সমুদ্রসীমার রায় ব্লকের জন্য সুসংবাদ!-কৃতিত্ব দাবি প্রধানমন্ত্রীর, নাকচ বিএনপির
সমুদ্র আইনবিষয়ক আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে (ইটলস) গত বুধবারের রায়ের ফলে বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের চার থেকে পাঁচটি ব্লক নিয়ে জটিলতা কেটেছে বলে মনে করা হচ্ছে। আর এ বিষয়টি যাচাই করে ভবিষ্যতে ব্লকগুলোতে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের দরপত্র আহ্বান করতে পারে বাংলাদেশ।
রাষ্ট্রীয় তেল-গ্যাস ও খনিজ সম্পদ করপোরেশনের (পেট্রোবাংলা) কর্মকর্তারা গতকাল বৃহস্পতিবার এ কথা জানান।
এদিকে বাংলাদেশের এ অর্জনের প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এর কৃতিত্ব সরকারের নয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের। এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সাফল্যের কৃতিত্ব তাঁর সরকারের- এমন মন্তব্য করে বলেছেন, সামনে জনগণ ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে আবারও বিজয়ী করলে এ রকম আরেকটি সুসংবাদ দিতে পারবেন।
গত বুধবার ইটলসের ঐতিহাসিক এক রায়ে বাংলাদেশ বঙ্গোপসাগরে ২০০ নটিক্যাল মাইল অর্থনৈতিক এলাকায় (ইইজেড) এবং তদূর্ধ্ব মহীসোপান এলাকায় নিরঙ্কুশ অধিকার লাভ করে। খনিজ সম্পদ অনুসন্ধানের জন্য ২০০৮ সালে বাংলাদেশ সাগর এলাকায় ২৮টি ব্লক ঘোষণার পর এর ১৭টির ব্যাপারে মিয়ানমার এবং ১০টি ব্লকের ব্যাপারে ভারত আপত্তি জানায়।
'কৃতিত্ব মন্ত্রণালয়ের' : ইটলসের রায় বাংলাদেশের জন্য 'সুখবর' মন্তব্য করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গতকাল সাংবাদিকদের বলেছেন, 'নিঃসন্দেহে এ রায় ঘোষণায় আমরা আনন্দিত। মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্র সীমানা চিহ্নিত হওয়ায় বঙ্গোপসাগরে আমাদের নিরঙ্কুশ ও সার্বভৌম অধিকার নিশ্চিত হলো। তাই এটা আমাদের জন্য একটি বিরাট সুখবর।'
মির্জা ফখরুল আরো বলেন, 'সালিসি আদালতে মামলার কাজে আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যাঁরা যুক্ত ছিলেন, তাঁরা নিঃসন্দেহে ভালো কাজ করেছেন।' এ জন্য সরকারকে অভিনন্দন জানাবেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখানে সরকারের প্রশংসা পাওয়ার কিছু নেই। কাজটি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের। যাঁরা এই কাজে নিয়োজিত ছিলেন, তাঁরা নিষ্ঠার সঙ্গে ভালো কাজ করেছেন। প্রশংসা তাঁদের প্রাপ্য।
'আমরা কাগজপত্র পেশ করি' : গতকাল জাতীয় সংসদে ফ্লোর নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আন্তর্জাতিক সমুদ্র আইনে দায়ের করা মামলায় গতকাল (বুধবার) আমরা একটা রায় পেয়েছি। এই রায়ের মাধ্যমে বঙ্গোপসাগরের এক লাখ ১১ হাজার বর্গকিলোমিটার জায়গায় বাংলাদেশের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এখন থেকে এই এলাকায় বাংলাদেশ অবাধে চলাচল করতে পারবে। গভীর সমুদ্র এলাকায় তেল-গ্যাস অনুসন্ধানসহ সম্পদ আহরণ করতে পারবে। ভারতের সঙ্গেও একটি মামলা আমাদের রয়েছে। ওই মামলার রায় হবে ২০১৪ সালে। বাংলাদেশের জনগণ আমাদের ভোট দিয়ে আবার নির্বাচিত করলে আজকের মতো আরেকটি সুখবর সেদিনও দিতে পারব।'
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'বাংলাদেশের আয়তনের চেয়ে বেশি এলাকা চিহ্নিত করে আমরা বাংলাদেশ-মিয়ানমারের মধ্যকার সমুদ্রসীমা নির্ধারণের জন্য জাতিসংঘে কাগজপত্র পেশ করি। এরপর এই মামলার বিষয়ে নতুন কার্যক্রম শুরু হয়। যথাসময়ে কাগজপত্র পেশ না করলে সমুদ্রের ওপর আমরা সব অধিকার হারিয়ে ফেলতাম।'
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৭৩ সালে সমুদ্রসীমার মীমাংসা নিয়ে প্রক্রিয়া শুরু করেন। ১৯৭৪ সালে এ ব্যাপারে একটি আইন করেন। এরপর ২০০৯ সালে বর্তমান সরকার নতুন করে সমুদ্রসীমার ব্যাপারে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করে। এ রায়ের ফলে বঙ্গোপসাগরের মহীসোপানের ওপরও বাংলাদেশের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হলো।
শেখ হাসিনা তাঁর বক্তব্যে আরো বলেন, 'এই মামলার কাজে যাঁরা কঠোর পরিশ্রম করেছেন, তাঁদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এত কঠিন একটি কাজ দুই বছরের মধ্যে সম্পন্ন সবাই আন্তরিকভাবে কাজ করেছেন বলে সম্ভব হয়েছে।' তিনি বলেন, 'আমরা সব রকম প্রস্তুতি নিয়েই এ কর্মকাণ্ড শুরু করেছিলাম। এর ফসল আমরা পেয়েছি। মিয়ানমারের সঙ্গে স্থান-সীমানাও নির্ধারণ করে ফেলেছি। জাতির পিতার পদক্ষেপগুলো কার্যকর করে আমরা বিশাল সম্পদের মালিকানা এনে দিয়েছি। জাতির জনক শুধু আমাদের স্বাধীনতাই দেননি, আমাদের সাফল্যের পথও দেখিয়ে দিয়ে গেছেন।'
ব্লক নিয়ে আশাবাদ : বুধবারের রায়ের ফলে বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের চার থেকে পাঁচটি ব্লক নিয়ে জটিলতা কেটেছে বলে মনে করছে পেট্রোবাংলা। পেট্রোবাংলার একজন পরিচালক বলেন, 'গভীর সাগর এলাকায় বাংলাদেশের ঘোষণা করা গ্যাস ব্লকগুলোর প্রায় সবগুলোর ব্যাপারেই প্রতিবেশী ভারত ও মিয়ানমারের সম্পূর্ণ বা আংশিক আপত্তি ছিল। তবে রায় ঘোষণার পর চার থেকে পাঁচটি আমাদের সীমানার মধ্যে পড়েছে বলে আমরা মনে করছি। আনুষ্ঠানিকভাবে রায়ের কপি পাওয়ার পর সফটওয়্যারের মাধ্যমে পরীক্ষা করে জানতে পারব আসলে আমরা কয়টি ব্লক পেয়েছি।'
ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, ২০০৮ সালে বাংলাদেশ ২৮টি ব্লকের দরপত্র আহ্বান করলেও প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে বিরোধের কারণে কেবল ১০ ও ১১ নম্বর ব্লকের বরাদ্দ দিতে পেরেছে। ১০ ও ১১ নম্বর ব্লকের কিছু অংশও বিরোধপূর্ণ। বাংলাদেশের ১০ নম্বর ব্লক নিয়ে ভারত এবং ১১ নম্বর ব্লক নিয়ে মিয়ানমার আপত্তি জানিয়েছিল।
জানা গেছে, প্রায় দুই হাজার ৮০০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের ১০ নম্বর ব্লকে বিরোধপূর্ণ এলাকার পরিমাণ এক হাজার ১০০ বর্গকিলোমিটার। অন্যদিকে প্রায় দুই হাজার ৮৯৯ বর্গকিলোমিটার আয়তনের ১১ নম্বর ব্লকের বিরোধপূর্ণ এলাকার পরিমাণ ৪৪৫ বর্গকিলোমিটার। ওই ব্লক দুটির বিরোধ নেই, এমন এলাকায় সিসমিক জরিপ পরিচালনা করছে বহুজাতিক কম্পানি কনোকো ফিলিপস। আগামী এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ নাগাদ ওই জরিপ শেষ হতে পারে।
ইটলসের রায় অনুযায়ী বাংলাদেশ এক লাখ ১১ হাজার বর্গকিলোমিটার এবং মিয়ানমার এক লাখ ৭১ হাজার বর্গকিলোমিটার সাগর এলাকা পেয়েছে।
গভীর সাগরে বাংলাদেশের ২০টি এবং অগভীর সাগরে ১০টি ব্লক রয়েছে। পেট্রোবাংলার কর্মকর্তারা আশা করছেন, ব্লকগুলোতে অনুসন্ধান করলে তেল-গ্যাস পাওয়া যেতেও পারে। ইটলসের রায়ের পর বাংলাদেশ যে চার থেকে পাঁচটি ব্লক পেয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে, সেগুলোর আয়তন ১৫ হাজার বর্গকিলোমিটারের মতো হতে পারে।
এদিকে বাংলাদেশের এ অর্জনের প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এর কৃতিত্ব সরকারের নয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের। এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সাফল্যের কৃতিত্ব তাঁর সরকারের- এমন মন্তব্য করে বলেছেন, সামনে জনগণ ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে আবারও বিজয়ী করলে এ রকম আরেকটি সুসংবাদ দিতে পারবেন।
গত বুধবার ইটলসের ঐতিহাসিক এক রায়ে বাংলাদেশ বঙ্গোপসাগরে ২০০ নটিক্যাল মাইল অর্থনৈতিক এলাকায় (ইইজেড) এবং তদূর্ধ্ব মহীসোপান এলাকায় নিরঙ্কুশ অধিকার লাভ করে। খনিজ সম্পদ অনুসন্ধানের জন্য ২০০৮ সালে বাংলাদেশ সাগর এলাকায় ২৮টি ব্লক ঘোষণার পর এর ১৭টির ব্যাপারে মিয়ানমার এবং ১০টি ব্লকের ব্যাপারে ভারত আপত্তি জানায়।
'কৃতিত্ব মন্ত্রণালয়ের' : ইটলসের রায় বাংলাদেশের জন্য 'সুখবর' মন্তব্য করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গতকাল সাংবাদিকদের বলেছেন, 'নিঃসন্দেহে এ রায় ঘোষণায় আমরা আনন্দিত। মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্র সীমানা চিহ্নিত হওয়ায় বঙ্গোপসাগরে আমাদের নিরঙ্কুশ ও সার্বভৌম অধিকার নিশ্চিত হলো। তাই এটা আমাদের জন্য একটি বিরাট সুখবর।'
মির্জা ফখরুল আরো বলেন, 'সালিসি আদালতে মামলার কাজে আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যাঁরা যুক্ত ছিলেন, তাঁরা নিঃসন্দেহে ভালো কাজ করেছেন।' এ জন্য সরকারকে অভিনন্দন জানাবেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখানে সরকারের প্রশংসা পাওয়ার কিছু নেই। কাজটি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের। যাঁরা এই কাজে নিয়োজিত ছিলেন, তাঁরা নিষ্ঠার সঙ্গে ভালো কাজ করেছেন। প্রশংসা তাঁদের প্রাপ্য।
'আমরা কাগজপত্র পেশ করি' : গতকাল জাতীয় সংসদে ফ্লোর নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আন্তর্জাতিক সমুদ্র আইনে দায়ের করা মামলায় গতকাল (বুধবার) আমরা একটা রায় পেয়েছি। এই রায়ের মাধ্যমে বঙ্গোপসাগরের এক লাখ ১১ হাজার বর্গকিলোমিটার জায়গায় বাংলাদেশের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এখন থেকে এই এলাকায় বাংলাদেশ অবাধে চলাচল করতে পারবে। গভীর সমুদ্র এলাকায় তেল-গ্যাস অনুসন্ধানসহ সম্পদ আহরণ করতে পারবে। ভারতের সঙ্গেও একটি মামলা আমাদের রয়েছে। ওই মামলার রায় হবে ২০১৪ সালে। বাংলাদেশের জনগণ আমাদের ভোট দিয়ে আবার নির্বাচিত করলে আজকের মতো আরেকটি সুখবর সেদিনও দিতে পারব।'
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'বাংলাদেশের আয়তনের চেয়ে বেশি এলাকা চিহ্নিত করে আমরা বাংলাদেশ-মিয়ানমারের মধ্যকার সমুদ্রসীমা নির্ধারণের জন্য জাতিসংঘে কাগজপত্র পেশ করি। এরপর এই মামলার বিষয়ে নতুন কার্যক্রম শুরু হয়। যথাসময়ে কাগজপত্র পেশ না করলে সমুদ্রের ওপর আমরা সব অধিকার হারিয়ে ফেলতাম।'
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৭৩ সালে সমুদ্রসীমার মীমাংসা নিয়ে প্রক্রিয়া শুরু করেন। ১৯৭৪ সালে এ ব্যাপারে একটি আইন করেন। এরপর ২০০৯ সালে বর্তমান সরকার নতুন করে সমুদ্রসীমার ব্যাপারে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করে। এ রায়ের ফলে বঙ্গোপসাগরের মহীসোপানের ওপরও বাংলাদেশের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হলো।
শেখ হাসিনা তাঁর বক্তব্যে আরো বলেন, 'এই মামলার কাজে যাঁরা কঠোর পরিশ্রম করেছেন, তাঁদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এত কঠিন একটি কাজ দুই বছরের মধ্যে সম্পন্ন সবাই আন্তরিকভাবে কাজ করেছেন বলে সম্ভব হয়েছে।' তিনি বলেন, 'আমরা সব রকম প্রস্তুতি নিয়েই এ কর্মকাণ্ড শুরু করেছিলাম। এর ফসল আমরা পেয়েছি। মিয়ানমারের সঙ্গে স্থান-সীমানাও নির্ধারণ করে ফেলেছি। জাতির পিতার পদক্ষেপগুলো কার্যকর করে আমরা বিশাল সম্পদের মালিকানা এনে দিয়েছি। জাতির জনক শুধু আমাদের স্বাধীনতাই দেননি, আমাদের সাফল্যের পথও দেখিয়ে দিয়ে গেছেন।'
ব্লক নিয়ে আশাবাদ : বুধবারের রায়ের ফলে বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের চার থেকে পাঁচটি ব্লক নিয়ে জটিলতা কেটেছে বলে মনে করছে পেট্রোবাংলা। পেট্রোবাংলার একজন পরিচালক বলেন, 'গভীর সাগর এলাকায় বাংলাদেশের ঘোষণা করা গ্যাস ব্লকগুলোর প্রায় সবগুলোর ব্যাপারেই প্রতিবেশী ভারত ও মিয়ানমারের সম্পূর্ণ বা আংশিক আপত্তি ছিল। তবে রায় ঘোষণার পর চার থেকে পাঁচটি আমাদের সীমানার মধ্যে পড়েছে বলে আমরা মনে করছি। আনুষ্ঠানিকভাবে রায়ের কপি পাওয়ার পর সফটওয়্যারের মাধ্যমে পরীক্ষা করে জানতে পারব আসলে আমরা কয়টি ব্লক পেয়েছি।'
ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, ২০০৮ সালে বাংলাদেশ ২৮টি ব্লকের দরপত্র আহ্বান করলেও প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে বিরোধের কারণে কেবল ১০ ও ১১ নম্বর ব্লকের বরাদ্দ দিতে পেরেছে। ১০ ও ১১ নম্বর ব্লকের কিছু অংশও বিরোধপূর্ণ। বাংলাদেশের ১০ নম্বর ব্লক নিয়ে ভারত এবং ১১ নম্বর ব্লক নিয়ে মিয়ানমার আপত্তি জানিয়েছিল।
জানা গেছে, প্রায় দুই হাজার ৮০০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের ১০ নম্বর ব্লকে বিরোধপূর্ণ এলাকার পরিমাণ এক হাজার ১০০ বর্গকিলোমিটার। অন্যদিকে প্রায় দুই হাজার ৮৯৯ বর্গকিলোমিটার আয়তনের ১১ নম্বর ব্লকের বিরোধপূর্ণ এলাকার পরিমাণ ৪৪৫ বর্গকিলোমিটার। ওই ব্লক দুটির বিরোধ নেই, এমন এলাকায় সিসমিক জরিপ পরিচালনা করছে বহুজাতিক কম্পানি কনোকো ফিলিপস। আগামী এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ নাগাদ ওই জরিপ শেষ হতে পারে।
ইটলসের রায় অনুযায়ী বাংলাদেশ এক লাখ ১১ হাজার বর্গকিলোমিটার এবং মিয়ানমার এক লাখ ৭১ হাজার বর্গকিলোমিটার সাগর এলাকা পেয়েছে।
গভীর সাগরে বাংলাদেশের ২০টি এবং অগভীর সাগরে ১০টি ব্লক রয়েছে। পেট্রোবাংলার কর্মকর্তারা আশা করছেন, ব্লকগুলোতে অনুসন্ধান করলে তেল-গ্যাস পাওয়া যেতেও পারে। ইটলসের রায়ের পর বাংলাদেশ যে চার থেকে পাঁচটি ব্লক পেয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে, সেগুলোর আয়তন ১৫ হাজার বর্গকিলোমিটারের মতো হতে পারে।
No comments