সরকারের কাছে তথ্য নেই, চিকিৎসাপ্রতিষ্ঠানগুলোও উদাসীন-রাজধানীর ডেঙ্গু-পরিস্থিতি
সামরিক যুদ্ধের মতোই রোগ-মহামারির মোকাবিলায় সঠিক তথ্যের ভূমিকা অপরিসীম। অথচ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে রাজধানীতে ডেঙ্গুর প্রকোপ সম্পর্কে পর্যাপ্ত তথ্য নেই। তথ্য না থাকায় প্রতিকারের ব্যবস্থাও বাস্তবানুগ করা সম্ভব হচ্ছে না। জনস্বাস্থ্যের বিষয়ে এই অবহেলা সরকারি সংস্থার যেমন, স্বাস্থ্যসেবায় জড়িত প্রতিটি হাসপাতাল ও ক্লিনিকেরও তেমন।
রাজধানীতে অনুমোদিত চিকিৎসাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৫৯২। অথচ সরকারি হাসপাতালের বাইরে মাত্র ২৫টি ক্লিনিকের ডেঙ্গু-বিষয়ক তথ্য আছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে। এই না থাকার ব্যর্থতা কার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নাকি ক্লিনিকগুলোর? প্রথম আলোয় গত বুধবার প্রকাশিত এ-বিষয়ক এক প্রতিবেদন বলছে, সরকার মাত্র ২৫টি হাসপাতালে ডেঙ্গু পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চিঠি দিয়েছিল। এর বাইরে কারও কাছে তথ্য চাওয়াও হয়নি, কেউ তথ্য পাঠায়ওনি। সরকারের এবং চিকিৎসাপ্রতিষ্ঠানের এই ব্যর্থতার দায় উভয়েরই। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কি মাত্র ২৫টি হাসপাতালের তথ্য থেকেই সার্বিক অবস্থা জানা সম্ভব বলে ভেবেছিল? আর চিঠি না পেয়ে বসে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোও ‘জানতে চায়নি তাই জানাইনি’ বলে সন্তুষ্ট ছিল? তাদেরও কি দায়িত্ব ছিল না ডেঙ্গুর মতো এত বিপজ্জনক একটি রোগে আক্রান্ত ও মৃতদের সম্পর্কে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে জানানো? চিকিৎসা পেশার সঙ্গে সেবার মানসিকতা ও দায়িত্বশীলতা যুক্ত না হলে চলবে কী করে?
বাংলাদেশ প্রাইভেট অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, তাঁদের সংগঠনের সব সদস্যই নিয়মিত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা সম্পর্কে জানিয়ে থাকেন। কিন্তু স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দাবি, তাদের কাছে মাত্র ২৫টি হাসপাতালের তথ্য রয়েছে। তাদের এ-ও দাবি, সব হাসপাতাল ও ক্লিনিকের কাছে ডেঙ্গুর তথ্য জানানোর জন্য দুটো হটলাইন নম্বর দেওয়া আছে। কিন্তু যে দেশে নিজ উদ্যোগে দায়িত্ব পালনের সংস্কৃতি নেই, সেই দেশে দায়িত্ব মনে করিয়ে দিতে একটা চিঠি পাঠাতে কী অসুবিধা ছিল? এই পাল্টাপাল্টি অভিযোগে কেউ দায়মুক্ত হন না, কেবল দায়িত্বহীনতারই প্রমাণ মেলে।
এমন উদাসীনতা জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি। এ রকম অবস্থা বজায় রেখে মহামারি মোকাবিলা করা সম্ভব হবে না। আশা করি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট সবাই সমস্যাটি হূদয় দিয়ে অনুধাবন করবেন এবং পেশাগত দায়িত্ব বিষয়ে আরও যত্নবান হবেন।
বাংলাদেশ প্রাইভেট অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, তাঁদের সংগঠনের সব সদস্যই নিয়মিত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা সম্পর্কে জানিয়ে থাকেন। কিন্তু স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দাবি, তাদের কাছে মাত্র ২৫টি হাসপাতালের তথ্য রয়েছে। তাদের এ-ও দাবি, সব হাসপাতাল ও ক্লিনিকের কাছে ডেঙ্গুর তথ্য জানানোর জন্য দুটো হটলাইন নম্বর দেওয়া আছে। কিন্তু যে দেশে নিজ উদ্যোগে দায়িত্ব পালনের সংস্কৃতি নেই, সেই দেশে দায়িত্ব মনে করিয়ে দিতে একটা চিঠি পাঠাতে কী অসুবিধা ছিল? এই পাল্টাপাল্টি অভিযোগে কেউ দায়মুক্ত হন না, কেবল দায়িত্বহীনতারই প্রমাণ মেলে।
এমন উদাসীনতা জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি। এ রকম অবস্থা বজায় রেখে মহামারি মোকাবিলা করা সম্ভব হবে না। আশা করি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট সবাই সমস্যাটি হূদয় দিয়ে অনুধাবন করবেন এবং পেশাগত দায়িত্ব বিষয়ে আরও যত্নবান হবেন।
No comments