুক বা না লাগুক দেশের অন্তত ৫০ ভাগ মানুষের সমর্থন রয়েছে বিরোধী দলের আন্দোলন কর্মসূচি বা দাবি-দাওয়ার প্রতি। হুমকি-ধমকি দিয়েই কি তা প্রতিহত করা যাবে?
ক্ষমতা অত্যন্ত মোহময়। মেয়াদ যে এত দ্রুত পার হয়ে যাবে, ক্ষমতাসীনরা বোঝার আগেই তা বিগত। মাত্র দেড় বছর পরই আবার ক্ষমতার অগি্নপরীক্ষা। এত দিন ক্ষমতাসীনরা জনগণের মেজাজ তির্যক দৃষ্টিতে নিরীক্ষা করেছেন। এখন জনগণ তা করবে- ওই জনগণ যারা জঠরের জ্বালা নিবৃত্ত করতে সব অপরাধে লিপ্ত হয়েও তা করতে পারেনি। যাদের কোনো আবাসন, কর্মসংস্থান নেই; অনেক প্রতিজ্ঞার ফুলঝুরির মধ্যেও যারা প্রতারিত হয়েছে, তাদের এখন পক্ষে টানবেন কী দিয়ে? তবু তা করার জন্য ফন্দি-ফিকিরের অন্ত নেই।
চারদলীয় জোটও তা করেছিল আরো নিখুঁতভাবে। থরে থরে সাজিয়েছিল অনুগত লোকদের দিয়ে নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার ভেতর দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান বাছাই করা হয়েছিল এবং বঙ্গভবনে বসানো হয়েছিল একজন ইয়েসম্যান। সেনাপ্রধানও ছিলেন বিএনপি প্রধানের নিয়োগপ্রাপ্ত। এমন নিশ্ছিদ্র ব্যবস্থার ভেতর দিয়েও বেহুলার ঘরে নাগিনীর প্রবেশ ঘটেছিল। কারণ একটিই- আওয়ামী লীগ জনগণকে সঙ্গে পেয়েছিল, যারা আসলেই সব শক্তির উৎস।
আওয়ামী লীগের মহাজোটও কি প্রকারান্তরে তাই করছে না? ক্ষমতার উচ্চাসনে বসে নিরাপত্তা প্রহরী বেষ্টিত হয়ে জনগণের সামনে সত্য-মিথ্যা সব কথারই নিজস্ব ব্যাখ্যা দেওয়া যায়, হুমকি-ধমকি দেওয়া যায়, যেমনভাবে ইচ্ছে অনুগত শ্রোতাদের বোঝানো যায় ও সরকারি কর্মচারীদের আওয়ামী শক্তির মহড়ায় যোগ দেওয়ানো যায়। কিন্তু পঞ্চদশ সংশোধনীর মধ্য দিয়ে সরকার যে বিধি-ব্যবস্থা প্রণয়ন করছে তার পরিণতি গিয়ে কোথায় ঠেকবে। জনগণ কিন্তু ঠিকই বোঝে ক্ষমতাসীনদের ক্ষমতার এসব খেলা।
জানি না, বিএনপি আওয়ামীদের মতো উত্তাল দুর্বার জনসমর্থন পাবে কি না। এখানেই আওয়ামীদের বেশ কিছু প্লাস পয়েন্ট আছে। নিজ চোখে কখনো টিভির পর্দায় বা কখনো রাস্তাঘাটে আটকে গিয়ে আওয়ামীদের পরিচালিত ২০০৬-০৭ সালের মারমুখো স্ট্রিট পাওয়ার দেখেছি। স্বীকার না করে উপায় নেই যে এখানে আওয়ামীদের ব্যুৎপত্তি অসাধারণ। তারা যথার্থ বলে যে ফখরুদ্দীন সরকার ছিল তাদের 'আন্দোলনের ফসল'। বিশেষ করে মহিলা লীগ এবং দলের মহিলা কর্মীরা সে সময়ে অসীম সাহসিকতার সঙ্গে ইট-কাঠ-পাথর যা-ই পেয়েছে তা দিয়েই একইরকম মারমুখো পুলিশের সঙ্গে খণ্ড যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে। মারণাস্ত্র না হলেও আওয়ামী লীগ সে সময় লগি-বৈঠা সজ্জিত কর্মী বাহিনী দিয়ে ঢাকা সয়লাব করেছিল। আমরা অবশ্যই সেসবের পুনরাবৃত্তি কোনো দলের পক্ষ থেকেই দেখতে চাই না।
আমরা শুধু আমাদের আঙুল আড়াআড়ি রেখে কায়মনোবাক্যে আশা ও প্রার্থনা করতে থাকব যে সহিংসতা আদৌ প্রয়োজন হবে না। তার আগেই ১৬ কোটি মানুষের সম্মিলিত প্রজ্ঞার যাঁরা প্রতিনিধিত্ব করেন তাঁরা এর একটা শান্তিপূর্ণ সমাধান বের করবেনই। ক্ষমতাসীনদের সহাস্যে বুঝতে হবে, রাজনীতি স্পোর্টসের বেশি কিছু নয়। অহমিকা, মোহাচ্ছন্নতা এবং একগুঁয়েমির ধারকরাই এখানে মার খায়। মনে রাখতে হবে, আসন্ন নির্বাচনী খেলায় সব দলের জন্য Level Playing Ground অত্যাবশ্যক।
লেখক : সাবেক মহাপরিচালক, বিআইআইএসএস ও কলামিস্ট
No comments