এটাকে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে হবে-বাংলাদেশের সমুদ্রজয়
সমুদ্র আইনসংক্রান্ত আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের (ইটলস) ঐতিহাসিক রায়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ এক অবিস্মরণীয় সাফল্য অর্জন করেছে। এই বিজয়ের গৌরব জনগণের। স্বাধীনতা-পরবর্তী গত ৪০ বছরের মধ্যে এটি বৃহত্তম ও সুদূরপ্রসারী কূটনৈতিক অর্জন। ৩৮ বছর ধরে যথাপ্রস্তুতি ও উদ্যোগহীনতার কারণে বহু বছর গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুটি ঝুলে ছিল।
কিন্তু বর্তমান সরকারই সব বাধা দূর করে বিরল দক্ষতার সঙ্গে আইনি লড়াইয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। তাই সামগ্রিক বিচারে বাংলাদেশের এই সমুদ্রজয়ের জন্য তারা কৃতিত্বের দাবিদার। আমরা তাদের আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এ ভূমিকা দেশবাসী কৃতজ্ঞতার সঙ্গে মনে রাখবে।
শেখ হাসিনার সরকারের দূরদর্শী এবং সময়োচিত সিদ্ধান্তের কারণেই বাংলাদেশের পক্ষে এই বিজয় লাভ করা সম্ভব হয়েছে। জার্মানির হামবুর্গ শহরের ট্রাইব্যুনালে বাংলাদেশ বনাম মিয়ানমার মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ, আইনবিদ ও আইনজীবীদের আমরা ধন্যবাদ জানাই। বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি ও ডেপুটি এজেন্ট অতিরিক্ত পররাষ্ট্রসচিব মো. খুরশেদ আলম অসামান্য দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। এর মাধ্যমে এই সত্য প্রতিষ্ঠিত করেছে যে কূটনৈতিক নৈপুণ্য প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মতো ছোট দেশও আন্তর্জাতিক ফোরামে তার ন্যায্য অধিকার ছিনিয়ে আনতে পারে।
দুই প্রতিবেশীর সঙ্গে দীর্ঘ কূটনৈতিক অচলাবস্থার পটভূমিতে আন্তর্জাতিক আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত খুব সহজ ছিল না। ঝুঁকি ছিল বিরাট। এই রায় প্রতিকূলে গেলে বাংলাদেশ চিরকালের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন হতো। বিরোধী দল রাজনৈতিকভাবে সরকারকে জব্দ করতে পিছপা হতো না বলেও ধরে নেওয়া যায়। ভারতের সঙ্গে স্থলসীমান্ত নির্ধারণের মন্থর অগ্রগতি বিবেচনায় নিয়ে আওয়ামী লীগ যথার্থই অনুভব করে যে সমুদ্রসীমাসংক্রান্ত বিরোধের নিষ্পত্তি আলোচনার টেবিলে সুরাহা হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ, বরং কালক্ষেপণের ঘটনাই বেশি ঘটত।
১৪ মার্চ আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি যথার্থই মন্তব্য করেন যে ‘আমাদের সকল কৌশলগত উদ্দেশ্য অর্জিত হয়েছে।’ তাঁর এ কথাও বাস্তব যে এই বিজয় শুধু বাংলাদেশের নয়, এটা মিয়ানমারেরও বিজয়। কারণ, তিন দশকের বেশি সময় ধরে জিইয়ে থাকা বিরোধের শান্তিপূর্ণ মীমাংসায় আন্তর্জাতিক আইন অনুসরণে তারা একমত হয়েছে। আইনানুগভাবে সমস্যার সুরাহা করতে সম্মত হওয়া এবং ট্রাইব্যুনালের রায় মেনে নেওয়ার জন্য মিয়ানমারেরও ধন্যবাদ প্রাপ্য।
আমরা মনে করি, দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক সহযোগিতা ও শান্তিপূর্ণ উপায়ে বিরোধ নিষ্পত্তির দৃষ্টান্ত হিসেবে এই রায় আলোকবর্তিকা হিসেবে গণ্য হবে। আমরা আশাবাদী হতে পারি যে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল বাংলাদেশের উপকূলের অনন্য বৈশিষ্ট্য যেহেতু স্বীকার করে নিয়েছেন, সেহেতু সমতা ও ন্যায্যতার পরিবর্তে সমদূরত্ব পদ্ধতি অনুসরণে ভারতের দাবির ভিত্তি দুর্বল হয়ে গেছে। ভারতের তরফে বাংলাদেশের সঙ্গে সমুদ্রবিষয়ক সম্প্রীতি ও সহযোগিতা গড়ে তোলার একটা বিরাট সুযোগ এসেছে।
অতীতে দেখা গেছে, বিজয় ছিনিয়ে আনলেও অনেক সময় তা যথাযথভাবে কাজে লাগানো যায়নি। এ ক্ষেত্রে যেন তার পুনরাবৃত্তি না ঘটে। তেল-গ্যাসসহ সমুদ্রের সব সম্পদকে সর্বোত্তম ব্যবহারের জন্য এখনই সর্বাত্মক পদক্ষেপ নিতে হবে।
শেখ হাসিনার সরকারের দূরদর্শী এবং সময়োচিত সিদ্ধান্তের কারণেই বাংলাদেশের পক্ষে এই বিজয় লাভ করা সম্ভব হয়েছে। জার্মানির হামবুর্গ শহরের ট্রাইব্যুনালে বাংলাদেশ বনাম মিয়ানমার মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ, আইনবিদ ও আইনজীবীদের আমরা ধন্যবাদ জানাই। বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি ও ডেপুটি এজেন্ট অতিরিক্ত পররাষ্ট্রসচিব মো. খুরশেদ আলম অসামান্য দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। এর মাধ্যমে এই সত্য প্রতিষ্ঠিত করেছে যে কূটনৈতিক নৈপুণ্য প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মতো ছোট দেশও আন্তর্জাতিক ফোরামে তার ন্যায্য অধিকার ছিনিয়ে আনতে পারে।
দুই প্রতিবেশীর সঙ্গে দীর্ঘ কূটনৈতিক অচলাবস্থার পটভূমিতে আন্তর্জাতিক আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত খুব সহজ ছিল না। ঝুঁকি ছিল বিরাট। এই রায় প্রতিকূলে গেলে বাংলাদেশ চিরকালের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন হতো। বিরোধী দল রাজনৈতিকভাবে সরকারকে জব্দ করতে পিছপা হতো না বলেও ধরে নেওয়া যায়। ভারতের সঙ্গে স্থলসীমান্ত নির্ধারণের মন্থর অগ্রগতি বিবেচনায় নিয়ে আওয়ামী লীগ যথার্থই অনুভব করে যে সমুদ্রসীমাসংক্রান্ত বিরোধের নিষ্পত্তি আলোচনার টেবিলে সুরাহা হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ, বরং কালক্ষেপণের ঘটনাই বেশি ঘটত।
১৪ মার্চ আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি যথার্থই মন্তব্য করেন যে ‘আমাদের সকল কৌশলগত উদ্দেশ্য অর্জিত হয়েছে।’ তাঁর এ কথাও বাস্তব যে এই বিজয় শুধু বাংলাদেশের নয়, এটা মিয়ানমারেরও বিজয়। কারণ, তিন দশকের বেশি সময় ধরে জিইয়ে থাকা বিরোধের শান্তিপূর্ণ মীমাংসায় আন্তর্জাতিক আইন অনুসরণে তারা একমত হয়েছে। আইনানুগভাবে সমস্যার সুরাহা করতে সম্মত হওয়া এবং ট্রাইব্যুনালের রায় মেনে নেওয়ার জন্য মিয়ানমারেরও ধন্যবাদ প্রাপ্য।
আমরা মনে করি, দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক সহযোগিতা ও শান্তিপূর্ণ উপায়ে বিরোধ নিষ্পত্তির দৃষ্টান্ত হিসেবে এই রায় আলোকবর্তিকা হিসেবে গণ্য হবে। আমরা আশাবাদী হতে পারি যে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল বাংলাদেশের উপকূলের অনন্য বৈশিষ্ট্য যেহেতু স্বীকার করে নিয়েছেন, সেহেতু সমতা ও ন্যায্যতার পরিবর্তে সমদূরত্ব পদ্ধতি অনুসরণে ভারতের দাবির ভিত্তি দুর্বল হয়ে গেছে। ভারতের তরফে বাংলাদেশের সঙ্গে সমুদ্রবিষয়ক সম্প্রীতি ও সহযোগিতা গড়ে তোলার একটা বিরাট সুযোগ এসেছে।
অতীতে দেখা গেছে, বিজয় ছিনিয়ে আনলেও অনেক সময় তা যথাযথভাবে কাজে লাগানো যায়নি। এ ক্ষেত্রে যেন তার পুনরাবৃত্তি না ঘটে। তেল-গ্যাসসহ সমুদ্রের সব সম্পদকে সর্বোত্তম ব্যবহারের জন্য এখনই সর্বাত্মক পদক্ষেপ নিতে হবে।
No comments