মুন্সি পুকুর কি রক্ষা করা যাবে না! by প্রণব বল
নগরের কাপাসগোলার ঐতিহ্যবাহী মুন্সি পুকুর। প্রতিদিন আশপাশের প্রায় ১০ হাজার লোক ব্যবহার করে পুকুরের পানি। অগ্নিদুর্ঘটনায়ও পানির জোগান দেয় এটি। কিন্তু এখন কৌশলে পুকুরটি ভরাটের চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এর আগেও একবার ভরাটের চেষ্টা রুখে দিয়েছিল এলাকাবাসী।
এখন আবার ভরাটের পাঁয়তারা। তাঁদের প্রশ্ন, মুন্সি পুকুর কি রক্ষা করা যাবে না?
পুকুর ভরাটের প্রতিবাদে ছয়টি মহল্লার বাসিন্দা এবং চকবাজার পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন কমিটি আগামীকাল শুক্রবার পুকুরপাড়েই সমাবেশের আয়োজন করেছে।
উত্তর পাড়ের একটি চায়ের দোকান থেকে বালুমিশ্রিত ছাই ফেলে কৌশলে ভরাট করা হচ্ছে পুকুরটি। গত বছরও ৮০ শতক আয়তনের পুকুরটি ভরাটের উদ্যোগ নেওয়া হলে পরিবেশ অধিদপ্তর ও ফায়ার সার্ভিস বন্ধ করে দেয়। এর পর দীর্ঘদিন নীরব থাকার পর আবার ভরাট শুরু হয়েছে। স্থানীয় মো. বাবুল ও ফেরদৌস বাদল নামের দুই ব্যক্তি এই পুকুর ভরাটের উদ্যোগ নেন বলে অভিযোগ উঠেছে। পুকুরটি চান মিয়া সওদাগরের মালিকানাধীন হলেও বর্তমানে এটি ওয়াক্ফ সম্পত্তি বলে জানা গেছে। বাবুল ও বাদল চান মিয়া সওদাগরের বংশধর।
জানা গেছে, পুকুর ভরাটের জন্য কোনো অনুমতি নেওয়া হয়নি। এ প্রসঙ্গে পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক গোলাম মোহাম্মদ ভূঁইয়া বলেন, ‘আমরা পুকুর ভরাটের জন্য কাউকে অনুমতি দিইনি। কেউ যদি এভাবে ভরাটের উদ্যোগ নেয়, তাহলে পরিবেশ অধিদপ্তর ব্যবস্থা নেবে।’
প্রসঙ্গত, গত বছরের এপ্রিলে মুন্সি পুকুর ভরাটের চেষ্টার অভিযোগ এনে স্থানীয় মহল্লা কমিটি পরিবেশ অধিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিসসহ বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি দিয়েছিল। সে সময় পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক আবদুর রাজ্জাক সরেজমিনে পরিদর্শন করে তা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন। ওই সময় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের কাছ থেকে একটি মুচলেকাও নেওয়া হয়েছিল বলে জানা গেছে।
এ প্রসঙ্গে আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘গত বছর আমরা গিয়েছিলাম। এখন আবার ভরাট শুরু করলে আমরা ব্যবস্থা নেব।’
সরেজমিনে দেখা গেছে, জনসাধারণের সুবিধার্থে সিটি করপোরেশন পুকুরটি চারপাশে দেয়াল ও চারটি পাকা ঘাট নির্মাণ করে দিয়েছে।
পুকুর পাড়ের একটি চায়ের দোকান থেকে ছাই ও বালু ফেলে পুকুরের এক পাশ ভরাট করা হচ্ছে। প্রতিদিন রাতে এই বালু ফেলা হয় বলে স্থানীয় লোকজন জানান। যে চায়ের দোকান থেকে ছাই ও বালু ফেলা হচ্ছে, তার মালিক মো. ইদ্রিছ। এ ব্যাপারে তাঁর কাছে জানতে চাইলে তিনি কিছু বলতে অস্বীকৃতি জানান।
ভরাটের ব্যাপারে জানতে চাইলে চান মিয়া সওদাগরের বংশধর মো. বাবুল বলেন, ‘আমরা পুকুর ভরাট করছি না। এগুলো আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার।’
চকবাজার পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন কমিটির সদস্যসচিব স ম বখতেয়ার বলেন, ‘আমরা এই পুকুর ভরাট বন্ধ করার জন্য বিভিন্ন দপ্তরে গতবার চিঠি লিখেছিলাম। তখন বন্ধ করা হলেও এখন নতুন করে তা আবার ভরাট করছে তারা। আমরা সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে বিষয়টি অবহিত করেছি।’
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, মুন্সি পুকুরটি ফায়ার সার্ভিসের তালিকাভুক্ত। অগ্নিদুর্ঘটনার সময় এই পুকুরের পানি ব্যবহূত হয়। এ প্রসঙ্গে ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘পুকুর ভরাটের কোনো নিয়ম নেই। মুন্সি পুকুর একটি ঐতিহ্যবাহী জলাশয়। এটি ভরাটের চেষ্টা করলে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।’
পরিবেশ আইনে যা রয়েছে: বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ (সংশোধন) আইন ২০১০-এর ৬-এর ঙ ধারায় বলা হয়েছে ‘আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, জলাধার হিসেবে চিহ্নিত জায়গা ভরাট বা অন্য কোনোভাবে শ্রেণী পরিবর্তন করা যাইবে না। তবে শর্ত থাকে যে, ‘অপরিহার্য জাতীয় স্বার্থে অধিদপ্তরের ছাড়পত্র গ্রহণক্রমে জলাধার সম্পর্কিত বাধা-নিষেধ শিথিল করা যাইতে পারে।’
এই ধারার দণ্ডাদেশে বলা হয়েছে ‘প্রথম অপরাধের ক্ষেত্রে অনধিক ২ (দুই) বছর কারাদণ্ড বা অনধিক ২ (দুই) লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হইবে।’
পুকুর ভরাটের প্রতিবাদে ছয়টি মহল্লার বাসিন্দা এবং চকবাজার পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন কমিটি আগামীকাল শুক্রবার পুকুরপাড়েই সমাবেশের আয়োজন করেছে।
উত্তর পাড়ের একটি চায়ের দোকান থেকে বালুমিশ্রিত ছাই ফেলে কৌশলে ভরাট করা হচ্ছে পুকুরটি। গত বছরও ৮০ শতক আয়তনের পুকুরটি ভরাটের উদ্যোগ নেওয়া হলে পরিবেশ অধিদপ্তর ও ফায়ার সার্ভিস বন্ধ করে দেয়। এর পর দীর্ঘদিন নীরব থাকার পর আবার ভরাট শুরু হয়েছে। স্থানীয় মো. বাবুল ও ফেরদৌস বাদল নামের দুই ব্যক্তি এই পুকুর ভরাটের উদ্যোগ নেন বলে অভিযোগ উঠেছে। পুকুরটি চান মিয়া সওদাগরের মালিকানাধীন হলেও বর্তমানে এটি ওয়াক্ফ সম্পত্তি বলে জানা গেছে। বাবুল ও বাদল চান মিয়া সওদাগরের বংশধর।
জানা গেছে, পুকুর ভরাটের জন্য কোনো অনুমতি নেওয়া হয়নি। এ প্রসঙ্গে পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক গোলাম মোহাম্মদ ভূঁইয়া বলেন, ‘আমরা পুকুর ভরাটের জন্য কাউকে অনুমতি দিইনি। কেউ যদি এভাবে ভরাটের উদ্যোগ নেয়, তাহলে পরিবেশ অধিদপ্তর ব্যবস্থা নেবে।’
প্রসঙ্গত, গত বছরের এপ্রিলে মুন্সি পুকুর ভরাটের চেষ্টার অভিযোগ এনে স্থানীয় মহল্লা কমিটি পরিবেশ অধিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিসসহ বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি দিয়েছিল। সে সময় পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক আবদুর রাজ্জাক সরেজমিনে পরিদর্শন করে তা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন। ওই সময় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের কাছ থেকে একটি মুচলেকাও নেওয়া হয়েছিল বলে জানা গেছে।
এ প্রসঙ্গে আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘গত বছর আমরা গিয়েছিলাম। এখন আবার ভরাট শুরু করলে আমরা ব্যবস্থা নেব।’
সরেজমিনে দেখা গেছে, জনসাধারণের সুবিধার্থে সিটি করপোরেশন পুকুরটি চারপাশে দেয়াল ও চারটি পাকা ঘাট নির্মাণ করে দিয়েছে।
পুকুর পাড়ের একটি চায়ের দোকান থেকে ছাই ও বালু ফেলে পুকুরের এক পাশ ভরাট করা হচ্ছে। প্রতিদিন রাতে এই বালু ফেলা হয় বলে স্থানীয় লোকজন জানান। যে চায়ের দোকান থেকে ছাই ও বালু ফেলা হচ্ছে, তার মালিক মো. ইদ্রিছ। এ ব্যাপারে তাঁর কাছে জানতে চাইলে তিনি কিছু বলতে অস্বীকৃতি জানান।
ভরাটের ব্যাপারে জানতে চাইলে চান মিয়া সওদাগরের বংশধর মো. বাবুল বলেন, ‘আমরা পুকুর ভরাট করছি না। এগুলো আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার।’
চকবাজার পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন কমিটির সদস্যসচিব স ম বখতেয়ার বলেন, ‘আমরা এই পুকুর ভরাট বন্ধ করার জন্য বিভিন্ন দপ্তরে গতবার চিঠি লিখেছিলাম। তখন বন্ধ করা হলেও এখন নতুন করে তা আবার ভরাট করছে তারা। আমরা সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে বিষয়টি অবহিত করেছি।’
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, মুন্সি পুকুরটি ফায়ার সার্ভিসের তালিকাভুক্ত। অগ্নিদুর্ঘটনার সময় এই পুকুরের পানি ব্যবহূত হয়। এ প্রসঙ্গে ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘পুকুর ভরাটের কোনো নিয়ম নেই। মুন্সি পুকুর একটি ঐতিহ্যবাহী জলাশয়। এটি ভরাটের চেষ্টা করলে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।’
পরিবেশ আইনে যা রয়েছে: বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ (সংশোধন) আইন ২০১০-এর ৬-এর ঙ ধারায় বলা হয়েছে ‘আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, জলাধার হিসেবে চিহ্নিত জায়গা ভরাট বা অন্য কোনোভাবে শ্রেণী পরিবর্তন করা যাইবে না। তবে শর্ত থাকে যে, ‘অপরিহার্য জাতীয় স্বার্থে অধিদপ্তরের ছাড়পত্র গ্রহণক্রমে জলাধার সম্পর্কিত বাধা-নিষেধ শিথিল করা যাইতে পারে।’
এই ধারার দণ্ডাদেশে বলা হয়েছে ‘প্রথম অপরাধের ক্ষেত্রে অনধিক ২ (দুই) বছর কারাদণ্ড বা অনধিক ২ (দুই) লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হইবে।’
No comments