কর্মসূচির পর দুই জোটই তৃপ্ত-চারদলীয় জোট এখন চাঙা by সেলিম জাহিদ ও তানভীর সোহেল
একাধিক রোডমার্চ কর্মসূচি শেষে নানা প্রতিবন্ধকতার মুখেও ১২ মার্চ ঢাকায় ব্যাপক জনসমাগম করে বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট। দলটির নেতাদের দাবি, কর্মসূচি শতভাগ সফল হয়েছে। ফলে নেতা-কর্মীরা এখন ভীষণভাবে উজ্জীবিত। এই সফলতা ভবিষ্যতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের আন্দোলনকে আরও বেগবান করবে।
বিএনপি ও জামায়াতের নেতারা মনে করেন, এ সমাবেশ থেকে জোটের কর্মীরা বড় ধরনের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছেন। দল দুটির নীতিনির্ধারকেরা মনে করছেন, এই অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতে কাজে আসবে। তাঁরা বলেন, চারদলীয় জোট সম্প্রসারিত হয়েছে। এটাও হয়েছে মহাসমাবেশকে ঘিরে। মহাসমাবেশের সফলতার কারণে এখন আরও অনেক দল বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটে আসার আগ্রহ পাবে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, চেয়ারপারসনের বিভাগীয় শহরে সমাবেশ, রোডমার্চ, গণমিছিল, সভা-সমাবেশ, সবশেষে চারদলীয় জোটের মহাসমাবেশ। এই কর্মসূচি ঘিরে বিএনপির তৃণমূল থেকে শুরু করে দলের সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা এখন উজ্জীবিত। দল এখন সংগঠিত। ভবিষ্যতে বড় ধরনের কর্মসূচি পালনের মনোবল, ক্ষমতা তারা অর্জন করেছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য বলেছেন, বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় দলের মধ্যে নানা সমস্যা তৈরি হয়। এরপর নির্বাচনে ভরাডুবির পর দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের মনোবল ভেঙে যায়। অন্তর্কোন্দল, দলাদলিতে দীর্ঘদিন দলটি পর্যুদস্ত ছিল। কিন্তু এই মহাসমাবেশে সবচেয়ে যে লাভটি হয়েছে তা হলো, নেতা-কর্মীরা বুঝতে পেরেছেন সরকারবিরোধী যেকোনো আন্দোলনের জন্য বিএনপি এখন প্রস্তুত। তা ছাড়া বিএনপির ক্ষমতাকে সরকার ভয় পেয়েছে—এটাও একটা প্রাপ্তি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের এক সদস্য বলেন, সরকার যদি পদে পদে বাধা না দিত, ১২ মার্চের মহাসমাবেশ হয়তো আরও বড় হতো। কিন্তু সরকারের বাধার কারণে বিভিন্ন মহল থেকে যে নিন্দাবাদ পাওয়া গেছে, তা পাওয়া যেত না।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার বলেন, ‘সরকার সারা দেশের মানুষকে জিম্মি করে রেখেছিল, এর পরও জনগণকে থামাতে পারেনি। এটা আমাদের নৈতিক বিজয়। এটা কোনো রাজনৈতিক দলের জন্য বড় সম্পদ। এ সমাবেশ থেকে বিএনপি বা বিরোধী দলের প্রাপ্তির চেয়ে দেশবাসী কী পেয়েছে, সেটাই বড় কথা।’ তিনি মনে করেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে যে সংকট সৃষ্টি করা হয়েছে, তা থেকে উত্তরণের পথ হচ্ছে কোনো দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে না দেওয়া।
জানতে চাইলে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘আমাদের সাংগঠনিক অর্জন হলো, সারা দেশ থেকে আসা আমাদের জনশক্তি বিশাল অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছে। কর্মীরা উজ্জীবিত হয়েছে। এটা ১১ জুনের জনসভায় কাজে আসবে।’
বিএনপির নেতারা বলেছেন, এই তিন মাস বিএনপি সাংগঠনিকভাবে দলকে আরও সংগঠিত করবে। ১১ জুন বিশাল জনসভা করার প্রস্তুতি নেবে। দলের সব পর্যায়ের কমিটি গঠন, বিভেদ দূর করা হবে। তা ছাড়া দুই মাসব্যাপী জেলা-উপজেলা পর্যায়ে সভা-সমাবেশের মাধ্যমে তৃণমূলকে সক্রিয় করা হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মাহাবুবুর রহমান বলেন, সরকার জনগণকে ভয় পাচ্ছে। কেননা, এরা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। জনগণ এখন বিএনপির সঙ্গে। মহাসমাবেশে এত বাধা সত্ত্বেও এর ব্যাপক সফলতায় দলের নেতা-কর্মীরা চাঙা হয়েছেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, চেয়ারপারসনের বিভাগীয় শহরে সমাবেশ, রোডমার্চ, গণমিছিল, সভা-সমাবেশ, সবশেষে চারদলীয় জোটের মহাসমাবেশ। এই কর্মসূচি ঘিরে বিএনপির তৃণমূল থেকে শুরু করে দলের সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা এখন উজ্জীবিত। দল এখন সংগঠিত। ভবিষ্যতে বড় ধরনের কর্মসূচি পালনের মনোবল, ক্ষমতা তারা অর্জন করেছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য বলেছেন, বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় দলের মধ্যে নানা সমস্যা তৈরি হয়। এরপর নির্বাচনে ভরাডুবির পর দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের মনোবল ভেঙে যায়। অন্তর্কোন্দল, দলাদলিতে দীর্ঘদিন দলটি পর্যুদস্ত ছিল। কিন্তু এই মহাসমাবেশে সবচেয়ে যে লাভটি হয়েছে তা হলো, নেতা-কর্মীরা বুঝতে পেরেছেন সরকারবিরোধী যেকোনো আন্দোলনের জন্য বিএনপি এখন প্রস্তুত। তা ছাড়া বিএনপির ক্ষমতাকে সরকার ভয় পেয়েছে—এটাও একটা প্রাপ্তি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের এক সদস্য বলেন, সরকার যদি পদে পদে বাধা না দিত, ১২ মার্চের মহাসমাবেশ হয়তো আরও বড় হতো। কিন্তু সরকারের বাধার কারণে বিভিন্ন মহল থেকে যে নিন্দাবাদ পাওয়া গেছে, তা পাওয়া যেত না।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার বলেন, ‘সরকার সারা দেশের মানুষকে জিম্মি করে রেখেছিল, এর পরও জনগণকে থামাতে পারেনি। এটা আমাদের নৈতিক বিজয়। এটা কোনো রাজনৈতিক দলের জন্য বড় সম্পদ। এ সমাবেশ থেকে বিএনপি বা বিরোধী দলের প্রাপ্তির চেয়ে দেশবাসী কী পেয়েছে, সেটাই বড় কথা।’ তিনি মনে করেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে যে সংকট সৃষ্টি করা হয়েছে, তা থেকে উত্তরণের পথ হচ্ছে কোনো দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে না দেওয়া।
জানতে চাইলে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘আমাদের সাংগঠনিক অর্জন হলো, সারা দেশ থেকে আসা আমাদের জনশক্তি বিশাল অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছে। কর্মীরা উজ্জীবিত হয়েছে। এটা ১১ জুনের জনসভায় কাজে আসবে।’
বিএনপির নেতারা বলেছেন, এই তিন মাস বিএনপি সাংগঠনিকভাবে দলকে আরও সংগঠিত করবে। ১১ জুন বিশাল জনসভা করার প্রস্তুতি নেবে। দলের সব পর্যায়ের কমিটি গঠন, বিভেদ দূর করা হবে। তা ছাড়া দুই মাসব্যাপী জেলা-উপজেলা পর্যায়ে সভা-সমাবেশের মাধ্যমে তৃণমূলকে সক্রিয় করা হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মাহাবুবুর রহমান বলেন, সরকার জনগণকে ভয় পাচ্ছে। কেননা, এরা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। জনগণ এখন বিএনপির সঙ্গে। মহাসমাবেশে এত বাধা সত্ত্বেও এর ব্যাপক সফলতায় দলের নেতা-কর্মীরা চাঙা হয়েছেন।
No comments