পবিত্র কোরআনের আলো-ইহুদি জাতির পূর্বপুরুষদের মধ্যেও অবাধ্য লোক ছিল
৫৪. আম ইয়াহ্ছুদূনান না-ছা আ'লা মা আ-তা-হুমুল্লা-হু মিন্ ফাদ্বলিহী; ফাক্বাদ আ-তাইনা আ-লা ইবরাহীমাল কিতা-বা ওয়ালহিকমাতা ওয়া আ-তাইনা-হুম্ মুলকান আ'য্বীমা। ৫৫. ফামিনহুম্ মিন্ আ-মানা বিহী ওয়া মিনহুম্ মান সাদ্দা আনহু; ওয়া কাফা বিজাহান্নামা ছায়ী'রা।
৫৬. ইন্নাল্লাযীনা কাফারূ বিআ-ইয়া-তিনা ছাওফা নুসলীহিম না-রা; কুল্লামা নাদ্বিজাত জুলূদুহুম বাদ্দালনা-হুম জুলূদান গাইরাহা লিয়াযূক্বুল আ'যা-বা; ইন্নাল্লা-হা কা-না আ'যীযান হাকীমা। [সুরা : আন নিসা, আয়াত : ৫৪-৫৬]
অনুবাদ : ৫৪. অথবা এরা কি অন্যান্য মানুষের ব্যাপারে বিদ্বেষ পোষণ করে, যাদের আল্লাহ তায়ালা প্রাচুর্য দান করেছেন? আমি তো ইবরাহিমের বংশধরদের কিতাব ও জ্ঞান-বিজ্ঞান দান করেছিলাম। আমি তাদের বিশাল রাজত্বও দান করেছিলাম।
৫৫. অতঃপর তাদের মধ্যে অল্প কিছু লোকই সেই কিতাবের ওপর ইমান এনেছে। আবার কেউ কেউ এর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। এদের জাহান্নামের আগুনে দগ্ধ করার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
৫৬. যারা আমার নিদর্শনগুলোকে অস্বীকার করেছে অর্থাৎ আমার অবাধ্য হয়েছে তাদের আমি অচিরেই জাহান্নামের আগুনে দগ্ধ করব। আগুনে পুড়ে যখন তাদের দেহের চামড়া গলে যাবে, তখন নতুন চামড়া বানিয়ে দেব, যাতে তারা শাস্তি ভোগ করতে পারে। আল্লাহ তায়ালা অবশ্যইও মহাপরাক্রমের অধিকারী, কুশলী।
ব্যাখ্যা : এই আয়াতগুলোও আগের আয়াতের ধারাবাহিকতায় এসেছে। মূলত ইহুদি জাতিকে উদ্দেশ করেই এসব কথা বলা হয়েছে। ইহুদি জাতির লোকেরা যখন তাদের পূর্বপুরুষদের, অর্থাৎ পূর্বপুরুষদের মধ্যে যারা গুণবান ছিলেন, তাদের গুণাবলির উত্তরাধিকার হারিয়ে গুরুত্বহীন হয়ে পড়ে তখন তারা অন্যান্য মানুষের প্রতি শুধু বিদ্বেষ পোষণ করতে শেখে। তারা মনে করত, তারা শ্রেষ্ঠ জাতি, কিন্তু শ্রেষ্ঠত্বের কোনো গুণাবলি তাদের মধ্যে অবশিষ্ট ছিল না। তাদের মধ্যে তখন অবশিষ্ট ছিল শুধু আত্মশ্লাঘা এবং অন্যের প্রতি বিদ্বেষ। ৫৪ নম্বর আয়াতে তাদের এই বিদ্বেষপ্রবণতার কথা বর্ণনা করার সঙ্গে সঙ্গে স্মরণ করা হয়েছে তাদের আদি পূর্বপুরুষ মহান পিতা ইবরাহিমের কথা। ইবরাহিমের বংশধরদের আল্লাহ তায়ালা তাঁর কিতাব, নবুয়ত ও জ্ঞান-বিজ্ঞান দান করেছিলেন। এ ছাড়া তাদের বিশাল রাজত্ব দান করেছিলেন। ইহুদিদের নিজস্ব এই ইতিহাস আল্লাহ তায়ালা কোরআন মজিদে বর্ণনা করেছেন। এর পরের আয়াত অর্থাৎ ৫৫ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, অতঃপর তাদের মধ্যে অল্প কিছু লোকই সেই কিতাবের ওপর ইমান এনেছে। আবার কেউ কেউ এর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে, অর্থাৎ ইহুদি জাতির পূর্বপুরুষদের মধ্যেও অনেক অবাধ্য লোকও ছিল; তারা আল্লাহ-প্রদর্শিত সঠিক পথে চলেনি। ইতিহাসের এসব চিত্র তুলে ধরে আল্লাহ তায়ালা তাঁর রাসুলকে এভাবে সান্ত্বনা দিচ্ছেন যে যদি আপনার যুগেও কেউ কেউ আপনার নবুয়ত ও কোরআন মজিদের অভ্রান্ততার ওপর ইমান না আনে, তবে পরিতাপের কিছু নেই। আসলে ইহুদি জাতি তাদের শ্রেষ্ঠ পূর্বপুরুষদের উত্তরাধিকার হারিয়ে আত্মশ্লাঘাসর্বস্ব বিদ্বেষী জাতিতে পরিণত হয়েছে। তাদের কাছ থেকে বেশি কিছু আশা করার সুযোগ নেই।
গ্রন্থনা : মাওলানা হোসেন আলী
অনুবাদ : ৫৪. অথবা এরা কি অন্যান্য মানুষের ব্যাপারে বিদ্বেষ পোষণ করে, যাদের আল্লাহ তায়ালা প্রাচুর্য দান করেছেন? আমি তো ইবরাহিমের বংশধরদের কিতাব ও জ্ঞান-বিজ্ঞান দান করেছিলাম। আমি তাদের বিশাল রাজত্বও দান করেছিলাম।
৫৫. অতঃপর তাদের মধ্যে অল্প কিছু লোকই সেই কিতাবের ওপর ইমান এনেছে। আবার কেউ কেউ এর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। এদের জাহান্নামের আগুনে দগ্ধ করার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
৫৬. যারা আমার নিদর্শনগুলোকে অস্বীকার করেছে অর্থাৎ আমার অবাধ্য হয়েছে তাদের আমি অচিরেই জাহান্নামের আগুনে দগ্ধ করব। আগুনে পুড়ে যখন তাদের দেহের চামড়া গলে যাবে, তখন নতুন চামড়া বানিয়ে দেব, যাতে তারা শাস্তি ভোগ করতে পারে। আল্লাহ তায়ালা অবশ্যইও মহাপরাক্রমের অধিকারী, কুশলী।
ব্যাখ্যা : এই আয়াতগুলোও আগের আয়াতের ধারাবাহিকতায় এসেছে। মূলত ইহুদি জাতিকে উদ্দেশ করেই এসব কথা বলা হয়েছে। ইহুদি জাতির লোকেরা যখন তাদের পূর্বপুরুষদের, অর্থাৎ পূর্বপুরুষদের মধ্যে যারা গুণবান ছিলেন, তাদের গুণাবলির উত্তরাধিকার হারিয়ে গুরুত্বহীন হয়ে পড়ে তখন তারা অন্যান্য মানুষের প্রতি শুধু বিদ্বেষ পোষণ করতে শেখে। তারা মনে করত, তারা শ্রেষ্ঠ জাতি, কিন্তু শ্রেষ্ঠত্বের কোনো গুণাবলি তাদের মধ্যে অবশিষ্ট ছিল না। তাদের মধ্যে তখন অবশিষ্ট ছিল শুধু আত্মশ্লাঘা এবং অন্যের প্রতি বিদ্বেষ। ৫৪ নম্বর আয়াতে তাদের এই বিদ্বেষপ্রবণতার কথা বর্ণনা করার সঙ্গে সঙ্গে স্মরণ করা হয়েছে তাদের আদি পূর্বপুরুষ মহান পিতা ইবরাহিমের কথা। ইবরাহিমের বংশধরদের আল্লাহ তায়ালা তাঁর কিতাব, নবুয়ত ও জ্ঞান-বিজ্ঞান দান করেছিলেন। এ ছাড়া তাদের বিশাল রাজত্ব দান করেছিলেন। ইহুদিদের নিজস্ব এই ইতিহাস আল্লাহ তায়ালা কোরআন মজিদে বর্ণনা করেছেন। এর পরের আয়াত অর্থাৎ ৫৫ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, অতঃপর তাদের মধ্যে অল্প কিছু লোকই সেই কিতাবের ওপর ইমান এনেছে। আবার কেউ কেউ এর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে, অর্থাৎ ইহুদি জাতির পূর্বপুরুষদের মধ্যেও অনেক অবাধ্য লোকও ছিল; তারা আল্লাহ-প্রদর্শিত সঠিক পথে চলেনি। ইতিহাসের এসব চিত্র তুলে ধরে আল্লাহ তায়ালা তাঁর রাসুলকে এভাবে সান্ত্বনা দিচ্ছেন যে যদি আপনার যুগেও কেউ কেউ আপনার নবুয়ত ও কোরআন মজিদের অভ্রান্ততার ওপর ইমান না আনে, তবে পরিতাপের কিছু নেই। আসলে ইহুদি জাতি তাদের শ্রেষ্ঠ পূর্বপুরুষদের উত্তরাধিকার হারিয়ে আত্মশ্লাঘাসর্বস্ব বিদ্বেষী জাতিতে পরিণত হয়েছে। তাদের কাছ থেকে বেশি কিছু আশা করার সুযোগ নেই।
গ্রন্থনা : মাওলানা হোসেন আলী
No comments