১২ মার্চ নিয়ে সরকারের ভূমিকা-জনগণের কষ্টের কথা প্রধানমন্ত্রীর স্বীকার
১২ মার্চের বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে সরকারের সিদ্ধান্তে জনগণের কষ্ট ও ভোগান্তির কথা স্বীকার করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, 'ওই দিন যাতে কোনো বোমাবাজি, বিশৃঙ্খলা না হয়, সে জন্য কিছু সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল। তবে বিরোধী দলের কর্মসূচিতে লোক আসতে বাধা দেওয়া হয়নি।
' গতকাল বৃহস্পতিবার গণভবনে এক মতবিনিময় সভায় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলার পাশাপাশি সমুদ্র বিরোধ নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালতের রায়কে দেশের জন্য মহৎ ও বিরাট অর্জন হিসেবে অভিহিত করেন।
খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে ওই মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশ আর কখনোই অসাংবিধানিক পন্থায় চলবে না। বিশ্বের সব সংসদীয় গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন হয়, বাংলাদেশে আগামী নির্বাচনও সেভাবেই হবে। বর্তমানে নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ। ইলেকট্রনিক মেশিন আছে। যারা জনগণের পাশে থাকবে, জনগণের বিশ্বাস-আস্থা অর্জন করতে পারবে, নির্বাচনে তারাই ভোট পাবে।
শেখ হাসিনা অভিযোগ করেন, মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ সামনে রেখে ১৮ ডিসেম্বর দেশে যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা হয়েছিল, ১২ মার্চকে কেন্দ্র করে বিরোধী দলের তেমন পরিকল্পনাই ছিল। তিনি বলেন, 'আমাদের আশঙ্কা ছিল, ১৮ ডিসেম্বর তারা যে ঘটনা ঘটাতে চেয়ে ব্যর্থ হয়েছিল, সে ঘটনা ১২ তারিখেও ঘটাবে। জনগণের জন্য ব্যবস্থা নিতে হয়েছিল যেন কোনো বোমাবাজি না ঘটে, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয়। এতে জনগণের কিছু ভোগান্তি হয়েছে।' ওই দিনকে কেন্দ্র করে সরকারের নেওয়া সিদ্ধান্তের সমালোচনাকারীদের প্রতি প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, এখন যাঁরা সরকারের সমালোচনা করছেন, সেদিন বোমাবাজি হলে তখন তাঁরা কী বলতেন?
সমুদ্র আইনবিষয়ক আদালতের (ইটলস) বাংলাদেশের পক্ষের রায়কে দেশের জন্য মহৎ ও বিরাট অর্জন হিসেবে আখ্যায়িত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'পঁচাত্তর পরবর্তী জিয়া-এরশাদ-খালেদা জিয়ারা দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকলেও বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা নির্ধারণে কোনো পদক্ষেপ নেননি। আমরা যদি (মহাজোট সরকার) সরকারে না আসতাম, জাতিসংঘে সময়মতো দাবি উত্থাপন না করতাম তাহলে দেশের এ বিশাল অর্জনও হাতছাড়া হয়ে যেত। হয়তো কিছুই পেতাম না। সরকারের দৃঢ় উদ্যোগের ফলেই বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের মতোই প্রায় সমান আয়তনের অংশে বাংলাদেশের দাবি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।' তিনি বলেন, 'এখন বঙ্গোপসাগরে বিস্তৃত এলাকার মৎস্য, প্রাণিজ ও খনিজ সম্পদের ওপর আমাদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।'
বিরোধীদলীয় নেতার পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থার কাছ থেকে অর্থ গ্রহণের খবরটি আবারও তুলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'একাত্তরের পরাজিত শক্তি পাকিস্তানের আইএসআইয়ের কাছ থেকে টাকা নিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষায় বিরোধীদলীয় নেত্রী এখন আন্দোলনের হুমকি ও আলটিমেটাম দিচ্ছেন।'
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগপ্রধান বলেন, '১৯৯১ সালের নির্বাচনে কোনো দল কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। যুদ্ধাপরাধীদের দল জামায়াতের সমর্থন নিয়ে বিএনপি ওই সময় ক্ষমতায় গিয়েছিল। আমি তখন বলেছিলাম, ওই নির্বাচনে সূক্ষ্ম কারচুপি হয়েছে। আজ এত বছর পর পাকিস্তানের আদালতে প্রমাণ হয়ে গেল আমি কারচুপির কথা ভুল বলিনি।'
সভায় আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, মাহবুব-উল-আলম হানিফ, মুন্নুজান সুফিয়ান উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক।
খুলনা জেলা তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সূচনা বক্তব্যের পর অনুষ্ঠিত হয় রুদ্ধদ্বার বৈঠক। বৈঠকের শুরুতে জেলা সভাপতি হারুন-অর-রশিদ প্রাথমিক বক্তব্য দেন এবং সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা রশিদী সুজা সাংগঠনিক রিপোর্ট পেশ করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে সমুদ্রসীমায় বাংলাদেশের পক্ষে ঐতিহাসিক রায় আনায় অসামান্য ভূমিকা রাখার জন্য আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে ওই মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশ আর কখনোই অসাংবিধানিক পন্থায় চলবে না। বিশ্বের সব সংসদীয় গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন হয়, বাংলাদেশে আগামী নির্বাচনও সেভাবেই হবে। বর্তমানে নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ। ইলেকট্রনিক মেশিন আছে। যারা জনগণের পাশে থাকবে, জনগণের বিশ্বাস-আস্থা অর্জন করতে পারবে, নির্বাচনে তারাই ভোট পাবে।
শেখ হাসিনা অভিযোগ করেন, মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ সামনে রেখে ১৮ ডিসেম্বর দেশে যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা হয়েছিল, ১২ মার্চকে কেন্দ্র করে বিরোধী দলের তেমন পরিকল্পনাই ছিল। তিনি বলেন, 'আমাদের আশঙ্কা ছিল, ১৮ ডিসেম্বর তারা যে ঘটনা ঘটাতে চেয়ে ব্যর্থ হয়েছিল, সে ঘটনা ১২ তারিখেও ঘটাবে। জনগণের জন্য ব্যবস্থা নিতে হয়েছিল যেন কোনো বোমাবাজি না ঘটে, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয়। এতে জনগণের কিছু ভোগান্তি হয়েছে।' ওই দিনকে কেন্দ্র করে সরকারের নেওয়া সিদ্ধান্তের সমালোচনাকারীদের প্রতি প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, এখন যাঁরা সরকারের সমালোচনা করছেন, সেদিন বোমাবাজি হলে তখন তাঁরা কী বলতেন?
সমুদ্র আইনবিষয়ক আদালতের (ইটলস) বাংলাদেশের পক্ষের রায়কে দেশের জন্য মহৎ ও বিরাট অর্জন হিসেবে আখ্যায়িত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'পঁচাত্তর পরবর্তী জিয়া-এরশাদ-খালেদা জিয়ারা দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকলেও বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা নির্ধারণে কোনো পদক্ষেপ নেননি। আমরা যদি (মহাজোট সরকার) সরকারে না আসতাম, জাতিসংঘে সময়মতো দাবি উত্থাপন না করতাম তাহলে দেশের এ বিশাল অর্জনও হাতছাড়া হয়ে যেত। হয়তো কিছুই পেতাম না। সরকারের দৃঢ় উদ্যোগের ফলেই বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের মতোই প্রায় সমান আয়তনের অংশে বাংলাদেশের দাবি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।' তিনি বলেন, 'এখন বঙ্গোপসাগরে বিস্তৃত এলাকার মৎস্য, প্রাণিজ ও খনিজ সম্পদের ওপর আমাদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।'
বিরোধীদলীয় নেতার পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থার কাছ থেকে অর্থ গ্রহণের খবরটি আবারও তুলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'একাত্তরের পরাজিত শক্তি পাকিস্তানের আইএসআইয়ের কাছ থেকে টাকা নিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষায় বিরোধীদলীয় নেত্রী এখন আন্দোলনের হুমকি ও আলটিমেটাম দিচ্ছেন।'
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগপ্রধান বলেন, '১৯৯১ সালের নির্বাচনে কোনো দল কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। যুদ্ধাপরাধীদের দল জামায়াতের সমর্থন নিয়ে বিএনপি ওই সময় ক্ষমতায় গিয়েছিল। আমি তখন বলেছিলাম, ওই নির্বাচনে সূক্ষ্ম কারচুপি হয়েছে। আজ এত বছর পর পাকিস্তানের আদালতে প্রমাণ হয়ে গেল আমি কারচুপির কথা ভুল বলিনি।'
সভায় আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, মাহবুব-উল-আলম হানিফ, মুন্নুজান সুফিয়ান উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক।
খুলনা জেলা তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সূচনা বক্তব্যের পর অনুষ্ঠিত হয় রুদ্ধদ্বার বৈঠক। বৈঠকের শুরুতে জেলা সভাপতি হারুন-অর-রশিদ প্রাথমিক বক্তব্য দেন এবং সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা রশিদী সুজা সাংগঠনিক রিপোর্ট পেশ করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে সমুদ্রসীমায় বাংলাদেশের পক্ষে ঐতিহাসিক রায় আনায় অসামান্য ভূমিকা রাখার জন্য আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
No comments