প্রতিবেশীর অধিকার by শিরিন বেলায়েত
যারা আমাদের আশপাশে বাস করে তারাই আমাদের প্রতিবেশী। বাড়ির চতুর্দিকে চলি্লশ ঘর পর্যন্ত সবাই প্রতিবেশীর আওতাভুক্ত। শহর বা গ্রামে বাড়ির পার্শ্ববর্তীরা যেমন প্রতিবেশী, তেমন যার সঙ্গে একত্রে সফরে যাওয়া হয় বা বিদেশে গিয়ে একসঙ্গে সফর করা হয় এসব সফরসঙ্গী এবং স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা, অফিস-আদালত বা যে কোনো কর্মস্থলে একসঙ্গে যারা কিছুক্ষণের জন্য হলেও থাকেন, তারাও প্রতিবেশী।
হোক সাময়িক প্রতিবেশী তবু ততক্ষণের জন্য প্রতিবেশীর নির্ধারিত অধিকার তাদের প্রাপ্য। প্রতিবেশী তিন রকমের_ ১. মুসলিম আত্মীয় প্রতিবেশী_ এ ধরনের প্রতিবেশী তিনটি অধিকার পায়। আত্মীয় হিসেবে, মুসলমান হিসেবে এবং প্রতিবেশী হিসেবে; ২. মুসলিম অনাত্মীয় প্রতিবেশী_ তারা দুটি অধিকার পায়। মুসলিম হিসেবে, প্রতিবেশী হিসেবে; ৩. অমুসলিম প্রতিবেশী_ তারা শুধু প্রতিবেশীর অধিকার পাবে। রাসূল (সা.) বলেছেন, সে মুমিন নয়, যার প্রতিবেশী তার অনিষ্টকর কাজ থেকে নিরাপদ নয়। রাসূল (সা.) আরও বলেছেন, জিবরাঈল (আ.) আমাকে প্রতিবেশী সম্পর্কে এত সতকর্ করেন যে, কখনও কখনও ভাবি, প্রতিবেশীকে হয়তো আমার উত্তরাধিকার বানানো হবে। প্রতিবেশীরা আমাদের আত্মীয়ের মতো, আপনজনের মতো। প্রতিবেশী কষ্ট পায় এমন ধরনের কাজ করা কবিরা গুনাহ। প্রতিবেশীর উচিত অপর প্রতিবেশীর কষ্টদায়ক আচরণ যতদূর সম্ভব সহ্য করা। এমনকি সে যদি অমুসলিম হয় তবুও। কেননা, এটা তার প্রতি উপকার ও অনুগ্রহের অন্তর্ভুক্ত। তাছাড়া এতে পরস্পর ভালোবাসা ও সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। একবার এক ব্যক্তি রাসূলের (সা.) কাছে এসে বলল, হে রাসূল, আমাকে এমন একটি কাজ বলে দেন, যা করলে আমি জান্নাতে যেতে পারব। রাসূল (সা.) বললেন, পরোপকারী হও। সে বলল, আমি কীভাবে বুঝব পরোপকারী হয়েছি কি-না? রাসূল (সা.) বললেন, তোমার প্রতিবেশীর কাছে জিজ্ঞাসা কর।
সে যদি বলে, তুমি পরোপকারী, তাহলে তুমি পরোপকারী। আর সে যদি বলে, তুমি পরের অনিষ্টকারী, তাহলে তুমি অনিষ্টকারী। অপর এক হাদিসে রাসূল (সা.) বলেছেন, প্রতিবেশীর অধিকার এই যে, সে যখন সাহায্য চাইবে তাকে সাহায্য করতে হবে। সে যখন ঋণ চাইবে তাকে ঋণ দিতে হবে। যখন সে কল্যাণ লাভ করে তখন তাকে অভিনন্দন জানাতে হবে। যখন সে বিপদে পড়ে তখন তাকে সমবেদনা জানাতে হবে। যখন সে মারা যায় তার জানাজা পড়তে ও তাকে সমাহিত করতে কবরের কাছে যেতে হবে। তার অনুমতি ছাড়া উঁচু বাড়ি বানিয়ে বাতাস বন্ধ করা যাবে না। ডেকচিতে যে খাদ্যসামগ্রী রাখা হয়, তার ঘ্রাণ যদি সে পায় তবে তা থেকে তাকে কিছু দিতে হবে। ফল কিনলে তাকে হাদিয়া পাঠাতে হবে। তার খোসা বাইরে ফেলা যাবে না, যাতে সে দেখতে পায়।
প্রতিবেশীর অধিকার সম্পর্কে রাসূল (সা.) বলেন, প্রতিবেশী একজন নারীর শ্লীলতাহানি করা অন্য দশজন নারীর শ্লীলতাহানি করার সমান। অনুরূপভাবে একজন প্রতিবেশীর বাড়িতে চুরি করা অন্য জায়গায় দশজনের বাড়িতে চুরি করা সমান। রাসূল (সা.) বলেছেন, কোন মুমিন লোক যখন মারা যান, তার দু'জন প্রতিবেশী বলে, আমরা তার সম্পর্কে ভালো ছাড়া কিছু জানি না। তা যদি আল্লাহর জানার অনুরূপ নাও হয়, তবুও সুমহান আল্লাহ তার ফেরেশতাদের বলেন, আমার বান্দাদের পক্ষে আমার এ দু'বান্দার সাক্ষ্য গ্রহণ করে নাও। আর তার সম্পর্কে আমার জ্ঞানে যা রয়েছে তা উপেক্ষা কর। মহানবী (সা.) বলেন, তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি উত্তম, যে তার প্রতিবেশীর কাছে উত্তম।
সে যদি বলে, তুমি পরোপকারী, তাহলে তুমি পরোপকারী। আর সে যদি বলে, তুমি পরের অনিষ্টকারী, তাহলে তুমি অনিষ্টকারী। অপর এক হাদিসে রাসূল (সা.) বলেছেন, প্রতিবেশীর অধিকার এই যে, সে যখন সাহায্য চাইবে তাকে সাহায্য করতে হবে। সে যখন ঋণ চাইবে তাকে ঋণ দিতে হবে। যখন সে কল্যাণ লাভ করে তখন তাকে অভিনন্দন জানাতে হবে। যখন সে বিপদে পড়ে তখন তাকে সমবেদনা জানাতে হবে। যখন সে মারা যায় তার জানাজা পড়তে ও তাকে সমাহিত করতে কবরের কাছে যেতে হবে। তার অনুমতি ছাড়া উঁচু বাড়ি বানিয়ে বাতাস বন্ধ করা যাবে না। ডেকচিতে যে খাদ্যসামগ্রী রাখা হয়, তার ঘ্রাণ যদি সে পায় তবে তা থেকে তাকে কিছু দিতে হবে। ফল কিনলে তাকে হাদিয়া পাঠাতে হবে। তার খোসা বাইরে ফেলা যাবে না, যাতে সে দেখতে পায়।
প্রতিবেশীর অধিকার সম্পর্কে রাসূল (সা.) বলেন, প্রতিবেশী একজন নারীর শ্লীলতাহানি করা অন্য দশজন নারীর শ্লীলতাহানি করার সমান। অনুরূপভাবে একজন প্রতিবেশীর বাড়িতে চুরি করা অন্য জায়গায় দশজনের বাড়িতে চুরি করা সমান। রাসূল (সা.) বলেছেন, কোন মুমিন লোক যখন মারা যান, তার দু'জন প্রতিবেশী বলে, আমরা তার সম্পর্কে ভালো ছাড়া কিছু জানি না। তা যদি আল্লাহর জানার অনুরূপ নাও হয়, তবুও সুমহান আল্লাহ তার ফেরেশতাদের বলেন, আমার বান্দাদের পক্ষে আমার এ দু'বান্দার সাক্ষ্য গ্রহণ করে নাও। আর তার সম্পর্কে আমার জ্ঞানে যা রয়েছে তা উপেক্ষা কর। মহানবী (সা.) বলেন, তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি উত্তম, যে তার প্রতিবেশীর কাছে উত্তম।
No comments