সৃষ্টিসুখ by সিলভিয়া নাজনীন
উত্তরার গ্যালারি কায়ার আন্তর্জাতিক নারী দিবসকে উপলক্ষ করে বিভিন্ন সময়ের নানা অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ ১৭ জন ‘নারী’ শিল্পীর প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। প্রকাশবাদী মনোভাবকে নিরন্তর অন্বেষণ, বিষয়বস্তু, শৈলী, শিল্পচিন্তা, নন্দনতত্ত্ব ও দর্শন, ব্যক্তিগত জগতের দুঃখবোধ, আবেগপ্রবণ অনুভূতি, নারীর একাকিত্ব ও অস্তিত্বের প্রশ্ন শিল্পীদের চিত্রজমিনে উপস্থাপিত
হয়েছে। রঙের উপাদানগত বৈশিষ্ট্য, নানা মাত্রায় রং স্বচ্ছ-অস্বচ্ছভাবে প্রয়োগ, রেখার মাধ্যমে ভলিউম তৈরি, রূপকে স্থবির বা গতিশীলভাবে উপস্থাপন করা—এমন নানা বৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ এই প্রদর্শনী।
শিল্প সৃষ্টির সময় শিল্পীর ভাবনা ও প্রকাশভঙ্গি গুরুত্বপূর্ণ। বস্তু, পরিবেশ, অভিজ্ঞতা, ব্যক্তিমানসের অন্তর্নিহিত রহস্যের নান্দনিক ও সৃষ্টিশীল উপস্থাপনা, যা অন্যকে প্রভাবিত করতে সক্ষম এমন কিছুই মূলত শিল্প। চিত্রকলার সবচেয়ে বড় শক্তি হলো এর সর্বজনীন সত্তা। চিত্রভাষার সর্বজনীন আবেদনের কারণে এর বিষয় নির্বাচন সমাজের নানাবিধ পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় ভূমিকা পালন করে। শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন এ দেশের প্রাতিষ্ঠানিক শিল্পচর্চায় বাঙালি মেয়েদের অংশগ্রহণের পথ উন্মোচন করেন ১৯৪৮ সালে। প্রথম দিকে ছাত্রীদের অভিভাবকের মন জয় করে নারী শিল্পী তৈরির প্রচেষ্টা বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের শিল্পভুবনকে কতটুকু সমৃদ্ধ করেছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বর্তমান সময়ে শিল্পশিক্ষায় ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা প্রায় সমান। ‘শিল্পী’ শব্দটি নারী-পুরুষ সবার ক্ষেত্রে সমানভাবে একই অর্থে ব্যবহূত হয়। একবিংশ শতকের এমন প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে শিল্পীদের ‘নারী শিল্পী’ হিসেবে আখ্যায়িত করাও পিছিয়ে পড়া, পিছিয়ে দেওয়া কিংবা নারী-পুরুষ বিভাজনে নতুন মাত্রা যুক্ত করবে।
‘নারী শিল্পী’ উপাধির মাধ্যমে একজন শিল্পীকে যে ধরনের অবহেলা ও বৈষম্যমূলক স্বীকৃতি দেওয়া হয়, তা এই পুরুষতান্ত্রিক সমাজেরই স্খলন। শিল্পীর মান বিচারে শিল্পগুণই একমাত্র বিচার্য বিষয়। প্রতিভার মূল্যায়নে লিঙ্গ পরিচয় যেখানে মুখ্য ভূমিকা রাখে, সেখানে সামাজিক অগ্রগতি ব্যাহত হয়। তবে এসব কিছুর পরেও একটি নির্দিষ্ট দিনকে উপলক্ষ করে বিভিন্ন আয়োজন নানা সম্ভাবনাও তৈরি করে। সমাজের অবহেলিত একটি অংশের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গিকে সহমর্মিতায় প্রতিস্থাপিত করতে বলে।
গ্যালারি কায়ায় আয়োজিত প্রদর্শনীর শিল্পী ও শিল্পকর্ম বাছাইয়ের প্রতি আয়োজকদের মনোযোগের প্রয়োজন ছিল। বিশেষ একটি ভাবনা থেকে এই আয়োজন মোটামুটি সফলই বলা চলে।
শিল্পী নাজলী লায়লা মনসুরের ‘দ্য প্রিডেটর’ ও ‘উইমেন অ্যান্ড ক্রোকোডাইল’, দিলারা বেগম জলির ‘দেয়ার ওয়ার্ডস’ ও ‘ড্রইং’, আতিয়া ইসলাম এ্যানির ‘গুড মর্নিং-১ ও ২’ প্রদর্শনীর উল্লেখযোগ্য শিল্পকর্ম।
অংশগ্রহণকারী শিল্পীরা হলেন: তাহেরা চৌধুরী, নাজলী লায়লা মনসুর, সাইদা কামাল, ফরিদা জামান, নাইমা হক, তন্দ্রা দাস, মাসুদা কাজী, আইভী জামান, দিলারা বেগম জলি, ফারেহা জেবা, আতিয়া ইসলাম এ্যানি, কনকচাঁপা চাকমা, নাসিমা হক মিতু, তৈয়বা বেগম লিপি, সুলেখা চৌধুরী, নাজিয়া আন্দালিব প্রিমা, মাকসুদা ইকবাল নিপা প্রমুখ।
শিল্প সৃষ্টির সময় শিল্পীর ভাবনা ও প্রকাশভঙ্গি গুরুত্বপূর্ণ। বস্তু, পরিবেশ, অভিজ্ঞতা, ব্যক্তিমানসের অন্তর্নিহিত রহস্যের নান্দনিক ও সৃষ্টিশীল উপস্থাপনা, যা অন্যকে প্রভাবিত করতে সক্ষম এমন কিছুই মূলত শিল্প। চিত্রকলার সবচেয়ে বড় শক্তি হলো এর সর্বজনীন সত্তা। চিত্রভাষার সর্বজনীন আবেদনের কারণে এর বিষয় নির্বাচন সমাজের নানাবিধ পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় ভূমিকা পালন করে। শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন এ দেশের প্রাতিষ্ঠানিক শিল্পচর্চায় বাঙালি মেয়েদের অংশগ্রহণের পথ উন্মোচন করেন ১৯৪৮ সালে। প্রথম দিকে ছাত্রীদের অভিভাবকের মন জয় করে নারী শিল্পী তৈরির প্রচেষ্টা বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের শিল্পভুবনকে কতটুকু সমৃদ্ধ করেছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বর্তমান সময়ে শিল্পশিক্ষায় ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা প্রায় সমান। ‘শিল্পী’ শব্দটি নারী-পুরুষ সবার ক্ষেত্রে সমানভাবে একই অর্থে ব্যবহূত হয়। একবিংশ শতকের এমন প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে শিল্পীদের ‘নারী শিল্পী’ হিসেবে আখ্যায়িত করাও পিছিয়ে পড়া, পিছিয়ে দেওয়া কিংবা নারী-পুরুষ বিভাজনে নতুন মাত্রা যুক্ত করবে।
‘নারী শিল্পী’ উপাধির মাধ্যমে একজন শিল্পীকে যে ধরনের অবহেলা ও বৈষম্যমূলক স্বীকৃতি দেওয়া হয়, তা এই পুরুষতান্ত্রিক সমাজেরই স্খলন। শিল্পীর মান বিচারে শিল্পগুণই একমাত্র বিচার্য বিষয়। প্রতিভার মূল্যায়নে লিঙ্গ পরিচয় যেখানে মুখ্য ভূমিকা রাখে, সেখানে সামাজিক অগ্রগতি ব্যাহত হয়। তবে এসব কিছুর পরেও একটি নির্দিষ্ট দিনকে উপলক্ষ করে বিভিন্ন আয়োজন নানা সম্ভাবনাও তৈরি করে। সমাজের অবহেলিত একটি অংশের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গিকে সহমর্মিতায় প্রতিস্থাপিত করতে বলে।
গ্যালারি কায়ায় আয়োজিত প্রদর্শনীর শিল্পী ও শিল্পকর্ম বাছাইয়ের প্রতি আয়োজকদের মনোযোগের প্রয়োজন ছিল। বিশেষ একটি ভাবনা থেকে এই আয়োজন মোটামুটি সফলই বলা চলে।
শিল্পী নাজলী লায়লা মনসুরের ‘দ্য প্রিডেটর’ ও ‘উইমেন অ্যান্ড ক্রোকোডাইল’, দিলারা বেগম জলির ‘দেয়ার ওয়ার্ডস’ ও ‘ড্রইং’, আতিয়া ইসলাম এ্যানির ‘গুড মর্নিং-১ ও ২’ প্রদর্শনীর উল্লেখযোগ্য শিল্পকর্ম।
অংশগ্রহণকারী শিল্পীরা হলেন: তাহেরা চৌধুরী, নাজলী লায়লা মনসুর, সাইদা কামাল, ফরিদা জামান, নাইমা হক, তন্দ্রা দাস, মাসুদা কাজী, আইভী জামান, দিলারা বেগম জলি, ফারেহা জেবা, আতিয়া ইসলাম এ্যানি, কনকচাঁপা চাকমা, নাসিমা হক মিতু, তৈয়বা বেগম লিপি, সুলেখা চৌধুরী, নাজিয়া আন্দালিব প্রিমা, মাকসুদা ইকবাল নিপা প্রমুখ।
No comments