অবকাঠামোর উন্নয়ন ও রাজনৈতিক স্থিতি জরুরি-বিদেশি বিনিয়োগ
নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও ২০১০ সালে বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ ৩০ শতাংশ বৃদ্ধির খবরটি আশাব্যঞ্জক। জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন সংস্থার (আঙ্কটাড) বৈশ্বিক বিনিয়োগ প্রতিবেদনে প্রতিবছর সারা বিশ্বের বিনিয়োগ-পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়। প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছর বিশ্বে মোট বিদেশি বিনিয়োগ হয়েছে এক লাখ ২৪ হাজার ৪০০ কোটি ডলার,
যা আগের বছরের চেয়ে ১৫ শতাংশ বেশি। দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর মধ্যে মালদ্বীপে বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধির হার ৪৩ শতাংশ, এরপর বাংলাদেশের স্থান, ৩০ শতাংশ। ভারত ও পাকিস্তানে বিনিয়োগ কমেছে। ১৪১টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১১৪, যা আগের বছরের চেয়ে ছয় ধাপ বেশি।
তবে বিদেশি বিনিয়োগের এ প্রবৃদ্ধিতে সন্তোষ প্রকাশের সুযোগ নেই। বাংলাদেশে গত বছর ৩০ শতাংশ বাড়লেও মোট বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল মাত্র ৯১ কোটি ৩০ লাখ ডলার, যেখানে ছোট্ট ভূখণ্ড হংকংয়ে বিনিয়োগ হয়েছে ছয় হাজার কোটি ডলারের বেশি। আমাদের দেশে বেশি বিনিয়োগ হয়েছে টেলিযোগাযোগ খাতে—৩৬ কোটি ডলার। অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে পারলে সেবা খাতের চেয়ে শিল্প খাতে বিনিয়োগকারীদের বেশি আকৃষ্ট করা যেত।
বিশ্বব্যাপী মন্দা সত্ত্বেও বাংলাদেশের ৩০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি সাফল্য হিসেবেই বিবেচনা করতে হবে। বাংলাদেশ বিনিয়োগ বোর্ড বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে ওয়ান স্টপ সার্ভিসসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছে। এসব পদক্ষেপ ইতিবাচক সন্দেহ নেই; কিন্তু বিনিয়োগের প্রধান শর্ত, উন্নত অবকাঠামো। সে ক্ষেত্রে আমাদের সাফল্য সীমিত। বিশেষ করে, শিল্প-কারখানার জন্য নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হয়নি। পরিবহন খাতের অবস্থাও ভালো নয়। রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছেই। যে কারণে ইউরোপ-আমেরিকায় রোড শো করেও জ্বালানি খাতে নয় কোটি ২০ লাখ ডলারের বেশি বিদেশি বিনিয়োগ আনা যায়নি।
ভারত ও চীন—এশিয়ার বৃহৎ দুই অর্থনৈতিক শক্তির পাশে বাংলাদেশের অবস্থান। এ দুটি দেশের সঙ্গে আমাদের বাণিজ্য-ঘাটতিও বিশাল। কেবল শুল্ক রেয়াতের সুবিধা নিয়ে এ বাণিজ্য-বৈষম্য কমানো যাবে না। এখানে এমন সব শিল্প-কারখানা গড়ে তুলতে হবে, যেসব শিল্পপণ্যের চাহিদা ওই দুটি দেশে আছে। আঞ্চলিক অবকাঠামোর আওতায় ট্রানজিট-সুবিধা বিনিময়ের ফলে উত্তর-পূর্ব ভারতসহ প্রতিবেশী দেশগুলোয় বাংলাদেশি পণ্যের বাজার সম্প্রসারিত হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। অদূর ভবিষ্যতে এশিয়ান হাইওয়ে ও ট্রান্স-এশিয়ান রেলওয়ের সঙ্গে যুক্ত হলে এখানে বিদেশি বিনিয়োগ আরও বাড়বে।
বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগের সিংহভাগই সেবা খাতে। শিল্প খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হলে অবকাঠামোর উন্নয়নের পাশাপাশি গ্যাস ও বিদ্যুতের সরবরাহ নিশ্চিত করা প্রয়োজন। সংবিধান সংশোধন নিয়ে সরকার ও বিরোধী দলের মুখোমুখি অবস্থান এবং আন্দোলনের আগাম ঘোষণা অর্থনীতির জন্য অশনিসংকেত বলে মনে করি। বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানো তথা অর্থনৈতিক উন্নতির ধারা অব্যাহত রাখতে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার বিকল্প নেই।
তবে বিদেশি বিনিয়োগের এ প্রবৃদ্ধিতে সন্তোষ প্রকাশের সুযোগ নেই। বাংলাদেশে গত বছর ৩০ শতাংশ বাড়লেও মোট বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল মাত্র ৯১ কোটি ৩০ লাখ ডলার, যেখানে ছোট্ট ভূখণ্ড হংকংয়ে বিনিয়োগ হয়েছে ছয় হাজার কোটি ডলারের বেশি। আমাদের দেশে বেশি বিনিয়োগ হয়েছে টেলিযোগাযোগ খাতে—৩৬ কোটি ডলার। অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে পারলে সেবা খাতের চেয়ে শিল্প খাতে বিনিয়োগকারীদের বেশি আকৃষ্ট করা যেত।
বিশ্বব্যাপী মন্দা সত্ত্বেও বাংলাদেশের ৩০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি সাফল্য হিসেবেই বিবেচনা করতে হবে। বাংলাদেশ বিনিয়োগ বোর্ড বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে ওয়ান স্টপ সার্ভিসসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছে। এসব পদক্ষেপ ইতিবাচক সন্দেহ নেই; কিন্তু বিনিয়োগের প্রধান শর্ত, উন্নত অবকাঠামো। সে ক্ষেত্রে আমাদের সাফল্য সীমিত। বিশেষ করে, শিল্প-কারখানার জন্য নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হয়নি। পরিবহন খাতের অবস্থাও ভালো নয়। রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছেই। যে কারণে ইউরোপ-আমেরিকায় রোড শো করেও জ্বালানি খাতে নয় কোটি ২০ লাখ ডলারের বেশি বিদেশি বিনিয়োগ আনা যায়নি।
ভারত ও চীন—এশিয়ার বৃহৎ দুই অর্থনৈতিক শক্তির পাশে বাংলাদেশের অবস্থান। এ দুটি দেশের সঙ্গে আমাদের বাণিজ্য-ঘাটতিও বিশাল। কেবল শুল্ক রেয়াতের সুবিধা নিয়ে এ বাণিজ্য-বৈষম্য কমানো যাবে না। এখানে এমন সব শিল্প-কারখানা গড়ে তুলতে হবে, যেসব শিল্পপণ্যের চাহিদা ওই দুটি দেশে আছে। আঞ্চলিক অবকাঠামোর আওতায় ট্রানজিট-সুবিধা বিনিময়ের ফলে উত্তর-পূর্ব ভারতসহ প্রতিবেশী দেশগুলোয় বাংলাদেশি পণ্যের বাজার সম্প্রসারিত হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। অদূর ভবিষ্যতে এশিয়ান হাইওয়ে ও ট্রান্স-এশিয়ান রেলওয়ের সঙ্গে যুক্ত হলে এখানে বিদেশি বিনিয়োগ আরও বাড়বে।
বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগের সিংহভাগই সেবা খাতে। শিল্প খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হলে অবকাঠামোর উন্নয়নের পাশাপাশি গ্যাস ও বিদ্যুতের সরবরাহ নিশ্চিত করা প্রয়োজন। সংবিধান সংশোধন নিয়ে সরকার ও বিরোধী দলের মুখোমুখি অবস্থান এবং আন্দোলনের আগাম ঘোষণা অর্থনীতির জন্য অশনিসংকেত বলে মনে করি। বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানো তথা অর্থনৈতিক উন্নতির ধারা অব্যাহত রাখতে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার বিকল্প নেই।
No comments