এ কী নির্মমতা!
চমকে ওঠার মতো খবর। এমনও হতে পারে! এত নিষ্ঠুর হতে পারে মানুষ! ভিক্ষাবৃত্তির মতো আইনগতভাবে নিষিদ্ধ একটি পেশায় এভাবে মানুষকে ব্যবহার করা হয় এই সময়ে! যখন পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে সামনের দিকে, প্রযুক্তির উৎকর্ষ মানুষকে এনে দিচ্ছে নতুন জীবনের স্বাদ, সেই সময়ে এসে মানুষের অসুস্থতা, প্রতিবন্ধিতা কারো ব্যবসায়ের পুঁজি হতে পারে_এটা অবিশ্বাস্য।
রাজধানী ঢাকার রাস্তায় বের হলে প্রায় প্রতিটি মোড়েই ভিক্ষুকের দেখা মেলে। দলবেঁধে ভিক্ষুককে ভিক্ষাবৃত্তি করতে দেখা যায়। শুক্রবার বিভিন্ন মসজিদের সামনে দেখা যায় ভিক্ষুকের সারি। এদের অধিকাংশই শারীরিক প্রতিবন্ধী। এ ভিক্ষুকদের নিয়েই ১৭ মে কালের কণ্ঠে প্রকাশিত হয়েছে বিশেষ অনুসন্ধানী প্রতিবেদন। প্রতিবেদনে উঠে এসেছে অন্তরালের এক নিষ্ঠুর চিত্র। কেমন করে অসহায় মানুষদের নিষ্ঠুর ব্যবসায় নিয়োজিত করা হয়, তার একটি চিত্র ফুটে উঠেছে এ প্রতিবেদনে। একটি এলাকায় প্রায় হাজারখানেক ভিক্ষুকের বাস। মানবেতর জীবনযাপনে বাধ্য করা হয় তাদের। বাধ্য করা হয় ভিক্ষাবৃত্তিতে। তাদের অসুখে ওষুধ নেই। আহার নেই। যে ঘরে এই ভিক্ষুকদের বাস, সে ঘরও বসবাসের অনুপযোগী। কিন্তু সেখানেই তাদের থাকতে বাধ্য করা হচ্ছে। বাধ্য করা হচ্ছে প্রয়োজনের চেয়ে অল্প খাবার খেতে। এতে তাদের শরীর দুর্বল হচ্ছে। শারীরিক ওই দুর্বলতা ও প্রতিবন্ধিতাকে পুঁজি করা হচ্ছে ভিক্ষাবৃত্তির জন্য। ভিক্ষাবৃত্তির জন্য কিনে আনা হচ্ছে অসহায় দুর্বল মানুষ। তাদের লাগানো হচ্ছে ভিক্ষাবৃত্তির কাজে। ভিক্ষাবৃত্তিতে নিয়োজিত এসব মানুষ যেন আজকের দিনে ক্রীতদাস। তাদের যা করতে বলা হবে, তা-ই করতে যেন এরা বাধ্য। না করলে জুটবে নির্যাতন। দুবেলা সামান্য খাবারের জন্য অনেক মানুষকেই অনিচ্ছায় এভাবে বেছে নিতে হচ্ছে ভিক্ষাবৃত্তি। একটু খাবার পাওয়া যাবে, রাতে আশ্রয় মিলবে_এ আশায় অসহায় কিছু মানুষকে এই অন্যায় পেশা গ্রহণে বাধ্য হতে হয়েছে। এ পেশা ঘিরে গড়ে উঠেছে যে চক্রটি, সেই চক্র বাণিজ্য করছে। অসহায় মানুষ এখানে কিছু অসৎ মানুষের হাতের পুতুল যেন। এসব অসহায় মানুষের কোনো নিজস্ব জীবন নেই। নেই স্বাধীনতা। অন্যের কাছে হাত পেতে পয়সা নিয়ে তা তুলে দিতে হয় আরেকজনের হাতে!
ভিক্ষাবৃত্তিকে ঘিরে রাজধানীতে একটি চক্র সক্রিয়, এমনটি শোনা যায়। কালের কণ্ঠে প্রকাশিত বিশেষ অনুসন্ধানে সেই চক্রের একটি বেরিয়ে এসেছে। বেশ কয়েকজন সর্দারের নামও উঠে এসেছে প্রতিবেদনে। ঢাকার একটি এলাকাকে ঘিরে তৈরি করা হয়েছে প্রতিবেদনটি। এটা নিশ্চয়ই ঢাকার একমাত্র ভিক্ষুক তৈরির নিষ্ঠুর কারখানা নয়। রাজধানীতে যেমন এমন অনেক কারখানা আছে, তেমনি দেশের অন্যান্য স্থানেও এমন ভিক্ষুক তৈরির নিষ্ঠুর কারখানা থাকা অস্বাভাবিক নয়। এই নিষ্ঠুর চক্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে তাদের জন্য। বল প্রয়োগ করে এই নিষ্ঠুর জীবনের দিকে যাদের ফেলে দেওয়া হয়েছে, তাদের জীবনকে সুন্দর করে তোলার দায়িত্ব নিতে হবে। যাঁরা দায়িত্ববান, তাঁরা একটু সচেতনতার পরিচয় দিলেই সেটা সম্ভব।
ভিক্ষাবৃত্তিকে ঘিরে রাজধানীতে একটি চক্র সক্রিয়, এমনটি শোনা যায়। কালের কণ্ঠে প্রকাশিত বিশেষ অনুসন্ধানে সেই চক্রের একটি বেরিয়ে এসেছে। বেশ কয়েকজন সর্দারের নামও উঠে এসেছে প্রতিবেদনে। ঢাকার একটি এলাকাকে ঘিরে তৈরি করা হয়েছে প্রতিবেদনটি। এটা নিশ্চয়ই ঢাকার একমাত্র ভিক্ষুক তৈরির নিষ্ঠুর কারখানা নয়। রাজধানীতে যেমন এমন অনেক কারখানা আছে, তেমনি দেশের অন্যান্য স্থানেও এমন ভিক্ষুক তৈরির নিষ্ঠুর কারখানা থাকা অস্বাভাবিক নয়। এই নিষ্ঠুর চক্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে তাদের জন্য। বল প্রয়োগ করে এই নিষ্ঠুর জীবনের দিকে যাদের ফেলে দেওয়া হয়েছে, তাদের জীবনকে সুন্দর করে তোলার দায়িত্ব নিতে হবে। যাঁরা দায়িত্ববান, তাঁরা একটু সচেতনতার পরিচয় দিলেই সেটা সম্ভব।
No comments