মহাসমাবেশ বনাম জনসমাবেশ-জনকল্যাণমূলক সিদ্ধান্ত নিন
অস্বস্তি ও দুর্ভোগের একটি সপ্তাহ পার করে দিল নগরবাসী। শুধু নগরবাসী কেন, সারা দেশের মানুষই একটি সময় পেরিয়ে এলো। বিরোধী জোটের মহাসমাবেশ আর মহাজোটের জনসমাবেশ নিয়ে গত ১১ মার্চ থেকে শুরু করে ১৪ মার্চ পর্যন্ত ঢাকাবাসীকে যে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে, তার নজির নিকট অতীতে নেই।
বিরোধী দল ও জোট এই মহাসমাবেশের ঘোষণা দেওয়ার পর মহাজোটও দীর্ঘমেয়াদি একটি কর্মসূচি ঘোষণা করে। ওই কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় গত ১৪ মার্চ রাজধানীতে জনসভা করে মহাজোট। যেখানে মহাজোট নেতাদের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীও বক্তৃতা করেন। এর আগে ১২ মার্চ নয়াপল্টনের মহাসমাবেশ থেকে চারদলীয় জোট নেত্রী ঘোষণা করে তিন মাস মেয়াদি কর্মসূচি।
চারদলীয় জোটের পক্ষ থেকে মহাসমাবেশের ডাক দেওয়ার পর যখন সরকার সমর্থক মহাজোটের পক্ষ থেকে পাল্টা কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়, তখনই অনুধাবন করা গিয়েছিল, দুই দল বা জোট নিজেদের শক্তি প্রদর্শনের মহড়ায় অংশ নেবে। বাস্তবিকই তেমনটি ঘটেছে। চারদলীয় জোটের মহাসমাবেশের আগের দিন থেকে রাজধানীর সঙ্গে সারা দেশের যোগাযোগ কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। এর আগে ঢাকার প্রবেশমুখগুলোয় নেওয়া হয় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। মহাসমাবেশের আগের দিন রাজধানীর যোগাযোগ ব্যবস্থাও পুরোপুরি ভেঙে পড়ে। অফিসগামী ও অফিস-ফেরত মানুষকে পড়তে হয় ভোগান্তিতে। গণপরিবহন বলতে কিছুই ছিল না ১১ ও ১২ মার্চ। সেই একই চিত্র আবার পরিলক্ষিত হয় ১৪ মার্চ। তবে ১৪ মার্চ ঢাকায় প্রবেশের ক্ষেত্রে কোনো বিধিনিষেধ ছিল না। ছিল না নিরাপত্তা নিয়ে কোনো বাড়াবাড়ি। কিন্তু রাজধানীতে চলাচলকারী মানুষকে গণপরিবহনের অভাবে কম বিড়ম্বনায় পড়তে হয়নি।
সরকার ও বিরোধী দল এখন এক ইস্যুতে মুখোমুখি। সরকার চাইছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার বাইরে এ সরকারের অধীনেই নির্বাচন হবে। সরকারের এই চাওয়ার পক্ষে যথেষ্ট যুক্তিও দেখানো হয়েছে। একটি শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন যে গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য যথেষ্ট, সরকারের পক্ষ থেকে এ কথা বারবার বলা হচ্ছে। সরকার যে যুক্তি দেখাচ্ছে, তা গ্রহণযোগ্য। কিন্তু বিরোধী দলের কাছে এই যুক্তি গ্রহণযোগ্য বলে মনে হচ্ছে না। সরকারের যুক্তি বিরোধী দলের কাছে গ্রহণযোগ্য নয় কেন? সেখানেও যৌক্তিক অবস্থান তুলে ধরতে চেয়েছে বিরোধী দল। সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দায় নির্বাচন কমিশনের। এখানে সরকারের কোনো ভূমিকা নেই। কিন্তু অতীতে দেখা গেছে, নির্বাচন কমিশনের ওপর রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের ফলে অনেক সময় অযাচিত পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে। এ থেকে দেখা দেয় আস্থার সংকট। এই আস্থাহীনতা থেকেই একসময় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার প্রবর্তন করা হয়। কিন্তু সেটা কোনো স্থায়ী সমাধান ছিল না। সরকার আদালতের একটি রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে এখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা তুলে দিয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করতে হয়, তা কি সরকার অর্জন করেছে?
সরকার ও বিরোধী দল এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে পারে সংসদে গিয়ে। সংসদের বাইরে রাস্তায় জনসভা করে এ সমস্যার সমাধান খুঁজে পাওয়া যাবে না।
চারদলীয় জোটের পক্ষ থেকে মহাসমাবেশের ডাক দেওয়ার পর যখন সরকার সমর্থক মহাজোটের পক্ষ থেকে পাল্টা কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়, তখনই অনুধাবন করা গিয়েছিল, দুই দল বা জোট নিজেদের শক্তি প্রদর্শনের মহড়ায় অংশ নেবে। বাস্তবিকই তেমনটি ঘটেছে। চারদলীয় জোটের মহাসমাবেশের আগের দিন থেকে রাজধানীর সঙ্গে সারা দেশের যোগাযোগ কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। এর আগে ঢাকার প্রবেশমুখগুলোয় নেওয়া হয় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। মহাসমাবেশের আগের দিন রাজধানীর যোগাযোগ ব্যবস্থাও পুরোপুরি ভেঙে পড়ে। অফিসগামী ও অফিস-ফেরত মানুষকে পড়তে হয় ভোগান্তিতে। গণপরিবহন বলতে কিছুই ছিল না ১১ ও ১২ মার্চ। সেই একই চিত্র আবার পরিলক্ষিত হয় ১৪ মার্চ। তবে ১৪ মার্চ ঢাকায় প্রবেশের ক্ষেত্রে কোনো বিধিনিষেধ ছিল না। ছিল না নিরাপত্তা নিয়ে কোনো বাড়াবাড়ি। কিন্তু রাজধানীতে চলাচলকারী মানুষকে গণপরিবহনের অভাবে কম বিড়ম্বনায় পড়তে হয়নি।
সরকার ও বিরোধী দল এখন এক ইস্যুতে মুখোমুখি। সরকার চাইছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার বাইরে এ সরকারের অধীনেই নির্বাচন হবে। সরকারের এই চাওয়ার পক্ষে যথেষ্ট যুক্তিও দেখানো হয়েছে। একটি শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন যে গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য যথেষ্ট, সরকারের পক্ষ থেকে এ কথা বারবার বলা হচ্ছে। সরকার যে যুক্তি দেখাচ্ছে, তা গ্রহণযোগ্য। কিন্তু বিরোধী দলের কাছে এই যুক্তি গ্রহণযোগ্য বলে মনে হচ্ছে না। সরকারের যুক্তি বিরোধী দলের কাছে গ্রহণযোগ্য নয় কেন? সেখানেও যৌক্তিক অবস্থান তুলে ধরতে চেয়েছে বিরোধী দল। সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দায় নির্বাচন কমিশনের। এখানে সরকারের কোনো ভূমিকা নেই। কিন্তু অতীতে দেখা গেছে, নির্বাচন কমিশনের ওপর রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের ফলে অনেক সময় অযাচিত পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে। এ থেকে দেখা দেয় আস্থার সংকট। এই আস্থাহীনতা থেকেই একসময় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার প্রবর্তন করা হয়। কিন্তু সেটা কোনো স্থায়ী সমাধান ছিল না। সরকার আদালতের একটি রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে এখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা তুলে দিয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করতে হয়, তা কি সরকার অর্জন করেছে?
সরকার ও বিরোধী দল এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে পারে সংসদে গিয়ে। সংসদের বাইরে রাস্তায় জনসভা করে এ সমস্যার সমাধান খুঁজে পাওয়া যাবে না।
No comments