টেলিফোন বানাল টুকটুকি
সিসিমপুর একটা মজার জায়গা। ছয় বছরের মেয়ে টুকটুকি স্কুলে যায়, পড়তে ভালোবাসে। তিন বছরের ইকরি প্রশ্ন করতে ভালোবাসে। ছয় বছরের শিকু, নেশা তার আবিষ্কার। প্রকৃতিপ্রেমী হালুমের প্রিয় মাছ-সবজি। এ ছাড়া রয়েছে দোকানদার গুণী ময়রা, লাইব্রেরিয়ান আশা, খামারি মুকুল,
স্কুলশিক্ষক সুমনা, ফেরিওয়ালা বাহাদুর, গরু পার্বতী, মোরগ শেরালী, মুরগি বিজলি আর দুই ভেড়া—মানিক ও রতন। এদের নিয়েই সিসিমপুরের গল্প, যা ছাপা হচ্ছে গোল্লাছুটে
একদিন হালুম ঘর পরিষ্কার করে পুরোনো জিনিসপত্র একটা ঝুড়িতে ভরে ফেলে দিতে বের হলো।
এমন সময় টুকটুকি এসে হাজির। সে জানতে চাইল, কী করছ হালুম?
হালুম বলল, এই পুরোনো জিনিসগুলো ফেলে দিতে যাচ্ছি। টুকটুকি দেখল হালুমের ঝুড়ির মধ্যে লম্বা আর চিকন একটা তার আর দুইটা আইসক্রিমের বাটি। সে বলল, এত সুন্দর তার আর প্লাস্টিকের বাটিগুলো ফেলে দেবে হালুম?
হালুম বলল, হ্যাঁ, এগুলো আর আমার কোনো কাজে লাগবে না।
টুকটুকি বলল, ওগুলো আমাকে দাও। এগুলো দিয়ে আমি নতুন জিনিস একটা বানিয়ে ফেলব।
হালুম বলল, কী জিনিস বানাবে টুকটুকি।
টুকটুকি বলল, দেখই না কী বানাই!
হালুম তার আর কাপদুটো টুকটুকিকে দিয়ে দিল। টুকটুকি প্লাস্টিকের বাটিদুটো ফুটো করে তারের দুই মাথায় গিঁট দিয়ে লাগিয়ে দিল। হালুম টুকটুকির কাজ মনোযোগ দিয়ে দেখতে লাগল।
কাজ শেষ হলে টুকটুকি বলল, হালুম তোমার পুরোনো তার আর আইসক্রিমের বাটি দিয়ে টেলিফোন বানিয়ে ফেললাম।
হালুম অবাক হয়ে বলল, টেলিফোন? এটা দিয়ে কথা বলা যাবে?
টুকটুকি টেলিফোনের একটা বাটি হালুমকে দিয়ে বলল, একটু দূরে গিয়ে এই বাটিটা কানে ধর, তা হলেই বুঝবে।
হালুম দূরে গিয়ে বাটিটা কানে ধরল। টুকটুকিও আরেকটা বাটি মুখের কাছে ধরে বলল, হ্যালো হালুম...!
হালুম তার কানে ধরা বাটির ভেতর দিয়ে টুকটুকির কথাটা শুনতে পেল। ঠিক টেলিফোনের মতো। সে খুশি হয়ে বলল, হ্যালো টুকটুকি!
টুকটুকি বলল, কথা শোনার সময় বাটিটা কানে ধরো আর বলার সময় মুখের কাছে ধরো!
হালুম মুখের কাছে বাটিটা ধরে বলল, হ্যালো টুকটুকি?
টুকটুকি বলল, বলো হালুম কী বলবে!
হালুম খুশি হয়ে বলল, পুরোনো জিনিস দিয়ে তুমি কী সুন্দর টেলিফোন বানিয়ে ফেললে! ধন্যবাদ টুকটুকি।
একদিন হালুম ঘর পরিষ্কার করে পুরোনো জিনিসপত্র একটা ঝুড়িতে ভরে ফেলে দিতে বের হলো।
এমন সময় টুকটুকি এসে হাজির। সে জানতে চাইল, কী করছ হালুম?
হালুম বলল, এই পুরোনো জিনিসগুলো ফেলে দিতে যাচ্ছি। টুকটুকি দেখল হালুমের ঝুড়ির মধ্যে লম্বা আর চিকন একটা তার আর দুইটা আইসক্রিমের বাটি। সে বলল, এত সুন্দর তার আর প্লাস্টিকের বাটিগুলো ফেলে দেবে হালুম?
হালুম বলল, হ্যাঁ, এগুলো আর আমার কোনো কাজে লাগবে না।
টুকটুকি বলল, ওগুলো আমাকে দাও। এগুলো দিয়ে আমি নতুন জিনিস একটা বানিয়ে ফেলব।
হালুম বলল, কী জিনিস বানাবে টুকটুকি।
টুকটুকি বলল, দেখই না কী বানাই!
হালুম তার আর কাপদুটো টুকটুকিকে দিয়ে দিল। টুকটুকি প্লাস্টিকের বাটিদুটো ফুটো করে তারের দুই মাথায় গিঁট দিয়ে লাগিয়ে দিল। হালুম টুকটুকির কাজ মনোযোগ দিয়ে দেখতে লাগল।
কাজ শেষ হলে টুকটুকি বলল, হালুম তোমার পুরোনো তার আর আইসক্রিমের বাটি দিয়ে টেলিফোন বানিয়ে ফেললাম।
হালুম অবাক হয়ে বলল, টেলিফোন? এটা দিয়ে কথা বলা যাবে?
টুকটুকি টেলিফোনের একটা বাটি হালুমকে দিয়ে বলল, একটু দূরে গিয়ে এই বাটিটা কানে ধর, তা হলেই বুঝবে।
হালুম দূরে গিয়ে বাটিটা কানে ধরল। টুকটুকিও আরেকটা বাটি মুখের কাছে ধরে বলল, হ্যালো হালুম...!
হালুম তার কানে ধরা বাটির ভেতর দিয়ে টুকটুকির কথাটা শুনতে পেল। ঠিক টেলিফোনের মতো। সে খুশি হয়ে বলল, হ্যালো টুকটুকি!
টুকটুকি বলল, কথা শোনার সময় বাটিটা কানে ধরো আর বলার সময় মুখের কাছে ধরো!
হালুম মুখের কাছে বাটিটা ধরে বলল, হ্যালো টুকটুকি?
টুকটুকি বলল, বলো হালুম কী বলবে!
হালুম খুশি হয়ে বলল, পুরোনো জিনিস দিয়ে তুমি কী সুন্দর টেলিফোন বানিয়ে ফেললে! ধন্যবাদ টুকটুকি।
No comments