কর্মসূচির পর দুই জোটই তৃপ্ত-আত্মবিশ্বাসী ১৪ দল by জাহাঙ্গীর আলম
এক সপ্তাহের মধ্যে বড় তিনটি রাজনৈতিক কর্মসূচি সফল করায় আত্মবিশ্বাস বেড়ে গেছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের। রাজপথের কর্তৃত্ব এ মুহূর্তে সরকারি জোটেরই বলে মনে করে ক্ষমতাসীন এই জোট। তাই বিরোধী দলের আন্দোলন এখন তাদের কাছে অতটা ভাবনার বিষয় নয়।
বিরোধী দল সময় বেঁধে দিলেও তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের বিষয়টি একেবারেই বিবেচনায় নিচ্ছেন না ১৪ দলের নেতারা। নির্বাচনকালীন সরকারব্যবস্থায় অরাজনৈতিক কাউকে নেতৃত্বে আনতে চান না তাঁরা। তবে বিরোধী দলের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনায় দ্বিমত নেই নেতাদের। তাঁরা মনে করেন, বিরোধী দলের উচিত সংসদে গিয়ে প্রস্তাব উত্থাপন করা।
১৪ দলের অন্যতম শীর্ষ নেতা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন প্রথম আলোকে বলেন, ১২ মার্চকে কেন্দ্র করে নেওয়া কর্মসূচিতে কর্মীদের স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া মিলেছে। ১৪ দলের জনসভা মহাসমাবেশে পরিণত হয়েছে। এতে আত্মবিশ্বাস বেড়ে গেছে। তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত যেভাবে হাঁকডাক দিয়েছিল, কার্যত মাঠ দখল করতে পারেনি। বরং মাঠ ও রাজনৈতিক কর্তৃত্ব এখন ১৪ দলের হাতে চলে এসেছে।
১৪ দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিএনপির ১২ মার্চের সমাবেশ ঘিরে ৭ মার্চ গণশোভাযাত্রা, ৯ মার্চ জেলায় ও ১১ মার্চ ঢাকায় মানববন্ধন এবং ১৪ মার্চ ঢাকায় জনসভা সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। মাত্র এক সপ্তাহে রাজধানীতে বড় আকারের তিনটি রাজনৈতিক কর্মসূচি পালিত হওয়ায় আওয়ামী লীগ তথা ১৪ দল সাংগঠনিক সামর্থ্যের পরিচয় দিয়েছে বলে মনে করছেন নেতারা।
আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা জানান, ১৪ মার্চের জনসভা ঘিরে তেমন প্রস্তুতি নেওয়া হয়নি। থানা, ওয়ার্ডে বর্ধিত সভা করা হয়নি। কোনো প্রচার ও পোস্টারও ছিল না। তার পরও জনসভায় ব্যাপক লোকসমাগম হওয়ায় দলীয় নেতা-কর্মীদের আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। একই সঙ্গে রাজপথে দলীয় অবস্থান সুসংহত হয়েছে। বিরোধী দলকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলার এটা একটা দৃষ্টান্ত।
জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, এক সপ্তাহে তিনটি সফল কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে কর্মীরা উজ্জীবিত হয়েছে। যেকোনো পরিস্থিতিতে কর্মীরা যে ঝাঁপিয়ে পড়বে, তা প্রমাণিত হয়েছে।
১৮ ডিসেম্বরের ঘটনার পর বিরোধী দলের ১২ মার্চের মহাসমাবেশ নিয়ে সরকারি দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে কিছুটা উদ্বেগ-উত্কণ্ঠা ছিল। এ ছাড়া দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যেও আতঙ্ক ছিল। আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকেরা এ পরিস্থিতিতে সারা দেশের নেতা-কর্মীদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছিলেন। ৭ মার্চ গণশোভাযাত্রায় বিশাল জমায়েত এবং ১৪ মার্চের বড় জনসভা করে দলে আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সক্ষম হয়েছেন বলে তাঁরা মনে করেন।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, অল্প সময়ের মধ্যে জনসভায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে বিশাল উপস্থিতি প্রমাণ করে, বিরোধী দলের যেকোনো অপতত্পরতা মোকাবিলায় ১৪ দল ঐক্যবদ্ধ।
সরকারের জ্যেষ্ঠ মন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিরোধী দলের কর্মসূচি ও সময় বেঁধে দেওয়ার বিষয়টি সরকারে তেমন প্রভাব পড়েনি। তবে বিরোধী দল সংসদে এসে এ বিষয়ে আলোচনা করলে সরকার তা যথেষ্ট গুরুত্বের সঙ্গে নেবে। বিরোধী দলের সঙ্গে সমঝোতায় আসার চেষ্টা করবে। নির্বাচনকালীন সরকারব্যবস্থার বিষয়টি আগেভাগেই সুরাহা করতে সরকারের আপত্তি নেই। এ ক্ষেত্রে সরকার কঠোর অবস্থানে নেই। তবে নিজে থেকে সরকার কোনো উদ্যোগ নেবে না। বিরোধী দল প্রস্তাব দিলে আলোচনা হতে পারে।
১৪ দলের অন্যতম শীর্ষ নেতা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন প্রথম আলোকে বলেন, ১২ মার্চকে কেন্দ্র করে নেওয়া কর্মসূচিতে কর্মীদের স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া মিলেছে। ১৪ দলের জনসভা মহাসমাবেশে পরিণত হয়েছে। এতে আত্মবিশ্বাস বেড়ে গেছে। তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত যেভাবে হাঁকডাক দিয়েছিল, কার্যত মাঠ দখল করতে পারেনি। বরং মাঠ ও রাজনৈতিক কর্তৃত্ব এখন ১৪ দলের হাতে চলে এসেছে।
১৪ দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিএনপির ১২ মার্চের সমাবেশ ঘিরে ৭ মার্চ গণশোভাযাত্রা, ৯ মার্চ জেলায় ও ১১ মার্চ ঢাকায় মানববন্ধন এবং ১৪ মার্চ ঢাকায় জনসভা সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। মাত্র এক সপ্তাহে রাজধানীতে বড় আকারের তিনটি রাজনৈতিক কর্মসূচি পালিত হওয়ায় আওয়ামী লীগ তথা ১৪ দল সাংগঠনিক সামর্থ্যের পরিচয় দিয়েছে বলে মনে করছেন নেতারা।
আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা জানান, ১৪ মার্চের জনসভা ঘিরে তেমন প্রস্তুতি নেওয়া হয়নি। থানা, ওয়ার্ডে বর্ধিত সভা করা হয়নি। কোনো প্রচার ও পোস্টারও ছিল না। তার পরও জনসভায় ব্যাপক লোকসমাগম হওয়ায় দলীয় নেতা-কর্মীদের আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। একই সঙ্গে রাজপথে দলীয় অবস্থান সুসংহত হয়েছে। বিরোধী দলকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলার এটা একটা দৃষ্টান্ত।
জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, এক সপ্তাহে তিনটি সফল কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে কর্মীরা উজ্জীবিত হয়েছে। যেকোনো পরিস্থিতিতে কর্মীরা যে ঝাঁপিয়ে পড়বে, তা প্রমাণিত হয়েছে।
১৮ ডিসেম্বরের ঘটনার পর বিরোধী দলের ১২ মার্চের মহাসমাবেশ নিয়ে সরকারি দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে কিছুটা উদ্বেগ-উত্কণ্ঠা ছিল। এ ছাড়া দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যেও আতঙ্ক ছিল। আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকেরা এ পরিস্থিতিতে সারা দেশের নেতা-কর্মীদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছিলেন। ৭ মার্চ গণশোভাযাত্রায় বিশাল জমায়েত এবং ১৪ মার্চের বড় জনসভা করে দলে আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সক্ষম হয়েছেন বলে তাঁরা মনে করেন।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, অল্প সময়ের মধ্যে জনসভায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে বিশাল উপস্থিতি প্রমাণ করে, বিরোধী দলের যেকোনো অপতত্পরতা মোকাবিলায় ১৪ দল ঐক্যবদ্ধ।
সরকারের জ্যেষ্ঠ মন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিরোধী দলের কর্মসূচি ও সময় বেঁধে দেওয়ার বিষয়টি সরকারে তেমন প্রভাব পড়েনি। তবে বিরোধী দল সংসদে এসে এ বিষয়ে আলোচনা করলে সরকার তা যথেষ্ট গুরুত্বের সঙ্গে নেবে। বিরোধী দলের সঙ্গে সমঝোতায় আসার চেষ্টা করবে। নির্বাচনকালীন সরকারব্যবস্থার বিষয়টি আগেভাগেই সুরাহা করতে সরকারের আপত্তি নেই। এ ক্ষেত্রে সরকার কঠোর অবস্থানে নেই। তবে নিজে থেকে সরকার কোনো উদ্যোগ নেবে না। বিরোধী দল প্রস্তাব দিলে আলোচনা হতে পারে।
No comments